![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছেলেরা শ্বশুরবাড়ি থেকে কোন সম্পত্তি পায় না,বাবার কাছ থেকে পায়।
কিন্তু মেয়েরা বাবার সম্পত্তির অংশ, আর স্বামীর সম্পত্তির অংশ পায়।
ইসলাম নারীকে তার ন্যায্য অধিকার দিয়েছে -
- স্বামীর কাছে থেকে স্ত্রী মোহরানা পায়।
- স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্ব সম্পূর্ণ স্বামীর ওপর ।
- স্ত্রী যদি আয় করে থাকেন, স্ত্রী এর থেকে খরচ করতে ,বা স্বামীকে দিতে বাধ্য নয় ।
মানে,
জামাইয়ের টাকা মানে বউয়ের টাকা
বউয়ের টাকা মানেও বউয়ের টাকা।
তাহলে ইসলামে নারীদের সাথে বৈষম্য কোথায় করা হলো?
এই সমগ্র বিশ্বচরাচরের স্রষ্টা যিনি, স্বয়ং তিনি সবকিছুর মাপকাঠি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কোন এক ফেইসবুক পেইজে দেখলাম, সম্পত্তিতে নারীদের সমধিকারের ওপর ভিত্তি করে তারা একটা ভিডিও বানিয়েছে। সবাইকে সম্পত্তিতে নারীদের সমতা নিয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। খুব ভালো কথা (!)
সমধিকার বলতে তারা এটায় তো বোঝায়, মানে সবার সমান সমান অধিকার থাকবে। তাহলে, একজন চাষী, আর একজন অফিসারের পারিশ্রমিক যদি একই হয়, এটা কি জাস্টিসের মধ্যে পরে? ইসলাম সমঅধিকার দেয় না। ইসলাম দেয় সবার ন্যায্য অধিকার। যদি ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করি, তাহলে এটা আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ ঈমানের পরিপন্থী।
ঈমান মানেই তো, আল্লাহ্ সুবহানাল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য যে আইন দিয়েছেন তা অকপটে বিশ্বাস করা, তাঁর ওপর আস্থা রাখা। এধরনের পেইজ বা অর্গানাইজেশন স্রষ্টার আইনের বিরুদ্ধে মানুষকে সোচ্চার করতে চায়। স্যকুলারিজমের দিকে উৎসাহিত করতে চায়। নিজেরাও জাহান্নামে যাবে। সাথে সমধিকারের নামে মগজ ধোলাই করে কিছু সঙ্গীসাথীদেরও জাহান্নামে নিবে।
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১১
প্রোলার্ড বলেছেন: স্ত্রীকে চাকুরি করতে দেওয়া কি স্বামীর উপর ফরয , না ইচ্ছে মাফিক?
জামাইয়ের টাকা মানে বউয়ের টাকা - এটা মনে হয় ঠিক না । স্বামী যেটা উপার্জন করবে সেটা স্বামীর আর স্ত্রীরটা স্ত্রীর ।
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১
কিছু বলার বাকি বলেছেন: দুজনের আয়ের উপরই দুজনের হক আছে, তবে ইসলাম ধর্মে পরিবারের ভরন-পোষনের দায়িত্ব স্বামীকে দেওয়া হয়েছে । আমি ও একমত সম অধিকার বলতে ন্যয্যতার অধিকার থাকবে, নিজের অধিকার থাকবে সেখানে প্রয়োজনে কোন কোন ব্যাপারে wife বা একজন নারী স্বামী/পুরুষ থেকে বেশী অধিকার ভোগ করতে পারে ন্যয্যতার ভিত্তিতে পারিপার্শ্বিকতার বিচারে ।
সম অধিকার বলে হইচই না করে নারীদের সত্যিকারের সম্মান, ন্যয্য অধিকার নিশ্চিত করুন ।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
কোরানে অর্থনৈতিক যেসব সমাধান দেয়া হয়েছে, সেগুলো ততকালীন আরবদের সমস্যা সমাধানের জন্য দেয়া হয়েছিল; তখন এভাবে চাষ হতো না, ব্যাংক ছিলো না, চাকুরী ছিলো না, স্টক মার্কেট ছিলো না, শিক্ষা ছিলো না।
আজকের জন্য, সমাজ ও দেশের সংবিধান অনুসারে, মানুষের মৌলিক চাহিদা মিটাতে যে ধরণের অর্থনীতির দরকার, সেভাবেই প্রতিটি নাগরিকের অধিকার নতুন করে হিসেব করতে হবে, নারী পুষষকে মৌলিক অধিকারের বেলায় আলাদা করা যাবে না।
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৫
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: উত্তরাধিকারে বৈষম্য রয়েছে। স্বামী যখন স্ত্রীর উত্তরাধিকার হয় তখন তিনি এক চতুর্থাংশ পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে স্ত্রী পেয়ে থাকেন এক অষ্টমাংশ। সম্পদের বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এভাবে ভাগাভাগি হয়।
"জামাইয়ের টাকা মানে বউয়ের টাকা - এটা মনে হয় ঠিক না । স্বামী যেটা উপার্জন করবে সেটা স্বামীর আর স্ত্রীরটা স্ত্রীর ।" - হ্যা, ইসলাম এটাই বলে। এটা সম্ভবত কোরানের আয়াতও। যার যার উপার্জিত অর্থ তার তার। যদিও স্বামীকে আর্থিক দায়িত্ব নিতে হয়। বিশেষত খাবার, বাসস্থান এবং পোশাক।
স্ত্রীকে হালাল চাকুরী করতে দিতে স্বামী বাধা দিতে পারেন না। কেননা স্বামীর দায়িত্ব সীমিত, সম্পূর্ন নয়। তাই যারা চান না যে তাদের স্ত্রীরা চাকুরী করুক, তারা বিয়ের আগেই এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে নিবেন।
ইসলামের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য তার পরিবার ব্যবস্থায়। যার ফলে সন্তান বৃদ্ধ পিতা মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর কথা চিন্তাও করতে পারে না। সন্তানের মাতৃত্বেই নারী তার সবচেয়ে বড় অধিকারটি পেয়ে থাকেন। যা অন্যান্য বৈষম্যকে পূরন করে দেয়।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৫
হাফসা বিনতে রাইয়্যান বলেছেন: "জামাইয়ের টাকা মানে বউয়ের টাকা" মানে , এটাই বুঝিয়েছি স্ত্রী স্বামীর টাকা হালাল কাজে ইচ্ছামত খরচ করতে পারে, যদি স্বামী উদার হন। আর স্ত্রীর টাকা পরিবারে , বা স্বামীকে দিতে সে বাধ্য নয়, ইসলাম এটায় বলে। ধন্যবাদ।
৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২২
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: প্রোলার্ড বলেছেন: স্ত্রীকে চাকুরি করতে দেওয়া কি স্বামীর উপর ফরয, না ইচ্ছে মাফিক?
স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রীর ঘরের বাইরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে।
ইসলাম পুরুষদের একটু বেশিই অধিকার দিয়েছে এটা মানতেই হবে। তবে সেই সাথে অনেক দায়িত্বও চাপিয়েছে। যার দায়িত্ব বেশি তার অধিকারও বেশি।
গাজী মিয়া, ইসলামের বিধান সর্বকালের জন্য। শুধু তৎকালীন সময়ের জন্য না।
৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪
প্রোলার্ড বলেছেন: "জামাইয়ের টাকা মানে বউয়ের টাকা" মানে , এটাই বুঝিয়েছি স্ত্রী স্বামীর টাকা হালাল কাজে ইচ্ছামত খরচ করতে পারে, যদি স্বামী উদার হন। আর স্ত্রীর টাকা পরিবারে , বা স্বামীকে দিতে সে বাধ্য নয়, ইসলাম এটায় বলে।
০ স্বামী উদার হবে সেটা আশা করেন কিন্তু নিজেরা উদার হন না । যে স্বামী নিজের পরিবারের দেখভালকে গৌন রেখে স্ত্রীকে চাকরি করার পারমিশন দেবার উদারতা দেখাতে পারে সেই স্ত্রী কি তার কামাই করা টাকা স্বামীর সংসারে খরচ করার উদারতা দেখাতে পারে না ?
৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯
হাফসা বিনতে রাইয়্যান বলেছেন: হালাল কাজে ইচ্ছামত খরচ করতে দেয়া ,এটা স্বামীর উদারতা নয়, বরং সামর্থ্য থাকলে স্ত্রীর চাহিদামত দেয়া ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামীর জন্য ওয়াজিব। স্ত্রীকে চাকুরী করতে দেয়া এটা কখনো উদারতার পরিচয় দেয় না। হ্যা, স্ত্রী যদি এমন কোন জায়গায় চাকরী করতে চায়, যেখানে তার পর্দার সমস্যা হবে না ,বা বাধা আসবে না , তাহলে স্ত্রীকে চাকরী করতে বাধা দেয়াটা ঠিক হবে না। কিন্তু স্ত্রীর মূল দায়িত্ব তার স্বামীর যত্ন নেয়া, সন্তানের যত্ন নেয়া, স্বামীর অনুপস্তিতিতে স্বামীর সম্পদের রক্ষনাবেক্ষণ করা। একজন স্ত্রীর জন্য এটায় যথেষ্ট নয় কি? আর স্বামী যদি আয় সংকটে ভোগেন, তাহলে স্বামীকে এ ব্যাপারে সহায়তা করা নিঃসন্দেহে স্ত্রীর উদারতার পরিচয় হবে।
৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭
প্রোলার্ড বলেছেন: স্বামীর অনুপস্তিতিতে স্বামীর সম্পদের রক্ষনাবেক্ষণ করা
০ স্বামী কখন অনুপস্থিত থাকে ? যখন সে চাকুরী বা ব্যবসার জন্য বাইরে থাকে । সে যায় সকাল ৭ টায় এবং ফিরে রাত ৮ টায় - স্ত্রী যদি চাকুরি করে তাহলে সে কোন সময়ে ঘর থেকে বের হবে চাকুরীর জন্য ?
আপনার চাকুরী দাতা প্রতিষ্ঠান কি তাদের কাজের প্রাইম টাইমে আপনাকে আরেকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে এলাউ করবে?
যেখানে তার সংসারের দেখভাল করার দ্বায়িত্ব তার স্ত্রীর এবং স্ত্রীর তার কামাই স্বামীর সংসারে ব্যয় করবে না - মানে' না ঘরের দেখভাল না সংসারে শেয়ার 'এসবের পরও স্ত্রীকে চাকরি করতে দেওয়া কি একজন স্বামীর উদারতা নয় !!! এটা তাহলে ছ্যাবলামী ।
৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩২
সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: সব সময় স্বার্থ্য শব্দ ব্যবহার করা যাবে না ? আমার মতো করে করবো