![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বার বার বলি, ত্রিশলক্ষ শহীদের রক্তে রাঙানো এ দেশ কারো বাবা, মা, নানা, দাদার একক সম্পত্তি নয়। দেশটা সকলের। দেশের আইন কানুন সকল নাগরিকের জন্য সমান। মানুষ কতখানি নির্লজ্জ হলে সুবিধা অনুযায়ী দেশের সংবিধান নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে! অথচ তাই করা হচ্ছে স্বাধীনতার পর থেকেই। প্রতিটি সরকার বিপদ দেখলেই সংবিধানের দোহাই দেয়, বিপদ কেটে গেলেই প্রতিনিয়ত সংবিধানকে বৃদ্ধাংগুল দেখায়। প্রতিদিন সংবিধান অমান্য করে। অবশ্য তার খেসারতও দেয়, তখন আর সময় থাকে না। কিছুদিন আগে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বৃটেন সফরে গিয়ে বললেন, দেশের নির্বাচন হবে আপনাদের দেশের নির্বাচনের মত। প্রশ্নটা হলো, তাহলে গনতন্ত্রটাও তাদের দেশের মত হবে না কেন? দেশের এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে সংবিধান ভংগ করা হয় নাই। সর্বশেষ উদাহরন হলো পিএসসি। স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও সেখানে মুক্তিযুদ্ধার কোটা নামে সাধারন মেধাবী ছাত্রদের বন্চিত করা হচ্ছে। যেখানে অপমান করা হয়েছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের। কারন তারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেবার জন্য দেশ স্বাধীন করেন নাই। কেন হয়েছে, উত্তর যমুনার জলের মত পরিস্কার ও টলটলে। যাতে বিসিএসে ভবিষ্যত অফিসাররা তাদের দলের বংশংবদ তপ্লিবাহক হয়। বলা বাহুল্য দেশের মেধাবী সন্তানদের বন্চিত করে পুলিশ, আর্মি থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রেই এটা করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই বীজ বপন। যাতে এবার না পারলেও ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসা এবং থাকার পাকাপোক্ত ব্যবস্হা করা যায়। এটা যে শুধু আওয়ামী সরকার করছে তা নয়, বিএনপি সরকারও একই কাজ করেছে। এগুলোকে আমি একটা জিনিষের সাথেই তুলনা করতে চাই সেটা হলো আলবদর রাজাকারদের সাথে। ১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে দেশের মেধাবী সন্তান তথা বুদ্ধিজীবিদেরকে ধরে এনে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি দালাল আলবদর রাজাকারেরা। যার স্বাক্ষী আজকেই দিয়েছেন শ্যামলী নাসরিন চৌধুরি, শহীদ বুদ্ধিজীবি আলীম চৌধুরীর স্ত্রী, তৎকালীন আলবদর বাহীনির কমান্ডার মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে। সবাই জানি এটা করা হয়েছিল দেশকে পরিকল্পিতভাবে মেধাশুন্য করার জন্য। আর আজ? অনেকটা একই ঘটনা, কিন্তু প্রসেসটা ভিন্ন। কাউকে শারীরিকভাবে হত্যা করে নয়, কিন্তু দেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবী সন্তানদের পংগু করে দিয়ে, পথে বসিয়ে দিয়ে। অর্থাৎ, ফকিন্নি মার্কা মার্ক পেয়ে যারা কেরানী হবারও যোগ্যতা রাখে না, তাদেরকে বানানো হচ্ছে বিসিএস অফিসার, আর মেধাবীরা হবে তাদেরই অফিসের কেরানী। কি অদ্ভুদ আধাঁরে ঢেকে যাচ্ছে আজ আমাদের দেশ! ভালোতো, ভালো না!
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৬
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ, ম্যানিলা নিশি।
২| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৯
ল্যাটিচুড বলেছেন: ভালোতো, ভালো না!
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৭
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: ভালোই কি বলেন! ধন্যবাদ, ল্যাটিচুড।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৯
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: বিষয়টা আওয়ামী লীগ, বিএনপির নয়। প্রতিটি সরকারের আমলেই একই ঘটনা। দেখুন না, কোথাও নিয়োগ বা পোষ্টিং দেবার আগে খোজা হয় সে ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করেছে নাকি ছাত্রদল করেছে! কতখানি ভয়ংকর ব্যাপার। তারা মনে করে, দেশের কোটি কোটি ছাত্রের সবাই কেউ ছাত্রলীগ করবে অথবা কেউ ছাত্রদল, শিবির করবে? অথচ একজন আবালও জানে যে বাংলাদেশের বিশেষ করে এই যুগে লক্ষ লক্ষ ছাত্র ছাত্র রাজনীতি করে না, রাজনীতিকদের জঘন্য সব কার্যকলাপ দেখে ফেসবুকেই এ্যাবাউট সেকশনে লিখে "আই হেইট বাংলাদেশ পলিটিক্স"। তাহলে বলুন এরা কি বিসিএসে চান্স পাবে না? এই সব মেধাবী ছেলে মেয়েরা কোথায় যাবে? সে নিশ্চয়তা কি সংবিধান দেয় নাই? আর সংবিধানে সকল নাগরিকের সমান মৌলিক অধিকার থাকা সত্বেও সংবিধানের রক্ষক সরকারগুলো যদি তার ভক্ষক হয়ে যায়, তাহলে দেশের মানুষই বা কোথায় যাবে আর দেশ কোন রসাতলে যাবে সেটা বুঝতেতো পিএইচডি ডিগ্রীর দরকার নেই।
৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
টি-ভাইরাস বলেছেন: বাংলাদেশ কেন পাকিস্তান থেকেপৃথক হয়েছিল? এক কথায় জবাব হবে-পাকিস্তানি শাসকদের চরম বৈষম্যের কারণে। অথচ আজ এই বৈষম্য মুক্তির স্বাধীনতা যুদ্ধকে পুঁজি করে সবচেয়ে বড় বৈষম্যের বীজ রোপন করা হয়েছে। (তাও প্রকৃত মহান মুক্তিযোদ্ধারা হলেও একটা কথা ছিল; বরং ভূয়া সনদ ধারীদেরই পোয়াবারো। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা রিকশা চালায়,ভিক্ষা করে আর অনাদর, অবহেলা, বিনা চিকিৎসায় মরে।) সন্তানের পর এখন নাকি নাতি-নাতনীও প্রাধিকার পাবে!আমাদের প্রজন্ম বঞ্চিত হয়েছে, এবার বঞ্চিত হবে পরবর্তী প্রজন্ম। তোমার ও তোমার অনাগত সন্তানের জন্য বৈষম্য মুক্ত দেশ গড়তে তীব্র দ্রোহে অবতীর্ণ হও। সকল প্রকার অযৌক্তিক কোটা প্রথারবিলোপ চাই.........
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৫
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: চমৎকার বলেছেন, টি-ভাইরাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ভর্তি হতে যাই, তখন অনেক ভাল মার্কস নিয়েও ফার্মেসি, বায়ো কেমোষ্ট্রি, এপ্লাইড ফিজিক্স এ ভর্তি হতে না পেরে অবশেষে মন্দের ভালো পাবলিক এডমিনিষ্ট্রেশন নিয়েই সন্তোষ্ট থাকতে হয়েছিলো। অথচ আমারই কলেজ জীবনের এক পিছিয়ে পড়া এবং অনেক খারাপ রেজাল্ট করা একজন এপ্লাইড ফিজিক্সে ভর্তি হয়ে গেলেন। প্রশ্ন করলে বললেন, শহীদ মুক্তিযুদ্ধার ফ্যামিলি কোটায় তিনি ভর্তি হয়েছেন। অথচ তার ফ্যামেলিতে কোন শহীদ মুক্তিযুদ্ধাতো দুরের কথা কেউ মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন বলেও কখনো শুনি নাই। ভুয়া সার্টিফিকেট দেখিয়ে এটা করেছিলেন। তিনি আজ সরকারের অন্ধ সাপোর্টার ব্যবসায়ী সমাজের নেতা!
৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধারা ঘরবাড়ী ফেলে বিনা বেতনে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ না করলে আমাদের জন্য চাকরীর কোটা থাকত মাত্র ১০%
বাকী ৯০% থাকত উর্দূভাষীদের জন্য।
কোটা সিষ্টেম বাংলাদেশের শুরু থেকেই চলছে ৪২ বছর ধরে কোন বিতর্ক ছাড়াই।
কোটা ব্যাবস্থা পৃথিবীর অনেক দেশেই চালু আছে, আছে ধনাঢ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অষ্ট্রেলিয়াতেও আছে, পাসের দেশ ভারতেও ...
আমেরিকায় ২য় মহাযুদ্ধ ফেরত সৈনিক, ভিয়েতনাম ফেরত যোদ্ধাদের ও তাদের পোষ্যদের উচ্চহারে কোটা চালু আছে।
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪১
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, তারা জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন, না করলে আমাদের পরাধীন থাকতে হতো, একথাটা একমাত্র রাজাকার আলবদর ছাড়া কেউ অস্বীকার করবে না। আমি নিজে আমার জেলায় সর্ব প্রথম খুজে খুজে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধাদের বের করে তাদেরকে সংবর্ধনা দেই। প্রশ্নটা হলো সততা নিয়ে। আগের কমেন্ট করা বন্ধু টি-ভাইরাস যেমনটি বলেছেন, প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধা বা তাদের সন্তান সন্ততিরা আজ কোথায়, কি করছেন? বিসিএসে যাদেরকে এই কোটার সুযোগ দেয়া হচ্ছে তাদের জেনুইনিটি নিয়ে সকলেরই কম বেশি সন্দেহ রয়েছে। দ্বিতীয়তঃ বৈষম্যটা একটা সহনশীল পর্যায়ে থাকতে হবে যাতে করে কোটার সুযোগ নিয় কোন অযোগ্য ব্যাক্তি দায়িত্বপুর্ন পদ না পেয়ে যান। যেমন আজকের প্রথম আলো পত্রিকায় একজন বলেছেন তিনি ৭০ ভাগ নম্বর পেয়েও চান্স পান নি, অথচ একজন কোটায় ৩০ ভাগ পেয়ে উতরে গেছেন। এটাতো হতে পারে না। তৃতীয়তঃ বিভিন্ন কোটার নাম করে প্রতিটি সরকার তাদের দলীয় ক্যাডারদের নিয়োগ দিয়েছেন, পদোন্নতি দিয়েছেন, যা কোনভাবেই একসেপটেবল নয়। সর্বশেষ আপনি যে সব দেশের উদাহরন দিয়েছেন, তাদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, নিরপেক্ষতার যে বিষয়টা রয়েছে সেখানে কারো কোন সন্দেহ থাকে না, কিন্তু বাংলাদেশে সেটার ঘাটতি রয়েছে শতভাগ। এ বিষয়গুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে। আমি ঐ দেশগুলোর কোটার নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে অচিরেই আর একটি পোষ্টে আলোচনা করবো আশা করি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য হাসান কালবৈশাখি।
৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৭
দুরন্ত-পথিক বলেছেন: কথাটা একচুল ও মিথ্যা না।
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২২
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, দুরন্ত-পথিক।
৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
সোহেল সি এস ই বলেছেন: এই লোটা ভর্তি কোটা নিয়ে যারা মোটা কথা বলে তাদের বোটাসহ মূলৎপাটন করলে গোটা দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটা এখন সময়ের দাবি।
১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: ভালোই বলেছেন, সোহেল সি এস ই।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৪
ম্যানিলা নিশি বলেছেন:
সহমত