![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাহ যাউক গা! ১৯৭২-১৯৮১ এর কথা আপাতত নাই বা আনলাম। ঐ দুই পিরিয়ডে আমাগো দুই বড় ইমোশন জড়িয়ে আছে। এরশাদের জমানা থেকেই শুরু করি। ১৯৮৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারীর আগে বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোরে বহুত অনুরোধ করা হইল সামরিক শাষক এরশাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে। কেউ রাজী না। কেমনে রাজী হয়? কয়েকদিন আগেই না তারে স্বাগতম জানাইছে, বলছে 'এক ফোটা রক্তও ঝড়ে নাই, একটা গুলিও ফুডে নাই' টাইপের কথা বার্তা। হেরপর যহন ছাত্ররা শুরু কইরা দিল ১৪ই ফেব্রুয়ারী ঘটলো, জাফর জয়নাল দীপালীর রক্তে দেশ কাইপা উঠলো, শুরু হইলো ওগো তামশা। কে কেমনে রাজনৈতিক ফায়দা উঠাইবো, কে কারে টেক্কা মারবো। এক পর্যায়ে বলা হইলো এরশাদের অধীনে যে নির্বাচনে যাইবো হেয় জাতীয় বেঈমান হইবো। তয় গোপনে চলতে লাগলো ষড়যন্ত্র। স্বাধীনতা বিরোধী জামাতের মেইন কৌশলডাই ছিল কেমনে জাতে উঠা যায়, তারপর আবার বাঙালীগো শিক্ষা দেয়া যায়। তো জাতে উঠতে হইলেতো স্রোতের সাথে থাকতে হইবো। অতীতের কৌশল পাল্টাইয়া, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শামিল হইয়া রাতারাতি গনতান্ত্রিক হয়া গেল। শুরু হইলো বিএনপির সাত দল, আওয়ামী লীগের ১৫ দলের সাথে এরশাদ বিরোধী যুগপৎ আন্দোলন। এক মন্চে না, কিন্তু একই দিনে একই কর্মসুচি ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে। তয় রাইতে লিয়াজো কমিটির বৈঠকে আবার একসাথে। সে কি বিপ্লবী গনতান্ত্রিক ঝান্ডা তাদের হাতে তখন! কথায় কথায় গনতন্ত্রের খই ফুডে। হেরপর একদিন আইলো ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপির সাত দল করলো বর্জন, আওয়ামী লীগ বিএনপিরে ল্যাং মাইরা এরশাদের সাথে কি এক গোপন ষড়যন্ত্রে নির্বাচনে যোগ দিল। সাথে নিল জামাতরে। একদিকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আছে জামাত, তার উপর 'চেতনার সোল এজেন্ট' আওয়ামী লীগের সাথে নির্বাচন, কেডায় চিনে তখন বিএনপিরে। জাতে উঢার সেই শুরু। সংসদে ১০টা সিট। রাজপথে জামাত, সংসদে জামাত। সংগ্রামী সাথী আওয়ামী লীগ। কে পায়। না, সুখ তাতেও সয় না। ৯১ সালের নির্বাচনে ভাব বেকায়দা দেখে এবার এলায়েন্স মারলো বিএনপির সাথে, খালেদার আপোষহীন কায়দা বায়দা দেইখা ওরা আগেই টের পাইছিলো পালের হাওয়ার দিক বদল। বিনিময়ে ১৮ ডা সিট সংসদে। কেরমেই বাড়তে লাগলো সাহস আর লোভ। ইসলামি লেবাসে ক্ষমতার প্রায় কাছাকাছি। একবছরের মধ্যেই টেকনিক বদল। খালেদার বিরুদ্ধে আন্দোলন, তয় এবার 'স্বৈরাচারের' দল জাতীয় পার্টি, আর 'চেতনার' দল আওয়ামী লীগের সাথে। আবার যুগপৎ। কেয়ারটেকার সরকারের ফর্মুলার দাবীদার হয়া খাড়াইল। ভাবসাব হেরাই সব। তয় ৯৬ এর ইলেকশনে জবাবটা পাইলো। জোট ছাড়া একক জনপ্রিয়তা যাচাই করতে গিয়ে দেখে তলাডা আসলে ফুডা। সিট মাত্র তিনডা। ফিরা আইলো বিএনপির দিকে, যোগ দিল চার দলীয় জোটে। এরশাদের বানানো চার দলীয় জোট, কিন্তু কোন এক কারনে এরশাদের সাথে বনিবনা না হওয়ায় চারদল থেকে এরশাদ বাইর হ্য়া গেলে জামাত শাহান শাহে তরিকত বইন্যা গেল। এক লাফে বিএনপির কোল থেকে কাধে। একবারতো এরশাদরে ইফতার পার্টিতে দাওয়াত দিয়ে বেকায়দা অবস্হা। খালেদার চোখ রাঙানীতে রোজাদার এরশাদরে ঠিক ইফতারের আগ মুহুর্তে, যোগ দেয়ার মাঝ পথ থেকে খেদায়া দিল, বললো আইসেন না। এরপরের কাহিনী আরো করুন। ২০০১ এর নির্বাচনে চারদল জিতে গেল। জামাতের সিট ফাল দিয়া ১৭। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত স্নাত পতাকা তুলে দেয়া হলো সরাসরি স্বাধীনতার বিরোধী ঘাতক লিডারদের গাড়ীতে। মুজাহিদ, নিজামীর গাড়ীতে জাতীয় পতাকা। ইতিহাসের জঘন্য, নিকৃষ্ট, নির্মমতম অধ্যায়। জানতে মুন্চায় আজকে যারা রাস্তায় আনন্দ উল্লাস করছেন ঘাতকদের ফাসির দন্ড শুনে তাদের কারা কারা ঐ সময় শিল্প ও সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয়ে ঘুরে ঘুরে পায়ের স্যান্ডেলের তলা ক্ষয় করেছেন? এমনকি ঘাতকদের সাথে এক গাড়ীতে উঠে নিজেকে ধন্য করেছেন? জানতে আরো মুন্চায়, জামাতের এ উথ্থানে শুধুই কি বিএনপি দায়ী? ইতিহাসতো তা কয় না। যুদ্ধাপরাধিদের বিচার ১৯৭৩ সালে করে ফেলতে পারলে আজ এ নিয়ে আর কোন বিতর্ক থাকতো না। রাজাকারদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকাতো দুরের কথা একখানা ত্যানাও উঠতো না। কে কারে ল্যাং মেরে জামাতরে সাথে পাবে, কার কতখানী রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার হবে, বড় দুই দলের ক্ষমতার হীনস্বার্থের এ নোংরা টানাটানিতে জামাতকে মাথায় উঠিয়ে লাথি মেরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় জাতির সন্দেহ থাকাতেই বিচার প্রক্রিয়া পুরোটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে দ্বন্দ, বিভেদ মনে হয় না শেষ হবে। জনগনরে দোষ দিয়া লাভ নাই। জনগন ঠিকই ঘাতকদের বিচার চায়। তয়, বিচারের নামে কোন দলের ফায়দা হইলো কি হইলো না ঐডা আন্ডা দিয়াও বিচার করে না। দুনিয়া ভইরা ওকাম কুকাম কইরা, পাচ পাচটা বছর হত্যা নির্যাতন গুম, দূর্ণীতির সর্বনাশা খেলা খেইলা, অতীতে জামাতের সাথে বারবার আতাত কইরা এখন সব অকাম কুকামরে যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা বইলা পার পাওন যাইবো না। তারই প্রতিফলন পাচ সিটির নির্বাচনি ফল। এখন দেখার বিষয় রায় কার্যকর কত তাড়াতাড়ি করা হয় নাকি পরবর্তি নির্বাচনের জন্য ঝুলিয়ে রেখে বলা হয় আমরাতো তাও বিচারটা করলাম, অন্যরা এলে তাদেরকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে দিবে। পারলে সবগুলার রায় কার্যকর কইরা যান, পরবর্তি নির্বাচন হবে আপনাগো পুরা পাচ বছরের আমল নামার উপর। জনগনরে দোষ দিয়েন না।
১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, শ্যামল বিশ্বাস।
২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:১৭
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন ভাই
১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: ম্যানি থ্যাংকস, মোঃ মাহমুদুর রহমান।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৩৫
বিলিভ ইট অর নট (শ্যামল বিশ্বাস) বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন তথ্য সমৃদ্ধ লেখা ++++++