![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব রাজনৈতিক দল কৌশল খুঁজছে জনগণের চোখে ধুলো দিয়ে একে অপরকে নিজের ট্রাপে ফেলে ফায়দা হাসিল করে সামনের নির্বাচনে বিজয়ী হতে। কিন্তু তাতে জনগণের প্রকৃতপক্ষে কোন লাভ হবে না। লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড অবশ্যই দরকার, কিন্তু তারপর কি? যেই লাউ সেই কদু। দলগুলো এখন চমকপ্রদ সব উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার সাজাবে। তারপর? ক্ষমতায় গেলেই সব ভুলে যাবে। এছাড়া ঐ ইশতেহারও চমকপ্রদ কিছু নয়, কেননা দুই চারটা দোতলা তিনতলা রাস্তা, দীর্ঘতম সেতু হয়ে গেলেই সত্যিকার উন্নয়ন হয় না। কারণ আপনার রাস্তা আছে, ব্রীজ আছে। কিন্তু গাড়ীগুলো কোন ট্রাফিক নিয়মকানুনের ধার ধারে না, বাজারে প্রচুর মাছ আছে, সবজি আছে, দেশে বাম্পার ফলন হয়েছে অথচ সবকিছুতেই বিষাক্ত ফরমালিন দেয়া তাহলে ওই উন্নয়নগুলো কিসের? অশ্বডিম্বের? প্রকৃত উন্নয়ন হলো মানব সম্পদের উন্নয়ন, তারপর অবকাঠামোর উন্নয়ন। সমস্যাটা হলো, মানব সম্পদের উন্নয়নে তো মিলিয়ন ডলার অবৈধভাবে কামানো যায় না। কিন্তু অবকাঠামো উন্নয়নের নামে অবাধে লুটপাট করা যায় যুগের পর যুগ। কারন দুর্নীতি করে রাস্তা, ব্রীজ বানানো হবে, কিছুদিন পর পর তা নষ্ট হবে, উপর থেকে খসে পরে দু’চারজন অকালে প্রাণ হারাবে, তাতে কি? কাউকেতো আর জবাবদিহি করতে হয় না, বরং আরো শতকোটি টাকা দ্রুত বরাদ্দ করা হয় যাতে সেটা মেরামতের নামে আবার লুটপাট করা যায়। দেশের মানুষ আজ এ লুটেরা রাজনীতি থেকে মুক্তি চায়। তাই দেশকে সত্যিকার উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে চাইলে, উন্নত দেশগুলোর মতই কঠোর ও নিরপেক্ষভাবে আইনের শাসন চালুর বিকল্প নেই।
শুধুমাত্র আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলি প্রদর্শনীর কারনেই রানা প্লাজায়, তাজরীন গার্মেন্টসে হাজার হাজার নিরীহ শ্রমিকের প্রাণ যায়, প্রতিভাবান 'তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর'রা অকালেই চলে যেতে বাধ্য হয়, নিরীহ পথচারী বিশ্বজিতকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয় না, প্রতিদিন হলমার্ক, ডেসটিনির কেলেংকারীতে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়, তো সেই আইনের শাসন আর কবে চালু হবে আমাদের দেশে?
একজন হজ্জযাত্রী প্রায় মাসাধিককাল কষ্টসাধ্য পবিত্র হজ্ব পালন শেষে আপনার চাপিয়ে দেয়া হরতালের কারনে ঢাকা এয়ারপোর্টে এসে দিনরাত আটকা পরে থাকবে, একজন প্রবাসি হয়তো বছর দশেক পর মাত্র এক অথবা দু সপ্তাহের ছুটি নিয়ে দেশে এসেছেন প্রিয়জনের সাথে দেখা করতে, তাকেও যদি এয়ারপোর্টেই দু’রাত কাটিয়ে দিতে হয়, ভাবুন একবার! রেডিও টিভি, সেমিনার এমনকি সাজানো পাতানো জনসভাগুলোতেও। কিন্তু আপনিই আবার এসব প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের কথা গর্ব করে বলছেন, আর তাদেরকে আপনার দলীয়, পরিবার ও গোষ্ঠীগত স্বার্থে ডাকা হরতালের ভয়ংকর পরিণতির স্বীকার হতে হচ্ছে, বলুন এটাই কি স্বাধীন দেশের রাজনীতি! আর কতবার বলবেন, 'বৃহৎ স্বার্থে ক্ষুদ্র ক্ষতিতো একটু মেনে নিতেই হবে'! কেন নিবে? এই ত্যাগ স্বীকার সাধারণ মানুষ আর কতকাল করবে? গণতন্ত্রের কথা বলবেন আবার আপনার জবরদস্তিমূলক হরতাল ডেকে মানতে বাধ্য করবেন, না মানলে অফিসগামি নিরীহ মানুষকে রাস্তার উপর প্রকাশ্যে দ্বিগম্বড় করবেন, বাহ বা বাহ, কি আনন্দ, গণতন্ত্র কাহাকে বলে কত প্রকার কি কি, আব্রাহাম লিংকন বেঁচে থাকলেও আসতেন আপনাদের কাছে ছবক নিতে!
আপনি প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী আপনার সময়ের মূল্য আছে, আগে পিছে পুলিশের সাইরেন বাজিয়ে হু হু করে চলে যাবেন, আর বার বার ক্ষমতায় এসেও দেশের যানজট নিরসন করবেন না, একজন শ্রমিক তার অসুস্হ মেয়েকে হাসপাতালে নিতে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে দাড়িয়ে থাকবে কিংবা কোন প্রসুতি রাস্তায় অটো রিক্সার মধ্যেই বাচ্চা প্রসব করে ফেলবে আর আপনারা জনসভার মঞ্চে দাড়িয়ে সংবিধান সংবিধান করে জাবর কাটবেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে সকলের সমান অধিকারের সাংবিধানিক ফিরিস্তি কাটবেন সেটা হবে না। যানজট সমস্যার সমাধান করবেন না তো আপনিও থাকুন না ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তার মধ্যে! ঘামেতো ভিজবেন না কারন আপনার গাড়ীতে এসি আছে, তো সেখানেই সেরে নিন আপনার ব্রেকফাস্ট কিংবা লাঞ্চ, জরুরি ফাইলগুলোও হোক না ওখানেই সম্পন্ন। তারপর উন্নয়নের বিলবোর্ড লাগান, মানুষ হাসবে না। নইলে, যতই মন্চে উঠে গলার রগ ফুটিয়ে চিল্লানি বক্তৃতাবাজি করেন কাজ হবে না। এইসব বিষয়গুলোতেই আজ মানুষ চুড়ান্ত ফায়সালা দেখতে চায়।
গ্রামে গন্জে 'মুড়ি' ভাজার প্রসেসটা অনেকেই জানেন বোধকরি। 'খোলা গরম' হলেই সেখানে চাউলগুলো উত্তপ্ত বালুর মধ্যে দিয়ে দ্রুত নাড়ানাড়ি করে, গোটা 'খোলাটা' (মাটির পাতিল) ধরে বিশেষ কায়দায় কিছুক্ষণ ডানে বামে ঘুরাতে থাকে আর মটমট করে মিষ্টি মধুর আওয়াজ করে চাউলগুলো ফুটে ফুটে মুড়ি হতে থাকে। আর যদি 'খোলা' গরম না হয়, হাজার চেষ্টা করেও কিন্তু চাউল থেকে মুড়ি বানানো যায় না। বাংলাদেশের রাজনীতির 'খোলা' এখন গরম। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর আরো গরম হয়েছে। এখনই বেশ কিছু জাতীয় বার্নিং ইস্যুকে রাজনীতির উত্তপ্ত হাড়ির মধ্যে দিয়ে ফলাফল বের করে আনার সময় হয়েছে। যে ফলাফলগুলো আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশের দুয়ার খুলে দিতে পারে। আশির দশকে বড় বড় মিথ্যা বাগাড়ম্বর করে জাতিকে এরশাদের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলেছিল ২৩ দল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৫ দল (পরবর্তীতে ৮ দল ও ৫ দল), বিএনপির নেতৃত্বে ৭ দল ও এদের বড়ই পিয়ারা জামাতে ইসলামী। মিথ্যা বাগাড়ম্বর এজন্যই বলছি, আজ এতদিন পর এটা প্রমাণ হয়েছে যে ঐ দল ও জোটগুলো ১৯৯০ এর পর দুই দুইবার করে ক্ষমতার মসনদে যেয়ে নিজেরা কোন দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ উপহারতো দিতে পারেই নি, বরং এরশাদের চেয়ে হাজারগুন বেশী দুর্নীতি করেছে, হত্যা, খুন গুম করেছে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার 'ভুয়া গণতন্ত্রের' ছদ্মাবরণে আরো বেশি করে হরণ করেছে। তাই এই দু’টি দলের বিগত ২৩ বছরের কুশাসনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একথা আজ নির্দ্বিধায় বলা যায়, নানা ছলা কলা, দাবী দাওয়ার কৌশল নিয়ে এরা যেই আগামী নির্বাচনে তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় আসুক না কেন, জনগণকে সেই বিগত দিনের মতোই জ্বালাও পোড়াও, হত্যা, খুন, গুমের মুখোমুখি হতে হবে। যা দেশের সুশীল সমাজসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সমর্থন করেন না। এমনকি বড় এই দুটো দলের মধ্যেও যারা লুটেরা নন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, প্রকৃত দেশপ্রেমিক আছেন, তারাও করেন না। তাই এই 'খোলা' গরম থাকতে থাকতেই নির্বাচনী ইস্যু সমাধানের সাথে সাথে আরও কিছু বিষয়ের সমাধান করে নেয়ার এখনই উৎকৃষ্ট সময়। যেমন-
১) জাতীয় সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর করা ২) রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি পদে কেউ একটানা দুইবারের বেশী নির্বাচন করতে পারবেন না বা পদ গ্রহণ করতে পারবেন না ৩) সংসদে প্রয়োজনে নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দেবার অধিকার প্রদান করা ৪) দল থেকে পদত্যাগ বা বহিস্কার হলেও স্বতন্ত্র সাংসদ হিসেবে বাকী মেয়াদ দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়া ৫) সংবিধানে নির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথা চালু করা ৬) কাউন্সিলরদের গোপন ভোটে দলীয় সভাপতি/চেয়ারম্যান সহ সকল কর্মকর্তা নির্বাচিত করার ব্যবস্হা করা এবং তা প্রকাশ্যে অনুষ্ঠিত করা, প্রয়োজনে এর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে দেয়া ৭) সরকারী চাকুরী থেকে অবসর নেবার পর কমপক্ষে তিন বছর দলীয় রাজনীতি না করা ৮) কমপক্ষে তিন বছর দলের প্রাথমিক সদস্য না হলে নির্বাচন করতে না দেয়া ৯) খাদ্যে ফরমালিন বা বিষ মেশানো হলে মৃত্যুদন্ডের বিধান চালু করা ১০) বিচারপতি নিয়োগে সরকারের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া চালু করা ১১) দুদকের চেয়ারম্যান সহ কর্মকর্তা, নির্বচন কমিশন, পিএসসি, অডিটর জেনারেল নিয়োগে সরকারের হস্তক্ষেপ মুক্ত সাংবিধানিক কমিটি গঠন করা ১২) সরকারী কর্মকর্তা নিয়োগ, বদলী পদোন্নতিতেও অনুরূপ কমিটি করা ১৩) ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা ১৪) কানাডার অন্টারিও প্রদেশের মত নির্দিষ্ট তিন ক্যাটাগরির ট্রেনিং (জি ওয়ান, জি-টু, জি) ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স না দেয়া এবং লাইসেন্স দেবার পদ্ধতি সহজবোধ্য করা ১৫) রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সকল সরকারী কর্মকর্তাদের দেশের অভ্যন্তরে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করা, বিদেশে চিকিৎসা নিতে হলে পদত্যাগ করে যেতে হবে ১৬) গার্মেন্টসে এম্পলয়ি সেফটি নিশ্চিত করতে যথাযথ কমপ্লায়েন্স মানতে বাধ্য করা এবং এটা করতে শক্তিশালী প্রভাবমুক্ত ইন্সপেকশন টিম গঠন করা ১৭) ঢাকা থেকে সচিবালয়, জেলখানা গাজীপুরে স্হানান্তর করা ১৮) অন্যান্য কয়েকটি দূরবর্তি জেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চালু করা ১৯) মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকীকরনে দেশ বরেণ্য আলেমসমাজকে নিয়ে যথাযথ ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা ২০) রাস্তা বন্ধ করে ভিভিআইপিদের চলাচলের ব্যবস্হা বন্ধ করা ২১) সর্বোপরি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, বিচারপতি, পুলিশ অফিসার, এমপিদের দায়িত্ব গ্রহনের আগে সকল স্হাবর, অস্হাবর সম্পত্তির নিখুত হিসাব নেয়া এবং তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা ২২) সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টসসহ প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে মাসে কম করে হলেও একবার বাধ্যতামুলক ফায়ার ড্রীল চালু করা ২৩) জাতীয় ইস্যুগুলোতে বিরোধী দলকে আস্হায় নিয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সমাধানের রেওয়াজ চালু করা ২৪) জনকল্যাণের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে রাস্তার উপর জনসভা করার অসভ্য রেওয়াজ বন্ধ করা ২৫) রেললাইনের উপর কাঁচা বাজার বা হাটবাজার বসানো বন্ধ করা ২৬) উপরোক্ত ব্যবস্হা কার্যকর করতে গোয়েন্দা ও কাউন্টার গোয়েন্দা নিয়োগ করা ইত্যাদি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সকলেই চায়, তবে মনে রাখা দরকার, শুধুমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই ক্ষমতার পালা বদল ছাড়া দেশের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না। আগামী পাঁচ বছর আর জনগণ দুর্ভোগ পোহাতে চায় না। হরতাল করলে নেতাদের সামনে থাকতে হবে। গাড়ী ভাঙ্গলে আগে নেতাদের গাড়ী ভাঙ্গতে হবে, কেউ খুন গুম হলে আগে নেতাদের হতে হবে, না হলে জনগণ সরাসরি হয়তো আপনাদের বাড়ী, গাড়ী একদিন ঘেরাও করবে, সেই দিন হয়তো বেশী দূরে নয়!
বিঃ দ্রঃ-কানাডার বেঙ্গলী টাইমসে প্রকাশিত লেখাটি পড়তে নীচের লিংকে ক্লিক করতে পারেন, লেখাটি কিয়দংশ কয়েকদিন আগে এখানে লিখেছিলাম, তাই কেউ কেউ হয়তো রিপিট পড়বেন, এজন্য অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি।
Click This Link
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০২
রাজীব বলেছেন: ১৫) রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সকল সরকারী কর্মকর্তাদের দেশের অভ্যন্তরে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করা, বিদেশে চিকিৎসা নিতে হলে পদত্যাগ করে যেতে হবে
একই ভাবে সকল জনপ্রতিনিধিদের সন্তানদের দেশীয় স্কুল,কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে পড়তে হবে।
একই ভাবে সকল জনপ্রতিনিধিদের দেশীয় পোষাক, প্রসাধনী, আসবাব ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪০
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: রাজীব, ধন্যবাদ, সুন্দর পয়েন্টসগুলো যোগ করার জন্য!
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩০
হযবরল আমি বলেছেন: কিছু পয়েন্ট ভাল লেগেছে।