![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগেও বলেছি, ক্ষমতা ধরে রাখা আর ক্ষমতায় ফিরে যাওয়াই মুখ্য। জনগনের স্বার্থের ছিটেফোটাও নেই। বরং জনগন হলো বলীর পাঠা। প্লেয়ারগুলো কারা? দলের কিছু বিশ্বস্ত নেতারা, বাড়ীর কর্মচারীরা আর সাইডে থাকা কিছু পেশাজীবিরা। নেত্রী সরকার গঠন করতে পারলে এরাই হবে সরাসরি সুবিধাভোগী। সাধারন মানুষতো দুরের কথা, লক্ষ লক্ষ কর্মী সমর্থকরাও তেমন কিছু পান না। কিন্তু জীবন বিলিয়ে দিচ্ছেন তারা।
এইসব দলগুলোর নেতাদের ধারনা, সরকারের শেষ সময়ে এসে যদি নিজেদের গা বাঁচিয়ে 'গিনিপিগ' জনগনরে বলির পাঠা বানিয়ে আন্দোলন নামের দানবীয় কিছু কর্মকান্ড করে রাজপথগুলোতে নিজেদের ছিচকে মাস্তানীর প্রাধান্যটা বজায় রাখা যায় তাহলে এই মাস্তানীর প্রভাবটা পড়ে নির্বাচনের উপর। ভাল করে খেয়াল করে দেখুন এতে করে জনগনকে কি নজরে দেখা হয়! অর্থাৎ পরিস্কারভাবে মনে করা হয় যে দেশের জনগন একেবারেই হাদারাম, ওরা যেদিকে শক্তি বেশী দেখে সেদিকেই ভোট দেয়। সুতরাং বিরোধী দলের টার্গেট আন্দোলন জোরদার করা, আর সরকারের টার্গেট সে আন্দোলনকে স্তিমিত করে রাখা।
তো খেলাটা এখানেই। দুই দলের নেতাদের আলোচনা, সংলাপ বিষয়ে বর্তমান সময়ের এক রগচটা সাংবাদিক বলেছেন, 'আন্তরিকতার ছিটেফোটাও নেই, শুধু কৌশল আর কৌশল।' তিনি ঠিকই বলেছেন। আবারও খেয়াল করুন, মতিঝিলে যেদিন হেফাজতের সমাবেশ হলো, অবরোধ হলো তখন সরকার প্রধান ও তার নেতাদের কণ্ঠ কি মোলায়েম ছিল, খুবি মিহি মিহি মিঠা মিঠা সুরে বিরোধী দলকে তারা সংলাপের আহবান করেছিল। কিন্তু পরের ধনে পোদ্দারী করা বিরোধী দলের তখন অন্যরকম ডাট। কাছেই যাওয়া যায় না। সরকারের সংলাপের আহবানকে পাত্তাই দিলেন না, ভাবখানা যে, কালকের মধ্যেই হেফাজতকে দিয়ে সরকারকে ফেলে দেয়া হবে, কিসের আবার সংলাপ!
একরাতের মধ্যেই পরিস্হিতি বদলে গেল। সরকার রাতের অন্ধকারে কিছু 'কাম-ঠাম' করে পরিস্হিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে এলেন। আর সরকারকে পায় কে? এর পর বিগত কয়েকমাস বিরোধীদল সংলাপের জন্য চুকচুক করে, আর সরকার সেটাকে পাত্তাই দেয় না। নাসিম সাহেব বললেন, বিরোধী দলের আন্দোলন পান্তাভাত। অবশেষে আজ আবার প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে কথা বললেন বিরোধী নেত্রীর সাথে, কারন সেই একটাই, সরকার এখন একটু টেনশনে আছে, শেষ সময়ে কি না কি হয়! দুর্বল দুর্বল ভাব। ফোন করলেন। আর বিরোধী নেত্রী সেটাকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না। তিনি ভাবছেন হরতাল নিয়ে, চাপে ফেলে সরকারকে দিয়ে দাবী আদায় করে নিবেন। আন্দোলনের বিজয় মানেই নির্বাচনেও বিজয়। রিস্কটা এখানেই। দু জনের জন্যই। হরতালের পর আলোচনায় বসবেন, কিন্তু তখন যদি সরকার আর আলোচনায় না বসে! মানে হলো, যে যখন চাপের মধ্যে থাকে, সে তখন আলোচনা চায়, চাপ কেটে গেলেই 'চেপে বসে'!
কোন কারনে হরতাল যদি ফ্লপ করে কিংবা সেই রকম কোন কঠিন পরিস্হিতির সৃষ্টি না করতে পারে তাহলে সরকার আজকে যে আলোচনার কথা বলেছিলেন সে স্টান্ডে আর নাও থাকতে পারে। সেটা বিরোধীদলও ভালো করে জানে। তার মানেই হলো, কঠিন পরিস্হিতির সৃষ্টি তারা করবেন। মানেই হলো বেশ কিছু নিরীহ মানুষের অকালে জীবনাবসান, কোটি কোটি ডলারের সম্পদ ধ্বংসের মহাযজ্ঞ, দেশটাকে বিদেশী প্রভুদের পদতলে লুটিয়ে দেয়ার ঘৃন্য প্রয়াস। অথচ আজ হরতাল স্হগিত করে আলোচনা করার দু পক্ষেরই একটা 'উইন, উইন' সিচুয়েশন ছিল। দেখা যাক, খেলারামদের খেলা কোথায় গিয়ে দাড়ায়!
পাদটীকাঃ হায়রে জনগন, আর কত শক্তি দেখে ভোট দিবেন?? এবার নিজের প্রতি একটুখানি রহম করেন, ভালো মানুষ দেখে ভোটটা দেন, নেতাদের সর্বনাশা এই মরন খেলা বন্ধ করতে সাহায্য করুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
হাসিব০৭ বলেছেন: গতবার ভোট দিয়া ভুল করছিলাম কিন্তু এইবার আর না কোনটারেই ভোট দিমু না দইটাই খারাপ