নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনাদের রাজনৈতিক চালে একটু বেশীই ভুল হয়ে গেছে মনে হয়। জামাতি বন্ধুরা কি বলেন!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

আমার বিবেচনায় বিগত তিন দশকে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে জামাত আর খুশী হয়েছেন এরশাদ সাহেব। এরশাদ সাহেবের খুশীর কারন তার আমলের হত্যাকান্ড, দুর্ণীতি, স্বৈরশাষন বিগত সময়গুলোতে হাজার গুন ছাড়িয়ে গেছে আর তিনি চেয়ে চেয়ে দেখছেন, হয়তো মিটি মিটি হাসছেন। সেটা অন্য এক আলোচনার প্রসংগ। তবে জামাত বেশী লাভবান হতে হতে গলায় কাঁটা আটকে গেছে। কারনটা বোধ হয় পুরোনো প্রবাদ, 'অতি লোভে তাতি নষ্ট।'

স্বাধীনতার পর জামাত ছিল সবচেয়ে অচ্ছুত একটা দল। জিয়াউর রহমানের ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত তারা নিজ নামেই আত্ন প্রকাশ করতে পারে নাই যে কারনে তখন তারা ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (আইডিএল) নামে নির্বাচন করে এবং সংসদে বেশ কয়েকটি আসন লাভও করে।

এর কিছুদিন পরে ১৯৮০র দিকে নিজ নামে আত্নপ্রকাশ করে তবে মুলত জাতে উঠার চেষ্টা করে এরশাদ আমলে, এরশাদ বিরোধি আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে। তখনকার অবস্হা এমন ছিল যে 'জমিদার যদি বলে ডেকে নিয়ে আসো, পেয়াদা যেয়ে বেঁধে নিয়ে আসে'।' আওয়ামী লীগ বিএনপি যদি এরশাদকে দুটো গালি দিত জামাত দিত তিনটা। এভাবেই তারা ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগের পনের দল ও বিএনপির সাত দলীয় জোটের পাশে নিজেদের শক্ত অবস্হান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। লক্ষনীয় যে তখনও কিন্তু জামাত বিএনপির সাত দলীয় জোটের পার্টনার ছিল না। সেটা ১৯৮৫/৮৬ সালের কথা। তারপর ৮৬ এর সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সাথে আওয়ামী লীগের কথা ছিল তারা দুটো জোট ১৫০ করে মোট তিনশ আসনে নির্বাচন করে এরশাদকে নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজিত করে ক্ষমতা থেকে সরাবে। কিন্তু দেখা গেল রাতারাতি বিএনপিকে ধোকা দিয়ে জামাতকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে গেল। সেই থেকে শুরু। জামাত সবসময় আওয়ামী লীগের পাশে পাশেই থাকতে চেয়েছে, যাতে তাদেরকে আর কেউ রাজাকার না বলতে পারে। আর একেবারে ৯০ এ এরশাদের পতনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনজোটের (আগের দুই জোট ভেংগে তিনজোট) পাশাপাশি জামাত প্রতিটি আন্দোলনে থেকেছে। একসাথে দিনের পর দিন লিয়াজো কমিটির বৈঠক করে এরশাদ বিরোধী যুগপত আন্দোলন চালিয়ে গেছে। ফলও পেয়েছে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ১৮টা সীট লাভ করে। বিএনপি ১৪০টা সীট পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও নিরুন্কুশ অর্থাৎ ১৫১টা না পাওয়ায় জামাত কিংবা জাতীয় পার্টির সমর্থন দরকার হয়। গনআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত জাতীয় পার্টি ৩৫টা সীট পেলেও তাদেরকে না নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী জামাতের সুগন্ধি তখন মোহনীয় ছিল দুই নেত্রীর কাছেই। জামাতও সুযোগ বুঝে সরকার গঠনে সমর্থন দেয় বিএনপিকে।



লক্ষনীয় যে এই প্রথম তারা বিএনপিকে সমর্থন দেয় যেহেতু নির্বাচনে অতি আত্নবিশ্বাষী আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে বিএনপি জিতে আসে। তবে সে সখ্যতাও বেশীদিন টিকে নাই। মাত্র দু বছরের মাথায় বিএনপির কাছ থেকে জামাতকে ছিনিয়ে নিয়ে আসে আওয়ামী লীগ। শুরু হয় বিএনপি বিরোধী আন্দোলন। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামাত মিলে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন। একদিকে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গোলাম আজমের ফাসীর দাবীতে গণ আদালতে বিচার শুরু হলো, অন্যদিকে একই সময়ে শুরু হলো জামাতকে নিয়ে আওয়ামী লীগের বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলন।



প্রশ্ন হলো যে জামাত মাত্র কিছুদিন আগে বিএনপিকে সরকার গঠনে সাহায্য করলো তারা কেন মাত্র দু বছরের মাথায় বিএনপিকে ছেড়ে আওয়ামী লীগের দিকে ঝুকে পড়লো? সাদা মাটা উত্তর একটাই, জাতে উঠা, রাজাকার গালি না শুনা, স্বাধীনতা বিরোধি অপবাদ মুছে ফেলা, সংগঠন ব্যবসা বাণিজ্য মজবুত করা। এর পরের ইতিহাস সবার জানা। তত্বাবধায়ক দাবী আদায় হলো, ১৯৯৬ এর নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতাচ্যুত হলো কিন্তু জামাত নির্বাচনে আশানুরুপ সীট পেল না। জামাত, জাতীয় পার্টির ঘাড়ে সওয়ার হয়ে, মাথায় হিজাব পরে, জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে দীর্ঘ একুশ বছর পর ক্ষমতায় এলো আওয়ামী লীগ(১৪৬)।' তবে জাতীয় পার্টি (৩২) ও জাসদ (রব) (১) কে সাথে নিতে হলো এককভাবে ম্যান্ডেট না পাওয়ায়। জামাত পেল মাত্র ৩টি। আর বিএনপি ১১৬।' অর্থাৎ জামাতের আওয়ামী ঘেষা রাজনীতি জামাত নেতারা পছন্দ করলেও সম্ভবত জনগন করে নাই যে কারনে জামাতকে ছাড়াই বিএনপি শক্তিশালী বিরোধী দলের আসনে বসে গেল।



এরপর ২০০১ এর নির্বাচনের আগে অর্থাৎ ১৯৯৯/২০০০ সালের দিকে মুলত এরশাদের উদ্যোগে যে চার দলীয় জোট হয় সেই থেকে জামাত বিএনপির সাথে। তবে ২০০১ এর নির্বাচনের ঠিক আগে আগে এরশাদ ছিটকে পড়লেন চারদলীয় জোট থেকে যেখানে খালেদা জিয়ার ইগো সমস্যা, জামাতের ভুমিকা ও আওয়ামী লীগের চাপ কম দায়ী ছিল না। ফলে প্রথমবারের মত দেশের ইতিহাসে ডাইরেক্ট রাজাকারের গাড়ীতে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা জাতীয় পতাকা উড়লো ঠিকই কিন্তু সেটাই যে ওদের কাল হবে তা কি ওরা সেদিন বুঝতে পেরেছিল? ক্ষমতার স্বাদ না নিয়ে আওয়ামী ছায়াতলে ঘুর ঘুর করে বেড়ালে ফাসিতো দুরের কথা বিচারের সম্মুখিনও হতে হতো না, খেয়ে পরে ব্যবসা বানিজ্য করে বেশ ভালো মতই চলতে ফিরতে পারতো বলেই মনে হয়। আপনাদের রাজনৈতিক চালে একটু বেশীই ভুল হয়ে গেছে মনে হয়। জামাতি বন্ধুরা কি বলেন!













































মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫০

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: জামাতে ইসলাম নয়,এরা জামাতে মওদুদী বলেই আমেরিকা সহ ইহুদীসংঘ তাদে রক্ষা করতে চায় । তারা এদের মাধ্যমে তাদের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে থাকে। ।
Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.