![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গনতন্ত্র দিলে রাজাকার চলে আসবে সুতরাং গনতন্ত্রের বদলে স্বৈরশাষন অব্যাহত রাখতে হবে কিংবা স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ইত্যাদি জাতীয় আবেগকে ব্যবহার করে গনতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতে হবে এটা একেবারে ভুল এবং মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে ফেলার সামিল। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অতি ব্যবহারের ফলে, আরো খোলাখুলি বলতে গেলে দুর্নীতিবাজদের দুর্ণীতিকে আড়াল করতে আমাদের এই জাতীয় আবেগকে ঢাল করলে কোটি কোটি মানুষের মধ্যে বিশেষ করে নুতন প্রজন্মের মধ্যে একটা চরম ভূল সিগনাল আসবে। ফলে মহান মুক্তিযুদ্ধের আবেগ, ইতিহাস, চেতনা ক্ষতিগ্রস্হ হবে, আর সেটা হবে দুঃখজনকভাবে মুক্তিযুদ্ধেরই পক্ষের একটা শক্তির মাধ্যমে, স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবিরের মাধ্যমে নয়। যার প্রভাব সুদুর প্রসারী হতে বাধ্য।
ফেসবুকে লেখালেখি করে, ছাত্র রাজনীতি করে, কিছুদিন জন প্রতিনিধি থাকার সুবাদে বুঝতে পারি এ দেশে এখনো এমন কিছু লোক বাস করে যারা এখনো পাকিস্তানকে ভুলতে পারে নাই। বুঝতে পারি, এদেশে যেমন ভারতীয় আধিপত্যবাদ কায়মের প্রচেষ্টা আছে, তাদের সরাসরি অনেক অনুচর, পেইড এজেন্ট রয়েছে তেমনী পিওর, কঠিন ও কঠোর রাজাকারও রয়ে গেছে। তারা পারলে এখনই বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের নাম পাল্টিয়ে অন্য কিছু কায়মে করে ফেলে। তবে আমি শতভাগ নিশ্চিত যে তারা সংখ্যায় খুবই কম। তবে বিপদজনক কম নয়।
সুতরাং শেখ হাসিনার উচিত, এই যে এখন একটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে সেই সংকট কে শুধু সংকট হিসেবে না দেখে সম্ভাবনা হিসেবেও বিবেচনা করা। কারন, যেখানে মুশকিল সেখানেই আসান। অভিজ্ঞতা বলে, যে যখন এবং যতক্ষণ বিপদে থাকে ততক্ষণই সে নিজেকে সমস্যা সমাধানের যোগ্য করে রাখে। বিপদ কেটে গেলেই নিজের চারিদিকে 'শামুকের শেল' তৈরী করে ফেলে। আমার বিবেচনায়, সরকারী এবং বিরোধী দল উভয়ই এখন এমন বিপদের পর্যায়ে আছে যে ফলপ্রসু আলোচনার এখনই সময়। আমার অনেক লেখায় বলেছি, সে আলোচনাটা অবশ্যই শুধুমাত্র পাঁচ বছর পর পর ক্ষমতার বদলের হাতিয়ার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নয়, সেটা হতে হবে জাতীয় কিছু সেনসিটিভ ইস্যু নিয়ে। যেমন বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা, স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন, ইশতেহার পাঠ, ঘোষনা পাঠ, মূলনীতিসুমহ, জাতীয় বীরদেরকে চিহ্নিত করা, জয়বাংলা শ্লোগান, ১৫ই আগষ্ট, ৩০শে মে শোক দিবস ঘোষনা ইত্যাদির সাথে সাথে নির্বাচনী পদ্ধতিরও একটা সমাধান চিরদিনের জন্য করে ফেলা। আর এসব আলোচনা হতে হবে প্রকাশ্যে, লাইভ টিভি টেলিকাষ্টে, যৌথ ঘোষনা, যৌথ স্বাক্ষর থাকবে বৃহৎ সব রাজনৈতিক দলগুলোর, সাথে প্রয়োজনে সামরিক বাহিনীর প্রধানদেরও অনুস্বাক্ষর নেয়া যেতে পারে। যতটুকু বুঝি এগুলোর বিষয়ে একটা আপোষ করার এখনই সময়, না হলে কারো জন্যই মংগল হবে না। একটা কথা পরিস্কার মনে রাখতে হবে, ১৬ কোটি মানুষ কখনই পুরোপুরি আওয়ামী লীগ হবে না, কখনোই পুরোপুরি বিএনপিও হবে না। সুতরাং অস্ত্রের ভাষায় কথা বলে সমাধান পাওয়া যাবে না। কেউ কাউকে ভারতে কিংবা পাকিস্তান পাঠিয়ে দিতেও পারবে না। আলোচনায় বসুন, জাতীয় সমস্যাগুলো সমাধান করুন, এখনই সময়। জয় বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১১
রাঘব বোয়াল বলেছেন: একমত