![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেছেন, দেশে যে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে, তাকে বেআইনি (ইললিগ্যাল) বলা যাবে না, আবার বৈধও (ল্যাজিটিমেট) নয়। সবাই যখন ভোট দেবে, তখনই সরকারকে বৈধ বলা যাবে। তাই দেশের দুই জোটের উচিত আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত আরেকটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
সুতরাং দেশে একটা বৈধ সরকার গঠন করতে, জনগনের ভোটে একটা নির্বাচিত সরকার গঠন করতে এ মুহুর্তে বিএনপিকেই এগিয়ে আসতে হবে এবং দায়িত্বটাও অনেক বেশী। সে দায়িত্বটা আগামীতে সাফল্যজনকভাবে পালন করতে বিএনপি যে পদক্ষেপগুলো নিতে পারেঃ
১) যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়ে স্বচ্ছ ও পরিস্কার বক্তব্য প্রদান এবং জামাতের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করতে আঠার দলীয় জোট অবিলম্বে ভেংগে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও দেশপ্রেমিক শক্তিকে নিয়ে নুতন জোট গঠন করা।
২) নুতন জোট গঠন করতে প্রথমেই জাতীয় পার্টি ও এরশাদের বিরুদ্ধে স্ববিরোধী কুৎসা ও গালাগালি বন্ধ করতে হবে। কেননা যে কাজগুলো নিজেরা করেছেন, কোন ক্ষেত্রে তাকে ছাড়িয়ে গেছেন, সে একই কাজের জন্য এরশাদকে গালি দেওয়া হিপোক্রেসি। আর একটা কারন হলো, ইউ নেভার নো, কখন আবার তাকে দরকার হয়ে পড়ে!
৩) বদরুদ্দোজা চৌধুরির বিকল্প ধারা, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি, আ স ম রব, নুরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, ডক্টর কামাল, মাহামুদুর রহমান মান্না, কর্নেল অলি আহমেদ, চৌধুরী তানভীর সিদ্দীকি, কাজী জাফরদেরকে নিয়ে নুতন জোট করতে হবে।
৪) এই নুতন জোটের একটা মুক্তিযুদ্ধা সংগঠন করতে হবে এবং এর দায়িত্ব দিতে হবে দেশপ্রেমিক নিঃস্বার্থ মুক্তিযুদ্ধা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে
৫) সিপিবি বাসদ সহ দেশপ্রেমিক গনতান্ত্রিক ও বাম শক্তিসুমহকে জোটবদ্ধ করতে হবে, একই জোটে না হলেও যুগপত আন্দোলনের কমন গ্রাউন্ড খুজে বের করতে হবে, লিয়াজো কমিটি করতে হবে এবং ছোট বড় সকলকে যথাযথ সম্মান প্রদান করে ন্যুনতম কর্মসুচীর ভিত্তিতে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে শান্তিপুর্ন আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
৬) নিজ দলে গনতান্ত্রিক ভিত্তিতে, কাউন্সিলরদের মতামতে একজন অবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধা মহাসচিব নির্বাচন করতে হবে, যেমন তরিকুল ইসলাম কিংবা আব্দুল্লাহ আল নোমানের মত কাউকে।
৭) নিরপেক্ষ দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবিদের কম্মিনকালেও, ভুলেও ভারতীয় দালাল বলে ইডিয়টিক মন্তব্য করা যাবে না, তাদেরকে বরং দল ও জোটের সমালোচনা করাকে উৎসাহ প্রদান করতে হবে
৮) কোনভাবেই নিরীহ জনগনের জানমাল ক্ষতিগ্রস্হ হয় এরকম কোন কর্মসুচি দেয়া যাবে না, যদি কোন কর্মসুচিতে এধরনের সম্ভাবনা থাকে সেক্ষত্রে নিজদেরকে সামনের সারিতে রেখে, পুরো ঝুকিটা নিজেদের কাধে নিয়ে হলেও সাধারন মানুষকে বাচাতে হবে। তারপরও কোন সাবোটাজ হলে তার তদন্ত করে সে যেই দলের হোক তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্হা করতে হবে অথবা কার্যকর দাবী জানাতে হবে।
৯) পল্টনে দলীয় অফিসের সামনে পাবলিকের রাস্তা আটকে আর জনসভা নয়। নিজদের অতীতের কৃতকর্মের একটা লিষ্ট করতে হবে এবং সেই লিষ্ট
ধরে ধরে বলতে হবে আগামীতে ক্ষমতায় গেলে পুর্বেকার ভুলের পুনারাবৃত্তি হবে না। এবং সেটা কিভাবে হবে না, ভুল শুধরাতে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে, স্পেসিফিক ভাবে সেটার বর্ণনা দিতে হবে। আইনকে তার নিজের গতিতে চলতে দিতে কি কি করবেন, কেন এখন সেটা হয় না, অতীতে হয় নাই, সেটার ব্যাখা দিতে হবে।
১০) সংবিধানকে যুগপোযোগী করতে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে কি ব্যবস্হা নেয়া হবে সেটারও একটা সুস্পষ্ট বক্তব্য দিতে হবে।
১১) নিজ দলের দুর্নীতিবাজদেরকে দলে নিস্ক্রিয় করতে হবে, দুর্ণীতির বিরুদ্ধে সরকারকে সহযোগীতার হাতা বাড়িয়ে দিতে হবে, নিজেদেরকেও সুস্পষ্ট ঘোষনা দিতে হবে ক্ষমতায় গেলে কিভাবে তা বাস্তবায়ন করবেন।
©somewhere in net ltd.