![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৫ সালে দেশে প্রথমবারের মত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দুটো জোট ও জামাতে ইসলাম এই নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষনা দেন। তার আগে দুটো বছর যখন উপজেলা প্রশাসনগুলো চলছিল একজন আমলার নেতৃত্বে তখন তারা একেবারে চুপটি মেরে ঘাপটিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু যখনই ওই আমলার উপরে জনগনের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগনকেই ক্ষমতা দেবার ব্যবস্হা করা হলো, তখনই তারা গর্ত থেকে বের হয়ে এলেন। উনারাই দাবী করেন যে তারা নাকি গনতন্ত্রের পাহাড়াদার। ভাবখানা এমন যে গনতন্ত্র উনারা ঠিকাদারি নিয়েছেন। কোন সামরিক জান্তা আবার গনতন্ত্র কিভাবে দেয়! এই জায়গাটা আমি এখনও বুঝতে পারি না। তাই সেদিন আমি আমার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলাম যে রাজবাড়ীর মোড়ে কোন এক মাদার গাছের সাথে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিব যে এটার নাম কলা গাছ! কারন গাছটা কি জাতের বা সেটা কি প্রসব করে সেটা বড় কথা নয় আজকাল, বড় কথা হলো গায়ের জোরে আপনি কি বললেন সেটা। আপনি প্রতিদিন মানুষ হত্যা করেন, ভোট ডাকাতিই শুধু নয় ভোটারদেরকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে, ঝাটা মেরে ভোটার বিহীন নির্বাচন করেন, এক কোটি দুইকোটি নয় হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্ণীতি করেও বলেন এগুলো কোন ব্যাপার নয়, দিনে দুপুরে অস্ত্র হাতে মানুষ খুনই শুধু নয়, টেন্ডারবাজী, লুটপাট, অন্য দলের সভা সমাবেশ বন্ধ করেন, বিরোধী দলীয় অফিসগুলোতে তালা মেরে দেন, আন্তর্জাতিক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে প্রতিদিন মানবাধিকার লংঘন করেন, দিনের আলোয় প্রকাশ্যে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে নৃশংসভাবে শত শত মানুষকে হত্যা, পংগু করে দেন, দেশপ্রেমের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রকাশ করে ট্রাক ভর্তি ভারী অস্ত্র চোরাচালানের আন্তর্জাতিক রুট বানিয়ে দেন আমার রক্তে কেনা স্বদেশকে, চিহ্নিত রাজাকার শিরোমনি শাহ আজিজকে দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেন, স্বাধীনতা বিরোধী জামাত ই ইসলামের দুই প্রধানের গাড়ীতে রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা তুলে দেন তারপরও আপনারা হলেন গনতন্ত্রের ধারক ও বাহক। না, আমি কোন সামরিক জান্তাকেই সাপোর্ট করছি না। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো একজন সামরিক জান্তা, একজন আমলা যদি দশটাকা চুরি করে, দশজন খুন করে আর একজন পেশাদার রাজনীতিক যদি একশত টাকা চুরি করেন, একশত জন মানুষকে খুন করেন তাহলে আমি একজন আমজনতার কাছে কি পার্থক্য থাকে বুঝতে পারি না। একজনের নাম জান্তা অপরজনের নাম সাংসদ হতে পারে তাতে জনগনের কি আসে যায়! প্রথমজন যদি তার ওইসব কৃতকর্মের জন্য স্বৈরাচার হন, তাহলে পরের জনকে অতসব কুকর্মের জন্য, তিন তিনবার মোট দশবছর করে একেকজনের কুৎসিত ও কদর্য চেহারা দেখার পরও তাদেরকে কেন মহা স্বৈরাচার বলা যাবে না, বলা হয় না, সেটা আসলেই আমার বোধগম্য নয়। একজন যদি তার স্বৈরাচারিতার জন্য ছয়বছর জেলখাটতে পারেন, তিনকোটি টাকা জরিমানা দিতে পারেন অপরজনেরা কি তার হাজার গুন বেশি অপরাধের জন্য একটি সাজাও ভোগ করবেন না! একবারও নয়!
যাহোক বলছিলাম উপজেলা নির্বাচনের কথা। তখন মানে সেই ৮৫ সালে শুরু হলো নির্বাচন প্রতিরোধের পালা। এরশাদ বিরোধি আন্দোলনের নানা পর্যায়ে এই ছুতা সেই ছুতায় রাতারাতি হলগুলো খালি করে রাতেই ঢাকা আরিচার বাস ধরতে হতো। তো সেইসব ছুটিতে এলাকায় গিয়ে মাসের পর মাস কাটানোর সুবাদে উপজেলা বিকেন্দ্রীকরনের ব্যবস্হা ও তার সুফলগুলো দেখার সুযোগ হলো। উপজেলায় কর্মচান্চল্য ও উন্নয়ের ঢেউ ছড়িয়ে পরছিলো। আমার উপজেলায় তখন ইউএনও ছিলেন বাবু বিমান বিহারী দাস। তার অফিসের ভারী পর্দা ঠেলে বিনা পারমিশনে, স্লিপ না দিয়ে কোন কাক পক্ষীরও প্রবেশ করার সাধ্য ছিল না। প্রতিদিন না খেয়ে হাড্ডিসার মানুষগুলো একমুঠো সারের জন্য, একটা টিউবওয়েলের জন্য স্লিপ দিয়েও সারাটা দিন 'স্যারের' জন্য অপেক্ষা করতেন। 'স্যার' সকল কাজ কাম সেরে, ভিআইপিদের সাথে সাক্ষাত শেষে দীর্ঘক্ষণের জন্য যখন বাসায় যেতেন লান্চ সারতে তখনও ঐসব 'জনগন' নামক কীটপতংগগুলো অভুক্ত অবস্হায় উকিঝুকি মারতেন কখন তাদেরই করের টাকায় লালিত পালিত তাদেরই উপর চাপিয়ে দেয়া 'স্যার' দয়া পরবশ হয়ে আবার অফিসে ফিরে আসবেন, কখন তারা একমুঠো সার, বীজ কিংবা ভেংগে যাওয়া রাস্তা, স্কুল মেরামতের দরখাস্তখানা মন্জুর করিয়ে বাড়ী ফিরবেন!........(চলবে)
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৩
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা ছিল তাদের ঐতিহাসিক ভুল সিদ্ধান্ত। আজ তা প্রমানিত। তবে এখনও তারা উপজেলা পরিষদের হাত পা কর্তন করে নামকাওয়াস্তে নির্বাচনের ব্যবস্হা করছে যা আবারও প্রমান করছে যে এরা হয়তো জনগনের ক্ষমতায়নে বিশ্বাষ করে না অথবা সেটা বুঝেই না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য মিতক্ষরা।
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৩
ধুসর আলো বলেছেন: আমরা স্বৈরাচার বানায়, আমরাই পুষি, কারন আমরা জিম্মি, কিছু বললেই আমরা নাস্তিক, না হয় রাজাকার, আর কিছু না বললেইইরাচার...।ন
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৫
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: সহমত, ধুসর আলো।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫২
মিতক্ষরা বলেছেন: উপজেলা নির্বাচন ছিল প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরনের প্রথম ধাপ। এটার বিরোধিতা কেন তখনকার আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি করতে গেল বুঝলাম না। আজকের এই উপজেলা নির্বাচনে যেহেতু এরা সবাই অংশ নিচ্ছে তাই এটা ভাবা যেতে পারে যে তারা তাদের অতীত অবস্থান থেকে সরে এসেছে।