![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএনপি তথা খালেদা জিয়া কখনই উপজেলা ব্যবস্হাকে মনে প্রাণে সমর্থন করতে পারে নাই। শুধুমাত্র এরশাদ কর্তৃক সৃষ্ট এ কারনে তারা ১৯৯১ সালে (এরশাদ আমলের সবচাইতে এবং এ বারের উপজেলা নির্বাচনের চাইতে হাজার গুন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ হওয়া সত্বেও) আমাদের নির্বাচিত উপজেলা পরিষদকে এক কলমের খোঁচায় বাতিল করে দিয়েছিলেন।
আমি নিজে ততকালীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে, আমার সাথে গাজীপুরের আহসান উল্লাহ মাষ্টার, ফরিদপুরের মাহামুদুন্নবী সহ অনেকেই তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাথে একবার দেখা করার চেষ্টা করেও সফল হতে পারি নাই। আমার প্রিয় মানুষ, ততকালীন মন্ত্রী মেজর জেনারেল মাজেদুল হক সহ আরো অনেক মন্ত্রী চেষ্টা করেও খালেদা জিয়াকে রাজী করাতে পারেন নাই। আমরা শুধু উনাকে বুঝাতে চেষ্টা করেছিলাম যে উপজেলা সিস্টেমটা এরশাদের সৃষ্ট হলেও আপনি এটাকে আরো উন্নত করতে পারেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থেই ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরন করতে পারেন, স্বাধীনতার স্বাদ তৃণমুলের অবহেলিত মানুষের দৌরগৌড়ায় পৌছে দিতে পারেন।
কিন্তু সেদিন তিনি কোন কথাই শুনতে চাইলেন না। এরপর আমরা হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট করলাম। সুপ্রিম কোর্টের একটা রায়ের কারনে খালেদা জিয়া বাধ্য হলেন উপজেলা নিয়ে কিছু একটা করতে। তিনি তখন নাজমুল হুদাকে দিয়ে একটা কমিশন করে বছরের পর বছর সময় ক্ষেপন করে দীর্ঘদিন উপজেলার মানুষগুলোকে নির্বাচিত প্রতিনিধি ও উন্নয়ন বন্চিত করলেন এবং আমলা শাষন অব্যাহত রাখলেন। আজ এত বছর পর প্রশ্ন আসে, আজ কেন তিনি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কারন এটাতো চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন। তাহলে প্রথম দুটোতে নেন নাই কেন। দ্বিতীয়টা টার্ম শেষ হবার আগেই বাতিল করলেন কেন? এবারও যে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বলেন নাই যে তারা এই যুগান্তকারী ব্যবস্হাকে মেনে নিয়েছেন বা নিজেরা ক্ষমতায় এলে এই ব্যবস্হাকে কি আবারও বাতিল করে দিবেন নাকি এর দুর্বলতাকে চিহ্নিত করে আরও যুগপোযোগী করবেন? তাহলে একথা সহজেই বলা যায় যে তারা এটাকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছেন, ব্যবস্হাটাকে ভালবেসে নয়।
তবে একথা অনস্বীকার্য যে শেখ হাসিনা, আওয়ামি লীগ এবং জামাত প্রথম থেকেই এই উপজেলা ব্যবস্হার পক্ষে ছিলেন। যদিও ১ম উপজেলা নির্বাচনটা তারা আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়ে বয়কট করেছিলেন কিন্তু ২য় উপজেলা নির্বাচনে আমার সাথে অনেক আওয়ামী লীগ ও জামাতের উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া ১৯৯১ সালে, বেগম খালেদা জিয়া আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সাথে দেখা করতে অস্বীকার করলেও ততকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা এবং জামাত ই ইসলামের নেতারা আমাদের সাথে সাক্ষাত দেন এবং উপজেলা পরিষদ ভেংগে দেবার খালেদা জিয়া সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করেন এবং আমাদেরকে সার্বিক সহযোগীতা করেন।
সেই কৃতজ্ঞতা সত্বেও আজ বলতে হচ্ছে এবারকার উপজেলা নির্বাচনটা শুধুই নির্বাচন নয় এটা বিগত ৫ই জানুয়ারীর ভোটার বিহীন ও প্রহসনের সংসদ নির্বাচনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগনের একটা গণভোট হিসেবেই বিবেচিত হবে। আর বলা বাহুল্য, এ গণভোটে, শত বাধা বিপত্তি সত্বেও বিএনপি ও জামাত এগিয়ে রয়েছে। জনতার রায় পরিস্কারভাবে তাদের পক্ষে। এক্ষেত্রে আর একটা বিষয়ও পরিস্কার যে জামাতের পক্ষে বাংলাদেশের এত ব্যাপক ও বিশাল সংখ্যক জনগনের রায়ও প্রমান করছে যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ঢালাওভাবে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার বিষয়কে জনগন মেনে নেয় না, ৭১ এর অপরাধীদের বিচারে অবশ্যই জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি করে করতে হবে, মুষ্টিমেয় বিশৃংক্ষলা সৃষ্টি কারী ও দেশকে বিভক্তকারী কোন অপশক্তির কু উদ্দ্যেশ্য সাধনের জন্য নয়। জনগন সকল দলের যুদ্ধাপরাধীদেরই বিচার চায়, সাথে সাথে দুর্ণীতিবাজদেরকেও প্রত্যাখান করে, ঘৃনা করে, গনতন্ত্র চায়, আইনের শাষন চায় সম্ভবত এবারের উপজেলা নির্বাচনে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তারা এই কঠিন ও কঠোর বার্তাটাই দিয়ে দিয়েছে।
১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫০
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাই ধুসর আলো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩১
ধুসর আলো বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত, এরশাদ অনেক পদক্ষেপই নিয়েছিল যার সুস্ট ব্যবহার হলে এদেশ অনেক এগিয়ে যেত.।।।