নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কি পারি না, নিজে জগদ্দল পাথরের মত আজীবন দলের সভাপতি/চেয়ারম্যান পদ আকড়ে না রেখে অন্য কাউকে ছেড়ে দিতে?

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর গোড়াপত্তনের ইতিহাসই শুরু হয় ব্যাক্তি কেন্দ্রিক যদিও তাদের মেনিফেস্টো, গঠনতন্ত্র, ঘোষনাপত্রে থাকে নানান চমকপ্রদ ও চটকদারী সব কথা। কেউ কেউ ক্ষমতা পেলে কায়েম করবেন সমাজতন্ত্র কিংবা ইসলামী প্রজাতন্ত্র কিন্তু কৌশল হিসেবে গ্রহন করেন গনতন্ত্রের ঢাল। অথচ ব্যাক্তি জীবনে, রাজনৈতিক জীবনে, দলের মধ্যে গনতন্ত্র চর্চার নাম গন্ধও থাকে না। আবার অনেকেই মনে করেন বাংলাদেশ শাষন করার অধিকার একমাত্র তার পরিবারের অর্থাত বেসিক্যালি রাজতন্ত্র বিশ্বাষ করেন কিন্তু বুলি আওরান গনতন্ত্রের। পুরাটাই প্রতারনা। একবার দলের প্রেসিডেন্ট হলেনতো সরে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। আজীবন চলতে থাকবে ব্যাক্তি বন্দনা। যিনি বা যারা মুদ্রিত ঘোষনাপত্র, গঠনতন্ত্র দেখে, চটকদারী বক্তৃতা বিবৃতি শুনে ওই দলে নাম লেখাবেন, তারপর যদি কোন কারনে ওই নেতা বা নেত্রীর বন্দনা না করতে শিখেন, অচিরেই তার জায়গা হয় বহিস্কারের খেরো খাতায়।



যাই হোক, আসুন আমরা দেখি বিশ্বে যে সব জায়গায় সত্যিকারের গনতন্ত্রের চর্চা হয় সে সব দেশের দলগুলোর অভ্যন্তরে গনতন্ত্র চর্চার ইতিহাস। প্রথমেই দেখি কানাডার রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্হা। কানাডার মূলত তিনটা প্রধান দল রয়েছে, লিবারেল পার্টি, কনজারভেটিভ ও এনডিপি। লিবারেল পার্টি দীর্ঘদিন দেশ শাষন করেছে। তার বর্তমান লিডার জাষ্টিন ট্রুডো যিনি আগামী নির্বাচনে দল জিতলে হয়তো প্রধানমন্ত্রী হবেন কিন্তু সেই দলে দু বছর মেয়াদী নুতন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন মাত্র ৩৬ বছর বয়সী এ্যানা গেইনি (Anna Gainey), নীচে লিংক দেয়া হলো লিবারেল পার্টির গত প্রায় একশত বছরের প্রেসিডেন্টদের তালিকা যারা কেউই সম্ভবত দেশের প্রধানমন্ত্রী হন নি।



এরপর বর্তমানে যারা সরকারে আছেন কনজারভেটিভ পার্টি, যার লিডার দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার তিনিও পার্টির প্রেসিডেন্ট নন। কনজারভেটিভ পার্টির প্রেসিডেন্ট হলেন জন ওয়ালস (John Walsh )।



এছাড়া এনডিপির সংসদ নেতা ও লিডার হলেন টম মুলকেয়ার (Tom Mulcair) যদিও ওই দলের প্রেসিডেন্ট হলেন মাত্র ৩৬ বছর বয়সী রেবেকা ব্লেইকি (Rebecca Blaikie) ।



সুতরাং দেখা যাচ্ছে দলের নেতা একজন কিন্তু দল পরিচালনার দায়িত্ব থাকছেন অন্যজন। আবার উভয়ই দলের ভোটে নির্বাচিত এবং সফলতা ও টার্ম শেষে নিজে সে যতই জনপ্রিয় হন না কেন সরে যাচ্ছেন, অন্যজনকে সুযোগ দিচ্ছেন। স্বৈরাচার হবার কোন অবকাশ নেই। আমরা কি পারি না, নিজে জগদ্দল পাথরের মত আজীবন দলের সভাপতি/চেয়ারম্যান পদ আকড়ে না রেখে অন্য কাউকে ছেড়ে দিতে?



Click This Link

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:০২

পংবাড়ী বলেছেন: " ক্ষমতা পেলে কায়েম করবেন সমাজতন্ত্র কিন্তু কৌশল হিসেবে গ্রহন করেন গনতন্ত্রের ঢাল। "

খ্ষমতা পেয়ে কে সমাকতন্ত্র কায়েম করলো? সমাজতন্ত্র কাকে বলে বুঝেন, যতসব!

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:২০

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: 'ক্ষমতা পেয়ে সমাজতন্ত্র কায়েম করবেন কিংবা গনতন্ত্রের পথ(?) ধরে কিংবা গনতন্ত্রের সুযোগ সুবিধাগুলো ব্যবহার করে সমাজতন্ত্র কায়েমের পথে এগিয়ে যাবেন' এ ধরনের বক্তব্য 'রণ কৌশল' হিসেবে অনেক ভুয়া সমাজতন্ত্রী নামধারী দলগুলোর বিভিন্ন সময়ে প্রচারিত পুস্তিকায় দেখেছি যার দু একটা কপি এখনও আমার কাছে রয়েছে। অথচ তারা নিজেরাও দলে বিগত ত্রিশ চল্লিশ বছর ধরে পদ আকড়ে বসে আছেন, যাদের অন্তত দু জন বর্তমানে দু'টো মন্ত্রনালয়ে 'সমাজতন্ত্র' কায়েম করছেন!

২| ১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

মাটি আমার মা বলেছেন: প্রকৃত শিক্ষিতের হার যত দিন কম থাকব, যত দিন মানুষ নিজ দলের প্রকাশ্য সমালোচনা না করতে পারবে, যতদিন আমাদের মত নির্বোধদের কাছে দেশের চেয়ে দল বড় থাকবে ততদিন এই দাপ্পাবাজির জমিদারী চলবে।

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১১

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: ঠিক বলেছেন, মাটি আমার মা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.