নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখী এলিয়েন

সুখী এলিয়েন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিনটি পরস্পর সম্পর্কহীন ঘটনা

১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৪

১.

কারন বশত, একজন বিজ্ঞ সরকারী কর্মকর্তার সাথে দেখা করার বিশেষ প্রয়োজন হল। হুটহাট করে কেউ তাঁর কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেন না, এজন্য আগে যারা তাঁর সাথে দেখা করেছেন তেমন একজনের সাথে দেখা করে, তাঁর সাথে দেখা করার পদ্ধতিটি কেমন সেটা জেনে নিলাম। তিনি বললেন, সেই কর্মকর্তার সহকারীর সাথে আগে দেখা করে বললেই তিনি সব ব্যাবস্থা করে দিবেন।
কথামত সহকারীর সাথে দেখা করার জন্য অফিসে গেলাম। তখন যোহরের সময়, তিনি নামায পড়তে গিয়েছিলেন। আসার পর তাকে দেখে মনে মনে লোকটার প্রতি একটা ভোক্তি আপনা আপনিই চলে আসলো। মাথায় টুপি, সাদা দাড়ি, পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়েন। আমার প্রয়োজনের কথা তাকে বলতেই তিনি বললেন তাকে দুই হাজার টাকা দিলেই তিনি দেখা করার ব্যাবস্থা করে দিবেন!

২.
ব্যাবিলনের সম্রাট ছিলেন নেবুচাদনেজার। তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী ছিলেন আমেতিস। আমেতিসের জন্য নেবুচাদনেজার মরুর বুকে একটা উদ্যান বানান। সেই উদ্যান সাজানোর জন্য লাল আলোর দরকার ছিল, কিন্তু সেই লাল আলো তৈরী করতে গেলে দরকার একধরের লাল পাথর। কিতু সেটা প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না। সেটা কৃতিম ভাবে তৈরী করতে হবে, এজন্য লাগবে তাজা রক্ত। একধরের বিশেষ পাথর, সেই পাথর রক্তে ঢোবালে সেই পাথরের ভিতরে রক্ত গিয়ে সেটার রঙ পরিবর্তন করে লাল করে দিবে।

নেবুচাদনেজার এত রক্ত কোথায় পাবেন? আবার রক্ত জোগাড় না করলে আমেতিসের কাছে তিনি ছোট হয়ে যাবেন, সেটা তাঁর মৃত্যু থেকেও খারাপ। তিনি পার্শ্ববর্তী বনী ইসলাইলের বার বংশের এক বংশের দেশে আক্রমন করলেন। সবাই কে বন্দী করার পর তিনি বললেন যদি যুবক এবং বৃদ্ধরা তাঁর কথা মত সেচ্ছায় মৃত্যুকে বরন করে তাহলে তিনি মহিলা এবং বাচ্চাদের হত্যা করবেন না।

তাঁর কথায় কেও কর্নপাত না করায় তিনি সবাইকে নির্বিচারে হত্যা করে রক্ত সেই পাথরের গর্তে ফেলেন।
তিনি লাল পাথর তৈরী করতে পেরেছিলেন তবে তাঁর স্ত্রীকে হারিয়েছিলেন।

এটা কোন ইতিহাস নয়, এই গল্প পেয়েছিলাম প্রিয় লেখক নাজিম উদ দৌলা ভাইয়ের "ব্লাডস্টোন" নামক একটা উপন্যাস থেকে। বইটা পড়ে দেখতে পারেন। খুবই চমৎকার বই।

৩.
মাওলানা জালাল উদ্দিন রূমি ছিলেন একজন সূফী। তাঁর জ্ঞানগর্ভ কথা শোনার জন্য অনেক মানুষ তার দরবারে আসতেন। একদিন পাগলের বেশে একলোক এলেন তাঁর দরবারে। কিন্তু মাওলানারা কথা তাঁর কাছে ঘোড়ার ডাকের মত শোনাচ্ছিল। তিনি আর সহ্য করতে পারলেন না, তিনি উঠে মাওলানার কাছে যে বই গুলো ছিল সেগুলো পাশেই একটা পানির আধাররের মধ্যে ফেলে দিলেন। বইগুলোর কালি পানিতে মিশে গেল। বই গুলো মাওলানার কাছে অনেক মূল্যবান ছিল। কষ্টে তার চোখে পানি এসে গেল। পাগল লোকটা মাওলানার চোখে পানি দেখে বইগুলো আবার পানি থেকে আবার উঠালেন বইগুলো আবার শুকনো হয়ে গেল।

এই লোকটাই মাওলানার জীবনটাকে একেবারে বদলে দিয়েছিলেন। তাঁকে সবাই শামস তিরমীজি বলে ডাকতেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: তিনটাই চমকপ্রদ লাগলো।

১০ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৬

সুখী এলিয়েন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: প্রথম ঘটনার সাথে আমরা বলতে গেলে সবাই পরিচিত । ঘুষখোরদের অনেকই নিয়মিত নামাজ পড়ে, আমি এমনও দেখেছি অনেকের কপালে কালো দাগ পর্যন্ত আছে । কিন্তু হায় !

ব্লাডস্টোন আমারও পড়া আছে । তবে আপনার সাথে কেন জানি মোটেই এক মত হতে পারলাম না । ঐ উপন্যাসকে আর যাই হোক, আমার কাছে চমৎকার মনে হয় নি । পড়ার মনে হয়েছে অর্থ আর সময়ের অপচয় হয়েছ কেবল । এখানে প্রতিক্রিয়া লিখেছিলাম।

ফোর্টি রুলস অব লাভ বইটা পড়ে শামস তিরমিজি সম্পর্কে জানতে পারি । ঐ বইতে শামসে যেভাবে উপস্থান করা হয়েছে তাতে চরিত্রটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে ।

১০ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৭

সুখী এলিয়েন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

অসাধারাণ
তবে একজন লোকের সাথে দেখা করতে
দুই হাজার টাকা হাদিয়া দিতে হয় তা
মানতে পারছিনা। কারো চিরত্র হনন নয়তো !

১১ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৭

সুখী এলিয়েন বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম, নূরু ভাই। প্রথম গল্পটা শোনা গল্প। জীবনে প্রথম সামুতে account খুলেছিতো গল্পটা দেওয়ার লোভ সামলাতে পারিনি। দুক্ষিত ভাই, এভাবে শোনা গল্প দেওয়া উচিত হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.