নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখী এলিয়েন

সুখী এলিয়েন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্য পদার্থ থেকে কি সোনা তৈরী করা সম্ভব?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৬



অন্য পদার্থ থেকে সোনা কিন্তু সত্যিই সম্ভব কিন্তু কথা হল এর জন্য আপনাকে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া করা লাগবে। আপনারা জানেন নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া অনেক ব্যায়বহুল এবং আপনি এভাবে সোনা তৈরী বাজারে বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন না।

সব পদার্থই পরামানু দিয়ে গঠিত। একটা পরামানুর ভিতরে থাকে একটা নিউক্লিওলাস এই নিউক্লিওলাসের মধ্যে প্রোটন এবং নিউট্রন একসাথে থাকে। এই নিক্লিওলাসকে কেন্দ্র করে ঘোরে ইলেক্ট্রন। এভাবে প্রতিটি পরামানু গঠিত। এক পদার্থের পরামানু থেকে অন্য পদার্থের (মৌলিক) পার্থক্য হল এর পরামানুতে কতটি ইলেক্ট্রন আছে আর ইলেক্ট্রন নির্ভর করে নিউক্লিওলাসে কতটি প্রোটন থাকে তার উপর।


চিত্রঃ পরামানু।

সোনার পরামানুতে ৭৯ টি প্রোটন থাকে। তার মানে আপনি যদি একটা পরামানু সৃষ্টি করতে পারেন যার ভিতরে ৭৯ টি প্রোটোন আছে (আর প্রোটনকে নিউক্লিওলাসে রাখতে এর বাইরে আপনাকে ইলেক্ট্রন রাখতে হবে) তবে সেটা সোনা হয়ে যাবে। আরো ভালো হয় যদি আপনি পারদের মধ্যে থেকে একটা প্রোটন সরিয়ে ফেলতে পারেন। কারন পারদে সোনার থেকে একটা প্রোটন বেশী থাকে। অথবা প্লাটিনামে একটা প্রোটন যোগ করে। যার ভিতরে ৭৮ টি প্রোটন থাকে। কিন্তু ঐযে বললাম এটা শুনতে অনেক সহজ মনে হলেও অ-নে-ক অ-নে-ক কঠিন। কারন এটা করতে গেলে আপনাকে নিউক্লিয়ার রিএকশন করতে হবে। কেমিক্যাল রিয়াকশন করলে শুধুমাত্র পরামানুর গঠন পরিবর্তন করে, কিন্তু নিক্লিওলাস পরিবর্তন করতে পারেনা। এজন্য আলকেমিস্টা কোনদিন সোনা তৈরী করতে পারেননি। এজন্য আপনাকে নিউক্লিয়ার রিয়াকশন করতে হবে এজন্য অনেক শক্তির প্রয়োজন। শের ব্রাইনব্রিজ এবং এন্ডারসন ১৯৪১ সালে পারদ থেকে সোনা তৈরী করেছিলেন। এভাবে সোনা তৈরী করতে গেলে সোনা আবার রেডিও আক্টিভ হয়ে যায় যেটা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এবং এই সোনা বেশী সময় সোনা থাকে না। তাই এভাবে আপনি এটা বাজারে বিক্রি করতে পারবেন না।


চিত্রঃ প্লাটিনামের রিং


চিত্রঃ পারদ

এজন্য আপনাকে যা করতে হবেঃ
১. একটা নিউক্লিয়ার রিয়াকটর তৈরী করতে হবে।
২. এর ভিতরে আপনাকে পারদ রাখতে হবে, অনেক কাজ করার পর আপনি ছোট্ট একটু সোনা তৈরী করতে পারবেন।
৩. সোনাকে বিশুদ্ধ করতে হবে। এটা অনেক কঠিন একটা কাজ কারন আপনি রেডিও আকটিভ সোনা থেকে প্রকৃত সোনা কেমিক্যাল বিক্রিয়া করে আলাদা করতে পারবেন না।

এটা করতে আপনাকে বর্তমানে অনেক টাকা খরচ করতে হবে। তবে আশা করা যায় টেকনোলজী আরো উন্নত হলে এটা করে সোনা উৎপাদন করে বাজারজাত করা সম্ভব হবে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কস্ট বেনিফিট এনালাইসিস করতে হবে আগে। কম খরচে কৃত্রিম স্বর্ণ তৈরি করা গেলে সেটাকে বাজারে চালানো যাবে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০৮

সুখী এলিয়েন বলেছেন: অনেক খরচের ব্যাপার ভাই, বর্তমানে। ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: অন্য পদার্থ থেকে সোণা বানানো সম্ভব। তবে সেটার খরচ বেশী হবে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০৯

সুখী এলিয়েন বলেছেন: একেবারে ঠিক ধরেছেন, ভাই। ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

পুলক ঢালী বলেছেন: নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া করে এটা করা সম্ভব কিন্তু কুইনান সাড়াবে কে এখানেই মনে হচ্ছে জটিলতা।
প্রচন্ড তাপ ম্যানেজমেন্ট,রেডিয়েশন ম্যানেজমেন্ট এগুলোকে স্বল্প ব্যায়ে সীমাবদ্ধ রাখার পাশাপাশি বাই-প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রয়োজন। বর্তমান টেকনোজলিতে এটা অসম্ভব। ভবিষ্যতে আরো উন্নত টেকনোলজি আবিস্কৃত হলে সুধু স্বর্ণ নয় পৃথিবীর যাবতীয় ম্যাটেরিয়াল/মেটাল তৈরী করা সম্ভব হবে।

পড়ে ভাল লাগলো ইটি ভাই ভাল থাকুন। :D

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১২

সুখী এলিয়েন বলেছেন: ঠিক কথা বলেছেন পুলক ভাই। আমাদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। আপনিও ভালো থাকুন ভাই। ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: বাই-প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রয়োজন। হুম, এটাতে আমার প্রথম নজর থাকবে। এটা যদি অনুকূলে না থাকে তাহলে বিপর্যয় স্বাগতম!

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সুখী এলিয়েন বলেছেন: পৃথীবি আরো উন্নত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, ভাই। তাহলে হয়ত মহাকাশে বা অন্য কোন গ্রহে থাকতে পারবেন, যেটা প্রয়োজন বানিয়ে নিতে পারবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.