নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাসান ইকবাল-এর লেখালেখির অন্তর্জাল।

হাসান ইকবাল

.... ছেলেবেলার দুরন্ত শৈশব কেটেছে নেত্রকোনায়। আর সবচেয়ে মধুর সময় ছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দিনগুলি। আর এখন কাজ করছি সুবিধাবন্চিত শিশুদের জন্য একটি স্পানিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায়।

হাসান ইকবাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার চিকিৎসক মা

০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

চৈত্রের শেষে মা আমার পাটপাতা শুকান উঠোন জুড়ে। হাড়িপাতা দই কিংবা গামলা ভর্তি পান্তা নিয়ে সেরে ফেলি জাগতিক ক্ষুধা। নাগরিক কোলাহলে এই নগরে ইউটিউবে দেখি হাজারো প্রলাপ ‘সুস্হ থাকুন পান্তা খান’। পাটপাতা শুকালে ভাদ্রের কোনো এক বিষন্ন দুপুরে মা রাধেন শুটকীর ঝোল, পাটপাতা ভাজা। আমার বরষা দিনের কথা মনে পড়ে। সর্দিলাগা নাকবন্ধের দিনে মায়ের টোটকা চালভাজা ঝাল রসুন। লেবুর রস আর শসা খাওয়ার উৎসব হতো। খেয়েছি গিমাই শাক তুলসির পাতা সাতসকালে। পেটের পীড়ায় কলের ঠান্ডা জলে মেশানো পাকা বেল, কখনোবা বিচিওয়ালা মিষ্টি কলা। কখনো খাইয়েছে আনারসের পাতা, কাচা হলুদ কৃমি সারবে বলে। টিপে রাখা রক্তঝরা আঙুলে মা লাগিয়ে দিতেন কলমিপাতা। বিষফোড়ায় যন্ত্রনাকাতর দিনে ঘুম শেষে আবিষ্কার করা হতো মা লেপ্টে দিয়েছেন থানকুনি পাতা। রক্তশূন্য হাত দেখে মা রেধে দিতেন কচুপাতা, কলার তরু। বালিপড়া লালচে চোখে কলের পানি ঢেলে মা গুজে দিতেন সবুজ শাড়ির আচলের বাফ। চৌকিতে শুয়ে জ্বরের ঘোরে প্রলাপ বকা নিজেকে আবিষ্কার করা হতো জলপট্টি বাধা কপালে। ঠিক সকালে খালিপায়ে চলে গেছি লাটিম খেলায়। আমার এই চিকিৎসক মা কোথাও ডাক্তারি পড়েননি। আমরা ঠিকঠিক সেরে উঠতাম।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: একজন মাকে অনেক কিছু হতে হয়। সন্তান লালন পালন করতে করতে হয়ে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.