![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিচার চলছে। এরই মধ্যে সাবেক জামায়াত নেতা আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-২ তার দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজার রায় ঘোষণা করেছেন। তবে আদালতের এ রায় মেনে নিতে পারছেন না বিচারের দাবিতে সোচ্চার বিভিন্ন সংগঠন ও বিচারকামী মানুষ। ফলে কাদের মোল্লাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়ার জন্য শাহবাগে অবস্থান ধর্মঘট ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে আসছেন তারা। প্রশ্ন উঠছে শেষ মুহূর্তে এসে কোন দিকে মোড় নেবে যুদ্ধাপরাধের বিচার বিতর্ক। কেউ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করবে না তো এ বিচার প্রক্রিয়া থেকে! বিবিসির খবরে গতকাল বলা হয় এ কথা। তে আরও বলা হয়, প্রথম থেকেই এ বিচার হওয়া না হওয়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বাংলাদেশে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতের নেতারা ও তাদের আইনজীবীরা প্রথম থেকেই এ বিচারকে প্রহসন ও রাজনৈতিকভাবে হয়রানি বলে দাবি করে আসছেন। জামায়াত নেতাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক বলেন, যে পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম চলছে তাতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন তো নয়-ই দেশীয় মানসম্পন্নও হচ্ছে না এ বিচার। ফলে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে কোনভাবেই এ বিচার গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের কাছেও এটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে। তবে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক মানসম্মত হচ্ছে। কেবল বিচারকে বিতর্কিত করার জন্য বিরোধীরা বিভিন্ন প্রশ্ন তুলছে। বিচারের জন্য যে মানদণ্ড প্রয়োজন তার চেয়েও ভাল মানে এ বিচার করা হচ্ছে। এখানে আপিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কিত আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিল তখন আওয়ামী লীগ সরকারে ছিলেন বর্তমান গণফোরাম নেতা বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। তার হাতে এ সংক্রান্ত আইনটির খসড়া তৈরি হওয়ার পর সংসদে গিয়েছিল। তিনি দাবি করেছেন, সে সময় আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে আইনটি তৈরি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, এ আইনটি যখন করা হয়েছিল ১৯৭৪ সালে তখন কিন্তু আন্তর্জাতিক যে রীতিগুলো ছিল তা মেনেই করা হয়েছিল। আমরা বিশেষ করে ঢাকার বিশেষজ্ঞদের ডেকেছি। বিভিন্ন দেশ থেকে (যেমন: ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার) বিশেষজ্ঞদের ডেকে তাদের মতামত নিয়েছি। সর্বোপরি আমরা খসড়া করার পরে তা ইতালিতে একটি কনফারেন্স হয়েছিল সেখানে আলোচনা করা হয়েছিল। পৃথিবীতে যত আইন-কানুন আছে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা সেখানে অংশ নিয়েছিলেন। তারা তাদের পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের সবার মত নিয়ে এটা করা হয়েছিল। ড. কামাল বলেন, অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন তোলা হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সরকার পক্ষের আইনজীবীরা সেসব প্রশ্নের খণ্ডন ভালভাবে করতে পারছেন না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এটা সবাই জানেন। আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় সে সময়ের অবস্থা সম্পর্কে অবগত। ফলে এটাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ বলা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মনজুরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি শক্তি দেয়ায় জামায়াত এত শক্তি দেখাতে পারছে। এটা প্রতিফলিত শক্তি। নিজস্ব শক্তির চেয়ে তাদের প্রতিফলিত শক্তি বেশি বলে মনে হয়। এখন আওয়ামী লীগ ও তার সমর্থকরা অন্যদিকে তাদের অবস্থান নিয়েছেন। এই বিভাজন আরও স্পষ্ট হচ্ছে। তা আরও তীব্র হবে। আমাদের দেশের রাজনীতি একটি সহিংস রূপ নিয়েছে। এখন দেখা যাবে এ বিভাজন আরও বেড়ে গেছে। হয়তো জামায়াতে ইসলামী ভেবেছে এই এক বছরের মধ্যেই বিচার সম্পন্ন হয়ে যাবে। তাই সর্বশক্তি নিয়ে তারা নেমেছেন। সরকারও হয়তো ভাবছে তাদের এক বছরের ভিতরে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে সরকারের পক্ষে পরবর্তী নির্বাচনে গিয়ে হয়তো বলা সম্ভব হবে যে আমরা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটা পূরণ করেছি। আসলে নির্বাচনের রাজনীতির জন্যই এখানে একটা দ্রুতি আসবে। একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নির্যাতিত ভাস্কর্য শিল্পী ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী বলেন, এজন্যই ভাল লাগছে যে ৪১ বছর আগে যেসব পরিবার শহীদদের হারিয়েছিল এবং আমি নিজে যেভাবে নির্যাতিত হয়েছি সেই কালো ঘরটির কথা, অন্ধকার ড্রেনটির কথা আমি ভুলতে পারি না। সেখানে কেটেছে আমার ৯ মাস। তারা আমার ওপর যে অত্যাচার করেছে, এর যারা সহায়তা দিয়েছিল অনেক বিলম্বে হলেও যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে। একটি ঐতিহাসিক অবরুদ্ধ দ্বার খুলল।
তথ্যসূত্র:
Click This Link
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন...
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ্ বলেছেন: আবুশিথি বলেছেন: আর কোন কথা নাই এখন কথা একটাই রাজাকারের ফাঁসি।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন...
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
নায়করাজ বলেছেন: জামাত শিবিরের অর্থনৈতিক শক্তি ভেঙ্গে দেন। ওদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বয়কট করুন। ওদের প্রতিটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানুন। ওদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করবেন না। বরং বিনিয়োগ বা অংশীদারিত্ব থাকলে প্রত্যাহার করুন। ইসলামী ব্যাংক থেকে সকল টাকা তুলে নিন। আপনার টাকা দিয়ে ওদের দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালাতে দেবেন না।
জামাত শিবির পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য পাবেন এখানে : Click This Link
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: আপনার মতামত এবং তালিকার জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
রিওমারে বলেছেন: দেশের সাধারন মানুষ জামাতে ইসলাম কে বয়কট করলে জামাতের এই বাংলাদেশে আর কিছুই থাকে না। জামাত শুধু ধর্মীয় দোহাই দিয়ে সাধারন মানুষকে ধোকা দিয়ে যাচ্ছে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: আপনার সঙ্গে সম্পূর্ন একমত।
৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
মোহাম্মদ আনোয়ার বলেছেন: লেখার বিষয়বস্তু দেখে পড়ার আগ্রহটা তীব্রতর হলো, পড়া শুরু হলো, কিন্তু মূল বিষয়টি কেমন যেন অসম্পূর্ণ রয়ে গেলো। আরও বিস্তারিত লিখলে ভালো হতো।
৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
*-._তস্রো_.-* বলেছেন: ছাহবাগীড়া জিতছেরে, জামাদি প্রতিষ্টানগুলা নাকি ভাগাভাগি চলতেছে ??
কারা কোনটা নিবো??
জে জাই নেউক, আমরা আদিবাছিরাও ভাগা চাই।
আমাদেরও ভাগা দেয়া হোক।
ইচলামী ব্যাংক আমাগের আদিবাছিদের দিয়ে দেয়া হোক ভাগা হিছেবে
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
শিপন মোল্লা বলেছেন: আর কোন কথা নাই এখন কথা একটাই রাজাকারের ফাঁসি।