![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
চার দশকে ১৯ জন রাষ্ট্রপতি হলেও বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতি পদে ১৫ ব্যক্তিকে পেয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর জিল্লুর রহমানই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি ছিলেন পুরোদস্তুর রাজনীতিক। এবং তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে মৃত্যুবরণ করলেন। এর মাধ্যমে আপাদমস্তক রাজনীতিক রাষ্ট্রপতির প্রয়াণ হলো।
এর আগে দুজন মহান ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছিল। বাকীদের মধ্যে যারা মারা গেছেন তারা রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় মারা যাননি। তবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে হত্যা করা হলেও তিনি তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন না।
বাংলাদের প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম কি? কেউ বলবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।, আবার কেউ হয়তো বলবেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
এই দুই দলের বক্তব্যই সঠিক। তাহলে প্রশ্ন আছে একই সময় একই সাথে ভিন্ন দুইজন ব্যাক্তি কি করে প্রথম রাষ্ট্রপতি হয়? আসলে মূল বিষয়টি হচ্ছে সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম শপত নেন। যদিও প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচন করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ততকালিন পাকিস্থানে কারাবন্দি থাকার দরুন সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থিয়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপত নেন।
এবার বিচার করার দায়িত্ব পাঠকের, কে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি?
আমি এখানে বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রপতিদের নাম, তাদের মেয়াদকাল এবং কোন দল থেকে সমর্থীত হয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তার একটা তালিকা তৈরি করেছি। আর হে, সেই সাথে সকল রাষ্ট্রপতিদের ছবিও জুড়ে দিচ্ছি।
১। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সময়কাল : ১১ই এপ্রিল ১৯৭১ইং হতে ১২ই জানুয়ারী ১৯৭২ ইং পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ।
২। সৈয়দ নজরুল ইসলাম। (অস্থায়ী)
সময়কাল: ১১ই এপ্রিল ১৯৭১ইং হতে ১০ই জানুয়ারী ১৯৭২ ইং পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ।
৩। বিচারপতি : আবু সাইদ চৌধুরী।
সময়কাল: ১২ই জানুয়ারী ১৯৭২ইং হতে ২৪শে ডিসেম্বর ১৯৭৩ ইং পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ।
৪। মোহম্মদ মোহম্মদউল্লাহ।
সময়কাল: ২৪শে ডিসেম্বর ১৯৭৩ ইং হতে ২৫শে জানুয়ারী ১৯৭৫ইং পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ।
৫। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সময়কাল: ২৫শে জানুয়ারী ১৯৭৫ ইং হতে ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ইং পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ।
৬। খন্দকার মোশতাক আহাম্মেদ।
সময়কাল: ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ইং হতে ৬ই নভেম্বর ১৯৭৫ইং পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ।
৭। বিচারপতি : আবু সাদাত মোহম্মদ সায়েম।
সময়কাল: ৬ই নভেম্বর ১৯৭৫ইং হতে ২১শে এপ্রিল ১৯৭৭ইং পর্যন্ত।
নির্দলীয়
৮। মেজর জেনারেল : জিয়াউর রহমান।
সময়কাল: ২১শে এপ্রিল ১৯৭৭ইং হতে ৩০শে মে ১৯৮১ইং পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP)
৯। বিচারপতি : আব্দুস সাত্তার। (অস্থায়ী)
সময়কাল: ৩০শে মে ১৯৮১ইং হতে ২৪শে মার্চ ১৯৮২ইং পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP)
১০। হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ।
সময়কাল: ২৪শে মার্চ ১৯৮২ইং হতে ২৭শে মার্চ ১৯৮২ইং পর্যন্ত।
জাতীয় পার্টি
১১। বিচারপতি : এ.এফ.এম আহসান উদ্দিন চৌধুরী।
সময়কাল: ২৭শে মার্চ ১৯৮২ইং হতে ১১ই ডিসেম্বর ১৯৮৩ইং পর্যন্ত।
জাতীয় পার্টি
১২। হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ।
সময়কাল: ১১ই ডিসেম্বর ১৯৮৩ইং হতে ৬ই ডিসেম্বর ১৯৯০ইং পর্যন্ত।
জাতীয় পার্টি
১৩। বিচারপতি : শাহাবুদ্দিন আহম্মদ। (অন্থায়ী)
সময়কাল: ৬ই ডিসেম্বর ১৯৯০ইং হতে ১০ই অক্টোবর ১৯৯১ইং পর্যন্ত।
নির্দলীয়
১৪। বিচারপতি : আবদুর রহমান বিশ্বাস।
সময়কাল: ১০ই অক্টোবর ১৯৯১ইং হতে ৯ই অক্টোবর ১৯৯৬ইং পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP)
১৫। বিচারপতি : শাহাবুদ্দিন আহম্মদ।
সময়কাল: ৯ই অক্টোবর ১৯৯৬ইং হতে ১৪ই নভেম্বর ২০০১ইং পর্যন্ত।
নির্দলীয়
১৬। অধ্যাপক : এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
সময়কাল: ১৪ই নভেম্বর ২০০১ইং হতে ২১শে জুন ২০০২ইং পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP)
১৭। ব্যারিষ্টার : জমির উদ্দিন সরকার।
সময়কাল: ২১শে জুন ২০০২ইং হতে ৬ই সেপ্টেম্বর ২০০২ইং পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP)
১৮। অধ্যাপক : ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ।
সময়কাল: ৬ই সেপ্টেম্বর ২০০২ইং হতে ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০০৯ইং পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP)
১৯। অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান।
সময়কাল: ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০০৯ইং হতে ২০ মার্চ ২০১৩।
আওয়ামী লীগ।
দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২০১৩ সালে দায়িত্ব নেয়া জিল্লুর রহমানের রাজনীতিতে পদার্পণ স্কুলজীবনে। তারপর দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলে রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হন তিনি। সেই পদে থেকেই বুধবার মারা গেলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য জিল্লুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাকতেন চাচা, আওয়ামী লীগে তার অবস্থান ছিল অভিভাবকের মতোই। শুধু আওয়ামী লীগই নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে তাকে অভিভাবক মানতে কারোই আপত্তি ছিল না। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে তার ডাকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাড়া দেয়া তার নজিরই মেলে ধরে।
দলীয় নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যের নজিরও ছিলেন জিল্লুর রহমান। নিজের দুঃসময় উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন তিনি। আর তাই স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন, দুই দশক পর সেই একই ব্যক্তির ওপর নির্ভরতা খুঁজে নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা হাসিনা।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়ার আগে শেখ হাসিনা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে যান জিল্লুর রহমানকেই। মৃত্যুতে শোকবাণীতেও শেখ হাসিনা সেই অবদান স্মরণ করে বলেন, “এক-এগারোর চরম দুঃসময়ে জিল্লুর রহমান দলের হাল ধররছিলেন, তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ আমাকে জেলখানা থেকে মুক্ত করে এনেছিল।”
জিল্লুর রহমানের জন্ম ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর সব সময় ওই আসন থেকে নির্বাচন করে আসছিলেন তিনি। ভৈরব থেকে ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জিল্লুর রহমান। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ওই আসনে এখন প্রতিনিধিত্ব করছেন ছেলে নাজমুল হাসান।
ছাত্রজীবনেই জিল্লুর রহমান রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ভাষা আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্সসহ এমএ ও এলএলবি ডিগ্রি নিয়ে ১৯৫৪ সালে আইন পেশায় যোগ দেয়ার প্রস্ততি নেন আইনজীবী মেহের আলী মিঞার ছেলে জিল্লুর রহমান। তবে আইনজীবী হওয়ার চেয়ে তার ঝোঁক বেশি ছিল রাজনীতিতে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৬ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। ষাটের দশকে ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেও রাজপথই ছিল তার ঠিকানা।
তবে ২০০৭ সালের শেখ হাসিনাকে কারামুক্ত করতে মুজিব কোট কিংবা পাঞ্জাবির বদলে গাউন পরে সংসদ ভবনের বিশেষ আদালতে দেখা গিয়েছিল তাকে। ১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬ এর ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়তা ১৯৭০ সালে তাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন এনে দেয়। এরপর একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জিল্লুর রহমানও তাতে যোগ দেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা এবং জয় বাংলা পত্রিকার প্রকাশনায় যুক্ত ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগের প্রথম সম্মেলনে অনেক নেতাকে ছাপিয়ে জিল্লুর রহমানই হন দলের সাধারণ সম্পাদক। এরপর বিভিন্ন দায়িত্বের পর ১৯৯২ সালে পুনরায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। দুই দফা এই দায়িত্ব পালনের পর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন অনেক দিন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলে তার মন্ত্রিসভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি, ছিলেন সংসদ উপনেতাও। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগে নবম জাতীয় সংসদেও সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জিল্লুর রহমান। তিনি রাষ্ট্রপতি হলে ওই পদে আসেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
আপাদমস্তক রাজনীতিক জিল্লুর রহমানের বিয়েতেও রাজনীতি ছিল বিষয়। অভিজাত পরিবারের সন্তান আইভী রহমানের সঙ্গে দল করার সূত্রে পরিচয়, এরপর পরিণয়। তবে তাদের দুজনকে এক করতে দুই পরিবারকে রাজি করাতে উদ্যোগ নিতে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে। সক্রিয় রাজনীতিক আইভী রহমান ছিলেন নিজের পরিচয়েই পরিচিত। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি দেশের নারী আন্দোলনের নেত্রীও ছিলেন তিনি।
২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন আইভী, রেখে যান স্বামী জিল্লুর, ছেলে নাজমুল হাসান এবং দুই মেয়ে তানিয়া বখত ও তনিমা বখতকে। স্ত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে অনেকটাই ভেঙে পড়েন জিল্লুর, তবে রাজনীতিতে সক্রিয়তা নষ্ট হয়নি তার। বরং ২০০৬ এর শেষ দিকে রাজনৈতিক সঙ্কট এবং জরুরি অবস্থার সময় প্রবীণ অনেক রাজনীতিকের অবস্থান বদলে গেলেও দল ও নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা এতুটুকুও কমেনি জিল্লুর রহমানের। এরপর ২০০৭ সালে শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হলে টানাপোড়েনের মধ্যে আওয়ামী লীগের অভিভাবকত্ব নিতে হয় অশীতিপর এই নেতাকে। আর সেই ঝড় তিনি ঠিকভাবেই সামাল দিতে পেরেছিলেন বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। তাই শোকবার্তায় তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ইতিহাসে জিল্লুর রহমান অবিনশ্বর হয়ে থাকবেন।”
২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: দুঃখিত।
উনি জিয়াউর রহমান কর্তৃক মনোনীত ছিল।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
উইত্তোরজিন্দেগী বলেছেন: সেটাই, BNP তো গঠিতই হয় ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বরে, তাহলে বিচারপতি আবু সাদাত মোহম্মদ সায়েম কিভাবে BNP এর লোক হন?
৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
এম আর সুমন বলেছেন: বিচারপতি সায়েম বিএনপি ছিলেন না।
আপনার ইতিহাস চর্চায় পক্ষপাতিত্ব আছে।
আর রাষ্ট্রপতির মৃত্যু নিয়ে যখন শুরুই করলেন , জিয়ার বিষয়টি আলাদাভাবে উল্লেখ করতে পারতেন।তিনি যখন নিহত হন, তখন নির্বাচিত ই ছিলেন। আর তার মৃত্যুর পরে জাতি দেখেছে যে তার জনপ্রিয়তা কত ছিল। এগুলো অস্বীকার করার মত কোনো বিষন নয়।
৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
নেক্সাস বলেছেন: ১৫। বিচারপতি : শাহাবুদ্দিন আহম্মদ।
সময়কাল: ৯ই অক্টোবর ১৯৯৬ইং হতে ১৪ই নভেম্বর ২০০১ইং পর্যন্ত।
নির্দলীয়
এখানেও আপনার ইতিহাস বিকৃত। এই মেয়াদে উনি আওয়ামিলীগ মনোনীত রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৩
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: বিচারপতি আবদুস সাত্তার প্রথমে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি থাকলেও পরে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তাঁর বিপক্ষে আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী ছিলেন ড. কামাল হোসেন। আবদুর রহমান বিশ্বাস বিচারপতি ছিলেন না, আইনজীবী ছিলেন। বিচারপতি সায়েম বিএনপি'র ছিলেন না। বিএনপি পঠিত হয় ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮ তারিখে। লে.জে. হো. মো. এরশাদ প্রথম দফায় জাপার ছিলেন না। বিচারপতি আহসানও জাপার ছিলেন না। জাপা গঠিত হয় পরে। আপনি এরশাদ সাহেবের সামরিক পরিচিতিটি লিখলেন না ! ব্যারিস্টার জমির ছিলেন স্পীকার হিসাবে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৯
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: ইতিহাস সামনে আসলেই চর্চার সুযোগ আসে। ইতিহাস নিয়ে ভুল হবে, পক্ষপাতিত্ব হবে। তাও ইতিহাসটা তুলে ধরতে হবে আমাদের। তাহলেই কেবল জানাটাকে জ্বালাই করা যায়।
৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: একজন রাস্ট্রপতির পেছনে মাসিক কত টাকা খরচ হয় কেউ বলতে পারেন? না এটাকে অন্য কোনভাবে নেবেননা প্লিজ। অগ্রিম ধন্যবাদ।
২১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: এটা ঠিক জানা নেই ভাই। আপনার কৌতুহলের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
বাংলার হাসান বলেছেন: পক্ষপাতিত্ব আর দলীয় চামচামী থেকে বের হয়ে আমরা ইতিহাস লিখতে পারিনা, এটা আমাদের দলীয় আনুগত্বের র্নিলজ্জ উদাহরন।
জাতির এই দূর্যোগ মুহুত্ত্বে আমি আমাদের বর্ষীয়ার রাজনীতিবীদ জনাব সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, ও বিশিষ্টি দেশ প্রেমিক জনাব আবুল হোসেনের নাম পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রস্তাব করছি। সেই সাথে সরকারের কাছে আশা করব বর্তমান সরকার তা বিবেচনায় নিয়ে দেশ ও জাতিকে উপকৃত করে ধন্য করবে।
৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৬
মহসিন০৮ বলেছেন: জাতি একজন বর্ষীয়ান নেতা হারাল।
http://www.ctgblog.com/post/1067
১০| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৪১
সুইট টর্চার বলেছেন: ভুলে ভরা ইতিহাস। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার সময় কি রাষ্ট্রপতি ছিলেন না? তাহলে উনাকে এড়িয়ে গিয়ে কোন ইতিহাস লিখলেন আপনি? বাংলাদেশের ইতিহাসে উনার চেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট কেই ছিল? সঠিক ইতিহাস না লেখার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্হল থেকে ঘ্বণা জানালাম।
২১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি, এখানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় স্বাভাবিক মৃত্যূবরণের কথা।
জিয়াউর রহমান জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি ছিল, সন্দেহ নেই। কিন্তু রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় উনাকে হত্যা করা হয়েছিল। বিষয়টি আপনার হয়তো বুঝতে একটু দেরি হয়েছে।
ঘৃণা জানালেও পোষ্টটি আপনি পড়েছেন, তাই ধন্যবাদ।
১১| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
বিষাদ সময় বলেছেন: দেশে প্রথম কোনো রাষ্ট্রপতি মৃত্যুবরণ করলো!
"করলো" নয় "করলেন" লিখুন। এটা একটি সাধারণ শিষ্টাচার।ধন্যবাদ।
১২| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
ফজলে আজিজ রিয়াদ বলেছেন: বিষাদ সময়ে সহমত
পোস্টে ++
২২ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
নেক্সাস বলেছেন: ৭। বিচারপতি : আবু সাদাত মোহম্মদ সায়েম।
সময়কাল: ৬ই নভেম্বর ১৯৭৫ইং হতে ২১শে এপ্রিল ১৯৭৭ইং পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP)
উনি বিএনপি ছিলেন না।
আশা করি ইতিহাসের প্রতি একটু নির্মোহ হলে লিখাটা উপভোগ্য হবে।