![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
এতদিন পরে হলেও একটি বড় মানসিকতার পরিচয় দিল বাংলাদেশ সরকার। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা দেয়া হচ্ছে ৫জন পাকিস্তানি নাগরিককে। স্বাধীনতাযুদ্ধে অনেক বিদেশি আমাদের সাহায্য করেছেন। যদি তাদের সবাইকে দেয়া হয়, তাহলে পাকিস্তানীদের কেন দেয়া যাবে না?
আজই কথা হচ্ছিল একজন কূটনৈতিক রির্পোর্টারের সঙ্গে। আগারগাঁও এলজিডি মিলনায়তনে চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি যখন সম্মাননা প্রদাণের কথা জানাচ্ছিলেন, সেখানে উপস্থিতও ছিলেন তিনি। তিনি জানালেন, 'বর্তমান সরকার যখন ২০১০ সালে প্রথম বার বিদেশী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা করলো, তখনই ১১জন পাকিস্তানী নাগরিকের নাম লেখা হয়। কিন্তু ৪ বার সম্মাননা জানানো হলেও এদের কাউকে আর তালিকায় রাখা হয়নি। এবার তালিকায় পাকিস্তানের ৫জনের নাম রয়েছে। পাকিস্তানের একটি অনলাইন পত্রিকাও সম্মাননা পেতে যাওয়া পাঁচজনের নাম প্রকাশ করেছে। তারা হলেন কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, কবি ও অ্যাক্টিভিস্ট হাবিব জালিব, লেখক ও বুদ্ধিজীবী প্রফেসর ওয়ারিস মীর, বেলুচিস্তানের জাতীয়তাবাদী নেতা মীর গাউস বক্স বিজেনজো এবং আইনজীবী ও অ্যাক্টিভিস্ট মালিক গুলাম গিলানি। এরা সবাই ওই সময় নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলেছেন, লিখেছেন। এসব কারণে পাকিস্তান সরকারের রোষানলেও পড়েন তারা। এরা সবাই প্রয়াত। তাদের সন্তানরা পুরস্কার নিতে আসবেন। এর মধ্যে বিশিষ্ট আইনজীবী ও অ্যাক্টিভিস্ট আসমা জাহাঙ্গীর আসছেন তার বাবা মালিক গুলাম জিলানির পক্ষে এবং সাংবাদিক হামিদ মীর আসছেন তার বাবা ওয়ারিস মীরের পক্ষে সম্মাননা নিতে।
একবার ভাবেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের দেশের নাগরিক হয়ে অনেকে বিরোধীতা করেছে, পাকিস্তানী সেনাদের সাহায্য করেছে। যাদের আমরা রাজাকার, আল বদর, আস্ সামস প্রভৃতি নামে চিনি। বর্তমান সরকারের আমলে এসব মানবতাবিরোধীদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। তিনজনের বিরুদ্ধে রায়ও দেয়া হয়েছে। এক কথায় সবাই স্বীকার করেন, রাজাকাররা দেশের শত্রু, দশের শত্রু। তেমনি যারা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হয়েও যুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল, বাঙ্গালীদের দুর্দশা নিয়ে লিখেছে, প্রতিবাদ করেছে, তাদের কেন পুরস্কৃত করা হবে না? আর যদি সম্মাননা দেয়া হবেও, তা কেন এত দেরিতে?
রাজাকারদের বিচার এবং বিদেশী সাহায্যকারীদের সম্মাননা দুটোই অনেক দেরিতে হচ্ছে এতে সন্দেহ নেই। তবুও ঠিক ভাবে সব বিষয়ের সমাধান হোক, এটাই আমাদের কাম্য।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। এটা নিয়ে যতটা বড় মানসিকতার পরিচয় দেয়া যায়, ততই জাতি হিসেবে আমাদের জন্য সুখকর। তাই নয় কি?
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
মাস্টার৭১ বলেছেন: লেট বেটার দেন নেভার।
সরকারকে ধন্যবাদ।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
আল-মুনতাজার বলেছেন: পাকিস্থানীদের পদক দেবার এই কাজটা যদি বিএনপি বা জামায়াতে ইসলামী করতো,তাহলে আওয়ামীলীগের শেখ মিডিয়া বেগম ওরফে মামলা দিদি কি গলাবাজী করতেন?
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৪
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: শত ভাগ সঠিক বলেছেন।
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: আওয়ামী লিগ এই সম্মাননা দেওয়াতে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হত যদি "বিএনপি" দিত। কারণ তখন তাদের "পাকিস্তানঘেষা" ট্যাগ দেওয়া হত।
দেরিতে হলেও তাদের সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে এটাই যথেস্ট।
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৪
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: সঠিক বলেছেন।
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৩
জীবন্মৃত০১ বলেছেন: ঠিকাছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
যোগী বলেছেন: দেরিতে হলেও যে হচ্ছে এটাই ভালো কথা