![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
তেজগাঁর হা-মীম গ্রুপের দ্যাটস ইট ফ্যাশনে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করছেন টাঙ্গাইলের জুলেখা খাতুন। হেফাজতে ইসলামের কর্মক্ষেত্রে নারীর অবাধ বিচরণ রোধের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “নিজে ইনকাম করি বলে পরিবারের সবার কাছে আমার একটা দাম (মূল্যায়ন) আছে। স্বামী, ছেলে-মেয়ে সবাই আমার কথার দাম দেয়। হুজুররা বললেই তো হবে না। ওনারা তো আর ঘরে খাওন পৌছায়া দিবেন না।” পোশাক খাতে নারী শ্রমিকদের সহকর্মী পুরুষরাও মনে করেন যে হেফাজতের এই দাবি ‘অবাস্তব’।
শিক্ষাক্ষেত্রে গত কয়েকবছর ধরেই পুরুষের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে নারীরা। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের হারেও এর প্রতিফলন ঘটেছে। ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ পাসের হারের মধ্যে ছাত্র ছিল ৭৮ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং ছাত্রী ৭৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। এছাড়া মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে ছাত্র ও ছাত্রীর পাসের হার প্রায় সমান। এখন এনজিও বলেন, গার্মেন্টস বলেন স্কুল-কলেজ বলেন, সর্বক্ষেত্রেই প্রচুর মেয়ে কাজ করছে। এই অবস্থায় হেফাজতের এই দাবির তীব্র বিরোধীতা করছে সবাই।
দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি তৈরি পোশাক শিল্পের নারী শ্রমিকরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হেফাজতের দাবি নিয়ে, যা গত শনিবার মতিঝিলের সমাবেশ থেকে তোলা হয়েছে। হেফাজতের ১৩টি দাবির চতুর্থটি হচ্ছে- ‘ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যাভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে’। নারীবিহীন ওই সমাবেশে নারী উন্নয়ন নীতি বাতিলের দাবিও জানানো হয়। শুধু তাই নয়, নারীদের নিয়ে তাদের মনোভাবের প্রকাশও ঘটে নারী সাংবাদিকদের ওপর হামলার মাধ্যমে।
তবে নারীদের ছাড়া যে পোশাক খাত চলবে না, তা পোশাক শিল্প মালিকদের কথায় স্পষ্ট। বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, “ওরা (হেফাজতে ইসলাম) চাইলেই আমরা নারী কর্মীদের বাদ দিতে পারব না। কারণ ৮০ শতাংশ কর্মী নারী হওয়ায় প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোই তারা করে।” তার মতে, পোশাক খাত গরিব নারীদের উপার্জনের মাধ্যমে ‘পুরুষশাসিত’ অবস্থা থেকে স্বনির্ভরতা এনে দিয়েছে।
এখন আমাদের দেখার বিষয়, কি হয় সামনে!
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: আপনার সঙ্গে সহমত পোষন করছি।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০১
একলা একা বলেছেন: লেখকের উদ্দেশ্যে এই বলব যে, হেফাজতে ইসলামের দাবী গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। কারন কোথায় বলা নেই যে, নারীরা বাহিরে চাকুরী করতে পারবে না।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৮
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: হেফাজতের ১৩টি দাবির চতুর্থটি হচ্ছে- ‘ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যাভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে’।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৮
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: আমারতো মনে হয়, মেয়েদের জন্য এই গার্মেন্টস, তারপর প্রাইমারী স্কুলের কাজ, মেটারনিটি হাসপাতাল (ডাক্টার, নার্স, অন্যান্য) খুবই উপযোগী কাজ।
প্রায়োরিটি বেসিসে এই কাজগুলা তাদের দেয়া যেতে পারে।
রসায়নে অ্যানালাইসিসের কাজ, গবেষণা কাজে এরা সহজেই কাজ করতে পারে।
আর অন্যান্য কাজে যোগ্যতা অনুসারে নিয়োগ পেতেই পারে, তাতে হেফাজতে ইসলামীর দাবীর সাথে কোনো কন্ট্রাডিকটারী করে না।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৪
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: সহমত পোষন করছি।
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১১
আলোকন বলেছেন: "প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ" এই বাক্যটা নিয়ে কিছু লোক কচলাইতে কচলাইতে তিতা বানায়া ফেলতেসে।
"প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ" বলতে এখানে কি বুঝানো হইসে?
"প্রকাশ্যে নারীর অবাধ বিচরণ" দ্বারা কি এই মানে হয় যে, "নারীরা লেখা পড়া করতে পারবে না। নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারবে না। নারীরা চাকরী করতে পারবে না।" ?
যদি কেউ এমন মানে বুঝতে চায়, তবে সে "প্রকাশ্যে পুরুষের অবাধ বিচরণ" দ্বারা এসব বুঝে না কেনো?
বস্তুত, "প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ" দ্বারা পাবলিক প্লেসে অনৈতিক অন্যায় আচরন বুঝানো হইসে।
আর কিছু মানুষরূপী পশু যারা "পাবলিক প্লেস" & "প্রাইভেট প্লেস" এর পার্থক্য বুঝতে চায়না, তারা এই বাক্যটা নিয়ে জল ঘোলা করার অপচেষ্টা করতেসে।
জন্ডিস সাংবাদিকতা আর কতো?
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১১
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: সামুর সকল বন্ধুর উদ্দ্যেশে বলছি, শুধুমাত্র ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টে মহিলা ডাক্তার নেই বলে, ধর্ষিতাকে দ্বিতীয়বার ধর্ষিত হতে হয়। এ কাজে মেয়েরা ১০০% যোগ্যতা অনুসারে নিয়োগ পেতেই পারে। এমনকি এটি কতটা প্রয়োজন সেটা হয়তো শুধু মেয়ে এবং ভিকটিমরাই জানেন!
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১২
এম এম হোসাইন বলেছেন: আলোকন বলেছেন: "প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ" এই বাক্যটা নিয়ে কিছু লোক কচলাইতে কচলাইতে তিতা বানায়া ফেলতেসে।
"প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ" বলতে এখানে কি বুঝানো হইসে?
"প্রকাশ্যে নারীর অবাধ বিচরণ" দ্বারা কি এই মানে হয় যে, "নারীরা লেখা পড়া করতে পারবে না। নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারবে না। নারীরা চাকরী করতে পারবে না।" ?
যদি কেউ এমন মানে বুঝতে চায়, তবে সে "প্রকাশ্যে পুরুষের অবাধ বিচরণ" দ্বারা এসব বুঝে না কেনো? (
বস্তুত, "প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ" দ্বারা পাবলিক প্লেসে অনৈতিক অন্যায় আচরন বুঝানো হইসে।
আর কিছু মানুষরূপী পশু যারা "পাবলিক প্লেস" & "প্রাইভেট প্লেস" এর পার্থক্য বুঝতে চায়না, তারা এই বাক্যটা নিয়ে জল ঘোলা করার অপচেষ্টা করতেসে। /
জন্ডিস সাংবাদিকতা আর কতো?
৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩১
এম এম হোসাইন বলেছেন: হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা:
১.সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল।
২.কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয়নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
৩.আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।
৪.রাসূলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদী জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা।
৫.সারা দেশের কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।
৬.জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসলিমদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।
৭.ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
৮.সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
৯.মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।
১০.ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।
১১.অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
১২.রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিচয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা।
১৩.পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত এনজিও এবং খৃস্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তরকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
................................................................সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
সাত্ত্বিক বলেছেন: হায়!! জুলেখারা যদি ইসলামের প্রকৃত জ্ঞান রাখত। তাদেরকে তো অন্ধ রাখা হয়েছে এমনভাবে যে, ইসলাম মানেই নারীদেরকে ঘরে আটকে রাখা!
পর্দার সাথে নারীরা কত কিছু যে করতে পারে তা তাদের ইচ্ছা করেই জানানো হয় নি। কেন জানানো হয়নি!? তা যদি তারা জানতো হবে সকল ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র তারা ছিন্ন করে দিত।