নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরব কথামালা

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে আসতেই হয়, ভাবনা প্রকাশে......!

এম এ হাসান মাহামুদ

লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।

এম এ হাসান মাহামুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাহাঙ্গীরনগরে ধর্ষণের সেঞ্চুরি, হেফাজতের দাবি আর নারীদের ইজ্জত রক্ষার আন্দোলনের নামে ভাঁড়ামী !!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

কথিত আছে যে একদা মানিক লাইব্রেরীতে গিয়েছিল বান্ধবী রূ..কে নিয়ে, পড়ার ফাকে ফাকে চলছিল তাদের প্রেমচর্চা, এর মধ্যে লাইব্রেরীতে ঢুকে পড়ে সদ্য পরিচয় হও্য়া সু..না, মানিক দূর থেকে লুকিং গ্লাসে তকে দেখেই ঝট করে রূ..কে বলল চল পুকুরের পাশে গিয়ে বসি, মানিক বের হতে না হতেই দেখে যে রাস্তা থেকে রিক্সা ঢুকছে লাইব্রেরীতে সেখানে বসে আছে সন্ধ্যা যার সাথে মানিকের খুব জমে উঠেছে, এখন তো বিপদ , ত্রিমুখী এই ফাপরে পরে মানিক খুব নার্ভাস হয়ে বলল রু.. আমার মাথা ঘুরছে আর প্রচন্ড ব্যাথা করছে ,একটু টিপে দিবে বলাতে রু.. বলে তুমি পাগল হইছ এখানে সবার সামনে আমি তোমার মাথা টিপে দিব ? মানিক এই কথাটাই আশা করছিল ,সাথে সাথেই সে বলে এখানে তোমাকে কে বলেছে ? চল সাইডে যাই বলেই হাতে টান মেরে লাইব্রেরীর পিছন দিকে চলে গেল যেখান থেকে ভাসানী হল আর কামাল উদ্দিন হল দেখা যায় , সেখানে সে এমন এক চিপা আবিস্কার করল যেখানে কাউকে বলে না দিলে বোঝা সম্ভব না যে এটার মধ্যে কেউ আছেন, মানিক যথারীতি সিদ্ধহস্তে বাদ বাকী সকল ক্রিয়াকার্য গুলি নিখুত ও পরিকল্পনা মাফিক সম্পন্ন করল , সেখান থেকে তারা উঠলেন রাত আট টায় তাও অতিরিক্ত মশার কামড়ের জন্যে, মানিক রুমে গিয়ে গোছল করে খেয়ে দেয়ে যথারীতি ডাইরীতে লিখলো -



সময়- বিকাল চার টা

তারিখ- ০২-০৩-১৯৯৮

বিষয়- মানিকের আরো একটি শিকার এবং মাইনকা চিপার আবির্ভাব

পাত্রী –রু.. গো..জ

স্থান- মাইনকা চিপা

লাইব্রেরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সাভার, ঢাকা-১৩৪০।



এটি ১০০টির অধিক ঘৃণ্য ঘটনাগুলার মধ্যে একটি ঘটণার বর্ণনা। পাঠক আপনাদের সবার নিশ্চয়ই মনে আছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসীমুদ্দিন মানিক ওরফে রেপিস্ট মানিককে সেঞ্চুরিয়ান জসিমুদ্দিন মানিক বা সেঞ্চুরিয়ান মানিক বলা হতো । কারণ সে ১০০ টা ধষর্ণ কর্ম করে বন্ধুদের নিয়ে ককটেল পার্টি দেয় । সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পহেলা বৈশাখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুই ছাত্রীকে শাড়ী টেনে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এর আসলে শেষ কোথায়? জাতীয়ভাবে আন্দোলন না গড়ে তুললে কি আদৌ এই সমস্যা গুলোর সমাধান হবে?



আসুন পাঠক আগে মানিকের বিষয়টা জেনে নেই।

১৯৯৮ সালের আগষ্টের মাঝামাঝি হতে ১৯৯৯ সাল। জাবি নামে পরিচিত জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাস উত্তাল। জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসীমুদ্দিন মানিক ওরফে রেপিস্ট মানিক আর তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিকৃষ্টতম অপরাধের বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্রদের চলছে প্রতিবাদ, অবরোধ, সিট-ইন। প্রতিদিন পত্রিকার শিরোনামে কিম্ভূত কিছু নাম ‌'ছাত্র লীগের রেপিস্ট গ্রুপ বনাম কিলার গ্রুপ' প্রভৃতি স্থান পেত। তখন ৩২০ টি ধর্ষনের ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। অবশ্যই ধর্ষণের সেঞ্চুরী নিয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদনও তৈরি হয়।

একটি প্রতিবেদনের কথা এখনো খেয়াল আছে, সেটি হচ্ছে সুনির্দষ্ট ধর্ষণের মামলা হয়নি বলে ধর্ষক-ছাত্রলীগ ক্যাডারদের বিরুদ্ধে সে সময় পুলিশ কোনো আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে নি। কারণ প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে ধর্ষিতা ছাত্রীটি লোক-লজ্জা এড়াতে প্রকাশ্যে মামলা করতে রাজী হয়নি। ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হতেও সময় লেগেছে, সে কারণে আলামত সংগ্রহ করাও সম্ভব ছিলো না। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধর্ষিতা ছাত্রীরা নিভৃতে শিক্ষা জীবনের ইতি ঘুচিয়েছে। আর কখনোই ক্যাম্পাসমুখো হয়নি।



ধর্ষণের শিকার ও ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শীদের লিখিত ও মৌখিক জবানবন্দীসহ অন্যান্য তদন্তেরভিত্তিতে যে তদন্ত রিপোর্ট সে সময় জাবি কর্তৃপক্ষ তৈরি করেছিলো, সেটিতে ধর্ষণের যে ভয়াবহ খন্ড চিত্র দেয়া হয়েছে - তা ভাবলে ১৯৭১ সালের কথাই আমাদের মনে পড়বে।



ধর্ষণের সেঞ্চুরী হওয়ারসময়ের ভি সি আলাউদ্দীন বর্তমানে সরকারের একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা। ধর্ষণকারী ব্যক্তিটিও যে কয়েকদিন বা বছর পরে একটি সম্মানজনক অবস্থানে যাবে না, তার কোনো গ্যারান্টি কেউ কি দিতে পারবেন?



আসলে এগিয়ে আসতে হবে আমাদেরই। ওসময় যদি একটি মেয়েও এগিয়ে এসে একটি মামলা করতেন, তাহলে পরিস্থিতি হয়তো অন্য রকম হতে পারতো। এখন ধর্ষণে সেঞ্চুরী করা মানিকের প্রসঙ্গ তুলে সাধারণ ছাত্রীরা বলছেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো মানিকের জন্ম হতে দেব না। যেখানেই অশুভ পায়তারা, সেখানেই প্রতিরোধ। প্রশাসন নির্বিকার হলে নিপীড়কদের হল থেকে টেনে হিচড়ে বের করে গণধোলাইয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হবে।

এ ঘটনার জন্য সাধারণ ছাত্রীরা ক্লাস বর্জন করে ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবি জানান। এছাড়াও যৌন নির্যাতন আইনের আওতায় বিচার করে তার ছবি ও নাম প্রকাশসহ তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা। কিন্তু কথা হচ্ছে, এভাবে আর কতদিন চলবে?

এক সপ্তাহ পরেই আর এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলার কেউ থাকবেন না।

১০০টি ধর্ষন যেখানে কিছু নয়; শাড়ী টানা কি তার কাছে কিছু?

আসলে শুধু জাবি কেন? দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা এই আন্দোলনে একাত্ম হয়ে প্রতিবাদ জানাতে পারেন না?

হেফাজত ইসলামী যখন নারী স্বাধীনতার বিপক্ষে কথা বললেন, তখন সবাই বড় বড় কথা বলার মধ্যেই ব্যস্ত থাকলেন। অথচ নারীর ইজ্জত নস্ট হয়ে যাচ্ছে, সেদিকে কারো খেয়াল নেই। ছাত্রদলের মেয়েরা জোরে কথা বলছে, ছাত্রলীগের মেয়েরা চুপ। ইয়াসমিনকে নিয়ে ছাত্রলীগ চিল্লাচিল্লি করলো, সীমাকে নিয়ে ছাত্রদল। এক সঙ্গে কেন নয়। পরিমল যখন নির্লজ্জ কাজটি করলো, তখন খোদ প্রতিষ্ঠান প্রধান তাকে সাপোর্ট দিলেন। মেয়েদের বিরুদ্ধে গঠিত অপরাধের বিচার দাবিতেও এখান জাবিতে রাজণৈতিক আদর্শের অবস্থান, স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

এ কি রকম ভাঁড়ামী!!!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

ফজলে আজিজ রিয়াদ বলেছেন: ধর্ষণের ক্ষমা নাই।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

কষ্টসখা বলেছেন: জাবির সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা কখনো কোন অনাচারকে প্রশ্রয় দেয় না

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৫

এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: এর প্রমাণ পাচ্ছি না তো ভাই !

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আ.আ.আজাদ বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৫

মো: ইলিয়াস বলেছেন: ছাত্রদলের মেয়েরা জোরে কথা বলছে, ছাত্রলীগের মেয়েরা চুপ। ইয়াসমিনকে নিয়ে ছাত্রলীগ চিল্লাচিল্লি করলো, সীমাকে নিয়ে ছাত্রদল। এক সঙ্গে কেন নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.