নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরব কথামালা

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে আসতেই হয়, ভাবনা প্রকাশে......!

এম এ হাসান মাহামুদ

লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।

এম এ হাসান মাহামুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফতোয়া দেয়ার অপরাধে হেফাজতের বিচার হবে না কেন?

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৪

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্ট অনেক আগেই ফতোয়া নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম পর্দা এবং নারী স্বাধীনতা নিয়ে যা বলেছে, অনেকেই তাকে ফতোয়া'র সঙ্গে তুলনা করেছিল। এই যুগেও ফতোয়া! একটি বিস্ময়কর শব্দ। সেই আশংকা সত্যি হলো। হেফাজতের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়ার অভিযোগ আনলো একটি খোদ ইসলামী সংগঠন। চট্টগ্রামের একটি ইসলামি সংগঠন অভিযোগ তুলেছে, ‌হেফাজতে ইসলাম নারীর পর্দার নামে ‘অতি পর্দা’ আরোপের ফতোয়া দিচ্ছে।' বুধবার ‘আঞ্জুমানে ইখওয়ানে মারেফাত ট্রাস্ট, চট্টগ্রাম’ নামের এই সংগঠনটি সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ এনেছে।

এখন প্রশ্ন, ফতোয়া দেয়ার জন্য হেফাজতের বিচার হতে পারে না?



সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আল্লামা সাইফুর রহমান নিজামীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মিরসরাই মস্তান নগর জামেয়া রহমানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা আ ম ম শফিউল আলম শফিনগরী নিজামী। এতে বলা হয়, ‘হেফাজতে ইসলাম আইন-আমল-মাসআলা ফতোয়ার বাড়াবাড়ি করে নারীর পর্দার নামে অতি পর্দা আরোপ করে ফতোয়াবাজী করছে।’ নগরীর ভিআইপি টাওয়ারে সংগঠনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে ‘নারী নেতৃত্ব হারাম বা তারা গৃহস্থালী কাজে নিয়োজিত থাকবে’ এমন বিষয় ইসলামে নেই উল্লেখ করে বলা হয়, ‘নারীদের শালীন পোশাক পড়ে পুরুষদের পাশাপাশি সামাজিক, রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখার অধিকার রয়েছে।’





আমরা সাধারণ মানুষ। ৫ ওয়াক্ত নামায পড়তে হয়, রোজা রাখতে হয়, সামর্থ্য থাকলে হজ্ব করতে হয়; মূলত এসব অনুষঙ্গ মেনেই চলি। এর বাইরে যাবতীয় বিষয় নিয়ে আমাদের আমজনতার ভাববার সময় এবং মানসিকতা থাকে না। কিন্তু হেফাজতের মতো ইসলামী কোনো সংগঠন নারীর স্বাধীনতা এবং পর্দা নিয়ে কথা বলে তখন আমাদের চিন্তাই হয়। কিন্তু যখন ইসলামী সমমনা অন্য কোনো সংগঠন একই বিষয়ে ভিন্ন কথা বলে, সাধারণ মানূষের মানসিকতা সাপোর্ট করে এমন কথা বলে, তখন পূর্বের সংগঠনের ওপর কেমন মাথা গরম হতে পারে, বলুন তো!

হেফাজত যদি নারীর স্বাধীনতা এবং পর্দা নিয়ে ফতোয়া ধর্মী কথা বলে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না? স্বাধীন দেশে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, স্বকীয়তা নিয়ে হাসি-তামাশা করার অধিকার কারোরই নেই। হেফাজতেরও নেই।

‘আঞ্জুমানে ইখওয়ানে মারেফাত ট্রাস্ট, চট্টগ্রাম’ হেফাজতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে, সরকারের দায়িত্ব এই অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্রুত এর সত্যতা যাচাই করা। যদি অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে বিচারের আওতায় আনা।

কারণ ইসলাম কোনো তামাশার বস্তু নয়।

ইসলামী তরিকত, মাসআলা, বিধান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের বস্তু নয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪০

অনার্য পথিক বলেছেন: আপনি েয মাদ্রাসার হুজুরদের কথা বলছেন (িমরসাই)'র হুজুররা তারা কী তাদের মাদ্রাসায় ফতোয়ার কিতাব পড়ান না? যদি পড়িেয় থাকেন তাহলে তারা েকন এসব পাঠ করান? িচবিয়ে খাবার জন‍্য না পুড়িয়ে ফেলার জন‍্য?

সতি‍্য এটি একটা সরকারী েপাস্ট অথর্াৎ সরকারের তলপিবাহক হবার কতো েয নমুনা তা জানা েগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.