![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
মূল লেখায় আসার আগে একটা ভিন্ন বিষয়ে কথা বলি। আমাদের দেশের অনেক সংসদ সদস্যকে আমরা জেলা প্রশাসককে স্যার বলতে শুনি। একজন জেলা প্রশাসক উপ-সচিব পদ মর্যাদার অধিকারী। এই কথাটিই জানেন না আমাদের অনেক বিজ্ঞ সংসদ সদস্য। শুধু তাই নয়, প্রায়শ: আমরা মন্ত্রীকেও নিজ মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও 'সচিব মহোদয়' বলতে শুনেছ। আপনারা কেউ হয়ত শুনেও থাকতে পারেন।
শুধুমাত্র পদের দায়িত্ব পেলেই হয় না। আর আনুষাঙ্গিক বিষয়াদিও যে বুঝতে হয়, সেটা না হয় নাই বললাম। আমার লেখার উদ্দেশ্যও সেটা নয়।
শনিবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আয়োজিত ‘পোশাক শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ: অভিজ্ঞতা ও করণীয়’ শীর্ষক গণশুনানী অনুষ্ঠানে অংশ নেন ড্যাম মজিনা। এসময় তিনি সব পোশাক কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন সুযোগ দেয়ার বিষয়ে পোশাকশিল্প মালিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। গতকাল মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনার এই মন্তব্য দেশের সরকারের প্রতি অনধিকারচর্চাপ্রবণ, পীড়াদায়ক এবং উস্কানিমূলক বলে এক চিঠিতে মন্তব্য করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। আজ দেশের প্রায় সকল পত্রিকা এই খবর প্রথম পাতায় ছেপেছে। এমনকি মানবজমিন লিড নিউজও করেছে।
চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আমি সত্যি হতবাক তৈরি পোশাক শিল্পে ট্রেড ইউনিয়ন চালুর বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের ওপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি- তাঁর কুটনীতিক শিষ্টাচার এবং পদমর্যাদার সাথে সামঞ্জস্য কি-না। বরং তার মন্তব্য দেশের সরকারের প্রতি অনধিকারচর্চাপ্রবণ, পীড়াদায়ক এবং উস্কানিমূলক বলে মনে হতে পারে।’ তিনি চিঠিতে আরো লিখেন, ‘বাংলাদেশ সরকার তৈরি পোশাক শিল্পে সিবিএ-এর শ্রমিককল্যাণ কমিটি করার অনুমোদনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে এবং শ্রমআইন ২০০৬ সংশোধনের জন্য একটি বিল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকারের এই পদক্ষেপ সর্ম্পকে সম্পূর্ণ অবগতও রয়েছেন।’
মন্ত্রী চিঠির মাধ্যমে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চান, বর্তমানে আমেরিকার কয়টি অঙ্গরাজ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাষ্ট্রিতে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার রয়েছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ট্রেড ইউনিয়ন থাকা না থাকা অপরিহার্যভাবে একটি দেশের সরকারের অভ্যন্তরীন বিষয়। মন্ত্রী চিঠিতে, প্রকাশিত বক্তব্য প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তির অবসান করার আহ্বাণ জানান।
একজন মার্কিন রাষ্ট্রদূত দেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে কখনোই বক্তব্য রাখতে পারেন না। এটা আমাদের ৩ শতাধিক এমপি, কয়েক ডজন মন্ত্রী, হাজার হাজার বিশেষজ্ঞ, অগণিত বুদ্ধিজীবী, কেউ-ই বুঝলেন না। একমাত্র বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তার এই কথার প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দেয়ার মতো সাহস করলেন। অথচ তার এই বক্তব্য/ চিঠির প্রেক্ষিতে এখনো কেউ দ্বিতীয় কোনো মন্তব্য করলেন না।
তবে সবচেয়ে অবাক হলাম. আজ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ২৪.কম-এর জরিপ দেখে। তাদের আজকের প্রশ্ন:
আপনি বলার কে?
পোশাক শিল্পে ট্রেড ইউনিয়ন চালু করতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনার তাগিদকে ‘অনধিকার চর্চা’ বলে মনে করছেন বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। আপনিও কি তা মনে করেন?
অবাকের বিষয় হলো, ৮টা ১০ মিনিট পর্যন্ত জরিপে ৩৮২৭ জন ভোট দিয়েছে। হ্যাঁ - ৪৩% আর না - ৫৭%।
একটা লোক সাহস করে একজন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দেশের প্রতি, সরকারের প্রতি অনধিকারচর্চাপ্রবণ, পীড়াদায়ক এবং উস্কানিমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে কথা বললেন, তার পক্ষে ভোট দিতেও আমরা ভুল বিচার করি।
আমাদের বিচারবুদ্ধি দেখে, সত্যি অবাক হতে হল।
তাহলে কি আমরা সত্যি আমেরিকার গোলাম হয়ে গেলাম। তাদের একজন প্রতিনিধি ইচ্ছে মত কথা বলল। আর আমরা তাকে সাপোর্ট করছি। আসলেই একটি লজ্জার বিষয়।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমেরিকা বিদ্বেষী নই। কিন্তু মজিনার বক্তব্য সাপোর্ট করার কোনো যুক্তিকতা পেলাম না।
২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু নীতিমালাই কি একমাত্র সমাধান বাংলাদেশে?
২| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:০৮
রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: মন্ত্রিরা প্রায়সময় সচিবকে সচিব মহোদয় বলে, আমি দেখেছি।
এমপি'রা ডিসিকে স্যার বলতে দেখিনি।
উপ সচিবরা এমপি দেরকে স্যার বলে না, ভাই বলে। তবে কিছু এমপি আছে যারা আগে ক্যাডার সার্ভিসে ছিল বা মন্ত্রি ছিল তাদের অবশ্য স্যার বলে।
প্রশাসন ক্যাডারের অফিসাররা অন্যান্য ক্যাডারের যত বড় অফিসারই হোক, স্যার বলে না। ভাই বলে। সিনিয়রদের আপনি বলে, ব্যাচমেটদের তুই বলে আর জুনিয়রদের তুমি বলে।
আর বড় বড় দেশের রাষ্ট্রদূতরা সবসময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথাবার্তা বলে। এটা কোন বড় ব্যাপার না। পেটে খেলে পিঠে সইতে হয় যে!
৩| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২২
ধান শালিক বলেছেন: পোষ্টের মূল বক্তব্যের সাথে সহমত । কিন্তু সুযোগ তো আমরাই করে দেই , তাই না ?
২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৪| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২২
ধান শালিক বলেছেন: পোষ্টের মূল বক্তব্যের সাথে সহমত । কিন্তু সুযোগ তো আমরাই করে দেই , তাই না ?
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:০৯
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: বাংলাদেশে গার্মেন্টস এ শিশুশ্রম বন্ধে দায়ি কে ?