নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরব কথামালা

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে আসতেই হয়, ভাবনা প্রকাশে......!

এম এ হাসান মাহামুদ

লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।

এম এ হাসান মাহামুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুপ চেটিয়ার আদ্যপান্ত (বহুল শ্রুত এ লোকটির বিষয়ে আমরা অনেকেই জানি না)

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম-উলফার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।



অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ, বিদেশি মুদ্রা রাখা এবং স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তিনটি মামলায় অনুপ চেটিয়াকে যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। সেই সাজার মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি।



এরই মধ্যে ২০০৫, ২০০৮ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে তিন দফা আবেদন করেন অনুপ চেটিয়া। শরণার্থীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য ২০০৮ সালে জাতিসংঘেও চিঠি লেখেন তিনি।



বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি উলফার সাধারণ সম্পাদক চেটিয়া বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেও মত বদলে সম্প্রতি ভারতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।



ভারত সরকার শুরু থেকেই চেটিয়াকে ফেরত চাইলেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকার কথা বলা হয়। তবে চলতি বছর এই চুক্তি হওয়ায় সে বাঁধা অনেকটাই অপসারিত হয়েছে।



তবে উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার তারিক এ করিম। ১৯ জুলাই শুক্রবার নয়া দিল্লিতে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “বিষয়টি যে অবস্থায় ছিল সেখান থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। তার প্রত্যাবর্তণ প্রক্রিয়াধীন।” কবে নাগাদ এই প্রত্যাবর্তণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তা নির্দিষ্ট করে না বললেও তারিক এ করিম বলেন, অনুপ চেটিয়ার হস্তান্তরের বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের সরকারের মধ্যে ‘অব্যাহত সহযোগিতা’ বজায় রয়েছে। “হস্তান্তর হলে সবাই জানতে পারবেন,” দিনক্ষণ উল্লেখ করে সাংবাদিকরা বারবার জানতে চাইলে উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।





বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র সচিব সি কিউ কে মুস্তাক আহমেদ এবং ভারতের পক্ষে স্বরাষ্ট্র সচিব অনিল গোশ্বামী অনুপ চেটিয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিলে আলোচনা করেন। ভারতের কারাগারে বন্দি বাংলাদেশের দুই তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও সাজ্জাদ হোসেনের হস্তান্তর নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।



২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে। এদের মধ্যে ঢাকার অপরাধ জগতের তখনকার প্রভাবশালী সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান সুব্র্রত বাইনও ছিলেন।



কলকাতার স্পেশাল টাস্কফোর্স সেখানকার কারাইয়া থেকে ২০০৮ সালের ১৩ অক্টোবর সুব্রতকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে কলকাতায় অস্ত্র ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলাও হয়। ওই মামলায় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার গা ঢাকা দেন সুব্রত।



সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯১ সালে নগরীর আগারগাঁও এলাকায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ হত্যার মধ্য দিয়ে তার সন্ত্রাসী জীবনের উত্থান হয়।



সুব্রত বাইন কলকাতায় এবং সাজ্জাদ তিহার কারাগারে বন্দি রয়েছেন। সব ঠিকঠাক থাকলে বন্দি বিনিময়ে ‘বহিঃসমর্পণ চুক্তির’ আওতায় এই তিন জনের হস্তান্তর প্রক্রিয়াই হবে প্রথম ঘটনা।



এখন আমাদের দেখার পালা, আসলে কি হয়?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৪

আশীষ কুমার বলেছেন: কিছুইতো জানালেন না। এসবতো তার বাংলাদেশের ইতিহাস। তার অতীত কি?

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: আসামের জনগণ ভারত রাষ্ট্র থেকে স্বাধীনতা লাভের জন্য অনেককাল ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে। এই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা)। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্য-নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এই দলটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অনুপ চেটিয়া। অনুপ চেটিয়া স্থানীয়ভাবে অনুপ চেতিয়া নামে পরিচিত। যদ্দূর জানা যায়, তার আসল নাম গোলাপ বড়ুয়া। ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। ওই সময় তার কাছ থেকে বাংলাদেশী পাসপোর্ট, স্যাটেলাইট টেলিফোন ও কিছু বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছিল।

১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় ফরেন কারেন্সি অ্যাক্টে একটি মামলা দায়ের করে। পরে পাসপোর্ট অ্যাক্ট ও স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টে আরো তিনটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। এসব মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। অনুপ চেটিয়ার প্রথম পর্যায়ের কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হয় ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট। চারটি মামলায় ১১ হাজার টাকা জরিমানা পরিশোধ না করায় আরো দেড় বছর কারাদণ্ড ভোগ করেন তিনি। সে হিসাবে তার কারাদণ্ডের মেয়াদ ছিল ২০০৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সাজার মেয়াদ শেষ হলেও অনুপ চেটিয়াকে মুক্তি না দেয়ায় তার পক্ষে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা। অনুপ চেটিয়া নিজে বাংলাদেশের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। তা না হলে অন্তত বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে নিরাপদ গন্তব্যে যাওয়ার সুযোগ চান। কিন্তু উচ্চ আদালত তাকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেয়া যাবে না মর্মে নির্দেশ দেন। অনুপ চেটিয়ার রাজনৈতিক আশ্রয় প্রসঙ্গে তখন আদালতের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপের বিষয়টি খুব আলোচিত হয়েছিল।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

নীল জানালা বলেছেন: এইডা বুঝি অনুপ চেটিয়ার আদ্যোপান্ত হৈল? মিয়া.... কিতা কৈতাম.......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.