![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
ফেলানীকে চিনি না আমরা এমন কেউ নেই। কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি কে দেখিনি?
কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী। কপাল পোড়া এই মেয়েটি মারা গীয়ে আমাদের দেখিয়ে গেছে আমরা কতটা অসহায় জাতি, একটি জাতির ক্ষমতার কাছে আমরা কতটা অসহায়, আর আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কতটা কোমড় ভাঙ্গা। বিএসএফ-দের সেই অমানবিকতা এখনো বহাল আছে। এই বিচারের মাধ্যমে যদি কিছু একটা হয়!
শুক্রবার বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ফেলানী নিহতের ঘটনায় ভারতে বিশেষ আদালতে বিচার শুরু হচ্ছে। কুচবিহারে বিএসএফের এই বিশেষ আদালতে আগামী ১৩ আগস্ট বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ফেলানীর বাবা, মামাসহ একটি প্রতিনিধিদল ভারতে যাবে।
২০১১ সালের ০৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে পঞ্চদশী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের জওয়ানরা। ফেলানীর বাবা নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা ইউনিয়নের বানার ভিটা গ্রামের নুরুল ইসলাম নূরু ১০ বছর ধরে দিল্লিতে কাজ করতেন। তার সঙ্গে সেখানেই থাকতো ফেলানী।
দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় বাবার সঙ্গে ফেরার পথে সীমান্ত পার হওয়ার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে যায় ফেলানীর। এতে ভয়ে সে চিৎকার দিলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে এবং পরে লাশ নিয়ে যায়।
কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ সরকার ও মানবিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির পক্ষ থেকেও বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে ফেলানী হত্যার বিচারের জন্য চাপ দেয়া হয়।
বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মার্চে নয়াদিল্লীতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে ফেলানী হত্যার বিচার দ্রুত শুরু করা হবে বলে আশ্বাস দেন বিএসএফের মহাপরিচালক। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বিএসএফ সদর দপ্তর সম্প্রতি ‘জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্ট’ গঠন করে এবং আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য বাংলাদেশের দুইজন সাক্ষী, একজন আইনজীবী এবং বিজিবির একজন প্রতিনিধিকে ভারতে যেতে বলা হয়।
সে অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কুড়িগ্রামের ৪৫ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউল হক খালেদ, কুড়িগ্রাম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন এবং ফেলানীর বাবা মো. নুরুল ইসলাম ও মামা মো. আব্দুল হানিফকে ভারতে গিয়ে সাক্ষ্য দেয়ার অনুমতি দিয়েছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৬
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: সবসময় স্মার্ট থাকাটা এক ধরনের মানসিক সমস্যা। ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়। তা্ই মাঝে মাঝে আতেলও হতে হয়। কিছু বুঝা গেল রায়ান ঋদ্ধ ?
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:১৮
চলতি নিয়ম বলেছেন: অবশ্যই বিচার হতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৭
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: এই দেশে এখন ভাত কাপড়ের চিন্তা অনেক বড়। ফেলানি নিয়ে কে ভাববে বলুন? যে এইসব বলে হয় সে আঁতেল, না হয় উদ্দেশ্য প্রণোদিত!!