![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
দেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে যারপরনাই ঝমেলায় আছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে এই ঝামেলা সামলানোর হয়ত অঘোষিত দায়িত্ব পড়েছে বিচক্ষণ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ওপর। এ কারণে যারপরনাই ঝমেলায় পড়েছেন তিনি! যদিও সম্প্রতি মিড়িয়ার সামনে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ সামলাতে ‘হিমশিম’ খাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার দুই বছরের মাথায় গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থেকে নোবেলজয়ী ইউনূসকে অপসারণের পর থেকে ‘চাপ’ সামলাতে হচ্ছে তাকে। গত সোমবার গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সাংবাদিকদের কাছে তুলে দেয়ার সময় নিজের ‘যাতনার’ কথা জানান মুহিত, যে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার সময় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তিনি বলেন, “ইউনূস সাহেব যে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, সরকার প্রধান, সংসদ সদস্যদের দিয়ে চিঠি লেখান, এর উত্তর দিতে দিতে আমার ঘাম বের হয়ে যায়। এটা একটা যাতনা।”
২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থেকে ইউনূসকে অপসারণের পর তার সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। এরপর গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপেও প্রতিক্রিয়া দেখায় পশ্চিমা দেশগুলো। ইউনূস নিজেও অভিযোগ করেন, সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে ভেঙে ‘টুকরা টুকরা’ করতে চাইছে। তা প্রতিরোধে দেশবাসীর সহায়তাও চান তিনি। আর এতে তার প্রতি সমর্থন জানায় বিএনপি।
অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার গ্রামীণ ব্যাংক ‘দখল’ করতে চায়- ইউনূসের এ দাবি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’। উল্টো গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয় ধরে ইউনূস সরকারবিরোধী ‘অপপ্রচারে’ লিপ্ত বলেও অভিযোগ করেন মুহিত।
এদিকে সম্প্রতি রাজনীতিবিদদের আনাগোনা বেড়ে গেছে ড. ইউনূসের কাছে। আজ একটি পত্রিকা প্রধান সংবাদ (লিড নিউজ) করেছে- 'হটলাইন ইউনূস সেন্টার' এই শিরোনামে। এমনকি তিনি নির্বাচন নিয়ে প্রতিনিয়ত কথাও বলে যাচ্ছেন। এখন দেখার বিষয়, আগামীতে কি হয়?
সূত্র:
Click This Link
©somewhere in net ltd.