![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাল কিছু করার চেষ্টায় আছি....
সময় নিজের আপন গতিতে চললেও তাকে নিজস্ব কাজে ব্যবহারে জন্যই অনেকে এখন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাষ্ট্র-ভূ-খন্ড, গণতন্ত্র-সংবিধান, রাজনীতি আর সমাজ-ব্যবস্থা সর্বত্রই এক একটা নতুন ইস্যু পুরানো সব ইস্যুর মৃত্যু ঘটাচ্ছে। দুই পক্ষ বিভক্ত সবাই ! কেউ করছে নিজের প্রচার ; অন্যপক্ষ ব্যস্ত সমালোচনায়। প্রচারকারী ব্যক্তিবর্গের কাছে সমালোচনার ইস্যুটি কতটুকু গ্রহণযোগ্য সেদিকে নজরদারী আছে শুধু দুই পক্ষকে দেখে যারা বিলাপে মগ্ন!
দ্বিতীয় পক্ষ পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে সমালোচনা করবে এর জন্য আত্ম সমালোচনা উপলব্ধি করা খুবই জরুরী। সমালোচনার মুখে পড়ে নিজে ক্ষিপ্ত হওয়া আসলে কি ঠিক? সহজ কথায় বলতে হলে নিজেকেই সর্বপ্রথম বুঝতে হবে। কোথায়, কোন অংশে নিজের ত্রুটি লুকিয়ে আছে! লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, মানুষ যতই খারাপ কাজ করুক বা নিচ হতে নিচে হীনচেতা জীবে পরিণত হোক তবুও পাশের ব্যক্তি কিছুই বলবে না। সচরাচর এটাই হয়ে আসছে। কারণ ব্যাখ্যায় ফলাফল আসবে এ ধরণের, দৈনন্দিন তার সাথে যোগাযোগ, চলাফেরা ও কাজে কর্মে লেগে থাকা বা আত্মীয়-স্বজন অথবা স্বার্থ উদ্ধারের বড় উপদান হিসেবে উক্ত ব্যক্তিকে ব্যবহার করা।
এখানে আত্ম সম্মানেরও একটা ব্যপার আছে! অন্য সকলের অবস্থান থাকে বাহিরে নিজেকেই লুকানো যায়। সু-সম্পর্কের টানে অনেকেই এই সমালোচনা থেকে বিরত। সাধারণ ভাবেই যদি চিন্তা করা হয়, সমালোচনা করলে ঐ ব্যক্তি নিজেকে সংশোধন করতে পারে। ছোট ছোট ত্রুটি গুলো সংশোধন করে ফের নিজের যোগ্যতাকে সমাজ ব্যবস্থার কাছে তুলে ধরতে পারে। তবে সুযোগ দেয়া অবশ্যই প্রয়োজন।
এ কথা শতভাগ সত্য, কখনও কখনও কষ্ট পাওয়া ভাল, এতে নিজের প্রতি মনোযোগ বাড়ে। অধিক আনন্দে আর প্রীতির মাঝে ডুবে থাকা মানুষগুলো নিজেদের কতটুকু বুঝতে পারে! কতটুকু ধরতে পারে নিজের ভুল ত্র“টি? কেউ যদি নিজের মাঝে ব্যবধান খুঁজে বা নিজেকে উঁচু সিঁড়ির লোক বলে ধারণা করে। আর বাকিদের রথ যাত্রার ন্যায় হেটে যাওয়া পথিকদের মতো তুচ্ছ ও সবার জন্য ভৃত্যের আসনটাই শ্রেয় মনে করে। তবে নিজের সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা থাকে না। বুঝে না তারা বাকিদের ছাড়া তার কোন অস্তিতই নেই। এজন্য ঐসব ব্যক্তিদের সমালোচনা গ্রহণ করা ঠিক নয়। তাতে কান দেয়াও উচিত নয়। কারণ সে সমালোচনা করতে পারে না। করতে পারে শুধুই কু-আলোচনা! আর কু-আলোচনা কখনই সঠিক পথ দেখাতে পারে না।
সফল হবার জন্যই নিত্যদিন আমরা নতুন নতুন কর্ম সম্পাদন করছি। নব চিন্তা, পরিকল্পনা; সেসব বাস্তবায়নে দৈনন্দিন পরিশ্রমের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নিত্য-নতুন নানা ইস্যু। কখনও শতভাগ সফলতায় মুখে হাসি; কখনোবা নিজের ত্রুটিজনিত কারণে ব্যর্থতায় কষ্ট পাওয়া। তবে স্বীয়-কর্মে সব-সময় শতভাগ সফলতা আসবে এমন ভাবা যেমন ভুল তদ্রূপ সম্পাদিত ঐ কর্মে ত্রুটি থাকা স্বর্ত্বেও আত্ম ধ্যানে মগ্ন হয়ে কোন মতামত দিয়ে দিলেই সার্বজনীন তা গ্রহণ যোগ্যতা পাবে এমনটা আশা করাও বোকামি। কিছু সংখ্যক ব্যক্তি সর্বদা আলোচনা-সমালোচনা জন্য প্রস্তুত! এমন হওয়াটাও স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে সমালোচনাটাকেও গুরুত্ব দেয়া উচিত। এতে আত্মউপলব্ধির মাধ্যমে নিজের গত হওয়া সময়ের সঠিক মূল্যও সহজে বুঝা যায়।
©somewhere in net ltd.