![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আন্ধারে জোনাকের খোজে হাতড়ে বেড়ানো কোনো এক জন, এক প্রতিবেশীর মাথার পোকা আরেক প্রতিবেশীর মাথায় ছড়িয়ে বেড়ানো কোনো এক জন।
তিন জনের গল্প বলি। একজন সাত হাজার পাঁচশো তেষট্টি বছরের হাটঠাকাটঠা বুড়া, একজন তেত্ত্রিশ বছরের বুড়া যুবক আর আরেকজন এগারো বছরের মেয়ে।
বুড়াজন দুনিয়ার অর্থপূর্ণ আর অর্থহীন ইতিহাস জেনে আর রহস্যের সন্ধানে ব্যস্ত। যুবকজন জীবনের ত্রিশে নাই যে জীবন নিয়ে কি করবে তার কোনো ধারনা তার কাছে নাই, কিন্তু সে পয়ত্রিশেও নাই যে জীবনে কী করা লাগবে তার সব কিছু তার সেট হতে শুরু হবে, মাঝামাঝি। আর মেয়েজন মাত্রই প্রকৃতির যৌবন রূপলীলার পরিচয় পেয়েছে।
বুড়ামানুষটা শুধু তার মনের ইতিহাসের খিধা মিটায় আর আশপাশ দেখে বলে, কোনটার কোনো মূল্য নাই আর কোনটার মূল্য অদৃষ্টের শেষে বোঝা যাবে। যুবকমানুষটা শুধু দেখে। মেয়েমানুষটার বাস্তবিক রহস্য- সৌন্দর্যের অভিঞ্জতা না থাকলেই বা কি কল্পনায় তার আকংক্ষার বাসনা যে তার ঢের বেশি।
লম্বা সময় ধরে দেখতে থাকা বুড়াটা তারপর আবার বলে এতকিছু দেখেও কোনো কিছুকে বিচার না করতে। এইকালের যুবকটা ঠেকে শেখার চেয়ে সে শুধু দেখেই শিখে নিতে চায়, প্রশান্ত নিস্তব্ধতা করা ছাড়া আর আছে কি এখানে। আর সেই মেয়েটা প্রতিদিনেরটা প্রতিদিন শিখে নেয় ভবিষ্যতের আশায়।
বুড়া জানে পরিশেষে শূন্যতাই থাকবে। যুবক দেখে দেখে শিখতে শিখতে সে শিখে, অনেক লম্বা তালিকার ব্যাপারগুলা যেগুলা ঠেকে শিখার আকর্ষন বেশি। মেয়ের ব্যাপারে আর কি বলার সে তো সেই উত্তেজনাকেই খুজে বেরাচ্ছে।
সবশেষে রাতে ছোট মেয়েটা চোখ বুজে শুয়ে পরে। বুড়াজনও দিন শেষে বিশ্রামে যায়। আর যুবক বাইরের আকাশ দেখতে শুরু করে।
©somewhere in net ltd.