নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
"রন্তু'র কালো আকাশ" সব পর্ব
রন্তু মায়ের কাছ থেকে হঠাৎ পাওয়া বাড়তি আদর উপভোগ করতে লাগলো মায়ের গায়ে হেলান দিয়ে। সকালবেলার মন খারাপ ভাবটা হুট করেই কোথায় যেন হারিয়ে গেল, মনটা খুব ভাল হয়ে উঠল। শুধু একটা আক্ষেপ শিশু মনে জেগে রইল... এখন যদি পাশে বাবাও থাকতো, তবে কি ভালই না হত। রন্তু মনে মনে বলল, ‘এই যে বাবা, তুমি কি শুনছো? প্লিজ রাগ না করে চলে আস না এখানে... প্লিজ... প্লিজ... প্লিজ...’
আগের পর্ব শেষ হয়েছিল এইখানটায়। যারা আগের পর্বগুলো মিস করেছেন তাদের জন্য রইলঃ
(পূর্ব ঘটনা প্রবাহঃ রন্তু, শায়লা আর জাভেদের একমাত্র সন্তান। জাভেদের সাথে শায়লার প্রনয় থেকে পরিণয়, পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর শায়লা ধীরে ধীরে বুঝতে পারে জাভেদ ভয়ঙ্কর রকমের মানসিকভাবে অসুস্থ। এক সময় মানিয়ে নিতে না পেরে ছোট্ট শিশু রন্তুকে নিয়ে মায়ের বাসায় চলে আসে। তাদের মিউচুয়ালি ডিভোর্স হয়ে গেছে। মা-বাবার এই টানাপোড়নে শিশু রন্তুর মানসিক জগতের গল্প, সাথে তার নিত্যদিনকার প্যাচালি, এই হল এই গল্পের উপজীব্য। গত এক বছর হল জাভেদ, রন্তুর বাবা রন্তুকে স্কুলের গেটে মাসে এক-দুইবার দেখা করতে আসে। এখন রন্তু’র ক্লাস টু এর ফাইনাল এক্সাম শেষ হল মাত্র। গত পর্বে জাভেদ ছেলেকে দেখতে এসেছিল, তার কথাবার্তা আর আচরণে মনে হয়েছে সে শেষবারের মত ছেলেকে দেখতে এসেছে। মানসিক সমস্যাগ্রস্থ জাভেদ পরিবার, আত্মীয় পরিজন হতে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে একাকী জীবন পথে হেঁটে চলেছে। অপর দিকে রন্তুর মা শায়লা এক প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করছে, যেখানে তার এক সিনিয়র পোস্টের সহকর্মী ইরফানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে প্রণয়ের দিকে, যার ইঙ্গিত গত পর্বে পাঠকরা পেয়েছেন। আর পিতামাতা’র সম্পর্কের এই টানাপোড়নে পড়ে কেমন চলছে আমাদের রন্তুর জগত তা জানার জন্য আসুন এবার আবার শুরু করা যাক)
১০.
মানুষের মন বড় আজব এক বস্তু, এর ভাবার্থ বোঝা বড় দায়। মন কখন কি ভাবে, কি করে, কোন পথে ধাবিত করে জীবনের গতিপথ তা ঠাওর করা বুঝি মানুষের কম্ম নয়। মানুষ হিসেবে সে শুধু পারে মন নামক এক পাষণ্ডের কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে। খুব কম মানুষই এই শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে পেরেছে, যারা পেরেছে তারা মানব সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে, হয়েছে বরেণ্য, স্বনামধন্য, সাধারণ থেকে অসাধারণ। কিন্তু শায়লার মত আটপৌরে জীবনের মানুষেরা সবসময় এই মনের কাছে হেরে গিয়ে বেঁচে থাকে, আর তাই মনের কাছে পরাজয়’কে নিয়তি হিসেবে ভেবে নিয়ে নিজেকে প্রবোধ দেয়।
গত তিনদিন হল শায়লা অফিস কামাই করছে, অফিসে ফোন করে জানিয়েছে অসুস্থতার কথা। এখনো সিক লিভ, ক্যাজুয়াল লিভ মিলে প্রায় বিশের উপর ছুটি পাওনা আছে তার, তাই এটা নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা নেই। কিন্তু এমডি স্যার শায়লার উপর অনেক নির্ভর করেন, স্যার তাকে পিএ হিসেবে ট্রিট করেন না, আপন মেয়ের মতই স্নেহ করেন। তাই, অনেকটা নির্ভর করেন দৈনন্দিন কাজে শায়লার উপর। তাই সে অফিস মিস করলে এমডি স্যারের বড় অসুবিধা হয়ে যায়। শায়লা এটা জানে, তাই অফিস মিস করাতে খুব খারাপ লাগছে স্যারের জন্য। কিন্তু শায়লা নিরুপায়, সে নিজে বুঝতে পারছে মানসিকভাবে সে প্রচণ্ডরকম দ্বিধায় ভুগছে। ইরফানের স্বপ্নময় ভালবাসার হাতছানি তাকে প্রলুব্ধ করছে অতি গোপনে, কিন্তু বাস্তবতার ইস্পাত কঠিন দেয়াল তাকে বেঁধে রাখছে সারাক্ষণ।
গত তিনদিন হল একরকম বিছানাতেই আছে শায়লা, শীতের দিন বলে লেপমুড়ি দিয়ে বিছানায় শুয়ে থাকতে খুব একটা খারাপ লাগছে না। কিন্তু সমস্যা হল শায়লার মা একটু অবাক হচ্ছে মেয়ের এই হঠাৎ পরিবর্তন দেখে। মেয়ের গায়ে জ্বর নেই, অন্য কোন শারীরিক অসুস্থতাও নেই, কিন্তু মেয়ে শরীর ভালো লাগছে না বলে তিনদিন হল অফিস যাচ্ছে না। শায়লার মা মহা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন, মেয়েকে কয়েকবার জিজ্ঞাসা করেও কিছু জানা যায় নাই। অফিসে কোন ঝামেলা হয়েছে কি না? বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসা করেছেন, মেয়ে প্রতিবারই বলছে কিছু হয় নাই। কাজ করতে করতে নাকি হয়রান হয়ে গেছে, তাই একটু রেস্ট নেয়া। উনি আর কিছু বলেন নাই মেয়েকে, কিন্তু উনি বুঝতে পারছেন কোথাও কোন একটা সমস্যা হয়েছে, মেয়ে তার কাছে লুকাচ্ছে। এতো সমস্যার মাঝে আবার নতুন কোন সমস্যা এসে দেখা দেয় এই চিন্তায় তার নিজেরও আর কিছু ভালো লাগছে না।
শায়লা নিজেও ভেবে পাচ্ছে না আসলে সে কাকে ফাঁকি দিতে বাসায় বসে আছে? তার এই লুকিয়ে থাকা’র কোন মানে নেই সে নিজেও জানে। কিন্তু সে যে নিজেই নিজের মনের কাছে হেরে বসে আছে। মনের আয়নায় নিজের মুখোমুখি দাঁড়াতে তার খুব ভয় হয়, সে জানে নিমিষেই ধরা পড়ে যাবে তার হৃদয়ের গোপন কুঠিরে ইরফানকে ঘিরে বইতে থাকা চোরাস্রোত। তবে একি নিজের কাছ থেকে নিজের লুকিয়ে বেড়ানো নয়। শায়লা এসব ভাবতে গেলেই তার মাথাটা ভীষণ যন্ত্রণা করছে। উফ... জীবনে কেন এতো কষ্ট, কেন?
“মা, তোমার কি আবার মাথা ব্যাথা করছে?” রন্তু ঘরের দরজার কাছ থেকে ভীতু ভীতু চোখে জিজ্ঞাসা করল। গতকাল মা তাকে কড়া করে একটা ধমক দিয়েছে, কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর না করার জন্য। তারপর থেকে রন্তু মা’কে এড়িয়ে চলছে, কখন জানি ধরে আবার মারতে আরম্ভ করে। নানু বলেছে, মা’র শরীর খারাপ করেছে, মা’কে জ্বালাতন না করতে। রন্তু খুব মজা পেয়েছে নানুর কথায়, মা’কে রন্তু জ্বালাতন করতে যাবে কোন দুঃখে? নানু’র কথার কোন আগা মাথা নেই... তবে রন্তু মায়ের মুখ দেখে বুঝতে পারছে মার শরীর খারাপ, সাথে মনও খুব খারাপ, অফিস যায় নাই কয়দিন ধরে।
“কেন? তুই কি ডাক্তার? মাথা ব্যাথার ওষুধ দিবি?” মা হেসে জিজ্ঞাসা করল। রন্তু একটু অবাক হল, গত দুইদিনে এই প্রথম মা’কে হাসতে দেখল।
“বড় হয়ে যদি ডাক্তার হই, তাহলে দিব”
“তার মানে ততদিন আমার মাথা ব্যাথা থাকবে?”
“আমি কি তাই বলেছি নাকি?”
“থাক থাক, তোকে আর বলতে হবে না। ছোট মামা বাসায় নাই?”
“উঁহু... একটু আগে বন্ধুদের সাথে বেড়িয়ে গেল।”
“হুমম...”
“আচ্ছা মা... ডাক্তার হওয়া কি খুব কঠিন? ছোট মামা বলেছে, ডাক্তারী পড়া নাকি খুব কঠিন?”
“কিভাবে বলি? আমিতো ডাক্তারি পড়ি নাই... কঠিন হলে কঠিন, তরল হলে তরল। এদিকে আয়তো রন্তু...”
মায়ের দিকে রন্তু এগিয়ে গেল, মায়ের পাশে খাটে বসল। শায়লা ছেলের হালকা কোঁকড়ানো চুলে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো, রন্তুকে আরও একটু কাছে টেনে নিল নিজের। এই ছেলে আজও সেই ভালোবাসার বন্ধন হিসেবে রয়েছে শায়লার কাছে। সেই ভালবাসা, তার প্রথম ভালবাসা, তার সেই স্বপ্নের শেষ চিহ্ন হয়ে। এসব ভাবতে ভাবতে ছেলের মাথার ঝাঁকড়া চুলে আঙ্গুল বুলোচ্ছিল আনমনে আর হুট করেই মনে পড়ল জাভেদের কথা। ছেলের চুলগুলো হয়েছে ঠিক বাবার মত, ছেলের দৈহিক গড়নও বাবার মতই হবে। মুখের আদল পুরো বাবার মত, ঠিক যেন জাভেদের ছোট্ট একটা প্রতিকৃতি। কিন্তু ছেলের স্বভাব হয়েছে ঠিক বাবার উল্টো, শায়লা এতে কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত হয়, ছেলে বাবার মত মানসিক গঠনের না হলেই ভালো হয়। জাভেদের কথা মনে হলেই শায়লার চোখে এতো এতো স্মৃতি ছাপিয়ে একটি স্মৃতি ভেসে ওঠে, রক্তাক্ত হাত নিয়ে জাভেদের সেই ভয়ংকর হাসি ধরে রাখা মুখে বলা একটি কথা, “শায়লা দ্যাখো, এই হাত...এই হাত তোমার গায়ে তুলেছি আমি! তাই এই হাতকে শাস্তি দিলাম...”
রন্তু মায়ের কোলে ঘেঁষে বসে রইল চুপটি করে। মায়ের শরীরের মিষ্টি গন্ধ আর মায়ার ওমে বসে বসে সে এক কল্পনার জগতে হারিয়ে গেল। ইদানীং সে প্রায়ই একটা খেলা খেলে, নিজের মনে। মনে মনে সে বাবা আর মা’র সাথে কথা বলে, এই কথা কথা খেলাটা তার খুব ভালো লাগে। আজ সেই স্বপ্নের জগতের খেলায় তারা রয়েছে তাদের সেই আগের বাসায়। সেখানে রন্তু আরা তার বাবা-মা...। সে তার খেলা শুরু করে দিল...
“এই শুনছো, খুব মাথা ধরেছে, ঘরে কোন ট্যাবলেট আছে নাকি?” মা বলল বাবাকে উদ্দেশ্য করে।
“না নেই। শোন শায়লা, নিজে নিজে ডাক্তারি করে কোন ঔষধ খাবে না কখনো।” বাবা বলল।
“ইস... পণ্ডিত আমার। শোন রন্তুকে নিয়ে আজ একটু নিউমার্কেটের দিকে যেতে হবে” মা বলল বাবাকে উদ্দেশ্য করে।
“কেন? ও বুঝেছি... ওর জন্মদিনের ড্রেসটা আনতে তো?” বাবা রন্তুর দিকে চেয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিল। মা দুই হাত দিয়ে মাথার দুই পাশ চেপে ধরল। রন্তু বাবা’র দিকে চেয়ে বলল,
“বাবা, তুমি মা’র মাথাটাতো একটু টিপে দিতে পার? তাই না?”
“না পারি না? তুমি দেখছ না আমার হাতে ময়দা মাখা... তোমাদের জন্য আলু-পরাটা বানাচ্ছি...”
“ইয়াক... আমি এটা খাই না...”
“তোমাকে কে দিচ্ছে... আমি বানাচ্ছি তোমার মা'র জন্য। তোমার মা খুব পছন্দ করে”
“ওমা! তুমি তো বললে তোমাদের জন্য বানাচ্ছি...”
“ঐটা তো কথার কথা”
“মা, ভালোই হল এখন থেকে বাবা রান্নাবান্না করবে, তুমি আর আমি আরাম করে খাব”
শেষের লাইনটা রন্তু স্বশব্দে বলে ফেলায় শায়লা শুনতে পেল এবং খুব অবাক হল। শায়লার অবাক হওয়া চেহারা দেখে রন্তু নিজেও খুব অবাক হল, নিজের অজান্তে কখন মনে মনে খেলা শব্দগুলো উচ্চারিত হয়ে বেড়িয়ে গেছে রন্তু বুঝতেই পারে নাই। নিজের বোকামিতে নিজে লজ্জা পেল, রন্তু নিজের ভুল বুঝতে পেরে গুটিয়ে গেল। মনের ভেতরে কথা কথা খেলা খেলতে খেলতে কখনো জোরে কথা বলে ফেলেছে সে নিজেও টের পায় নাই। ইস... মা কি তাকে পাগল ভাববে? পাগল ছাড়া আর কে এমন উদ্ভটভাবে নিজের মনে কথা বলে? রন্তু মায়ের কোল হতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ছাঁদের দিকে দৌড় লাগাল। শায়লা হতভম্ব হয়ে বসে রইল, রন্তু নিজে নিজে কথা বলে সে আগেও খেয়াল করেছে। বিড়বিড় করে কি যেন বলে, শায়লার মা বলে বাবার মত পাগল হবে, হাজার হলেও বাবার রক্ত শরীরে, বংশের দোষ।
শায়লার এসব শুনতে ভালো লাগে না, রন্তুর জীবনে কোন অমানিশার ছায়া সে দেখতে চায় না। কিন্তু রন্তুর আজকের কথা শুনে শায়লা বুঝতে পারছে ছেলে মনে মনে তার বাবাকে মিস করে খুব। না না বাবাকে নয়, একটা পরিবার মিস করে... যেখানে শায়লা আছে, জাভেদ আছে, রন্তু আছে, আর আছে মিষ্টি সুখের এতোটুকু পরশ... এতটুকু নয়... এত্তগুলান। কিন্তু সেই স্বপ্নের জীবনতো সেই অতীতে শুরুর আগেই শেষ হয়ে হারিয়ে গেছে কালের গহবরে। আজ কোথায় সে, কোথায় জাভেদ। এর বেশী আর শায়লা ভেবে উঠতে পারল না। দুচোখ বেয়ে অশ্রুধারা’র সাথে ডুকরে কেঁদে উঠলো সে চারদেয়ালের মাঝে।
[ 'রন্তু'র কালো আকাশ' প্রথমে একটি এক পর্বের ছোট গল্প আকারে লিখেছিলাম। কিন্তু 'রন্তু' আমার খুব প্রিয় একটি চরিত্র বিধায় আমি সিদ্ধান্ত নিই ২৫ পর্বের একটি ধারাবাহিক আকারে উপন্যাস লিখবো (যদিও জানি সে যোগ্যতা আমার নেই, তারপরও অপচেষ্টা আরকি)। সেই থেকে এই লেখা। তবে প্রতিটি পর্ব আমি এমনভাবে লেখার চেষ্টা করছি যেন একেকটা পর্বই একটা ছোট গল্প হিসেবে পাঠক পড়তে পারে। গত জুলাই মাসে শেষ পর্ব-৪ লিখেছিলাম। এরপর অনেক লম্বা বিরতি পড়ে গেল। এরপর পর্ব-৫ সহ একসাথে পাঁচ পর্ব দিয়ে পোস্ট করলাম গত সেপ্টেম্বর মাসে; তারপর আরও দুটি পর্ব ৬ এবং৭ লিখে আবার লম্বা বিরতি পড়ল। এরপর পর্ব-৯ লিখে আবার দিলাম ডুব। এবার প্রমিজ করছি না, তবে চেষ্টা করব নিয়মিত লিখে যেতে। আসলে আমি নিজেই শিওর না কোন ধারাবাহিক গল্প লেখার যোগ্যতা আমার আছে কি না তা নিয়ে। আসলে আমি কোন গল্পকার নই, তারপরও নিজেকে গল্পকার হিসেবে ভাবতে ভালো লাগে। আর তাই মাঝে মাঝে গল্প লেখার এমন অপপ্রয়াস ঘটাই। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে বিরতি দিয়ে এই ধারাবাহিক উপন্যাস হিসেবে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবো। একজন পাঠক হিসেবে আপনাদের পাশে পাবো এই আশা রাখি। রন্তু আমার খুব প্রিয় একটা চরিত্র, আর তাই আমি এই উপন্যাস শেষ করবোই, আর তা সম্ভবত ২৫ পর্বে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ]
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা আপু। রন্তুর সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল। রন্তু'র প্রতি আপনার ভালোলাগা জেনে ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন সবসময়।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:১৬
শ্রেষ্ঠা বলেছেন: অবশেষে...
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুমম অবশেষে...
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অপপ্রয়াস ভালো লেগেছে।
+++
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ রাজপুত্র, পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ভালো থাকুন সবসময়।
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২২
ডি মুন বলেছেন: দীর্ঘ বিরতির পর রন্তু সিরিজ আবার চালু হয়েছে দেখে আনন্দ পেলাম।
ভালো লাগল পড়ে।
বিশেষ করে রন্তুর মনে মনে মা-বাবার কথোপকথনের ব্যাপারটা একটা নতুনত্ব যোগ করল।
এগিয়ে চলুক রন্তু। আমরা তার জীবন যাত্রায় সহযাত্রী হই।
+++++
শুভকামনা সবসময় বোকা মানুষ ভাইকে
১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ডি মুন... রন্তু সিরিজ এগিয়ে চলার পেছনে আপনার অনেক অবদান রয়েছে রে ভাই। রন্তু সিরিজ লেখার জন্য সবসময় আমাকে উৎসাহ দেয়া বলি আর তাগাদা দেয়া বলি, তা দিয়েছেন আমার প্রিয় ব্লগার ডি মুন। রন্তু সিরিজ যতদিন চলবে ততদিন ডি মুন সাথে থাকবে। এবার আর দীর্ঘ বিরতি দেয়ার ইচ্ছা নাই। দেখা যাক কি হয়...
ভালো থাকুন, সাথে থাকুন।
৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮
কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভাল লাগছে আরেকটা পর্ব পেয়ে । ++++
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ কলমের কালি শেষ রন্তু সিরিজের সাথে থাকার জন্য, ভালো থাকুন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: রন্তু আমার ও অনেক প্রিয় একটা চরিত্র
কেমন খুব বোঝে..