নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

জলজ পর্যটন সম্ভাবনা এবং সাম্প্রতিক কিছু আশা জাগানিয়া উদ্যোগ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১১



নদীমাতৃক দেশ, আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরিচিতি তুলে ধরতে গেলে প্রথমেই চলে আসে নদী, বঙ্গোপসাগর এবং বদ্বীপ এই দেশ এর কথা। অথচ আমাদের দেশের পর্যটন ভাবনায় বরাবরই অবহেলিত হয়ে এসেছে এই নদ-নদী, হাওর-বাওর, খাল-বিল সহ পুরো জলজ ভুবনটি। ভারতের কেরালা ভ্রমণে গিয়ে তাদের হাউজবোট কেন্দ্রিক পর্যটন এর বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখে মনে হয়েছিল আমাদের দেশে কেন কাপ্তাই লেক, সুন্দরবন, বরিশালের ব্যাকওয়াটার এ নেই হাউজবোট এর মত চমৎকার ব্যবস্থাপনা যা দেশের পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর। সারা বিশ্বের মোট পর্যটন খাতের বিশাল অংশ আসে ক্রজশিপ, সৈকত সংলগ্ন পর্যটন কার্যক্রম সহ নানান জলজ আধার থেকে। অথচ আমাদের দেশের মূল প্রোথিত আছে যেই নদীকেন্দ্রিকতায়; তা নিয়ে আমাদের দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা কর্ণধার'দের কোন কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ে না। তবে আজকের লেখার অন্যতম বিষয় সাম্প্রতিক সময়ের কিছু উদ্যোগ যা ভবিষ্যতে জলজ পর্যটন’কে এগিয়ে নিতে বড় ভুমিকা রাখতে পারে বলে মনে করি।

এক সময় সমগ্র দেশব্যাপী প্রায় হাজার খানেক ছোট-বড় নদ-নদী এবং তাদের নানান শাখা-প্রশাখা নিয়ে জালের মত ঘিরে রেখেছিল আমাদের এই দেশকে। সময়ের পরিক্রমায় বর্তমানে তা ৩০০-৫০০ যা মতান্তরে ৭০০'র মত। পানি উন্নয়ন বোর্ড এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে নদীর সংখ্যা এখন ৪০৫ টি। পাউবো কর্তৃক নির্ধারিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী (১০২টি) , উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী (১১৫টি), উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী (৮৭টি), উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী (৬১টি), পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের নদী (১৬টি) এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী (২৪টি) হিসেবে বিভাজন করে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সূত্রঃ বাংলাদেশের নদীর তালিকা । তার সাথে “বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ড”এর তথ্যানুসারে দেশে মোট ৪১৪টি হাওর রয়েছে, যা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবানুসারে ৪২৩টি। সূত্রঃ বাংলাদেশের হাওরের তালিকা । এছাড়া সারাদেশ ব্যাপী রয়েছে অসংখ্য খাল-বিল সহ নানান জলাধার। এই সকল জলজ আধারগুলোকে পরিকল্পিতভাবে পর্যটন এর জন্য ব্যবহার করলে করোনা পরবর্তী এই সময়ে দেশীয় পর্যটন খাত এর বিকাশ যেমন ঘটবে; তেমনি পর্যটন এর সাথে সংশ্লিষ্ট লাখো মানুষের কর্মসংস্থানে হবে প্রাণসঞ্চার। একই সাথে বিস্তার ঘটবে ইকোট্যুরিজম এবং কমিউনিটি ট্যুরিজম এর সম্ভাবনা। যার হাত ধরে উন্নয়ন ঘটবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর। কিন্তু সেইরকম কোন পরিকল্পিত উদ্যোগ কখনো চোখে পড়ে না আমাদের দেশে। তবে আশার কথা সাম্প্রতিক সময়ে কিছু উদ্যোগ বেসরকারী খাতে নেয়া হয়েছে; যা সরকারী সহযোগীতা পেলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন পর্যটন এর পরিধি বৃদ্ধিতে প্রভাবক এর কাজ করবে বলে আশা করা যায়। আজকের পোস্টের মূল বিষয়বস্তু এই উদ্যোগগুলো নিয়ে। আসুন দেখা যাক সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারী খাতে নেয়া কিছু উদ্যোগ এবং কার্যক্রমঃ

সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণঃ বছর দুয়েক আগে সর্বপ্রথম বেসরকারী উদ্যোগে কক্সবাজার হতে মহেশখালী-সোনাদিয়া ডে ক্রজ ট্যুর দিয়ে এই উদ্যোগগুলোর প্রারম্ভিক যাত্রা। যদিও সেই উদ্যোগটি তেমন সাফল্য পায় নাই, কিন্তু কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য কিছুটা ভিন্নতর আয়োজন ছিল যা নিয়মিত হলে কক্সবাজার এ বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের অন্যতম আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারতো; পর্যটকেরা পেতে পারতো বাড়তি উদ্দীপনা। এর প্রায় বছর খানেক পরে আসে কক্সবাজার থেকে সমুদ্রপথে সরাসরি সেন্টমার্টিন ভ্রমণ এর ক্রজশিপ। যদিও সমুদ্রযাত্রার “সী-সিকনেস” এবং সমুদ্রের ঢেউ এ অস্বাভাবিক দুলুনি নিয়ে সেই আয়োজন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল; কিন্তু সকল সীমাবদ্ধতা যদি উত্তরণ করে এই উদ্যোগটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়; তাহলে কিন্তু দেশীয় পর্যটন এর পালে নতুন হাওয়া লাগতে পারে। আর সর্বশেষ সংযুক্ত হয়েছে সরাসরি চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিন চলাচলকারী ক্রজশীপ। যদি সফলভাবে এই শীপ কার্যক্রম অব্যহত থাকে তাহলে ঢাকা থেকে সন্ধ্যের ট্রেনে চট্টগ্রাম রওনা দিয়ে রাত ১১-১১:৩০ এর শীপে চড়ে পরদিন সকালে সেন্টমার্টিন… বদলে যেতে পারে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন কেন্দ্রিক পর্যটন এর চেহারা। আর এইসকল ক্রজশীপ এ কেবিন সিস্টেম থাকায় পর্যটকদের সেন্টমার্টিন দ্বীপে রাত্রিযাপন না করে শীপে রাত্রী যাপন করলে চাপ কমতে পারে প্রবাল দ্বীপটিতে। তাই এই উদ্যোগগুলোতে এগিয়ে আসা উচিত সরকারী সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাগুলোকে। পিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) এর মাধ্যমে এই উদ্যোগগুলো শতভাগ সফল এবং নিরাপদ করার উদ্যোগ নিলে এগিয়ে যাবে এদেশের পর্যটন খাত, এগিয়ে যাবে দেশের জলজ পর্যটন।

কাপ্তাই লেকে হাউজবোটঃ সদ্য শুরু হওয়া এই উদ্যোগ আমাকে ব্যক্তিগতভাবে উদ্বেলিত করেছে। বহুদিন ধরে আমার স্বপ্ন ছিল, শুরুতে উল্লেখ করা কাপ্তাই লেক, সুন্দরবন, টাঙ্গুয়ার হাওর, বরিশাল ব্যাকওয়াটার এ চলবে হাউজবোট; যেখানে পর্যটকদের জন্য থাকবে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা। রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকে গত ডিসেম্বর মাস হতে বেসরকারী উদ্যোগে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় শুরু হয়েছে ২ দিন ১ রাতের প্যাকেজ নিয়ে হাউজবোট ট্রিপ। এই হাউজবোটে কেরালার হাউজবোটগুলোর মত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে; নিঃসন্দেহে যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আশা করি এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে এবং সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় এর পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে আগত দিনগুলোতে।

টাঙ্গুয়ার হাওড়ে উন্নত নৌযানঃ বিগত বছর দুয়েক হল বেসরকারী উদ্যোগে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে চালু হয়েছে হাই-কমোড টয়লেট সহ সকল মৌলিক সুবিধা সম্বলিত নৌযান, যা হাওড় এ বেড়াতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সকলের কাছে সমাদৃত হয়েছে। আমাদের হাওড় অঞ্চলে নিচু ছাঁদের যে নৌযান রয়েছে তাতে করে দুই থেকে তিন দিনের হাওড় ভ্রমণে মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক কার্যগুলো সম্পাদনে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়; বিশেষ করে খাওয়া, ঘুম, টয়লেট ইত্যাদি’তে। আর তাই, এই নব্য যুক্ত হওয়া নৌযানগুলো আশার সঞ্চার করেছে। যদিও অত্যন্ত সীমিত পরিসরে এই উদ্যোগ এবং উচ্চমূল্যের নৌযান ভাড়া’র কারনে সমালোচিতও হয়েছে; কিন্তু তারপরও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে হয়ে। আশা করি আগত দিনগুলোতে তারা এবং তাদের পথে ধরে আরও নতুন উদ্যোক্তা এগিয়ে আসবে পর্যটন এর এই শাখাটিতে।

কায়াকিংঃ দেশের নানান এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কায়াকিং সাইটগুলো। স্বল্প খরচে ছুটির দিনে অথবা সপ্তাহের যে কোন দিনে কায়াকিং এর মজা নিতে পারে এডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটক। ঢাকার আশেপাশে সহ কাপ্তাই, সীতাকুণ্ড, সিলেট, দক্ষিণবঙ্গ সহ নানান জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন বেসরকারী উদ্যোগে কায়াকিং পয়েন্ট গড়ে উঠেছে। এখন দরকার এসকল উদ্যোগে সরকারী সহায়তা এবং আরও ঢেলে সাজানো কার্যক্রম। যাতে করে দেশীয় পর্যটনে এডভেঞ্চার এক্টিভিটি বেইজড ট্যুরিজম এর পরিধি বৃদ্ধি পায়।

প্যাডেল স্টিমারঃ BIWTC'র প্রায় শত বছরের পুরোনো তিনটি প্যাডেল স্টিমার সার্ভিস মাঝখানে বন্ধ থাকার পর আবারও চলাচল শুরু করেছে। বর্তমানে প্যাডেল স্টিমার পাবলিক টান্সপোর্ট হিসেবে পৃথিবীর আর কোথাও চলছেনা। পি এস লেপচা, টার্ণ ও মাহসুদ নামের তিনটি প্যাডেল স্টিমার নৌযানগুলো ঢাকা থেকে খুলনা নৌপথে চলাচল করছে। বিস্তারিত শিডিউল পাওয়া যাবে BIWTC'র ওয়েবসাইট এর এই লিংকেঃ ঢাকা থেকে খুলনা অভ্যন্তরীন যাত্রী সার্ভিস (প্রতিদিন) । এই ঐতিহ্যবাহী নৌপথে বর্তমানে প্রচুর দেশী-বিদেশী পর্যটক সপ্তাহান্তে ভ্রমণ করছে। এই সার্ভিসটি যথাযথ প্রচারণা এবং প্রণোদনা পেলে দেশীয় অভ্যন্তরীন জলজ পর্যটন এ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করি।

New Year's Eve midnight Cruise প্যাকেজঃ দেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত হয়েছে নিউ ইয়ার মিডনাইট ক্রজ। বেসরকারী উদ্যোগে ক্রজ শীপ এ করে ৩১ শে ডিসেম্বর রাত ০৭:৩০ এ শুরু হয়ে পরদিন ০১ জানুয়ারী সকাল ০৯:০০টা পর্যন্ত বিলাসবহুল এই আয়োজন আলোচিত সমালোচিত হলেও পর্যটন ভাবনা এবং জলজ পর্যটন এ একটি মাইলস্টোন বলে মনে করি। পর্যটন এমন একটি খাত যার ব্যাপ্তি অনেক বৃহৎ পরিসরে। তাই সকল ধরনের উদ্যোগ এর প্রয়োজন এবং সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এই আয়োজন আমার কাছে আশা জাগানিয়া বলে মনে হয়েছে।

উপরের প্রতিটি উদ্যোগই বদলে দিতে পারে আমাদের দেশের পর্যটন এর ভবিষ্যৎ, যদি পাওয়া যায় উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রণোদনা। আশা করি সরকারী এবং বেসরকারী সকল পর্যটন সংশ্লিষ্ট মহল এই জলজ পর্যটন এবং নদী ভিত্তিক পর্যটন এ আরও গুরুত্ব সহকারে উদ্যোগী হবেন। কেননা, বুড়িগঙ্গা হতে তুরাগ এর যে ওয়াটার বাস সার্ভিস অনেক আশা এবং স্বপ্ন তৈরী করেছিল, তা কিন্তু পূর্ণতা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই ওয়াটার বাস সার্ভিস সদরঘাট হতে গাবতলী ছাড়াও গুলশান-হাতিরঝিল রুটে চালু করা উচিত; যদিও সেই রুটে কিছু সার্ভিস বিদ্যমান ছিল; এখনো আছে কি না আমার জানা নেই।

সবশেষে একটি কথাই বলবো; নদীমাতৃক দেশের সকল উন্নয়ন কার্যক্রমে নদীকে বিবেচনা করা উচিত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে; আমাদের দেশে তা হচ্ছে সবচেয়ে অবহেলিত। সকল মৃতপ্রায় নদীকে ড্রেজিং, অবৈধ দখল সহ নানান নদী শাসনের নামে চলা অপতৎপরতা বন্ধ করে নদীভিত্তিক মজবুত অবকাঠামো বিনির্মান এবং সেই সূত্র ধরে দেশীয় পর্যটনের বিকাশে উদ্যোগী হওয়া এখনই জরুরী। কেননা, বিশ্ব পর্যটন সংস্থাগুলো’র কাছ হতে পাওয়া বার্তায়, আগামী কয়েক বছর সকল দেশকে আভ্যন্তরীণ পর্যটনে সর্বোচ্চ মনযোগী হতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নইলে বিগত প্রায় এক দশক ধরে সারা বিশ্বের সবচেয়ে ধারাবাহিক এবং উচ্চতর প্রবৃদ্ধির যে শিল্পখাত, পর্যটন শিল্প, তা ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন হবে।

আশা করি বোকা মানুষের কথা, কেউ হয়ত না শুনলেও, কোন একদিন বোকা মানুষের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত হবে…

সঙ্গত কারনে প্রতিটি উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয় নাই এবং সংশ্লিষ্ট ছবি কপিরাইট ইস্যুর কারনে আলাদা করে পোস্ট করা হয় নাই। যে কেউ চাইলে একটু কষ্ট করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুগলে সার্চ করলেই সকল উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠানের নাম এবং অন্যান্য তথ্য পেয়ে যাবেন।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ঢাকার ভিতর অনেক খাল ছিল,সেগুল ভরাট করাও মারাত্মক ভুল হয়েছে।খালগুলো থাকলে যানজট অনেক কম হতো।জলাবদ্ধতাও হতো না।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঠিক বলেছেন, সবকটি খাল যদি পূর্ণ নাব্যতা এবং বিস্তৃতি'তে বিদ্যমান থাকতো, তাহলে নৌরুটে চলাচল ঢাকার আভ্যন্তরীণ যানবাহনের চাপ কমাতো নিঃসন্দেহে। সেই সাথে আমরা ঢাকাবাসী কিছুটা বিনোদনের সুযোগও পেতাম।

পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইলো, ভালো থাকুন সবসময়।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার কিছু উদ্যোগ। এই উদ্যোগ আরো ত্রিশ বছর আগে নেওয়া উচিত ছিলো।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হা হা হা, পঞ্চাশ বছর আগে হলে আরও ভাল হতো... =p~ =p~ =p~

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায়,





একটি সম্ভাবনাময় খাতের বিষয়ে চমৎকার লেখা হয়েছে।
এই জলজ পর্যটন আসলেই আমাদের ভাঙা ভাঙা পর্যটন শিল্পের ফাঁক-ফোঁকড় ভরাট করতে পারে অনেকটাই। এবং তা যতো দ্রুত হয় ততোই মঙ্গল।

বোকা মানুষের স্বপ্ন সফল হোক .....

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।আসলে আমাদের দেশে পর্যটনকে তেমন গুরুত্ব নিয়ে বিবেচনা করা হয় না, যা হয় তার বেশীরভাগই আইওয়াশ। যেটুকুই হচ্ছে, তা বেসরকারিখাতে, ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে। তাই ভাঙা ভাঙা নয়, পরিপূর্ণতাই পেতে পারে এই শিল্প; যদি সরকার সঠিক পরিকল্পনার সাথে ঢেলে সাজাতে পারে এই খাতকে। আর হ্যাঁ, অবশ্যই তা যতো দ্রুত হয় ততোই মঙল; কেননা সারা বিশ্বে অন্যতম অগ্রসরমান শিল্পখাত হলো; পর্যটন শিল্প।

পাঠ এবং মন্তব্য এ কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকুন সবসময়।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৭

কোলড বলেছেন: I really like this idea of New Years Eve Midnight Cruise. At last a "sanitized" sex tourism in Bangladesh. Amin...summa amin!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: Thinking Simply, Make Simple
Thinking Differently, Make Difference

Thanks for reading & comment...

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ সে এক দারুণ ব্যাপার ই হবে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দারুণ ব্যাপারটি যে কবে হবে, সেটাই প্রশ্ন মনিরা সুলতানা আপা।

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৫৪

স্প্যানকড বলেছেন: দেহেন যারা দেশ চালায় তাদের মনপুত হয় কি না? স্বপ্ন তো কতই থাকে পূরণ কি হয় ! ভালো থাকবেন, আইডিয়া চমৎকার! উন্নত বিশ্বে আছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আহারে ভাই, তাদের পর্যন্ত যদি কথা পৌঁছাইতো...

৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৫৪

স্প্যানকড বলেছেন: দেহেন যারা দেশ চালায় তাদের মনপুত হয় কি না? স্বপ্ন তো কতই থাকে পূরণ কি হয় ! ভালো থাকবেন, আইডিয়া চমৎকার! উন্নত বিশ্বে আছে।

৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৫

এমেরিকা বলেছেন: নৌ পর্যটনের শুরুটা হয়েছিল কুখ্যাত রাজাকার মীর কাসেমের হাত ধরে - কেয়ারী সিন্দাবাদ ও কর্নফুলী দিয়ে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আলোচ্য বিষয়ের সাথে অপ্রাসঙ্গিক বলে বোকা মানুষ কিছু বলতে চায় না...

৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


করোনাভাইরাসের কারণে ট্যুরিজম খরার মধ্যে অনেক দরকারি বিষয়ে প্রাসঙ্গিক পোস্ট দিয়েছেন, বোকা মানুষ! আশা করছি, টিকার আগমনে পর্যটনখাতে উৎসাহ ফিরে আসবে। শুনেছি কাপ্তাই বোট ক্লাব ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত পর্যটন জাহাজ চালু হবে।

জলজ অথবা নৌপর্যটন যা-ই বলুন, নদীখেকুদের কথা মনে পড়ে যায়। কত নদী খাল আমরা হারিয়েছি তার হিসেব নেই।
ড্রেজিং করবে কোথায়, সেখানে তো বিল্ডিং! ঢাকার সার্কুলার সার্ভিস কবে চালু হবে কে জানে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: করোনাকালে সবচেয়ে সংকটপূর্ণ হয়েছে ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি, অথচ আমাদের দেশে এ নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই। TOAB এবং ATAB এ নিবন্ধিত ট্যুর অপারেটর এবং এজেন্সির সংখ্যাই প্রায় ৪২০০। এর বাইরেও কয়েক হাজার অপারেটর; অজস্র হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট, বাস-শিপ-এয়ারলাইন্স সহ এই সেক্টরের সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ'ভাবে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার এর সংখ্যাটা নেহায়েতই কম নয়। কিন্তু আমাদের দেশে ট্যুরিজম নিয়ে ভাবছে কে? মনে আছে কি না সকলের জানা নেই আমার; ২০১৬ সালে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করা হয়েছিল সরকারীভাবে; তাও ০৩ বছর ব্যাপী। সাম্প্রতিক খবর স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষ্যে ২০২১ সালকে ফের পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করা হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব ঘোষণা'র উদ্দেশ্য-বিধেয়, লক্ষ্য-উদ্যোগ কি? তা আদৌ জানা যায় না। আর ফলাফল? "সার্চ - দ্যা খোঁজ"।

পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইবে মইনুল ভাই। ভালো থাকুন সবসময়।

১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬

কল্পদ্রুম বলেছেন: নদীমার্তৃক বাংলাদেশ আমরা৷ অথচ নদীকেই ঠিকমত ব্যবহার করতে পারছি না। বাংলাদেশে জলজ পর্যটন আমার কাছে সবসময়ই খুব সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র মনে হয়েছে। তবে যারা এই ব্যবসা করছেন তাদের চিন্তা ভাবনা বদলানো উচিত আমার মনে হয়। কক্সবাজার টু সেন্টমার্টিনের ক্রুজ শিপের ভাড়া যা শুনলাম সেটা যথেষ্ট বেশি। ভাড়া বেশি হোক। কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশের দেশী পর্যটকদের গড় বাজেটের সাথে সামঞ্জস্য রাখা উচিত৷কাপ্তাই লেকে কায়াকিং,ঢাকা-খুলনা রুটে প্যাডেল স্টিমার খুবই চমৎকার পর্যটন আকর্ষণ। এগুলো নিয়ে আরো প্রচারণা করা উচিত। নৌ পথে বাংলাদেশ টু ভারত ভ্রমণও নৌ পর্যটনের অংশ হতে পারে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: SWOT Analysis করা হয় নাই এই দেশের; নইলে মূল Strength যে নদীমাতৃকতা এবং তার উর্বর পললভূমি 'কে ঘিরে কৃষি; সেটাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা হয়েছে কতটুকু, এটা ভেবে দেখা উচিত।

আর পর্যটন ব্যবসা নিয়ে বলতে গেলে বলবো, আসলে ব্যক্তিগত বা বেসরকারি উদ্যোগে কতটা সাফল্য আসবে তা প্রশ্ন রাখে। পর্যটকের বাজেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যবসায়ী তার পণ্য বানাবে নাকি বাজেট অনুযায়ী পর্যটকের উচিত গন্তব্য নির্ধারণ করা, তা তর্কের অবকাশ রাখে।

আর নৌপথে বাংলাদেশ-ভারত চলাচলের খবর গত বছর পত্রপত্রিকায় দেখেছি, দেখা যাক কবে নাগাদ বাস্তবায়িত হয়।

পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন, ভালো থাকা হোক সর্বদা।

১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমাদের দেশটা ছোট হলেও পর্যটনে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এক পার্বত্য চট্টগ্রামকে ব্র্যান্ডিং করেই দেশের পর্যটনশিল্পে গতি আনা যায়। তারপর সুন্দরবনতো আছেই। আপনি যেটা বললেন সে বিষয়ের সাথে দ্বিমত করার কিছু নেই। সমস্যা হলো আমরা নিজেরাও খুব সভ্য হতে পারিনি। উদ্যোগ যে একেবারে হয় না, তা নয়। কিন্তু যেকোনো উদ্যোগকে ভেস্তে দিতে আমাদের প্রতিভা অপরিসীম। নদীমাতৃক এই দেশে নৌচলাচল, নৌপর্যটন অন্যতম খাতই হওয়ার কথা ছিলো। সেটা হয়নি।

সরকারী উদ্যোগগুলোতে দুর্নীতির পরিমাণ বেশি হয় আর বেসরকারি উদ্যোগগুলোতে দ্রুত মুনাফা করার চিন্তায় খরচ বেশি হয়, আল্টিমেটলি কোনোটাই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে না।

সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পদ্ম পুকুর। আসলে ব্রান্ডিং কনসেপ্ট নিয়ে তেমন কাজ হয় কি না পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভাগ সমূহে, তা অনেক বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন'র পেছনেই থাকবে। সুন্দরবন এর মতো পর্যটন কেন্দ্রে সরকারী ব্যবস্থাপনায় নিয়মিত ক্রুজ এন্ড বোট কম্বাইন্ড ট্যুর প্যাকেজ থাকা উচিত ছিলো। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এ নানান আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক এনক্লোজার পাওয়া সম্ভব ছিল, হতে পারতো বীচ স্পোর্টস ইভেন্ট, স্যান্ড আর্ট ফেস্টিভ্যাল, বীচ হাইকিং কম্পিটিশন সহ নানান আয়োজন। পার্বত্য চট্টগ্রামে "বৈসাবি" কে ব্রান্ডিং করা যেতে পারতো। পাশের দেশ ভারতের ঊড়িষ্যা'র স্যান্ড আর্ট ফেস্টিভ্যাল, নাগাল্যান্ড এর হর্ণবিল ফেস্টিভ্যাল স্বচক্ষে দেখে মনে হয়েছিল এই কথাগুলো। কিন্তু এসব বিষয়ে ভাবার অবকাশ হয়ত নেই আমাদের ট্যুরিজম প্ল্যানার'দের।

তারপরেও কিছু কিছু উদ্যোগ, খবর, আশার সঞ্চার করে; হয়তো একদিন হবে.... অনেক কিছুই।

১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১৬

সোহানী বলেছেন: পোস্ট দেখে ভালো লাগছে। কিন্তু পোস্টের সাথে সময় করে মন্তব্যের উত্তরতো দিতে হবে!!!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আন্তরিকভাবে দুঃখিত, অনিচ্ছাকৃত বিলম্বে প্রতিত্তরের জন্য। আগামীতে বিষয়টি মাথায় থাকবে। :)

১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আশা জাগানিয়া উদ্যোগ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলেই খুব আশা জাগানিয়া উদ্যোগগুলো। এগুলো ব্যাপক পরিসরে বাস্তবায়ন হওয়া উচিত।

১৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪

আখেনাটেন বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন। আমিও স্বপ্ন দেখি, ব্যাংকের রিভার ক্রজ কিংবা মিশরের নীল নদের রিভার ক্রজের মতো করে বুড়িগঙ্গা ধরে পদ্মা-মেঘনা রিভার ক্রজ একদিন চালু হবে। সন্ধ্যার পরে নদীগুলোতে লাল-নীল আলোকে ধিন তানা আয়োজনে ফ্যামিলি প্যাকেজ থাকবে.......মানুষ সারাদিনের কর্মক্লান্তি শেষে একটুর জন্য হলেও শান্তি খুঁজে পাবে।

এর জন্য নদীর পানিকে দুষণমুক্ত করতে হবে।

চমৎকার লেখাটির জন্য আবারও ধন্যবাদ। :D

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঢাকা শহরের চারিদিকের নদীকে ঘিরে এবং চট্টগ্রাম এর সৈকত এর তীর ধরে ওয়াকওয়ে, কয়েক কিলোমিটার পরপর থিম পার্ক, নানান রেস্টুরেন্ট, নদী/সমুদ্র উপকূল ঘেঁষে ক্রুজশিপ তৈরী করা খুব বেশী চ্যালেঞ্জিং কিছু না। এতটুকু করলে কিন্তু এই শহরবাসীদের যেমন অবসর যাপনের ব্যবস্থা হবে; তেমন শহরের বাইরে থেকে যে কেউ বেড়াতে এসে খুব সহজেই মূল শহরে প্রবেশ না করেই এই বাউন্ডারি লাইনের পর্যটন এলাকা ঘুরে ফের শহর হতে বের হয়ে যেতে পারবে। ইস কেউ যদি এই বোকা মানুষটার কথাগুলো শুনতো...!

পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইবে। ভালো থাকা হোক প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.