নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
স্পীডে গাড়ী চলা শুরু করলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গাড়ীর এসি; একদিকে দিল্লী-আগ্রা এলাকার আটত্রিশ ডিগ্রী তাপমাত্রা, অন্যদিকে খুব করে চাইছিলাম বিকেলের মধ্যে আগ্রা পৌঁছে আগ্রা ফোর্ট ভ্রমণ সেরে ফেলতে। ভারত ভ্রমণের সেবারের ট্রিপ ছিলো এখন পর্যন্ত আমার সবচাইতে ছোট ব্যাপ্তির ভারত ভ্রমণ। মাত্র চারদিনে দিল্লী-আগ্রা-ফতেহপুর সিক্রি-জয়পুর ভ্রমণ!!! কিছু করার নাই, অনেকের ঈদের ছুটি সব মিলিয়ে ছয়দিন এর বেশী এই ট্যুর এর জন্য বের করতে পারে নাই। ফলে তাদের কথা মাথায় রেখেই ট্যুর প্ল্যান। দিল্লীর হোটেল থেকে সকাল সকাল চেক আউট করে বিড়লা লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির, রাজঘাট গান্ধী মেমোরিয়াল আর লালকেল্লা দেখে দুপুরের শুরুতেই আমরা দিল্লী-আগ্রা এক্সপ্রেস হাইওয়ে ধরেছিলাম। আশা ছিলো বিকাল চারটার মধ্যেই পৌঁছে যাবো আগ্রা, কিন্তু সেই আশায় বদ ড্রাইভার আর তার গাড়ী মেলে দিলো অপয়া ঘাগড়া...
গরমে অতিষ্ট হয়ে কখনো এসি ছেড়ে গাড়ী ধীর গতিতে চললো, আবার কখনো এসি বন্ধ করে জানালা খুলে দিয়ে গতি বাড়ানো হল। এই করতে করতে যখন পৌঁছলাম আগ্রায়, তখন সন্ধ্যার লালিমার হোলিতে আকাশ লাল হয়ে জানান দিচ্ছে সন্ধ্যে শেষে রাত্রিরা নামলো বলে। এই ট্রিপে সবচাইতে ভালো ছিলো আগ্রার হোটেল "দ্যা সান", সেখানে চেক ইন করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। ফলে আজকে আর কিছু করার নাই, দলের সবাইকে নিজেদের মত করে অলস সময় যাপনের জন্য পরামর্শ দিয়ে আমি ফোনে ঝগড়া শুরু করলাম এজেন্ট আর তার ড্রাইভার এর সাথে। কিন্তু সেই পুরানো কথা, এখন কিভাবে গাড়ী চেঞ্জ করা যাবে, সম্ভব না... ব্লা ব্লা ব্লা
আগ্রা শহরটি উত্তর ভারতের উত্তর প্রদেশ অঙ্গরাজ্যের আগ্রা জেলার রাজধানী শহর যা পড়েছে একেবারে উত্তরপ্রদেশ এর শেষ সীমানার দিকে। শহরটি ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। এখান থেকে শ'দুয়েক কিলোমিটার এর মধ্যে একদিকে দিল্লী আরেক দিকে জয়পুর; যা মিলে ভারতের "গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল" খ্যাত পর্যটন দ্রষ্টব্য ত্রিভুজ গড়ে তুলেছে। তাজমহল এর সুরক্ষার জন্য যমুনা নদীর তীর ঘেঁষে থাকা এই শহরে শিল্পের প্রসার নিয়ে সরকারী বাঁধা থাকায় এখানকার জনপদ তেমন একটা উন্নত নয় দিল্লী বা জয়পুর এর তুলনায়।
উল্লেখ্য যে, মুঘল সম্রাট আকবর ১৫৬৬ সালে বর্তমান আগ্রা শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন, যা অল্পদিনেই সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়। ১৬৪৮ সাল পর্যন্ত এটি মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল এবং উক্ত বছরই সম্রাট আওরঙ্গজেব রাজধানী আগ্রা থেকে দিল্লীতে স্থানান্তর করেছিলেন। প্রায় সতেরো লক্ষ লোকের আবাস বৃহত্তর আগ্রা জেলাটি। দুই দশকের বিচার বিভাগীয় সক্রিয়তা, প্রধান নীতি ঘোষণা এবং কোটি কোটি টাকার প্রকল্প সত্ত্বেও তাজ শহর আগ্রা বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহর। দূষিত জল এবং বিষাক্ত বায়ু দূষণ বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করে চলেছে। আগ্রা শহরে তুলা, খাদ্যশস্য, তামাক, লবণ ও চিনির উৎপাদন ছাড়াও স্বল্প পরিসরে কলকারখানায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং সুতির টেক্সটাইল, কার্পেট, লোহা ও ইস্পাত উৎপাদন হয়।
এখানে তাজমহল, আগ্রা ফোর্ট সহ ঐতিহাসিক বেশ কিছু স্থাপনা রয়েছ। এই স্থাপনাগুলোর সুরক্ষার জন্য তাজ ট্র্যাপিজিয়াম জোন অথরিটি (টিটিজেডএ) আগ্রার শিল্প-কারখানা গুলিতে দুই ডজনেরও বেশি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞাগুলির বেশিরভাগই বাস্তবে বাস্তবায়িত হওয়ার চেয়ে কাগজে-কলমে রয়ে গেছে। ফলস্বরূপ, তাজমহল সারা বছর দূষণে নিমজ্জিত থাকে। শত শত দূষণকারী শিল্প বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও আগ্রা ভারতের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলির মধ্যে একটি, প্রতি বছর পেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে যেখানকার বাতাসের গুণমান আরও খারাপ হচ্ছে। আগ্রা বেড়াতে আসা পর্যটকদের এই বাতাসে শ্বাস নেওয়ার সময় এখানকার বাতাসের দূষণ অনুভূত হয়।
দলের বাকীরা এই ফাঁকে আগ্রা শহরটা ঘুরে এলো, কেউ কেউ টুকটাক শপিং করেও ফেললো। আমি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম হোটেলের ছাঁদে। এই ট্যুরে যাওয়ার আগে শুনেছিলাম, পূর্ণিমায় তাজমহলে রাতের বেলা টিকেট কেটে প্রবেশ করা যায়, যদিও আগের দিন পূর্ণিমা চলে গেছে। আমার আশা ছিলো পূর্নিমার পূর্ণ জোছনায় সফেদ শ্বেত পাথরের তাজমহল ঝলমলিয়ে আলোকিত করবে চারিদিক। ছাঁদ থেকে দূরে অন্ধকারে কালো একটা আবছায়া মত দেখা যাচ্ছে, কিন্তু আমি যা ভেবেছিলাম তার ধারে কাছের কিছু ছিলো না। নিজের অতি কাল্পনিক মন এর জন্য মনে মনে নিজেই লজ্জা পেলাম।
এরপর মন খারাপ একটা অনুভূতি নিয়ে রুমে ফিরে এলাম। রাত নয়টার মধ্যে সবাইকে তাড়া দিয়ে ডিনার শেষ করে যার যার রুমে ঘুমাতে চলে গেলাম। কাল ভোরবেলা আমরা দেখতে যাবো প্রেমের সমাধি তাজমহল। সন্ধ্যার পরপর আমাদের কালকের তাজ আর আগ্রা ফোর্ট ভ্রমণের জন্য যে গাইড তার সাথে কথা হলো, তার পরামর্শেই আমরা ভোরবেলা তাজমহল দেখে হোটেলে ফিরে এসে নাস্তা করে হোটেল হতে চেক আউট করবো। সেখান থেকে ফাতেহপুর সিক্রির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে পথিমধ্যে দেখে নিবো আগ্রা ফোর্ট। এই ছিলো পরের দিনের প্ল্যান।
একদিনে আসলে আগ্রা ভালো মত দেখা যায় না। আগ্রা জেলায় প্রসিদ্ধ ভ্রমণ গন্তব্যের তালিকায় ফতেপুর সিক্রি, আগ্রা ফোর্ট আর তাজমহল ছাড়াও রয়েছেঃ আকবরের সমাধি, ইতিমাদ-উদ-দৌলার সমাধি, মরিয়মের সমাধি, মেহতাব বাগ, জামে মসজিদ, খাস মহল, চিনি কা রওজা, গুরুদ্বার গুরু কা তাল, রাজা যশবন্ত সিংহের ছত্রী প্রভৃতি। আমি সাধারণত কোন এলাকা ভ্রমণে গেলে চেষ্টা করি মোটামুটি সব কয়টা ভ্রমণ গন্তব্যে ঢুঁ মারার, কারণ পরবর্তীতে আবার কবে সেইখানে বেড়াতে যাবো তার ঠিক নেই; আদৌ দ্বিতীয়বার সেখানে যাওয়া হবে কি না, কে জানে? ট্রানজিট রুটে পড়ে গেলে কোন কথা নাই; যেমন ভারত ভ্রমণে কলকাতা আর দিল্লী একাধিকবার যাওয়া হয়েছে, কিন্তু অন্য জায়গার বেলায় এমনটা একেবারেই হয় না। তাই এই ট্যুরে প্রতিটা সময় আমার মনে হচ্ছিলো লাদাখ এর দলের সাথে না গিয়ে ভুল করেছি... আগ্রহী পাঠকদের জন্য জায়গাগুলোর ছবি উইকিপিডিয়া এবং উইকিমিডিয়া হতে শেয়ার করলাম; প্রথম তিনটি পরের দিন ভ্রমণ করা হয়েছিলো, বাকীগুলো...
তাজমহল
ফাতেহপুর সিক্রি
আগ্রা ফোর্ট
আকবরের সমাধি
ইতিমাদ-উদ-দৌলার সমাধি
মরিয়মের সমাধি
মেহতাব বাগ
আগ্রা জামে মসজিদ
খাস মহল
দেওয়ান ই আম
চিনি কা রওজা
গুরুদ্বার গুরু কা তাল
রাজা যশবন্ত সিংহের ছত্রী
উৎসর্গঃ আমার ভারত ভ্রমণের এই সিরিজটি ব্লগার "কামরুন নাহার বীথি" আপাকে উৎসর্গ করছি। উনি আমার এই ট্যুরে ট্যুরমেট ছিলেন। গত পহেলা জানুয়ারী রাত এগারো ঘটিকায় বীথি আপা আল্লাহ্র ডাকে সারা দিয়ে পরপারে চলে গেছেন আমাদের সবাইকে ছেড়ে। আল্লাহ্ তার শোকার্ত পরিবারকে এই শোক সইবার ধৈর্য দাণ করুন। আর আপাকে পরপারে আল্লাহ্ সকল গুনাহ (যদি থাকে) মাফ করে তার কবরে আজাব মাফ করুন এবং আখেরাতে বেহেশত নসীব করুন।
প্রথম পর্ব থেকে বীথি আপার এই ট্যুরে যুক্ত হওয়ার ঘটনাটা আবার তুলে ধরলামঃ
ঈদের কয়েকদিন আগে আমি কোন একটা কাজে নীলক্ষেত মোড়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি, একটি অচেনা নাম্বার থেকে কল এলো, কল রিসিভ করতে অপরপাশ থেকে অচেনা কণ্ঠস্বর। আমাদের দলের সাথে যুক্ত হতে চায় এই ট্রিপে। “সামহোয়্যার ইন ব্লগ” এ তখন পর্যন্ত আমার পূর্বপরিচিত কেউ ছাড়া আর কারো সাথে পরিচয় ছিলো না। “সাদা মনের মানুষ” খ্যাত কামাল ভাই এর সাথে পরিচয় ভ্রমণ বাংলাদেশ থেকে। সেই কামাল ভাই এর কাছ থেকে খবর পেয়ে ফোন দিয়ে প্রিয় ব্লগার কামরুন নাহার বীথি আপা। উনি এবং ভাইয়া যুক্ত হতে চাচ্ছেন আমাদের সাথে। আমি একদিন সময় নিয়ে উনাকে কনফার্ম করলাম উনাদের যুক্ত হওয়ার ব্যাপারটা। এরপর উনাদের এয়ার টিকেট এর ব্যবস্থা করা হলো। দল গিয়ে দাড়ালো দশজনের। সিদ্ধান্ত হল চারজনের একটা দল ঈদের দিন রাতে রওনা হয়ে যাবো কলকাতার উদ্দেশ্যে। একদিন পরে বাকী ছয়জন রওনা হবে, যেহেতু কোরবানী ঈদের ছুটি, তাই অনেকেই সারাদিনের কোরবানীর হ্যাপা পোহানোর পর সেদিন রাতেই রওনা হতে রাজী হলো না। ফলে আমরা যে চারজন আগে রওনা হবো, তারা একরাত কলকাতা থেকে পরেরদিন সরাসরি বিমানবন্দর চলে যাবো। অপর দলও সরাসরি বেনাপোল বর্ডার হতে দমদম বিমানবন্দর চলে আসবে। এরপর ঢাকা থেকে সকলের কলকাতার বাসের টিকেট এবং আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করে অপেক্ষার পালা চলতে লাগলো….
ভ্রমণকালঃ সেপ্টেম্বর ২০১৬
গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর, ২০১৬ এর সকল পর্বঃ
* যাত্রা শুরুর আগের গল্প (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০১)
* কলকাতায় অপেক্ষা... (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০২)
* ফ্লাইট মিসড তো ট্যুর ক্যান্সেলড... টেনশনিত অপেক্ষার শেষে (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০৩)
* আগ্রার পাণে যাত্রা (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০৪)
* আগ্রার ঘাগড়ায়, দেখা হলো না নয়ন জুড়িয়া (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৫)
এক পোস্টে ভারত ভ্রমণের সকল পোস্টঃ বোকা মানুষের ভারত ভ্রমণ এর গল্পকথা
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর।
২| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২৩
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো, কিন্তু শেষ বেলায় মনটা খারাপ হয়ে গেলো বিথি আপার জন্য, আল্লাহ বিথি আপাকে বেহেশত নছিব করুন।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। বিথী আপার জন্য দোয়া করবেন এই পবিত্র রমজান মাসে।
ভালো থাকুন সবসময়।
৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার ছবি ব্লগ!
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা, ভালো থাকুন সবসময়।
৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮
শায়মা বলেছেন: বিথী আপার জন্য ভালোবাসা।
কিন্তু ভাইয়া তুমি কি কোনো ভ্রমন দলের সাথে কাজ করো?
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভ্রমণ দলের সাথে কাজ করা না, ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। ২০১২-২০১৫ পর্যন্ত ভ্রমণ বাংলাদেশ এর সাথে ঘোরাঘুরি হয়েছে প্রচুর, আমার ভ্রমণ ব্লগে সেই কথা এসেছেও বারবার। এছাড়া ইকো ট্রাভেলার্স গ্রুপের সাথেও অনেকগুলো ভ্রমণ হয়েছে। ভ্রমণ করতে করতে অনেক ভ্রমণ বন্ধু তৈরী হয়ে যায়, তাদের নিয়ে নিজেদের উদ্যোগেও ভ্রমণ হয়েছে। আমার ভারত ভ্রমণের সব কয়টা নিজের আয়োজনে করতে গিয়ে একসময় ভারতের ১২টি প্রদেশের প্রায় ৪০টির মত শহরে আমার ট্রাভেল এজেন্ট কন্টাক্ট গড়ে ওঠে। ভারত ছাড়াও প্রায় ১২টি দেশে ট্রাভেল এজেন্ট কানেকশন তখন এমন ছিলো যে, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যে কোন জায়গায় গাড়ী, হোটেল সহ প্যাকেজ বুক করতে পারতাম। তখন নিজের প্রফেশনাল একাউন্টেন্সি ক্যারিয়ার বাদ দিয়ে ৩-৪ বছর চেষ্টা করেছিলাম বাংলাদেশে ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করতে, এজেন্সি করে মাঝখান দিয়ে অর্থ, সময় আর পরিশ্রম সব জলে গেছে। সাথে নিজের ক্যারিয়ারের চৌদ্দটা বাজছে। তবে, সেই এজেন্সি হতে এই ট্যুর আয়োজন হয়েছিলো আর এর বাইরে একটা কর্পোরেট ট্যুর করেছিলাম নেপালে যেখানে আমি নিজে গিয়েছি। এর বাইরে সকল ভারত ভ্রমণ এবং অন্যান্য ট্যুর আমার ব্যক্তিগত ট্যুর যা কখনো একা, কখনো দু'চারজন নিয়ে অথবা কখনো বা দল তৈরী করে করা হয়েছে যার সব কয়টায় ননপ্রফেশনাল এন্ড ননপ্রফিটেবল; হিজ হিজ হুজ হুজ টাইপ।
অনেকেরই প্রশ্ন, আমি এত্ত বেড়াই কিভাবে? আসলে আমার একমাত্র খরুচে শখ হচ্ছে ভ্রমণ। আর মাঝে মাঝেই চাকুরী ছেড়ে দিয়ে বেকার হয়ে যাই। এই দুইয়ের সমন্বয়ে অনেক ট্যুর হয়েছে। আবার চাকুরীতে থাকাকালীনও দুই ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় ট্যুর হয়েছে। এই হচ্ছে বোকা মানুষের ভ্রমণ এর ইতিবৃত্ত।
মন্তব্যটা এখানে রইলো, এরপর কেউ প্রশ্ন করলে সহজেই এখান থেকে কপি করে দিয়ে দিবো।
অনেক ধন্যবাদ আপু, সুন্দর একটা প্রশ্ন করার জন্য। প্রশ্নের ধরণ অনেক সময় উত্তর দিতে আগ্রহী করে তুলে, সেটার প্রমাণ ছিলো এই প্রশ্নটা। আগের পোস্টেই কিন্তু একই প্রশ্ন অন্য আরেকজন অন্যভাবে করেছে।
৫| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩৭
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমি তো থুন্দল কলে কথা বলি ভাইয়ু!! কাউকে কষ্ট দিতে চাই না এমনি এমনি। তবুও কতগুলো মানুষ আছে তারা ভাবে আমি ফান করছি তাদেরকে মূল্যায়ন করছি না। আসলে ফান করেও আমি কাউকেই কষ্ট দিতে চাই না। আমি কত্ত ভালো!!!!!!!!!
যাইহোক শোনো আমিও ভাবছিলাম এত এত বেড়াও কেমনে? তখনও মনে হত হয় তুমি শখের ট্রাভেলার নয় কোনো ভ্রমন দলের সাথে আছো। আজ যখন বিথী আপুর কথা বললে তখন তো আমি নিশ্চিৎ হলাম আপু এত মানুষ থাকতে তোমাকে খুঁজবে কেনো?? ভেরী গুড ভাইয়া আমরাও তোমাকে খুঁজবো দিল্লী আগ্রা যেতে হলে। তবে আমি কিন্তু বববো না আমি কে.... বলবো আমি কিন্তু আমি না অন্য কেউ!!!!!!!!!!
২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দল্যভাত এফু
৬| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০১
দারাশিকো বলেছেন: প্রথমেই এক নজরে ছবিগুলো দেখে নিলাম। দেখতে দেখতে ভাবছিলাম - এত চমৎকার করে তুলেছেন ছবিগুলো! আর কতই না ভাগ্যবান - অল্প কয়টা মানুষ দেখা যায়। পরে পড়তে গিয়ে দেখি - উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া।
আগ্রায় গিয়েছিলাম ২০১৯ সালে। ঝটিকা এবং বোকার মত সফর ছিল। কেবলমাত্র আগ্রা ফোর্ট বেড়াতে পেরেছি। তাজমহল বন্ধ ছিল
ভারত ভ্রমণ কাহিনী লিখা শুরু করেছিলাম। কিন্তু বোকামির কাহিনী লেখা ঠিক হবে কিনা সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে স্টপ!
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই পোস্টে উক্ত স্থানগুলোর ভ্রমণ শুরু হয়ে নাই বিধায় পাঠকের জন্য আগ্রার সকল স্থানের এমন ছবি দেয়া হয়েছে, যেন পাঠক আগ্রা সম্পর্কে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠে। আমার তোলা কিছু ছবি আপনার জন্য প্রতিত্তরে দিলাম যার সবগুলো আমার তোলা এবং Xiaomi Redmi Note 3 মোবাইল দিয়ে তোলা।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই পোস্টে উক্ত স্থানগুলোর ভ্রমণ শুরু হয়ে নাই বিধায় পাঠকের জন্য আগ্রার সকল স্থানের এমন ছবি দেয়া হয়েছে, যেন পাঠক আগ্রা সম্পর্কে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠে। আমার তোলা কিছু ছবি আপনার জন্য প্রতিত্তরে দিলাম যার সবগুলো আমার তোলা এবং Xiaomi Redmi Note 3 মোবাইল দিয়ে তোলা।
৭| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:০০
দারাশিকো বলেছেন: আপনার ছবিগুলোও দারুণ! পরের পর্বগুলোতেও আছি।
২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা। ভালো থাকুন সবসময়।
৮| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৪
রানার ব্লগ বলেছেন: ছবি গুলা অসম্ভব সুন্দর।
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
পোস্টের ছবিগুলো আমার তোলা নয়, ধার করা। তবে সহব্লগার দারাশিকো'র মন্তব্যের প্রতিত্তরে আমার তোলা কিছু ছবি শেয়ার করা হয়েছে।
৯| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২৬
জিকোব্লগ বলেছেন:
ফটোগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
তাজমহল , আগ্রা ফোর্ট , আকবরের সমাধি , ইতিমাদ-উদ-দৌলার সমাধি,
মেহ্তাববাগে যাওয়া হয়েছে। পোস্টের বাকি গুলোতে এখনো যাওয়া হয় নি।
এর মধ্যে তাজমহলকেই বেশি সুন্দর লেগেছে।
ভারতে এখন পর্যন্ত আমার দেখায় সবচেয়ে বেশি সুন্দর লেগেছে অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দির।
৩০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ২:২৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন। আমার তাজমহল আর আগ্রা ফোর্ট ছাড়া বাকীদের কারোরই দর্শণ হয়। কিছুদিন আগে লম্বা এক ভারত ভ্রমণে লখনৌ হতে আগ্রা হয়ে জয়পুর গেলাম। বাস হতে জানালা দিয়ে বাম দিকে চেয়ে দেখি তাজমহল দূর থেকে তাকিয়ে আর ডানদিকে সম্মুখ থেকে আগ্রা ফোর্ট ডাকছিলো আমায়। কিন্তু শিডিউলে তাদের জন্য সময় বরাদ্দ না থাকায়, তাদের এড়িয়ে আগ্রার উপর দিয়েই সোজা চলে গেলাম জয়পুর।
১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫
আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন বর্ণনা। একটানে পড়ে ফেললাম। শায়মা আপুকে দেওয়া আপনার প্রতিমন্তব্য পড়ে অভিভূত হলাম। আগে এই সিরিজটি শেষ করি। এরপর আমি এক অদ্ভুত আবদার করবো।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অদ্ভুত আবদার যদি পূরণ করা আমার পক্ষে সম্ভবপর হয়, ইনশাআল্লাহ করার চেষ্টা করবো।
১১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১২
মোগল সম্রাট বলেছেন:
আমি ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত আগ্রা এবং দিল্লি একটা টুর দিতে চাই। তিন বাচ্চা, বয়স ৬ থেকে ১০ বছর সবাই আর আমরা দুইজন। এই সময়ে গেলে কেমন হবে? আপনার পরামর্শ চাই। অথবা আপনার সাথে কন্টাক করে একটু কথা বলতে চাই। যদি সম্ভব হয় আমার মেইলে: একটু আপনার কন্টাক করার নম্বর দিতেন উপকার হতো ।
আমার ইমেইল:
[email protected]
১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক দেরীতে আপনার মন্তব্য চোখে পড়লো। আশা করি ভালো একটা ট্যুর দিয়েছেন। ভালো থাকুন সবসময়। আর ভারত ভ্রমণের পোস্টের জন্য বোকা মানুষের ভারত ভ্রমণ এর গল্পকথা এই পোস্টের শেষে থাকা কম খরচে ভারত ভ্রমণ অংশে অনেকগুলো পোস্ট পেয়ে যাবেন।
অনিচ্ছাকৃত বিলম্বের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৮
মোগল সম্রাট বলেছেন:
দুঃখিত ভাই, আমি টাইম মতো ভিসা না পাওয়ায় প্লানটা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। কারন অফিসের ছুটি, টিকেটিং, হোটেল বুকিং সব টাইম এলোমেলো হয়ে গেছে। এখন নতুন করে আবার প্লান করতে হবে।
ধন্যবাদ ।
২৪ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আশা করি নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে, সুন্দর এবং আনন্দঘন একটা ট্রিপের জন্য অগ্রীম শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ভ্রমন কাহিনী।
সেই সাথে বীথি আপার জন্য খারাপ লাগছে।