নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
বেলা তিনটা নাগাদ আমরা ফাতেহপুর সিকরি হতে বের হয়ে এবার আমাদের রওনা দেবার পালা জয়পুর এর দিকে। ফাতেহপুর সিকরিতে আমাদের রিজার্ভড গাড়ী অনেক পেছনে ছেড়ে দিয়ে সেখানকার অথরিটির বাসে করে আমরা গিয়েছিলাম ফাতেহপুর সিকরি দেখতে, ফের সেই গাড়ী করেই ফিরতে হবে। প্রায় মিনিট বিশেক অপেক্ষায় ছিলাম, গাড়ী আগের ব্যাচের পর্যটকদের ফেরত নিয়ে গিয়ে ফের ব্যাক করলে আমরা সেটায় চেপে বসলাম। বেশীরভাগ পর্যটকই ছিলো অভারতীয়। আমাদের দশজনের বাংলাদেশী দলের সাথে প্রায় জনা পনেরো সাদা চামড়ার পশ্চিমা পর্যটক আমাদের ফেরার যাত্রায় সাথী হলো। যাই হোক, ঘটনা শুরু হলো আমাদের গাড়ী যেখানে পার্ক করা ছিলো সেখানে এসে।
যেহেতু দুপুর শেষ হতে চলেছে এবং পার্কিং এরিয়ায় একটা ভালো মুসলিম হোটেল দেখলাম, আমি সবাইকে নিয়ে এখানে লাঞ্চ করে তারপর জয়পুরের দিকে রওনা হওয়ার প্ল্যান করলাম। কারণ, এমনিতেও জয়পুর পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যা পেরিয়ে যাবে। আমাদের ড্রাইভার এই সিদ্ধান্তে তেলেবেগুণে জ্বলে উঠলো। তার কথা, পথে অন্য একটা রেস্টুরেন্ট পড়বে সেখানে আমাদের লাঞ্চ করতে হবে। আমার মাথায় তো হুট করে যেন আগুণ জ্বলে উঠলো। আমি তাকে এক পর্যায়ে মারতে তেড়ে পর্যন্ত গেলাম। কি লেভেলের বেয়াদপ হলে এমনটা হয় পাঠক কল্পনা করুন। একদিন আগেই দিল্লী-আগ্রা এক্সপ্রেস হাইওয়ের একমাত্র রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করিয়ে আমার প্রায় হাজার দুয়েক রুপী অহেতুক নষ্ট করেছে এই বদমাশটা, তার কমিশন বিজনেস করে। এখন আবার সেই একই ধান্দায় আছে সে।
আমরা যখন লাঞ্চ করতে বসেছি, সে এসে জানালো যে, এখানে আমরা লাঞ্চ করলেও পথে সে অন্য জায়গায় আধাঘন্টার জন্য গাড়ী থামিয়ে লাঞ্চ করবে। এবার আমি গেলাম এক্কেবারে ক্ষেপে। তাকে ধরলাম চেপে, “তোরও এখানেই লাঞ্চ করতে হবে, তুই যা খাবি, যত ইচ্ছে খাবি, বিল আমি দিবো, কিন্তু তুই এখানে খাবি”। পরে আমার ভ্রমণ সাথীরা জোর করে আমাকে দূরে সরিয়ে নিয়ে আসলো; আর রেস্টুরেন্ট এর লোকেরা ড্রাইভারকে বকাঝকা শুরু করলো। যাই হোক খাওয়া শেষে আমি ঘোষণা দিলাম, গাড়ী কোথাও ড্রাইভার থামাতে পারবে না। লাঞ্চ শেষ করে সবাই গাড়ীতে উঠতে উঠতে বিকেল চারটা বাজলো।
ড্রাইভারকে সবাই অনেক সাধাসাধি করলেও সে ঘাড় ত্যাড়া কিচ্ছু খেলো না। আমি এম্নিতেই তার উপর বেজার ছিলাম, গাড়ী ভালো না, এসি কাজ করে না ঠিক মত, তার উপর তার কমিশনের ব্যবসার জন্য তার ইচ্ছে মতো জায়গায় আমরা খাওয়া দাওয়া করবো, এক্কেবারে মামার বাড়ীর আবদার। আমার ভারত ভ্রমণে আমি এমন জঘন্য ড্রাইভার পাই নাই। আমি প্রতিবার ট্রিপ শেষে ড্রাইভারকে বখশিশ দেই; কিন্তু এই ট্রিপে তা তো দেইই নাই; দলের সবাইকেও বলে দিয়েছি খবরদার কেউ যেন ড্রাইভার বদমাশটাকে এক পয়সাও বখশিশ না দেয়।
রাত আটটার কিছু আগে আমরা গিয়ে পৌঁছলাম জয়পুর, আমাদের হোটেল ছিলো আম্বার রোড, গোভিন্দ নাগার এর Hotel Cube Inn। সেখানে পৌঁছে চেকইন করে ফ্রেশ হয়ে রিসিপশনে গিয়ে বললাম রাতের ডিনারটা দশটা নাগাদ করবো। কারণ, পথে সন্ধ্যের পর পর একটা ধাবাতে গাড়ী থামানো হয়েছিলো, সেখানে আমরা হালকা ভাঁজা পোড়া’র সাথে চা পাণ করেছি। বেয়াদপ ড্রাইভারকে শেষ পর্যন্ত দলের আপা'রা রিকোয়েস্ট করে কেক জাতীয় কিছু আর চা দিয়েছিলো। ব্যাটা কেক খায় নাই, রেখে দিছে, শুধু চা পাণ করেছে।
যাই হোক, হোটেলের রিসিপশনে ছিলো বছর পঁচিশের এক যুবক, হোটেল মালিকের ছেলে। আজ প্রথম সে হোটেল চালাচ্ছে, তার বাবা জরুরী কোন একটা কাজে দিল্লী গেছে। সে অবাক হয়ে জানতে চাইলো, আমাদের রুম এর সাথে ডিনারও বুক করা হয়েছে? আমি বললাম, "হ্যাঁ, তুমি জানো না?"। সে চেক করে দেখে খুব অপ্রস্তুত হলো। আমি তাকে বললাম, কোন ব্যাপার না, তুমি ডিমের কারি আর ডালভুনা করতে বলো কিচেনে, দ্রুত হয়ে যাবে। সাথে রুটি আর ভাত। তাকে বললাম, আর হ্যাঁ, কোন মিষ্টির দোকান থেকে ডেজার্টে কালোজাম বা গুলাবজামুন আনাও। ছেলেটা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। পরবর্তীতে সত্যি সে ডেজার্টে গুলাবজামুন আনিয়ে দিয়েছে। আমি এমনটা করার কারন, আমি খাবারের জন্য পেমেন্ট করেছি, তাই যতটুকু পারা যায় উসুল করে নিতে হবে না।
একটা তথ্য শেয়ার করে রাখি, অনেকেরই জানা, তারপরও উল্লেখ করছি। সারা বিশ্বে হোটেলগুলোতে রুম এবং সাথে খাবার মিলিয়ে চার ক্যাটাগরির থাকেঃ
(১) শুধু রুম - EP (European Plan)
(২) রুম এবং সাথে সকালের নাস্তা - CP (Continental Plan)
(৩) রুম, সকালের নাস্তা এবং সাথে দুপুর বা রাতের যে কোন একটি খাবার - MAP (Modified American Plan)
(৪) রুম এবং তিনবেলার খাবার - AP (American Plan)
রাতের খাবার দশটার পর সেরে নিয়ে যার যার রুমে চলে গেলাম। সবাইকে একটু আগে আগে ঘুমানোর পরামর্শ দিলাম। কারণ, টানা জার্নিতে থাকার পর আগামীকালকের শিডিউল খুবই টাইট। হাওয়া মহল, জল মহল, আম্বার ফোর্ট, সিটি প্যালেস, জন্তর মন্তর… অনেকগুলো স্পট একদিনে কাভার করতে হবে। মজার ব্যাপার পরের দিন সকালে আমিই সবার শেষে রুম থেকে তৈরী হয়ে নাস্তার জন্য হোটেলের রেস্টুরেন্টে আসলে পরে দেখি দল বেঁধে সবাই বাইরে থেকে হোটেলে ঢুকছেন। উনারা এই সাত সকালেই হোটেল হতে বের হয়ে আশেপাশে ঘুরে চা পাণ করে এসেছেন আমাকে রেখেই। এই দুঃখ কই রাখি?
যাই হোক, নাস্তা শেষে আমাদের সারাদিনের জয়পুর দর্শন শুরু হলো হোটেল থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে “হাওয়া মহল” দিয়ে। গাড়ী হোটেল হতে বের হতেই ইতিউতি সকলের চোখ ফেরানো.... একবার তাকে যদি দেখা যায়... মানে মাথায় পাগড়ি দেয়া রাজস্থানি পুরুষ আর কালারফুল ড্রেস পরিহিতা মহিলাদের কথা বলছি। আসলে জয়পুর রাজস্থানের রাজধানী হলেও, মূল রাজস্থানি ফ্লেভার এর দেখা মিললো কিছুটা কম, পিঙ্ক সিটিতে যেমন কম ছিল পিংক কালারের বাড়ী-ঘরে'র সংখ্যা।
লাল এবং গোলাপী বেলেপাথর দ্বারা নির্মিত হাওয়া মহল ভারতের জয়পুর শহরের অন্যতম দ্রষ্টব্য একটি স্থান পর্যটকদের জন্য। ১৭৯৯ সালে মহারাজা সাওয়াই প্রতাপ সিং দ্বারা নির্মিত এই হাওয়া মহলের নকশা করেছিলেন লাল চাঁদ উস্তাদ নামক তৎকালীন এক প্রসিদ্ধ আর্কিটেক্ট। পাথর-খোদিত পর্দা, ছোট ক্যাসেজ এবং খিলানযুক্ত ছাদের এই ভবনের রয়েছে মোট পাঁচটি বহির্ভাগ যেগুলোতে রয়েছে ৯৫৩ টি ছোটো দরজার সমন্বয়ে একটি মৌচাকের মত অবয়ব।
হাওয়া মহলের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজকীয় মহিলাদের জন্য। দৈনন্দিন জীবন এবং উৎসব উদ্যাপন করতো তারা প্রাসাদের অভ্যন্তরে, কঠিন "পর্দা" প্রথার কঠোর নিয়মানুবর্তিতার কারণে তারা রাস্তার উৎসব নিখুঁতভাবে উদযাপন তথা উপভোগ করতে পারতো না। প্রায় সহস্রাধিক জানালার সমন্বয়ে তৈরী হাওয়া মহল থেকে তারা দৈনন্দিন জীবন এবং নানান উৎসব উদ্যাপন উপভোগ করতে পারতো। মজার ব্যাপার হলো বেশীরভাগ মানুষ রাস্তা থেকে হাওয়া মহলের যে অংশটি দেখে সেটি প্রাসাদের সম্মুখভাগ নয়, বাস্তবিক এটিই মূল ভবনের পিছনের অংশ।
মুল প্রাসাদটি পাঁচতলা, মূল ভিত্তি থেকে প্রায় ৫০ ফুট উঁচু। মহলের সবচেয়ে উপরের তিনটি তলায় মাত্র একটি করে কক্ষ রয়েছে। নিচের দুটি তলার সামনে উন্মুক্ত স্থান আছে, যা প্রাসাদের পূর্ব অংশে অবস্থিত। এই অসাধারণ প্রাসাদটি আংশিক অষ্টভুজাকৃতির কাঠামো গঠন করে, যা সারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রাসাদে ব্যবহার করা হয়। পিছনের দিকের অভ্যন্তরের অংশ পৃথক পৃথক প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ঘর তৈরি করা হয়েছে।
বেশীরভাগ পর্যটকের মতো আমরাও বাইরে থেকেই হাওয়া মহল দেখলাম, আর দলের সবাই ব্যস্ত হয়ে গেল শপিং করতে। আজকে আমি তাদের বাঁধা না দিয়ে, বরং সাহায্য করলাম। কারণ এই ট্রিপে আজকের পর আর তেমন কেনাকাটার সুযোগ পাওয়া যাবে না। আর যেহেতু রাজাস্থানে আজকের দিনটা কাটিয়ে সোজা চলে যাবো দিল্লী, যত রাতই হোক না কেন; তাই রাজাস্থানী নানান পোশাক, জুতো, সুভেনিয়র ইত্যাদি সবাইকে কেনার সুযোগ এখান থেকেই দেয়া হলো। প্রায় ঘন্টা দেড়েকের মত এই হাওয়া মহলের এলাকায় কাটিয়ে আমরা রওনা হলাম পরবর্তী গন্তব্য “সিটি প্যালেস” এর উদ্দেশ্যে।
তথ্য কৃতজ্ঞতাঃ
উইকিপিডিয়া বাংলা
উৎসর্গঃ আমার ভারত ভ্রমণের এই সিরিজটি ব্লগার "কামরুন নাহার বীথি" আপাকে উৎসর্গ করছি। উনি আমার এই ট্যুরে ট্যুরমেট ছিলেন। গত পহেলা জানুয়ারী রাত এগারো ঘটিকায় বীথি আপা আল্লাহ্র ডাকে সারা দিয়ে পরপারে চলে গেছেন আমাদের সবাইকে ছেড়ে। আল্লাহ্ তার শোকার্ত পরিবারকে এই শোক সইবার ধৈর্য দাণ করুন। আর আপাকে পরপারে আল্লাহ্ সকল গুনাহ (যদি থাকে) মাফ করে তার কবরে আজাব মাফ করুন এবং আখেরাতে বেহেশত নসীব করুন।
প্রথম পর্ব থেকে বীথি আপার এই ট্যুরে যুক্ত হওয়ার ঘটনাটা আবার তুলে ধরলামঃ
ঈদের কয়েকদিন আগে আমি কোন একটা কাজে নীলক্ষেত মোড়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি, একটি অচেনা নাম্বার থেকে কল এলো, কল রিসিভ করতে অপরপাশ থেকে অচেনা কণ্ঠস্বর। আমাদের দলের সাথে যুক্ত হতে চায় এই ট্রিপে। “সামহোয়্যার ইন ব্লগ” এ তখন পর্যন্ত আমার পূর্বপরিচিত কেউ ছাড়া আর কারো সাথে পরিচয় ছিলো না। “সাদা মনের মানুষ” খ্যাত কামাল ভাই এর সাথে পরিচয় ভ্রমণ বাংলাদেশ থেকে। সেই কামাল ভাই এর কাছ থেকে খবর পেয়ে ফোন দিয়ে প্রিয় ব্লগার কামরুন নাহার বীথি আপা। উনি এবং ভাইয়া যুক্ত হতে চাচ্ছেন আমাদের সাথে। আমি একদিন সময় নিয়ে উনাকে কনফার্ম করলাম উনাদের যুক্ত হওয়ার ব্যাপারটা। এরপর উনাদের এয়ার টিকেট এর ব্যবস্থা করা হলো। দল গিয়ে দাড়ালো দশজনের। সিদ্ধান্ত হল চারজনের একটা দল ঈদের দিন রাতে রওনা হয়ে যাবো কলকাতার উদ্দেশ্যে। একদিন পরে বাকী ছয়জন রওনা হবে, যেহেতু কোরবানী ঈদের ছুটি, তাই অনেকেই সারাদিনের কোরবানীর হ্যাপা পোহানোর পর সেদিন রাতেই রওনা হতে রাজী হলো না। ফলে আমরা যে চারজন আগে রওনা হবো, তারা একরাত কলকাতা থেকে পরেরদিন সরাসরি বিমানবন্দর চলে যাবো। অপর দলও সরাসরি বেনাপোল বর্ডার হতে দমদম বিমানবন্দর চলে আসবে। এরপর ঢাকা থেকে সকলের কলকাতার বাসের টিকেট এবং আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করে অপেক্ষার পালা চলতে লাগলো….
ভ্রমণকালঃ সেপ্টেম্বর ২০১৬
গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর, ২০১৬ এর সকল পর্বঃ
* যাত্রা শুরুর আগের গল্প (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০১)
* কলকাতায় অপেক্ষা... (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০২)
* ফ্লাইট মিসড তো ট্যুর ক্যান্সেলড... টেনশনিত অপেক্ষার শেষে (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০৩)
* আগ্রার পাণে যাত্রা (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০৪)
* আগ্রার ঘাগড়ায়, দেখা হলো না নয়ন জুড়িয়া (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৫)
* তাজমহলে পদধূলি (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৬)
* আগ্রা ফোর্ট - বহু ইতিহাসের সাক্ষী (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৭)
* কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা "ফাতেহপুর সিকরি" ভ্রমণ (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৮)
* পিঙ্ক সিটি জয়পুর ভ্রমণে চলে এলাম "হাওয়া মহল" - (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৯)
এক পোস্টে ভারত ভ্রমণের সকল পোস্টঃ বোকা মানুষের ভারত ভ্রমণ এর গল্পকথা
১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বাহ, বহু আগেই এই ভ্রমণ করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আমার নিজের কাছেও দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগা, মুম্বাইয়ের হাজী আলী দরগা, আজমীর এর দরগাহ এগুলোর পরিবেশ এবং কার্যক্রম পছন্দ হয় নাই মোটেও।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩
শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল লাগছে ভ্রমনালাপ । ৮২ সালে আমরা চারুকলার ১০ জন এক লম্বা ট্যুরে কলকাতা - ভুবনেশ্বর - কোনারক- পুরি - হায়দ্রাবাদ - আমেদাবাদ - সুরাট - আবু রোড -মাউনট আবু -জয়পুর - দিল্লি- আগ্রা - ঝাঁসি -খাজুরাহ - বেনারস-শান্তিনিকেতন - কলকাতা । খুব টায়ার্ড ছিলাম আমরা সেবার । আমরা গাইড বিহিন , ইন্দ রেইল এর এক মাসের পাসে ঘুরেছি ৯০ ডলারে ।
১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ওয়াও, কত্ত আগে!!! প্রায় চল্লিশ বছরের বেশী সময় আগে এই ট্রিপ করেছিলেন। স্যালুট স্যার।
আমি গত অক্টোবর এর শেষে এরকম একটা ট্যুর একাকী শুরু করেছিলাম। কলকাতা-রামগড়-রাঁচি-ভানারাসি-লখনৌ-আগ্রা-জয়পুর-পুসকার-আজমির-বিকানের-জয়সালমির-যোধপুর-উদয়পুর-কুম্ভলগড়-মাউন্ট আবু-চিত্তগড়-উদয়পুর-আহমেদাবাদ-পুনে-হায়দ্রাবাদ-ভিশাখাপত্তম-ভুবনেশ্বর-কলকআতা। নানান ঘটনার পরেও এই সলো ট্যুর কন্টিনিউ করেছিলাম ১৯ দিন। শারীরিক সমস্যার কারনে আহমেদাবাদ না গিয়ে দিল্লি ব্যাক করে দিল্লি-ঢাকা ডিরেক্ট ফ্লাইটে ব্যাক করি। এর আগ পর্যন্ত পুরো ট্যুরে পরিবহন ছিলো ট্রেন অথবা বাস; রাত কাটিয়েছি ব্যাকপ্যাকারদের নানান হোস্টেলে। আমি ফ্লাইটের টিকেট বাদে ৩০০ ডলারে পুরো ১৯ দিন সম্পন্ন করেছি। বকেয়া লেখাগুলো দ্রুত শেষ করে সেই গল্পে আসবো ইনশাআল্লাহ।
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫
শাহ আজিজ বলেছেন: মাঝে ইলোরা আর অজন্তা বাদ পড়ে গেছে । ইলোরা তে পাহাড়ের উপরে ডাকবাংলোতে ছিলাম চারদিন ।
১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার একটা ইচ্ছে আছে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ হয়ে মহারাষ্ট্রের দুয়েকটা শহর (মুম্বাই বাদে) ছুঁয়ে গুজরাট পর্যন্ত আরেকটা সলো ট্যুর দেয়ার; ১৫-২০ দিনের মত। যদি আল্লাহ্ সময় সুযোগ এবং সুস্বাস্থ্য দিয়ে তৌফিক রাখেন। আমার খুব ইচ্ছে অজন্তা আর ইলোরার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো দেখার।
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: হোটেলের এই ক্যাটাগরির বিষয়গুলো জানা ছিল না ধন্যবাদ জানানোর জন্য।
১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:১৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভ্রাতা সর্বদা পাশে থেকে উৎসাহ দেয়ার জন্য। অশেষ কৃতজ্ঞতা থাকবে।
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: ভ্রমনে যদি ড্রাইভার ভালো না হয় তাহলে ভ্রমনে অনেক মাটি হয়ে যায়।
১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:০৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: একদম খাটি কথা। আর যদি ভ্রমণ সাথী ভালো না হয় তাহলে সেই ট্যুর হয়ে যায় বিভিষীকাময়।
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ড্রাইভাররা এই কমিশনের কারণে মেলা সময় নষ্ট করে। একবার দিল্লি থেকে কলকাতা ফেরার ঠিক আগে আগে এমন এক ড্রাইভারের কারণে আমার ট্রেন মিস হওয়ার অবস্থা হয়ে গিয়েছিলো।
- হাওয়া মহলের সামনে দিয়ে চলে এসেছি। থামা হয়নি দেখা হয়নি। আবার যাবো সুযোগ হলে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:২৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দিল্লিতে অটোরিকশা চালকদের কমিশন ব্যাবসা তো খুব বিখ্যাত। দিল্লি রেলস্টেশন থেকে/দিকে যাত্রা করা যাত্রীদের জোর করে শপিং এর দোকানে ব্রেক দিবেই দিবে...
পাঠ এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ রইলো।
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৪৫
সোহানী বলেছেন: আমি যেতে চাই ভারত ঘুরতে। কিন্তু মোদীর ভারতকে বিশ্বাস করি না। তার উপর কানাডা থেকে ভারতে যাওয়ার উপর অনেক নিষেধাজ্ঞা। তাই প্লান করা হচ্ছে না। তারপরও যাবো কোন একদিন, তখন তোমাকে জানাবো।
বীথি আপুকে খুব মিস করি। একজন চমৎকার ব্লগার ছিলেন।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মোদী কাকা কি ট্রুডো ভাইসাবরে দেখবার পারে না? অথচ ঝাঁকে ঝাঁকে পাঞ্জাবী কানাডায় গিয়ে তো সেকেন্ড হোম বানায়া ফেলছে এমনটাই জানতাম আগে।
ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে যে কোন ধরনের সহযোগিতার জন্য সদা প্রস্তুত এই বোকা মানুষ।
রমজানে বীথি আপুর জন্য দোয়া রইলো, পরকালে ভালো থাকুন। আমীন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১২
কামাল১৮ বলেছেন: তিরিশ বছর আগে এমন একটা যাত্রা ছিলো আমার।দিল্লী থেকে আগ্রা।আগ্রা থেকে জয়পুর ।জয়পুর থেকে আজমীর।আজমীরে এক বন্ধুর মানত ছিলো।আমার স্ত্রী এক হাজার টাকা দিয়ে ছিলো মাজারে দেয়ার জন্য।মাজারের কাজ কারবার দেখে আমি টাকাটা দেই নি।