নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

টিপু সুলতান এর মৃত্যস্থল, অন্ধকূপ এবং অন্যান্য ভ্রমণ - ইতিহাসের জানা অজানায়

১৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আমাদের বাস ব্যাঙ্গালুরু হতে যাত্রা শুরু করলো মাইসুর এর দিকে; আজকের প্রথম গন্তব্য ১২৫ কিলোমিটার দূরের শ্রীরঙ্গপাটনাস্থ “রঙ্গনাথস্বামী মন্দির”। পথে কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুর মধ্য দিয়ে বহমান কাবেরী নদীর পানি বন্টন এর প্রতিবাদে এক বিশাল মিছিলের কারণে অনেকটা সময় নষ্ট হল। আমাদের দেশে আমরা জানি তিস্তা নদীর জল নিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের দ্বন্দের কথা। কিন্তু আপনি কি জানেন ভারতের অভ্যন্তরেই ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যগুলোর মধ্যে দিয়ে বহমান নদীর পানি বন্টন নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চলে আসছে বিরোধ, কখনো হয়েছে সংঘর্ষ পর্যন্ত। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পাঞ্চাব, হারিয়ানা আর রাজাস্থান এর মধ্যে “রাভি আর বিয়াস” নদীর পানি বন্টন; মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ আর কর্ণাটক এর মধ্যে “কৃষ্ণা” নদীর পানি বন্টন; উড়িষ্যা আর অন্ধ্রপ্রদেশ এর মধ্যে “ভামসাধারা” নদীর পানি বন্টন; মহারাষ্ট্র, গোয়া আর কর্ণাটকের মধ্যে “মান্ধবি” নদীর পানি বন্টন; ছত্তিশগড় আর উড়িষ্যার মধ্যে “মহানদী” নদীর পানি বন্টন। তেমনি করে কাবেরী নদীর পানি নিয়ে কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরালা রাজ্যের সাথে কেন্দ্রশাসিত পন্ডেচেরী’র বিরোধ চলে আসছে বহুদিন, প্রায় শত বছরের উপর। প্রায়শই এই পানির দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন কর্মসূচী পালন করে স্থানীয় জনগনকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন দল।





তেমনই একটা বিক্ষোভে আমাদের টুরিস্ট বাসটি অনেকটা সময় আটকে থাকলে আমাদের এই ১২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টার মত সময় লেগে গেল। বেলা বারোটার দিকে আমরা পৌঁছাই শ্রীরঙ্গপাটনা। গাড়ী একপাশে সাইড করে দিয়ে সবাইকে সময় বেঁধে দেয়া হলো মন্দির ভ্রমণের জন্য। আমি আমার সিটে বসে রইলাম, আমি ভ্রমণে কখনো কোন ধর্মীয় উপাসনালয় এর অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে চাই না, বাহির হতে যতটুকু দেখা বা ছবি তোলা যায়, আমি ততটুকুতেই সন্তুষ্ট। আমার ব্যক্তিগত অভিমত ধর্মীয় উপাসনালয় কোন টুরিস্ট স্পট হতে পারে না। তাই শুধু মন্দির-গীর্জা নয়, কাশ্মীরের হযরত বাল মসজিদ, দিল্লির নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ, মুম্বাই এর হাজী আলী দরগাহ কোনটাতেই আমি ভিতরে প্রবেশ করি নাই। আমার আজকের টুরিস্ট বাসের গাইড ভদ্রলোক আমার কাছ থেকে এই কথা জানতে পেরে বললেন, এক কাজ করো তুমি সামনের এই পথ ধরে কিছুটা এগিয়ে গেলে টিপু সুলতান এর কিছু নিদর্শন দেখার মত জায়গা আছে, সেটা দেখে আসো এই পথে। তার কথা মনঃপুত হলো, পা বাড়ালাম সে পথে।



বলে রাখা ভালো, ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মান্ডা জেলার শ্রীরঙ্গপাটনায় রঙ্গনাথস্বামী মন্দির বা শ্রী রঙ্গনাথস্বামী মন্দিরটি হিন্দু দেবতা রঙ্গনাথকে (বিষ্ণুর একটি প্রকাশ) উৎসর্গ করে নির্মান করা। রঙ্গনাথের ভক্তদের জন্য কাবেরী নদীর তীরে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থানগুলির মধ্যে একটি হল এই রঙ্গনাথস্বামী মন্দির। “পঞ্চরাঙ্গ ক্ষেত্রম” তথা পঞ্চরঙ্গম হল পাঁচটি পবিত্র হিন্দু মন্দিরের একটি সমষ্টি, যা বিষ্ণু দেবতার রঙ্গনাথের একটি রূপকে উৎসর্গ করে কাবেরী নদীর তীরে নির্মিত, ক্রমানুসারে সেই পাঁচটি পঞ্চরাঙ্গা ক্ষেত্র হল: কর্ণাটকের শ্রীরঙ্গপত্তন, শিবনসমুদ্র, তামিলনাড়ুর শ্রীরঙ্গম, আপ্পালরঙ্গম এবং সারঙ্গপানি মন্দির। তো দলের বাকী সবাই ভারতীয় পর্যটক হওয়ায় তারা পা বাড়ালো মন্দিরের দিকে। আমি পা বাড়ালাম টিপু সুলতানের স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনা দেখতে।

মিনিট দশেক গাইডের বলে দেয়া পথ নির্দেশ ধরে হাঁটার পর চলে এলাম “টিপু’র ডেথ প্লেস” এর কাছে। একটি জায়গায় মার্বেল পাথরে বাঁধানো এলাকা, যেখানে টিপু সুলতানের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিলো। একটি দূর্গ এলাকার উত্তর প্রান্তের কাছাকাছি “মসজিদ-ই-আলা” (শ্রীরঙ্গপাটনায় প্রবেশের সময় মিনার সহ মসজিদ) থেকে “ওয়াটার গেট” এর দিকে যাওয়ার রাস্তাটি এই স্থান দিয়ে চলে গেছে। “মসজিদ-ই-আলা” আর “ওয়াটার গেট” এর গল্পে আসছি পরে।





'অস্ট্রেলিয়ার জনক' নামে পরিচিত “লাচলান ম্যাককুয়ারি” 1799 সালের সেরিঙ্গাপটমের যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনীর একজন মেজর হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন, যেদিন টিপুকে হত্যা করা হয়েছিল তার প্রথম বিবরণ দিয়েছেন তিনি। লাচলান ম্যাককুয়ারি বর্ণনা করেছেন "এই গৌরবময় এবং স্মরণীয় দিনের চূড়ান্ত ফলাফল ছিল যে, আমাদের সৈন্যরা আক্রমণ শুরু হওয়ার এক ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে টিপ্পু সুলতানের দুর্গ এবং রাজধানী সম্পূর্ণ দখলে নিয়েছিল; স্বয়ং সুলতান এবং অনেকগুলি তার প্রধান কর্মকর্তারা, তার ছেলেরা এবং তার সমস্ত পরিবার আমাদের বন্দী এবং তার সমস্ত বিপুল ধন-সম্পদ আমাদের কাছে বাজেয়াপ্ত হয়েছে”। তিনি আরও উল্লেখ করেন, “কিভাবে বা কাদের দ্বারা সুলতানকে হত্যা করা হয়েছিল তা জানা যায়নি; আমরা তার প্রাসাদ এবং রাজধানীর দখলে নেয়ার কয়েক ঘন্টা পরেও নিশ্চিত হতে পারি নাই টিপুর ব্যাপারে, যে তাকে আদৌ হত্যা করা হয়েছিল কি না। রাত দশটার মধ্যে পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল টিপু সুলতান আর জীবিত নেই, যখন তাঁর মৃত দেহটি প্রাসাদের পিছনের প্যাসেজ বা স্যালি-বন্দরগুলির একটিতে তাঁর নিজের লোকদের লাশের স্তূপের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল।”


The Fall of Seringapatam - Warfare History Network এর কল্পিত চিত্র সেই যুদ্ধের।

তবে টিপুর কিছু ভৃত্য যারা তার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রত্যক্ষ করেছিল সুলতানের মৃত্যু দৃশ্য, তাদের ভাষ্যমতে, “হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য টিপু দুর্গের একটি গেটে (সম্ভবত ওয়াটার গেট) ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধ করছিলেন। একসময়, আহত ও ক্লান্ত টিপুকে পালকিতে তুলে নিয়ে যাওয়া হতে থাকে; সে সময় একজন ইংরেজ সৈন্য তার তরবারি বেল্ট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন টিপু সুলতান তার সেই পরিশ্রান্ত দেহের অবশিষ্ট শক্তি দিয়ে তরবারি তুলে সেই ইংরেজ সৈন্যের হাঁটু কেটে দিলেন। সেই সময়ে অন্য আরেক সৈন্য টিপুকে লক্ষ্যে করে গুলি করে এবং সেই গুলিতেই টিপু সুলতান ঘটনাস্থলেই মারা যায়।” পরবর্তী সময়ে এই বর্ণনাটি টিপু সুলতান এর শেষ মুহূর্ত হিসেবে চিত্রিত করে অনেক চিত্রকর্মে ব্যবহৃত হয়েছে।


টিপু সুলতানের মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তের যুদ্ধের কল্পিত ছবি

টিপু সুলতান এর সেই মৃত্যুস্থল এখন মার্বেল পাথরে বাঁধাই করে “টিপু’স ডেথ প্লেস” হিসেবে সংরক্ষিত আছে। নীচে সেই মৃত্যুস্থল এর কিছু ছবি যা তুলেছিলাম তখন।





মসজিদ-ই-আলা (যাকে জামে মসজিদও বলা হয়) কর্ণাটকের মান্দ্য জেলার শ্রীরাঙ্গাপাটনার দুর্গের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি মসজিদ। শ্রীরাঙ্গপাটনার দূর্গটি বিজয়নগর সাম্রাজ্যের একজন শাসক “তিম্মনা নায়ক” দ্বারা ১৪৫৪ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় এই দূর্গ ওয়োডিয়ার, আরকোটের নবাব, পেশওয়াস এবং মারাঠা’দের দ্বারা দখল নেয়া হয়; সবশেষে যা টিপু সুলতানের পিতা সামরিক জেনারেল হায়দার আলীর নিয়ন্ত্রণে আসে। ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে হায়দার আলীর পুত্র টিপু সুলতান দূর্গের রাজত্ব গ্রহণ করেছিলেন এবং দুর্গ পুন:নির্মাণ করেছিলেন। সেই সময়ে টিপু সুলতান তাঁর বাড়ীর নিকটেই ১৭৮৬-৮৭ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদে দুটি লম্বা মিনার রয়েছে যা তিনটি অষ্টভুজ দ্বারা পৃথক করা হয়েছে এবং মিনারগুলির শীর্ষে শালগম আকৃতির গম্বুজ রয়েছে। মিনারগুলিতে পাশাপাশি রয়েছে খোলা খিলান এবং দেয়ালগুলো আয়তক্ষেত্র আকারের। মসজিদের অভ্যন্তরে একটি বিশাল আয়তক্ষেত্রাকার প্রার্থনা হল রয়েছে। উল্লেখ্য অন্যান্য মসজিদের মতো এটির কোন গম্বুজ নেই। নীচে মসজিদের কয়েকটি ছবিঃ







এরপর গেলাম টিপুর সুলতান এর বাবা সামরিক জেনারেল হায়দার আলীর নির্মিত “অন্ধকূপ” দেখতে। ১৭৬১ থেকে ১৭৯৯ সাল সময়টায় শ্রীরঙ্গপাটনা ছিল দক্ষিণ ভারতীয় রাজনৈতিক কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্রিটিশ বাহিনীর সাথে মাইসুরের সুলতানদের চারটি যুদ্ধ হয়, প্রথম দুটি টিপুর পিতা হায়দার আলীর নেতৃত্বে এবং শেষ দুটি টিপু সুলতানের নেতৃত্বে। শ্রীরঙ্গপত্তনায় এই অন্ধকূপ ছিল সেই জায়গা যেখানে মহীশূর রাজ্যের শাসকেরা যুদ্ধে পরাজিত বন্দী ব্রিটিশ অফিসারদের আটকে রাখতেন। বন্দীদের অন্ধকূপের পাথরের স্ল্যাবে ফিক্সচারে বেঁধে তাদের ঘাড় পর্যন্ত জলে ডুবিয়ে রাখা হত। এই অন্ধকূপকে অনেকে কর্নেল বেইলি’র অন্ধকূপ নামেও অভিহিত করেন, কারণ কর্নেল উইলিয়াম বেইলি (বেইলি) ছিলেন একমাত্র বন্দী ব্রিটিশ অফিসার যিনি 1782 সালে বন্দীশালার নির্যাতন সইতে না পেরে এখানে মারা যান।






















এখানে পৌঁছে একজন কেয়ারটেকার গোছের বৃদ্ধ লোককে পেয়ে যাই, উনি আমাকে পুরো জায়গাটা ঘুরিয়ে দেখান এবং কিছু ইতিহাস বর্ণনা করেন। পরবর্তীতে গুগল মামার সাহায্য নিয়ে বিস্তারিত ইতিহাস জানা গেছে; কারণ ইতিহাস কখনো আমার পছন্দের বিষয় ছিলো না। :( যাই হোক এখান থেকে বের হয়ে ফিরতি রাস্তা ধরলাম, কেননা নির্ধারিত সময়ে আমাকে টুরিস্ট বাসে পৌঁছতে হবে। পথে দেখলাম আইসক্রিমের গাড়ি, সেখান থেকে একটা আইসক্রিম কিনে নিয়ে তা চাখতে চাখতে হাঁটা দিলাম গাড়ীর পানে। সেখানে পৌঁছে দেখি একজন দুজন করে আমার আজকের ভ্রমণসাথীরা মন্দির প্রাঙ্গণ হতে বের হয়ে আসছেন। আমি মন্দিরের আশেপাশে ঘুরে বাহির হতে মন্দিরের কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করলাম। এরপর আমরা রওনা হলাম পরবর্তী গন্তব্য “মাইসুর প্যালেস” এর দিকে…









আবার দক্ষিণ ভারতে ভ্রমণ -TDTK (Tour D Tamilnadu & Karnataka)
পর্ব - ১০
ভ্রমণকালঃ জুন-জুলাই, ২০১৭


এই সিরিজের সকল পোস্টঃ
প্রথম পর্বঃ * আবার দক্ষিণ ভারতে ভ্রমণ - শুরুর গল্প
দ্বিতীয় পর্বঃ * চলে এলাম কোদাইকানাল
তৃতীয় পর্বঃ * কোদাইকানাল "ফরেস্ট ডে ট্রিপ"
চতুর্থ পর্বঃ * কোদাইকানাল শহর ভ্রমণ
পঞ্চম পর্বঃ * কোদাইকানালের শেষদিন এর শেষটা আর ভালো হলো না...
ষষ্ঠ পর্বঃ * পাহাড়ি রাস্তায় রাতের যাত্রা - কোদাইকানাল টু কোয়িম্বেতুর
সপ্তম পর্বঃ * উটি পৌঁছে বোনাস বেড়ালাম ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ "নীলগিরি রেলওয়ে"তে চড়ে "কুনুর"
অষ্টম পর্বঃ * "কুইন অফ হিলস" খ্যাত উটি ভ্রমণ
নবম পর্বঃ * শেষ রাতের আঁধারে এসে পৌঁছলুম "ব্যাঙ্গালুরু" - একাকী ফাঁকা রাজপথে
দশম পর্বঃ * টিপু সুলতান এর মৃত্যস্থল, অন্ধকূপ এবং অন্যান্য ভ্রমণ - ইতিহাসের জানা অজানায়

এক পোস্টে ভারত ভ্রমণের সকল পোস্টঃ বোকা মানুষের ভারত ভ্রমণ এর গল্পকথা

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০

শেরজা তপন বলেছেন: মন্দিরে গেলে তো এর কিছুই আপনার দেখা হোত না। এর মানে কি; ওরা টিপু সুলতানের এইসব ঐতিহাসিক স্থান ট্যুরিষ্টদের ঘুরিয়ে আনে না?
অন্ধ কুপের ব্যাপারে জেনে খারাপ লাগল- নৃশংসতায় কেউ কারো থেকে কম ছিল না!!!

১৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমাদের টুরিস্ট বাসটি যখন মন্দির এলাকা হতে মাইসুর প্যালেস এর দিকে রওনা হয়েছিলো তখন আমার মাথায়ও এই প্রশ্ন জেগেছিলো। আমার মনে হয়েছে রাস্তায় যে সময় নষ্ট হয়েছিলো সেটা কাভার করতে গাইড আমার দেখা স্পটগুলো স্কিপ করে গেছে। কেননা ট্রিপ আইটিনেরারি'তে লেখা ছিল "Tippu's Fort, Gumbaz & Summer Palace"।



তবে আমি মিস করি নাই, এজন্য গাইড ব্যাটাকে ধন্যবাদ। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি, ট্যুর অপারেটর, গাইড, গাড়ীর চালক এরা সময় কাভার করা জন্য প্রায়শই এমনটা করে; অনেকে আবার ফাঁকি মারার জন্য নানান কথায় ভুলিয়ে টুরিস্টদের অনেক স্পট স্কিপ করায়।

অন্ধকুপের ব্যাপারটা জানার পর আমারও একই অনুভূতি হয়েছিলো আপনার মতই - নৃশংসতায় কেউ কারো থেকে কম ছিল না

২| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আহা! কতো কিছু দেখার সুযোগ হয়নি এখনো।

২৪ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সময় সুযোগ করে বেড়িয়ে পড়েন এইবার না হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.