নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ আমার রব

হাসান সাইদুল

পরম করুনাময় আল্লাহর ছোট একটা সৃষ্টি সাদা-মাটার এই আমি। আল্লাহ আমার রব...

হাসান সাইদুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিবর্তনের জন্য প্রতিবাদ

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

আমাদের দেশের স্বাধীন হওয়ার পর অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তির সন্তানরা বিদেশে পড়ালেখা করতে যায়। যাচ্ছে অনেকেই। বিদেশরত বেশির ভাগ শিক্ষার্থীদের বাবা মায়ের স্ট্যাটাস কেমন তা জানার অপেক্ষা রাখে না যখন কমলমতী শিক্ষার্থীরা বিদেশে গিয়ে পড়ালেখা করে উচ্চশিক্ষিত হয়। যখন পত্রিকায় শিরোনাম হয় বাংলাদেশের অমুক, অমুক দেশের অমুক কলেজ থেকে অমুক ডিগ্রী অর্জন করেছে মনে হয় বাংলাদেশ স্বার্থক, স্বার্থক বাংলাদেশীরা। যে ভাবেই হোক টিউলিপ রুশনারাসহ আরো অনেকই আছে বাংলাদেশকে চিনিয়ে দিয়েছে বিদেশীদের। মূসা ইব্রাহিম তো বাংলাদেশকে হিমলয়ের চূড়ায় নিয়ে গিয়েছিল। ড. ইউনূস অবিস্বরনীয় এক নাম। হাজারো সাংবাদিক কলামিস্টদের শিরোনাম। এরাই স্বার্থক দেশের নাম রাখতে। তারও অনেক আগে বাংলার বাঘ এ কে ফজলুল হক। কে না চেনে বা না জানে তার গুন ও খ্যাতির কথা। মাওলানা ভাসানী বাংলাদেশর এক কালজয়ী নাম। দুর্নীবাজদের ত্রাস।
কিন্তু কিছু মেয়ে-ছেলে আছে। যাদের কথাবার্তা চাল চলন দেখলে মনে হয় এরা তৃতীয় কোন লিঙ্গ। না পুরুষ না মহিলা। আরেকটা জিনিস মাথায় আসে খুব সম্ভবত এদের বাবা মায়ের সুদ ঘুষের টাকায় মানুষের গম চুরি চাল চুরির টাকা মেরে বিদেশে পড়ালেখার নামে বিদেশীর সংস্কৃতির গুহায় দেবে যাওয়ার জন্য পাঠিয়েছে। ফেইসবুক টুইটরসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কি স্ট্যাটাস পোস্ট করে গ্রামের নেংটি ইদুর কুকুর গুলোও মুখ থুবড়ে যাবে! ইদানিং কয়েকটা দামড়ি-দামড়া বাংলাদেশী বাংলাদেশীদের সংস্কৃতি সমন্ধে গালাগালি করে ধর্মীয় ভাবে আরকান আহকামের বিরুধীতা করে। স্ট্যাটাস দিচ্ছে হরহামেশায়। এরা নাকি দেশপ্রেমিক। বাংলাদেশী হয়ে বিদেশী সংস্কৃতি চর্চা করে সেই সংস্কৃতিতে বাংলাদেশীদের গালি দেয়।
বন্ধুরা, তখন খুবই লজ্জা লাগে কেননা বিদেশীরা তখন হাসে বাংলাদেশীদের ধিক্কার জানায়, “তোমরা ব্যর্থ তোমাদের সংস্কৃতির শিক্ষার্থী আমাদের করে নিয়েছি আমাদের পক্ষে থেকে তোমাদের গালি গালাস করে।”
আমি মনে করি এদের জন্মেও দোষ আছে। বাংলাদেশ অর্থনীতিতে যতই পিছিয়ে থাক। রাজনৈতিক ভাবে যতই রসাতলে যাক বাংলাদেশ বাংলাদেশীদের একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ত্ব রাষ্ট্র। বিদেশের কোন শিয়াল কুকুরের নয়। অথচ বিদেশে (বাংলাদেশী) থেকে কিছু বেজন্মা ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। টুইটরবার্তায় মত জানায়। নিজের তালি মার্কা ছবি পোস্ট করে। এ সমস্ত উচ্চ শিক্ষিতরা কুকুর হতেও ভাল কেননা পোষা কুকুরকে যতই মারা হোক আর খাবার তুলনামূলক যতই কম দেয়া হোক প্রভুকে কখনও গেউ গেউ করবে না।
দেশীয় শ্যাম বা কালো চামড়ার শিক্ষার্থীগুলো মেধা অর্জনের জন্য বিলেত যায়। বিদেশী সাদা চামড়া আর প্রযুক্তির প্রলেপ গায়ে মেখে রূপসী সাজে। গায়ে কাপড় তালিমারা ফুটো-ফাটা। কি পুরুষ আর কি মহিলা। দিন কয়েক মাস কয়েক কিংবা বছর কয়েক বিলেতি ধোলা গায়ে আর মনে মেখে হয়ে যায় উন্নত মানুষ ডিগ্রীধারি উচ্চশিক্ষিত।
মনে একটা খটকা। উন্নত উচ্চশিক্ষিত মানুষরা কি গালগালি করে। কাউকে ঘৃণা করে? যদি করেই থাকে তবে আমাদের দেশের অজো পাড়া গায়ের মেতর মুচির সাথে কি পার্থক্য থাকে? মেতর মুচিরাও অনেক ভাল।

বিদেশে পড়ালেখা করতে গেলেই নেতা কিংবা ভাল মানুষ কিংবা মেধাবী হওয়া যায় না। যৌনতার এই দশকে বিদেশে কি হয় সকলেই জানে। বিশেষ করে অনলাইন পত্রিকা দেখলে বুঝা যায়। ঘুষখোর সুদখোর মানুষের হক মেরে খাওয়ার সন্তানরা এখন বিলেতি সাজে। অপসংস্কৃতিকে আপন ও উপযুক্ত সংস্কৃতি ভেবে নিচ্ছে। পুরুষ মহিলা আর মহিলা তো বেটা বেটা রূপ নিচ্ছে। তালি মারা পোষাক কাটা আকাটা পেন্ট পড়া এটা নাকি বিদেশী সংস্কৃতি!
আহা কি রূপ কি যৌবন। এই রূপ আর যৌবনকে কুকুরও থুথু দিবে। কেননা কুকুর নিজের সীমা কখনও ছাড়ে না। প্রভু খাবার না দিলেও পোষাকুকুর অন্যের খাবার দেখে প্রভূকে ত্যাগ করে না। আর বাংলাদেশী হয়ে বিদেশের মাটিতে থেকে বিদেশীদের সংস্কৃতিতে বাংলাদেশীদের গালি দেয়।
খুব মায়া লাগে। আমাদেও সোনার বাংলাদেশের কি অপরূপ সংস্কৃতি। কি রূপময় শ্যামল ছায়ায় ঢাকা আমাদের বাংলাদেশ। সোনালী আঁশ ইলিশের দেশ। আবারো নিজের রূপ যৌবন ফিরে পাবে নব জোয়ানরা আবারো আমাদের সংস্কৃতিতে জীবন পরিচালনা করবে সে আশাই ব্যক্তি করছি।
মানুষ বাঁচে আশায় আর দেশ বাঁচে ভালবাসায়। ভালবাসায় কাটুক জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত...

হাসান সাইদুল
১৩.০৬.২০১৫

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.