![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরম করুনাময় আল্লাহর ছোট একটা সৃষ্টি সাদা-মাটার এই আমি। আল্লাহ আমার রব...
পৃথিবীতে ওই সমস্ত মানুষরাই অযোগ্য যাদরে অঢেল সম্পদ থাকা সত্যেও প্রতিবেশি না খেয়ে মারা যায়। আমরা যখন ক্ষুধায় ভোগি তখন আমাদের কেমন লাগে? সকলের তেমন লাগে।
বিভিন্ন খবরে জানা যাচ্ছে সিরিয়ার মাদায়ার বাসিন্দারা অভুক্ত অবস্থায় রয়েছেন, না খেতে পেয়ে মারা গেছেন অনেকে।
দামেস্ক থেকে ২৫ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে এবং লেবানন সীমান্তের মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মাদায়া শহরটি বেশ কয়েক মাস ধরেই সরকারি বাহিনী এবং হিজবুল্লাহ’র নিয়ন্ত্রণে।
মাদায়ার একজন বাসিন্দা বিবিসিকে জানান, না খেতে পেরে দু'জন লোক বৃহস্পতিবার সেখানে মারা গেছে।
আব্দেল ওয়াহাব আহমেদ নামের ওই বাসিন্দা আরো জানান, সরকারী বাহিনী ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ওই শহরটিতে অবরোধ আরোপের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৬০ জন মারা গেছেন।
সাতদিন ধরে না খেয়ে আছে শিশুটি।
“দুই শ' দিন ধরে মাদায়া অবরুদ্ধ হয়ে আছে। আজ দু'জন মারা গেছেন। এখানকার লোকজন এখন মাটি-ঘাস-গাছের পাতা খাচ্ছে কারণ খাবার আর কিছু নাই। শীতের কারণে পরিস্থিতিও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ঘাস-পাতাও শুকিয়ে যাচ্ছে।”
লেবাননের বৈরুতে জাতিসঙ্ঘ সদরদফতরের সামনে গত ডিসেম্বর মাসে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সিরিয়ান শিশুরা দাবি জানায়, মাদায়া ও জাবাদানি শহর থেকে যেন অবরোধ তুলে নেয়া হয়
যদিও সেখানকার কত মানুষ না খেতে পেয়ে মারা গেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য জানা যাচ্ছে না । তবে মেদসাঁ সঁ ফ্রঁতিয়ে বলছে, ডিসেম্বর মাসে তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা নিতে আসা অভুক্ত মানুষদের মধ্যে ২৩ জনই মারা গেছেন।
জাতিসঙ্ঘ বলছে, সিরিয়ার সরকার যেহেতু মাদায়ায় মানবিক সাহায্য পৌঁছাতে রাজী হয়েছে, সুতরাং কোন ঝামেলা না হলে সোমবারের মধ্যে সেখানে সাহায্য সামগ্রী নিয়ে ট্রাক পৌঁছাতে পারবে।
সেভ দা চিলড্রেন জানাচ্ছে, মাদায়ায় যদি জরুরি ভিত্তিতে খাবার, চিকিৎসা সামগ্রী, জ্বালানীসহ জরুরি সামগ্রী পৌঁছানো না যায় তাহলে আরো শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে সামনে।
১০ দিন ধরে এই দুধের শিশুটি শুধু লবণ-পানি খেয়ে বেঁচে আছে। (প্রথম ছবিটি)
সেখানকার স্থানীয় হাসপাতালের অবস্থা যে কতটা শোচনীয় ওয়াহাব আহমেদের বর্ণনায় তা স্পষ্ট প্রকাশ পায়।
“হাসপাতালে এখন দেড় শ'রও বেশি মানুষ অচেতন অবস্থায় আছে। অবরোধ আরোপের পর থেকে শহরটিতে জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহ কমে গেছে। কোনো ওষুধা নাই এখন, কোন বেডও খালি নাই এমনকি অ্যাম্বুলেন্সও নাই। একদিনের জন্য যেন অবরোধ তুলে নেয়া হয় আমরা এটিই চাই।”
আমরাও মানুষ আর মাদায়ার আমাদের জাতি ভাই বোনরা? সীমানা আর ক্ষমতা কত দিন জীবন টিকিয়ে রাখবে?
আল্লাহ সকলের জান ও মালের হেফাজত করুন।
সকলের কাছে অবরুদ্ধ মাদায়াবাসীর জন্য দোয়া কামনা রইলো।
তথ্য ও ছবি সংগৃহিত
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭
বিবর্ণ সন্ধ্যা বলেছেন: হমম