![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম ............. তিসপু অপেক্ষাই জীবন তারপর হয়তো কুসুম বনের তরী এসে লাগবে একদিন....
যে কোন মৃত্যুই কষ্টের যে কোন মৃত্যু সংবাদই আমাদের শোকাহত করে । তাও যদি হয় কোন প্রিয় মানুষের মৃত্যু সংবাদ আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে যাই । স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে একটু বেশি নাড়া দেয় ,চোঁখ থেকে একটু বেশি আশ্র্রু ঝরে । ভাবতেই একটু বেশি অবাক লাগছে আতাউর রহমান স্যার আর নেই । কোন দিন ও আর ফিওে আসবেন না । আমাদের সবাই কে কাঁদিয়ে তিনি চলে গেছেন অনন্তের পথে । যে পথে একবার গেলে আর ফিরে আসা যায়না । স্যারের চলে যাওয়া টা একটু বেশি কাঁদাচ্ছে আমাকে । ইস্ যদি শেষ বারের মত স্যারের সাথে দেখা করতে পারতাম । ইস্ স্যার যদি আর একবার মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে দিতেন । ইস্ কেন এমন হল ?স্যার তো গত ৫ বছর ধরেই মৃত্যুর সাথে সংগ্রাম করে চলেছেন আর কটা দিন বাঁচতে পারতেন না । আর কদিন পরেই তো আমার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হতো । শেষ বারের মত স্যারকে দেখতে পেলাম না ।
বাংলা সাহিত্যে স্যারের ছিল অসাধারন প্রতিভা । স্যারের মত এমন বিচক্ষন শিক্ষক কালাই থানাই ছিল বলে আমার মনে হয় না । বিশেষত স্যারের বুঝানোর ক্ষমতা ছিল অসাধারন । অনেক কঠিন বিষয় কে তিনি খুব সহজে বুঝাতেন । আমার মত আর সবার কাছেই স্যার ছিলেন প্রিয় মানুষ । স্যার সম্পর্কে যতদূর জানি সমাজের উচুঁতলার মানুষের সাথে তার সখ্যতা খুব কমই ছিল । তিনি ভালবাসতেন সমাজের নি¤œশ্রেণীর মানুষদেও বিশেষত কৃষক শ্রমিকদের তিনি দাওয়াত কওে খাওয়াতেন । তিনি ছিলেন স্প¯টভাষি একজন মানুষ । সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তার সফল পদচারনা ছিল । কর্মজীবনের শুরুতে তিনি পথনাটক করতেন । প্রখ্যাত শিল্পী খুরশীদ আলমের সাথে তার ছিল বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক ।
আমার বাবার বন্ধুর মেয়ের সাথে স্যারের ছেলের বৈবাহিক সম্পর্কের সুবাদে স্যারের সাথে আমার চেনা জানা একটু বেশিই ছিল । বেশ কয়েকবার স্যারেরর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম । স্যারের কাছে গেলে তিনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন ।
স্কুলে সবাই আমরা স্যার কে অনেক রাগী মনে করতাম । পরীক্ষার সময় স্যার প্রায়ই ওয়াশ রুমে নকল ধরার জন্য যেতেন বলতেন “– বহুমুত্র ধরেছে পরীক্ষার সময়ই শুধু এমন হয় না ।”
গ্যার আজ আর নেই আমাদেও মাঝে তবে স্যারের অসংখ্য কীর্তি বেচে থাকবে আমাদের মাঝে ।
আমরা সবাই স্যারের জন্য দোয়া করি । ওনি যেন বেহেশত্ বাসী হন ।
©somewhere in net ltd.