![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তো সাধারন একজন, অতি সাধরন এই মন
দেশের নামকরা ডায়বেটিক হাসপাতাল বাড়ডেম, কিন্তু চিকিৎসা নিতে এত বেগ পোহাতে হয় জানা ছিল না। রক্ত পরীক্ষা থেকে শুরু করে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার আগ পর্যন্ত যত দৌড়া দৌড়ি করতে হইলো,তাতে নিজেই রোগী হয়ে গেছি, এখনো পরামর্শ পাইলাম না। রক্ত দেয়া, রিপোর্ট নেয়ার পরেই শুরু।
"অমুক কাউন্টারে যান, ডাক্তার দেখবে"। সেখানে যাওয়ার পর, কাগজ দেখে..."অমুক নাম্বার রুমে যান, স্যার দেখবেন"। যাওয়ার পরে, ডাক্তারের সহকারী সাহেব কাগজ দেখে, "আপনি যে এখানে চিকিৎসা নিতে চান, এর জন্য আমাদের ওমুক ডিপার্টমেন্টের অনুমতি লাগবে, যান অমুক নাম্বার রুমে যান"।
তখন আমি মনে মনে... "আল্লাহ, তুমি আমারে কই এনে ফালাইলা, দড়ি ফালাও"! উনাকে বললাম, "আমি যদি এখানে
চিকিৎসা নাই ই নিবো, তাহলে এত কষ্ট করে কেন আসলাম?রিপোর্ট ই বা কেন করলাম?" উনি বললো, আরে মামা, নিয়মের বাইরে আপনি কেন যাবেন?
কথা না বাড়িয়ে সেখানে চলে গেলাম। সেখান থেকে "অনুমতি দিলাম" এই সাপেক্ষে একটা সাইন মারলো। তারপর বললো, অমুক কাউন্টারে যান, বললাম ওখানে কি ডাক্তার বসেন? "আপনাকে যেতে বলছি যান না?" আসলাম, কাগজপত্র দেখে তারা আরো টেস্ট করানোর জন্য বললো। এখানে বলে রাখি, যারা টেস্ট করার কথা বললো, উনারা কেউ ডাক্তার না, অফিস সহকারী। আমার রোগীর প্রাথমিক টেস্ট করা ছিলো, অথচ কোন ডাক্তার না দেখেই আমাকে আরো টেস্ট করানোর কথা বলে দিল অফিস সহকারীরাই। তারপর অন্য একদিন নাকি ডাক্তার দেখবে।
জানিনা আদতে সেই "ভগবানের" (ডাক্তারের) দেখা পাবো কিনা।
একজন ইমার্জেন্সি রোগী নিয়ে এত দৌড়ঝাপ পারা থেকে কবে মুক্তি হবে আমাদের?
৩১ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:২৪
হেলাল রাবি বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা আরো ভয়ানক দেখা যায়, মা ছেলের জন্য ছোটাছুটি করছে। ডায়ালাইসিস এখন আমাদের গোটা সমাজের জন্য আবশ্যক হয়ে গেছে।
২| ০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫
রাজ হাসান বলেছেন: তা বড্ড ঠিক বলেছেন,ডায়ালাইসিস এখন আমাদের গোটা সমাজের জন্য চূড়ান্ত ভাবে আবশ্যক হয়ে গেছে।আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা যে বেহাল দশা তা বলে বোঝানো যাবে না।এবং আমি নিজেই বাস্তব অভিজ্ঞতার সম্মুক্ষীন হয়েছি বার বার।
০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:২৫
হেলাল রাবি বলেছেন: আমাদের মত শ্রেনীর মানুষের খুব হাই ক্লাশ হাসপাতালের খরচ যেহেতু বহন করা সম্ভব না, এভাবেই চলতে হবে আমাদের।
৩| ০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: কাকতালীয়ভাবে আমি বারডেম-২ থেকে এসেই আপনার পোস্টটি পড়লাম। বউ কে নিয়ে আজ দিয়ে ৫ম দিন যাওয়া সেখানে। গত কয়েকদিন যে ডাক্তার দিয়ে দেখাচ্ছিলাম তিনি একগাদা টেস্ট দিয়েছিলেন, তো তিনি টেস্ট রিপোর্ট দেখে আরেক রুমে সার্টিফাইড করেছেন। আশংকায় ছিলাম নতুনজন আরও কয়টা টেস্ট দেয়। কিন্তু আজ গিয়ে শুনি উনি ছুটিতে আছেন। দেখি কাল গিয়ে কি হয়। উপরওয়ালা সবাইকে সুস্থ রাখুক। কাউকে যে এই ডাক্তারদের ফেরে না পরতে হয়।
০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:২১
হেলাল রাবি বলেছেন: সহমর্মিতা থাকছে আপনার জন্য, আমি আজ দিয়ে তিন দিন হলো ঘুরে আসলাম আমার বোনকে নিয়ে। কিন্তু সেই কাংক্ষিত ডাক্তার মহাশয় এর পরামর্শ এখনো পাওয়া হলো না, কাল আবার যেতে হবে। এনিওয়েজ, বিভিন্ন টেস্ট কিন্তু চলছে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
রাজ হাসান বলেছেন: ভাই সরকারী হাসপাতালে এমনই হয়।আমি নিজের ছোট্ট একটা উদাহারণ দেই।সনটা ছিল ২০০৭ এর সময়,আমি মোটামোটি ১০/১২ দিন সরকারী হাসপাতাল নিকডু তে ভর্তি ছিলাম মার্চের দিকে আর ঘটনা হচ্ছে এপ্রিল এর আমার প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট হছিল আমি নিকডুর ফ্লোরে শোয়া আর আমার মা আমাকে ডায়ালাইসিস দেয়ার জন্য কাউন্টার থেকে কাউন্টার দৌড়াদোরি করতে করতে অস্থির,শেষ পর্যন্ত তারা বলল আগে সিরিয়াল কেটে ডাক্টার দেখেন তার পর যদি ডাক্টার বলে ডায়ালাইসিস লাগবে তাহলে মেশীন খালি থাকলে ডায়ালাইসিস দিবে।সেই যাত্রায় বেচে গেছি এক ভাল সি এন জি ওয়ালা আমাকে আরেক হাসপাতালে নিয়ে যায় ধানমন্ডিতে তারপর দ্বিগুন রেট এ ডায়ালাইসিস করানো হয়।