নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টুকরো কথা

হিসলা সিবা

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।

হিসলা সিবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই ঘৃণিত অপরাধীর জন্য কি ফাঁসিই যথেষ্ট ? পতাকা ওড়ানোর কিংবা স্লোগান দেয়ার অপরাধে শহীদ মানুষ গুলোর পরিবার কতটুকু সান্ত্বনা পাবে শুধু তারাই জানে . . .

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৮

" লক্ষ মানুষ ভাত চেয়ে মরে, লক্ষ মানুষ শোকে ভেসে যায়,

ঘরহীন ভাসে শত শত লোক লক্ষ জননী পাগলের প্রায়।

কাঁদো কাঁদো তুমি মানুষের দল তোমার শরীর ক্ষত দিয়ে ঢাকা,

জননীর কোলে আধপেটা শিশু একেমন বাঁচা, বেঁচে মরে থাকা। "



আমি প্রবল ভাবে আশা করব রাজাকার কাদের মোল্লা কে নিয়ে এটাই যেন হয় আমার শেষ লেখা .....



১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকার মিরপুর এলাকার স্থানীয় বাঙালিদের কাছে ‘জল্লাদ’ ও ‘কসাই’ নামে পরিচিত ছিলেন। শিয়ালবাড়ী ও রূপনগরসহ সমগ্র মিরপুর এলাকায় হাজার হাজার বাঙালি হত্যার প্রধান নায়ক ছিলেন কাদের মোল্লা। স্বাধীনতার পর দেশের অন্যতম বৃহৎ গণকবর আবিষ্কৃত হয় মিরপুরের শিয়ালবাড়ীতে। ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই অসহযোগ আন্দোলনের সময়ই কাদের মোল্লার নেতৃত্বে মিরপুরে বাঙালি হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়



প্রথমে একটা গল্প শোনাই

আবুল আহসান একাত্তরে তিনি মিরপুরের শাহ আলী একাডেমি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়তেন। তাঁদের পরিবার তখন মিরপুরে থাকত। তাঁর বাবা ছিলেন সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও আইনজীবী। তিনি (তালেব) আজাদ, ইত্তেফাক, সংবাদ, মর্নিং নিউজ, পয়গাম, ইত্তেহাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেন। তিনি একাত্তরে পয়গাম পত্রিকার খণ্ডকালীন ফিচার সম্পাদক ছিলেন এবং এবং বিএনআর নামের একটি ল ফার্মে কাজ করতেন।

সত্তরের নির্বাচনে মিরপুরে জামায়াতের প্রার্থী গোলাম আযমের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন কাদের মোল্লা। নির্বাচনে পরাজিত পক্ষ কাদের মোল্লার নেতৃত্বে একাত্তরের ২৫ মার্চের পর নানা ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস, কিন্তু বাঙালিরা সেদিন বাংলাদেশ দিবস পালন করে। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো তাঁরাও সেদিন মিরপুরের বাংলা স্কুলে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে একটি কালো পতাকা ও একটি বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকা উত্তোলন করেন। ওই দিন রাতে বাংলা স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক সৈয়দ কাইয়ূম তাঁদের বাড়ি থেকে নিজ বাসায় যাওয়ার পর রাত আড়াইটা-তিনটার দিকে তিন-চারজন দরজা ভেঙে তাঁর বাসায় ঢোকে। ‘স্বাধীন বাংলার পতাকা কেন উড়াইছিস’—এ কথা বলে তারা ওই শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে তাঁকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। তিনি প্রাণ বাঁচাতে ওই অবস্থায় দৌড় দিয়ে রাস্তায় পড়ে যান এবং একজন বাঙালি তাঁকে রক্ষা করে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যান।

আবুল আহসান বলেন, মিরপুর রাড্ডা বর্ণেন হাসপাতাল থেকে একজন চিকিৎসক এনে কাইয়ূমের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁর বাবা পরদিন সকালে কাইয়ূমকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করান। পরে তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তাঁকে জানান। ২৭ মার্চ তাঁর বাবা দৈনিক ইত্তেফাক কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়ার খবর শুনে সাবেক সহকর্মীদের দেখতে সেখানে গিয়ে কয়েকটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ২৯ মার্চ শান্তিনগরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তিনি বলেন, গাড়ি ও টাকা আনতে মিরপুরের বাড়িতে যাবেন। এরপর ল ফার্মের দিকে যাওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে ইত্তেফাক-এর তৎকালীন প্রধান হিসাবরক্ষক অবাঙালি আবদুল হালিমের দেখা হয়। হালিম তাঁর বাবাকে মিরপুরে নিয়ে কাদের মোল্লার কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর কাদের মোল্লা ও তাঁর কয়েকজন সহযোগীর উপস্থিতিতে তাঁর বাবাকে মিরপুর ১০ নম্বর জল্লাদখানায় নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

আবুল আহসান বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর পর পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ ছিল না। আমি চকবাজার থেকে চা পাতা কিনে ফেরি করতাম। ওই সময় চকবাজারে আমাদের অবাঙালি গাড়িচালক নিজামের সঙ্গে দেখা হয়। তাঁর কাছে জানতে পারি, মিরপুরে কাদের মোল্লার নেতৃত্বে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ হয়েছে। গাবতলী, টেকনিক্যাল থেকে বাঙালিদের ধরে এনে শিয়ালবাড়ি, মুসলিমবাজার বধ্যভূমি ও জল্লাদখানায় এনে বাঙালিদের হত্যা করা হয়।’



১৯৭১ এর ৫ এপ্রিল ঘাতক আখতার গাছে ঝোলানো পল্লবের বুকে পরপর ৫টি গুলি করেন। পল্লবকে গুলি করে হত্যার পরও কাদের মোল্লা ও তার সহযোগীরা তার লাশ দুইদিন গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখেছিল মানুষকে ভীতসন্ত্র¯ক্স করার জন্য। এরপর ঘাতকরা পল্লবের লাশ মিরপুর ১২ নং সেকশনে কালাপানি ঝিলের পাশে আরো ৭ জনের লাশের সঙ্গে মাটি চাপা দেয়।



১৯৭১ সালে মিরপুরে কাদের মোল্লার দুষ্কর্মের অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী মো. শহিদুর রহমান চৌধুরী জানান, ’৭১ সালের অক্টোবরে কাদের মোল্লার নেতৃত্বে রাজাকাররা মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে মহিলা কবি মেহেরুন্নেসাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেখে সেই বাড়ির সিরাজ নামে এক ব্যক্তি তখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন, তিনি এখনো একইরকম আছেন।



মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে ১৯৭১ সালের ৬ মার্চ মিরপুর ১২ নং সেকশনের সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের গেটের সামনে ৭ মার্চকে সামনে রেখে স্বাধীনতাকামী জনতার একটি সভা হয়। সেই সভায় অংশগ্রহণকারীরা ‘জয় বাংলা’ সোগান দিলে কাদের মোল্লার নেতৃত্বে তার সহযোগীরা ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান দিয়ে তলোয়ার, দা ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র হাতে সভায় হামলা চালিয়ে বহু মানুষকে আহত করে।



এটাতো কেবল শুরু এই নর পিশাচের অপরাধের বিবরণ আমার দেয়ার সাধ্য নাই তবু লোকটার বিকৃত মানসিকতার প্রমাণের জন্য এটুকুই যথেষ্ট



এই ঘৃণিত অপরাধীর জন্য কি ফাঁসিই যথেষ্ট ? পতাকা ওড়ানোর অপরাধে কিংবা স্লোগান দেয়ার অপরাধে শহীদ মানুষ গুলোর পরিবার কতটুকু সান্ত্বনা পাবে শুধু তারাই জানে . . .



শত শত চোখ আকাশটা দেখে, শত শত শত মানুষের দল,

যশোর রোডের দুধারে বসত বাঁশের ছাউনি কাদামাটি জল।

কাদামাটি মাখা মানুষের দল, গাদাগাদি করে আকাশটা দেখে,

আকাশে বসত মরা ইশ্বর, নালিশ জানাবে ওরা বল কাকে।

ঘরহীন ওরা ঘুম নেই চোখে, যুদ্ধে ছিন্ন ঘর বাড়ী দেশ,

মাথার ভিতরে বোমারু বিমান, এই কালোরাত কবে হবে শেষ।

শত শত মুখ হায় একাত্তর যশোর রোড যে কত কথা বলে,

এত মরা মুখ আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা কোলকাতা চলে।

সময় চলেছে রাজপথ ধরে যশোর রোডেতে মানুষ মিছিল,

সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, গরুগাড়ী কাদা রাস্তা পিছিল

লক্ষ মানুষ ভাত চেয়ে মরে, লক্ষ মানুষ শোকে ভেসে যায়,

ঘরহীন ভাসে শত শত লোক লক্ষ জননী পাগলের প্রায়।

রিফিউজি ঘরে খিদে পাওয়া শিশু, পেটগুলো সব ফুলে ফেঁপে ওঠে

এইটুকু শিশু এতবড় চোখ দিশেহারা মা কারকাছে ছোটে।

সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, এত এত শুধু মানুষের মুখ,

যুদ্ধ মৃত্যু তবুও স্বপ্ন ফসলের মাঠ ফেলে আসা সুখ ।

void(1);

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৭

গাজী আলআমিন বলেছেন: রাজাকার কাদের মোল্লার ফাসি চাই

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: শুধু ফাঁশি তে এদের কিছু হবে না । অনেক আগে বাংলা ছায়াছবিতে দেখা যেত গাড়ির পিছনে বেধে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য । তো এটা করা যেতে পারে মৃত্য নিশ্চিত করা পর্যন্ত ।

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪২

রিওমারে বলেছেন: ফাসির আগের দিন পর্যুন্ত প্রতিদিন পালা করে সকাল বিকাল দুইটা গরম ডিম থেরাপি পুলিশের তরফ থেকে দেয়া উচিত।।

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ফাঁসি ছাড়া আলাপ নাই, দেখি কে ঠ্যাকায়।

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

তাওহীদ বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয়, শালা ওদের যদি মাস ভর খেজুর কাঁটা দিয়ে খুঁচিয়ে তারপর ফাসিতে ঝোলানো যেত......

৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৮

খুব সাধারন একজন বলেছেন: সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, এত এত শুধু মানুষের মুখ,

৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৩

একজন বাংলার ছেলে বলেছেন: নিহতদের পরিবারের লোকজনদের দ্বারা ওর হত্যা কার্যকর করা হোক ঠিক সেইভাবে যেই পৈচাশিকতার দ্বারা তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল।এবং অবশ্যই জনসমক্ষে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.