![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
মহা সমাবেশ কাল সকাল আটটায় , রাত জেগে তৈরি করা হচ্ছে পোস্টার লিফলেট,
কারো কাছে ভালো স্লোগান থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন দয়া করে ...
লিফলেটের লেখা তুলে দিলাম সবার জন্য
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন। আর তা এসেছিলো এই নিষ্ঠুর, নির্মম পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধেই, যারা মুসলমান হওয়ার পরও আমাদের রেহাই দেয়নি। আজ কিসের ভাই। কার রক্ত মাড়িয়ে? কার ছিন্ন শাড়ি পায়ে ঠেলে পাকিস্তানকে ক্ষমা করব। ক্ষমা করব আলবদর রাজাকারদের? ফিরিয়ে দিতে পারবে আমাদের জহির রায়হান, মুনির চৌধুরী কিংবা কবি মেহেরুন্নেসাদের...?
নিজেকে বাঙালী ভাবো, দেশটাকে ভালোবাসো। ৪১ বছর কি খুব দীর্ঘ সময় সব অপমান ভুলে যাওয়ার? সব রক্ত, অসম্মাণ, লুন্ঠণ ভুলে যাওয়ার? ৪১ বছর নয়, নয় ৪১ হাজার বছরও......
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে নাৎসি নেতাদের বিচারের সিদ্ধান্ত হয়েছিল ১৯৪৫ সালে; হয়েছিল টোকিও ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালে জাপানের সমরনায়কদের বিচার। ১৯৫১ তে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত জাপান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, আমলা ও সমরনায়কদের বিচারের জন্য ১৯৫১ সালে জাপানে এ আদালতের বিচার কাজ শুরু হয়।
জাতীয় পতাকার কথা ভাবো, ওই লালটা শহীদের রক্ত, যে রক্ত বইছে আমাদের ধমনীতেও। ওই সবুজটা বীরাঙ্গনাদের শাড়ি। কিসের ভিত্তিতে একাত্তরকে অস্বীকার করবে? শহীদ, বীরাঙ্গনা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগকে অস্বীকার করবে? যদি অস্বীকার করো, তোমার যোগ্যতা নেই এই দেশকে ধারণ করার। তুমি বিশ্বাসঘাতক। যারা এদেশের জন্মকে অস্বীকার করেছিলো, এদেশ তাদের নয়, তাদের তাবেদারদের নয়। তুমি কি আমাদের দলে? নাকি ওদের? তোমার রক্ত কার কথা বলে?
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি বিচার করতে হবে জামায়াতেরও, ভবিষ্যতে এই প্রতিক্রিয়াশীল সংগঠন সমাজে আরও বড় বড় অপরাধের জন্ম দেবে। ইতিমধ্যেই বহুবার তাদের বর্বরতা দেশের মানুষ দেখেছে। সে জন্যই ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সাথে সাথে যেমন হিটলারের দল, গেস্টাপো, সেনাবাহিনী, এস এস প্রভৃতি সংগঠনের বিচার করা হয় তেমনি আজ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র শিবির, দৈনিক সংগ্রামের মত স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠনকে বিচার করে নিষিদ্ধ করতে হবে। অতি দ্রুত কার্যকর করতে হবে শীর্ষ সবকটি যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি।
ফাঁসি ছাড়া আর কোন রায় গ্রহণ করা হবে না।
মুক্তির মন্দির সোপান তলে কত প্রাণ হলো বলিদান,
লেখা আছে অশ্রুজলে৷
কত বিপ্লবি বন্ধুর রক্তে রাঙা, বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙা
তাঁরা কি ফিরবে না আর?
তারা কি ফিরবে এই সুপ্রভাতে, যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে।৷
লেখা আছে অশ্রুজলে . . .
True History of Liberation War 1971… An organization devoted to liberation war study, research and online activism.
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৮
নিষ্কর্মা বলেছেন:
জামাতিরা মনে করে সবুজ হল ইসলামের রং আর লাল হল ইসলামি বিপ্লবের রঙ। তারা এইভাবেই সুযোগ পেলে বিদেশিদের কাছে আমাদের পতাকাকে ব্যাখ্যা করে। এমন কি তারা বলে যে মাতৃভাষা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত তাদের গুয়াজম! আর গুয়াজম না কি যুদ্ধ নয়, আলোচনার মাধ্যমে এই দেশের স্বাধীনতা চেয়েছিল!
কিন্তু তাদের এই মিথ্যা স্থায়ী হয় না। যারা বিদেশে আছেন, তাদের কাছে অনুরোধ, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকারকারী কোন বাঙলাদেশীকে জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে ডাকবেন না।
আজকে দেশের জনগণ জেগেছে। আর এই জনতাই একাত্তরে দেশ স্বাধীন করেছিল, একানব্বইয়ে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছিল। জনতার শক্তি অপ্রতিরোধ্য। কেননা জনতাই ৯৯%।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০১
বোকামন বলেছেন: জাতীয় পতাকার কথা ভাবো, ওই লালটা শহীদের রক্ত, যে রক্ত বইছে আমাদের ধমনীতেও। ওই সবুজটা বীরাঙ্গনাদের শাড়ি। কিসের ভিত্তিতে একাত্তরকে অস্বীকার করবে? শহীদ, বীরাঙ্গনা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগকে অস্বীকার করবে? যদি অস্বীকার করো, তোমার যোগ্যতা নেই এই দেশকে ধারণ করার।
১০০ ভাগ সঠিক