![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হিমাদ্রী। যাযাবর পথিক হিমাদ্রী। মানুষকে ভালবাসি আর মানবতার জন্য কাজ করি।
সাহাবায়ে কিরামগণ যখনই আমাদের প্রান প্রিয় নবী কারিম সাল্লাল্লাহ আল্যহে ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম এর
সামনে উপস্থিত হন এবং যদি কিছু জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন, তখন সাহাবায়ে কিরামগণ বলেন-
ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহ আল্যহে ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম “রাইনা”
যার অর্থ হল ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহ আল্যহে ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে কৃপাদৃষ্টি দেন।
এবং “রাইনা” এই একই শব্দের আর এক অর্থ হল রাখাল , যা কাফিররা ব্যাবহার করত।
কারণ কাফিররা বলত তোমরা যদি বলতে পার , আমরা বলব না কেন?
কিন্তু প্রশ্ন হল সাহাবায়ে কিরামগন সম্মানের দৃষ্টিতে ওই শব্দ ব্যাবহার করেন কিন্তু
কাফিররা অন্য অর্থে ব্যাবহার করা শুরু করে দিল।
সাথে সাথে হযরত জিবরাঈল আল্যহিসসালাম এসে উপস্তিত “ আল্লাহর অহি নিয়ে আসলেন-
“হে ইমান্দারগন তুমরা আর “রাইনা” ব্যাবহার করতে পারবে না,এখন থেকে উঞ্জুরনা বলবে-
যদি কেও রাইনা বল তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে- জাহান্নাম তার জন্য অবধারিত।
সূরা – আল বাকারা, আয়েত-১০৪
উঞ্জুরনা শব্দের অর্থ ও একই “কৃপাদৃষ্টি” কিন্তু এই শব্দের আর কোনও পতিশব্দ নেই-
তাহলে বুঝেন আল্লহর রাসুল সাল্লাল্লাহ আল্যহে ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম এর শানে শব্দের বেতিক্রম হলে
সয়ং আল্লাহ কুরআনের আয়েত পরিবরতন করে দেন;
কারণ যে সকল শব্দ দারা আমরা একে অপর কে ডাকাডাকি করি সে শব্দ দিয়ে আল্লাহর রাসুল কে ডাকা যাবে না।
উপরোক্ত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করলে বুঝা যায় যে “ বর্তমানে মিলাদুন্নাবি (সা)পালন করা যাবে না । কারণ মিলাদ এর বাংলা আভিধানিক অর্থ “আগমন “ এবং আর এক অর্থ হল “জন্ম”
কিন্তু সুন্নি মুসলমান যারা প্রিয় নবী কে প্রানের চেয়ে বেশি ভালবাসে তারা মিলাদ অর্থ “আগমনকেই বুঝায়।
কিন্তু বাতেল ,শয়তান, কাফের , যারা প্রিয় নবী কে মানে না তারা ও একই অর্থে পালন করে শব্দ পরিবর্তন করে, তারা বলে তুমরা যদি মিলাদুন্নাবি পালন করতে পার , তাহলে আমরা সিরাত বা জন্ম দিন পালন করতে পারব না কান? ( যদি ও বাতেলরা প্রিয় নবীর আগমনের আনন্দ করাকে স্বীকার করে না কিন্তু মুসলিম জাতি কে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পথ অবলম্বন করে)
এখন প্রশ্ন হল কুরআন ও হাদিস এর আলোকে রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহ আল্যহে ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম এর পর জাহেরি ভাবে আর কোন নবী ও রাসুল এই পৃথিবীতে আসবেন না। তাহলে বাতেল দের হাত থেকে আমাদেরকে কে রক্ষা করবেন?
বলা হচ্ছে প্রতি শতাব্দির শুরুতে বা শেষ এ এক জন দিনের মযাদ্দিদ আসবেন যিনি যুগের সংস্কার করবেন
এবং মানব জাতি কে সঠিক পথ দেখাবেন।
কেবল বাংলাদেশ নয় সারা দুনিয়া জুড়ে অনেক মুসলিম সংগঠন আচ্ছে যারা নিজেদেরকে প্রিয় নবীর আপন, প্রেমিক, আশিক দাবি করে কিন্তু কেও এর পরিবর্তন আনতে পারেনি।
এক মাত্র মুসলিম জাহানের আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক পুনজাগরনের দিশারি, সুন্নি আন্দলন এর মহান ইমাম – ইমাম আল্লামা শাহ হায়াত আলাইহে রাহমা- ঘোষণা করলেন যে ঈদ এ মিলাদ্দুন্নাবি নয় বরং ঈদ _এ- আযাম পালন করতে হবে।
ঈদ এ আযাম অর্থ প্রিয় নবী আগমনের সব চেয়ে বেশি আনন্দের দিন, এই শব্দের আর কোন অর্থ নাই। তাই দেখবেন কোন বাতেল ঈদ এ আযাম পালন করে না।
১০ ই মহররম ( শাহাদাত ই কারবালা)
মুসলিম জাহানের জন্য অনেক গুরুত্ব পূর্ণ একটি দিবস।
বলা হয় মূলত ১০ ই মহররম শাহাদাত ই কারবালার পর ই মুসলিম জাহানের পুনজাগরন হয়েছে।
“ ইসলাম জিন্দা হোতা হায় হার কারবালা কে বাদ”।
শাহাদাত ই কারবালার প্রকৃত শিক্ষা কি ছিল?
কেন এই দিবস হল?
আমাদের তা জানতে হবে। কিন্তু খুব এ দু:ক্ষের বিষয় হল আজ এই দিবস কে একটি তারিখের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কারণ এই দিবসের শিক্ষা যদি প্রকাশ হয় তাহলে মুসলিম জাহান আবার তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে, যা বাতেল ফেরকা ও বিজাতিয় মতবাদ চায় না। তাই কেও যাতে এই দিবসের সঠিক শিক্ষা নিতে না পারে সে কারনে শাহাদাত ই কাবালাকে আজ আসুরা নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে , যা আমাদের জন্য খুব ই দুঃখ জনক ব্যাপার।
আসুরা মানে ১০ তারিখ। কিন্তু শাহাদাত ই কারবালার শিক্ষা কেবল ১০ তারিখের মাঝে সীমাবদ্ধ নয়।
বরং সমস্ত মুসলিম জাতির মুক্তির দিশা হল ১০ ই মহররম শাহাদাত ই কারবালা দিবস।
যে দিবস কে বলা হয় মুসলিম জাহানের সবচেয়ে সম্মানিত শাহাদাত । ইসলামের ইতিহাসে এমন শাহাদাত আর নেই হবে ও না।
মুসলিম জাহানের আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক পুনজাগরনের দিশারি, সুন্নি আন্দলন এর মহান ইমাম – ইমাম আল্লামা শাহ হায়াত আলাইহে রাহমা ঘোষণা করেছেন।
১০ ই মহররম- শাহাদাত ই কারবালা দিবস ই মুসলিম জাতির “জাতীয় শহীদ দিবস”
©somewhere in net ltd.