নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

a misinterpreted interpreter

আত্মবিশ্বাসহীনতায় প্রকট হচ্ছে আত্মার দেউলিয়াত্ব, তবুও বিশ্বাস আগের মতই নিশ্চল..

হিমালয়৭৭৭

কিছু কিছু মানুষ থাকে যারা কোন ঘটনার উদ্দেশ্য হয়না,বিধেয় হয়না; সকলের অগোচরে মেঠো ইদুরের মত নিজেকে লুকিয়ে বেচে থাকে; এরা শুধুই অবজারভার- কোন অনুভূতি তাদের স্পর্শ করেনা....আমিও নেপথ্য চরিত্র হয়ে যাচ্ছি বহুকাল ধরে। এইতো আমি; বেঁচে আছি নিজের নিয়মে: কাউকে ধরে রাখা বা কোথাও ধরা পড়া_ দুটো সম্ভাবনাই যার পরম শূন্য

হিমালয়৭৭৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব-কলম থেকে ক-কলমে যাত্রা, ক-কলম থেকে ব-কলমেফেরা; ফিরতি পথে সারথি পাওয়া কায়া-কলমসমূহ ....

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১০







ব-কলমের সঠিক অর্থ সম্ভবত অক্ষরজ্ঞানহীন; এই অক্ষর আর কলম, দুয়ের সমণ্বয়ে যে যাত্রা সেটাই কল্পিত ক-কলমের ধারণা। আগে অক্ষর নিয়েই কথা হোক।

ছোটবেলায় আদর্শলিপি দেখে বাংলা বর্ণমালা লেখা শিখতে তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি, তবে দুটি বর্ণকে আলাদাভাবে রাখতেই হবে যার একটিকে আমি এখনো ঠিকমত লিখতে পারিনা; বর্ণ দুটি হল এবং । চকের পর চক শেষ করেছি স্লেট ঘষে, কিন্তু ঐ বর্ণ দুটি কিছুতেই লিখতে পারতাম না। আমার আম্মু স্লেটের উপর বর্ণ দুটি লিখে দিতেন, আমি সেগুলোর উপর হাত ঘুরাতে ঘুরাতে আত্মস্থ করতে চেষ্টা করতাম, এরপর অনেকবার চর্চার পর যখন নিজে বর্ণ দুটি লিখতাম, সে দুটিকে আর যা-ই হোক কোনভাবেই ঈ আর ঋ বলা যেতনা। এভাবে প্রায় ১সপ্তাহ প্র্যাকটিস করে একসময় হাল ছেড়ে দিয়ে আম্মুকে বলেই বসলাম ঐ দুটো বর্ণ লেখা শিখতে হবেনা, বাকিগুলো তো প্রথমবারেই শিখে ফেলেছি; সুতরাং ঐ দুটি না শিখলে এমন কী ক্ষতি হবে! পরে অবশ্য দৈবক্রমে ঈ লেখাটা শিখে ফেলেছিলাম, কিন্তু ঋ বর্ণটি কোনভাবেই পারিনা. এখনও হাতে কলমে কিছু লিখতে গেলে পারতপক্ষে এই বর্ণটাকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করি, কারণ সমস্ত প্রাইমারী স্কুল জীবনটাই আমি এই বর্ণটা লিখতে পারতাম না; এরপর কখন থেকে এটা লিখতে শিখেছি জানিনা, বোধহয় বয়স তার নিজের তাগিদেই আমায় শিখিয়ে দিয়েছে, কিংবা এমনও হতে পারে আমি এখন যে বর্ণটাকে ঋ বলে চালিয়ে দেই লেখার সময়, অন্যেরা সেটাকে অবলীলায় 'উল্টো-ধ' বলে রায় দিতে পারেন।

সেই তুলনায় ইংরেজি লেটারগুলো লেখা শিখতে ততটা সমস্যা হয়নি। কিছুটা সমস্যা করত a, G আর k ; a লিখতে গেলে চকটাকে কিভাবে ঘুরাবো সেটাই বুঝতে পারতাম না, কারণ বইয়ে a কে যেমন দেখায় লেখার সময় মোটেই ঐরকম লেখা হয়না, তদুপরি এটা লেখাও হয় হাতের এন্টিক্লক ওয়াইজ মুভমেন্টে; ফলে এই ব্যাপারটার সঙ্গে ধাতস্থ হতে একটু সময় লেগেছে। অন্যদিকে G অক্ষরটাকে দেখলেই মেজাজ খারাপ হত, এটাকে লাগত স্প্রিং এর মত- একবার লেখা শুরু করে, কিছুটা থেমে পরের অংশ লিখতে হয়; এই অক্ষরটা লেখা শিখতে সাহায্য করেছিল আমার বড় আপা; চুড়ি বা স্কেল, এ মুহূর্তে ঠিক মনে নেই, কিছু একটা দিয়ে সে কিভাবে যেন G অক্ষরটা তৈরি করে দিয়েছিল; আমি সেটা স্লেটে চেপে তার উপরে চক ঘুরাতাম; এরপর একসময় শিখে ফেলি।

ব-কলম থেকে এবার ক-কলমে রওয়ানা হই।

হিসেবমত চকই আমার প্রথম কলম। তবে চক দিয়ে খুব বেশিদিন লেখা হয়নি, কারণ স্লেটে লিখতে খুবই বিরক্ত লাগত, লিখে আবার মুছে ফেলা- এটা কোন কথা হল, এর সংগে ছিল চখের গুড়া নিয়ে দুষ্টুমি। আমার ইমিডিয়েট বড় বোনটা আমার চেয়ে মাত্র ৩বছরের বড়; দেখা যেত চকের গুড়া প্রায়ই ওর মুখে মেখে দিয়েছি, এ নিয়ে তুমুল মারামারি। এছাড়া স্লেট বস্তুটিকেও দেখতে কেমন যেন ন্যাড়া ন্যাড়া লাগত, তাই লেখা শেখার কিছুদিন পরেই চক ছেড়ে পেন্সিল নেই। কিন্তু শার্পনার দিয়ে একটু পরপরই সেটাকে শার্প করতে ভাল লাগতনা; এরচেয়েও বড় ব্যাপার ছিল আমার বড় আপা তখন ঝরনা কলম দিয়ে লিখত। আমারও খুব ইচ্ছে করত ঐ কলমগুলো দিয়ে লিখতে; আমার জেদের কাছে হার মেনে বড় আপার একটা ঝরনাপেন দিয়ে আমাকে একদিন লিখতেও দিয়েছিল। কিন্তু লিখতে গিয়ে আমার সব আগ্রহ মিটে যায়। লিখতে গেলে কালি ঝরে, তার উপর আবার কালি ভরতে হয, আবার দেখা যায় নিউজপ্রিন্ট কাগজে লিখলে পুরো পৃষ্ঠাটাই নষ্ট হয়; তাই ঝরনা কলম বিলাস আমার একদিনের বেশি স্থায়ী হয়নি। সেসময় বিটিভিতে ক্যাম্পাস বলপেনের একটা বিজ্ঞাপন হত নিয়মিত, বিজ্ঞাপনটা দেখে আমিও ক্যাম্পাস কলম কিনতে বায়না ধরে ফেলি। তাই বলতে গেলে ক্যাম্পাস বলপেনই আমার জীবনের প্রথম ব্যবহৃত কলম। এই কলমের একটা সুবিধা ছিল রিফিল ব্যবস্থা, তাই একটা কলম দিয়েই অনেকদিন চলে যেত। স্কুলে একবার কলমটা হারিয়ে ফেলি, স্কুল সংলগ্ন দোকানটাতে ক্যাম্পাস বলপেন ছিলনা, তখনই প্রথম ইকোনো বলপেন কেনা হয়। তবে বাসায় এসেই পাশের দোকান থেকে নতুন একটা ক্যাম্পাস বলপেন কিনি।

সেসময় বিশেষ একধরনের কলম পাওয়া যেত; সেগুলোর দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় দুইফুট। সম্ভবত তখন বিটিভিতে প্রচারিত ড্রামা সিরিয়াল দ্য সোর্ড অফ টিপু সুলতানে ব্যবহৃত কলমগুলোর দেখাদেখিই এত দীর্ঘ কলম বাজারে এসেছিল। দুইভাইয়ে মিলে বেশ আগ্রহসহকারে দুটো কলম কিনেছিলাম, তবে সেই কলম দুটো লেখার পরিবর্তে দুই ভাইয়ের মারামারির অস্ত্র হিসেবেই বেশি ব্যবহৃত হত। তাছাড়া এত লম্বা কলম দিয়ে লেখাটাও বেশ কষ্টকর একটা কাজ!



ক্লাস থ্রি পর্যন্ত এই কলমেই ছিলাম; মাঝে মাঝে ফাকফোকরে ইকোনো এসেছে, তবে ইকোনো ডিএক্সটা কখনোই নয়; এই কলমটাকে প্রচণ্ড ভারী লাগত, লিখতে গেলে মনে হত কাগজের সঙ্গে যুদ্ধ করছি।



ক্লাস ফোরে এসে পরিচয় হল রেডলিফ এর সঙ্গে, কারণ ততদিনে আমার বড় আপাও ঝরনা কলম ছেড়ে রেডলিফ ধরেছে। এই কলমটার সঙ্গে সখ্য ছিল ক্লাস টেন পর্যন্ত। এটারও রিফিল ব্যবস্থা ছিল, সেইসাথে লিখেও বেশ আরাম; সবমিলিয়ে রেডলিফকেই সেরা মনে হত। এরপরই হঠাৎ ক্লাস টেনে প্রি-টেস্ট পরীক্ষার কিছুদিন আগে আবির্ভাব ঘটে সেলো গ্রিপারের



আমার সেলো গ্রিপারে স্থানান্তরের গল্পটা অবশ্য বেশ মজার। এটার সঙ্গে আমার অসাধারণ বিচ্ছিরি হাতের লেখার একটা সংযোগ আছে। সেটাই একটু বলে নিই। আমার হাতের লেখা নিয়ে আম্মুর অভিযোগের অন্ত নেই; মানুষের লেখা এত বিশ্রী কিভাবে হয় এটা তিনি কিছুতেই বুঝতে পারতেননা, এখনো বুঝেননা। ফলে ক্লাস টু থেকে ক্লাস টেনে টেস্ট পরীক্ষার পূর্ব পর্যন্ত , এই দীর্ঘ ৮বছরের সময়টাতে আমাকে যে কত মানুষের হাতের লেখা অনুকরণ করার চেষ্টা করতে হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। বড় আপা, তৎকালীন সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট ফুফাতো ভাই, খালু, খালাতো বোনের হাতের লেখাতো ছিলই, সঙ্গে আমার সহপাঠী, স্কুলের সিনিয়র ভাই , শিক্ষক, তাদের লেখাও বাদ পড়েনি। এমনকি আম্মুর অনেক এডভোকেট কলিগের লেখাও আমাকে অনুকরণের চেষ্টা করতে হয়েছে এই সময়টাতে। এবং প্রতিবারেই আমি অত্যন্ত সফলভাবে ব্যর্থ হয়েছি। আমার এই হাতের লেখা অনুকরণের গল্পটা পরিচিত অনেকেরই জানা ছিল, এমনই একজন মানুষ হলেন পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারী স্কুলের শিক্ষক দিপক মন্ডল। তার অধীনে কিছুদিন বাংলা ব্যাকরণ পড়েছিলাম, তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন যে আমার বিশ্রী হাতের লেখার মূলে রেডলিফ কলম, কারণ কলমটার শিস বেশ মোটা, ফলে লেখা নাকি স্বাভাবিকের চেয়েও অসুন্দর দেখায়! তিনিই পরামর্শ দিলেন সেলো গ্রিপার ব্যবহার করতে, কলমটার শিষ নাকি অনেক সূক্ষ; সঙ্গে ধরিয়ে দিলেন সুন্দর হস্তাক্ষরওয়ালা জনৈক বড় ভাইয়ের একটা লেখা; আমি কয়েকদিন ধরে অনুকরণের ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে সেই লেখাটাও নির্বাসনে পাঠালাম, কিন্তু সেলো গ্রিপারকে রেখে দিলাম। সেটা পুরো কলেজ লাইফেই চলে। কিন্তু এই কলমের প্রধান সমস্যা হল, যখন তখন নিব পড়ে গিয়ে কালির নদী বইয়ে দেয়। ফলে বুয়েটে এসে অতিমাত্রায় সেলো গ্রিপার নির্ভরতা কমিয়ে সর্বজনীন নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে উঠি; হাতের কাছে নলখাগড়া পেলে সেটাকেও বোধহয় কলম বানিয়ে ফেলব এমন। এখন আর দোকানে গিয়ে কোন কলমের নাম বলিনা; কলম চাই, দোকানীর পছন্দেই আমার আস্থা! তবে বর্তমানে যে কলমটা দিয়ে অনুবাদ করছি সেই কলমের নামটা খেয়াল করেছি- ম্যাটাডর।



............................................................................................

আমার এসএসসি পরীক্ষার কিছুদিন আগে বড় আপা বৃটিশ কাউন্সিলের একটা ট্যুরে লণ্ডনে গিয়েছিল, সেখান থেকে আমার জন্য একটা পার্কার কলম কিনে এনেছিল। অতিরিক্ত আবেগ কিংবা পুরোপুরি উদাসীনতা দেখাতে গিয়েই বোধহয় সেই কলমটা দিয়ে না লিখে আলমারীতে তুলে রেখেছিলাম। এরপর এসএসসির পর তো ঢাকায়ই চলে এলাম; তাই সেই পার্কারটার আর কোন খোঁজ নেয়া হয়নি, অনেকদিন পর খুঁজতে গিয়ে দেখি আলমারিতে যা যা থাকা দরকার সবই আছে, but that pretty perker was missing anyway!! যক্ষের ধন, নাকি যক্ষের কলম সেই দোটানায় ভুগতে ভুগতে বুঝে গেলাম যক্ষ শব্দটাই আসলে হারিয়ে যিওয়ার জন্য।



যাইহোক, আমার কলম এখন কালি ঝরিয়ে কাজশেষে অনাদরেই নাহয় আশ্রয় নিক সারি-কলামের পোতাশ্রয়ে। ব-কলমের গন্তব্যে নিয়তি এসে গেছে, এবার ক-কলমের নামার পালা!!







মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১১

বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: ভাল লাগল হিমালয় :D

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১২

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আচ্ছা।।।।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: রেডলিফ, ইকোনো, রাইটার ভুলেই গেছিলাম এগুলোর কথা! মজার কিছু এ্যাডও ছিলো। নস্টালজিক হলাম আপনার পোস্ট টা পড়ে। ওহ, আরেকটা কলম আমার খুব প্রিয় ছিলো, Reynolds, ওটা কি এখনও পাওয়া যায়?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১২

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: রেনল্ড কলমটা দিয়েও ভলিখেছি, মনে ছিলনা লেখার সময়।।।। এখনও পাওয়া যায় কিনা জানিনা।।।

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৪

হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালা বলেছেন: আমিও ssc দিছিলাম সেলো গ্রিপার দিয়ে...আনেকের প্রিয় ছিল কলমটা। আমরা বন্ধুরা ভাবছিলাম সেলো যারা বেচে তাদের বলব আমােদর দিয়ে add করাতে... B-) "আমরা সেলো গ্রিপার দিয়ে লিখে A+ পেয়েছি..আপনিও লিখুন" :-B =p~

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪৬

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: এখন বোধহয় ম্যাটাডর দিয়েই বেশি লিখি।।।

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: সাধারন একটি বিষয় নিয়ে এমন অসাধারন গদ্য লিখার অদ্ভুত ক্ষমতা আপনার......গ্রেট গ্রেট ....

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৬

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে শান্তি শান্তি লাগছে।।।

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪০

আহমেদ রাকিব বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। সাধারন বিষয়ে অসাধারন লেখনি। ভালো লাগলো অনেক।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪৬

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: ধন্যবাদ।।।

৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৫

তারার হাসি বলেছেন:
কি চমৎকার করেই না লিখেছেন !

১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৭

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: এটা অবশ্য হাতে লিখতে হয়নি, টাইপ করা!!!

৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৯

আইরিন সুলতানা বলেছেন: শুরুতেই শিরোনামটা পড়ে ভাবছিলাম, শিরোনামটাই প্রথমে ভেবেছেন নাকি লেখার বিষয়গুলোই ঘুরপাক খেয়েছে আগে? অবশ্যই লেখার বিষয়টাই সূ্ত্র হিসেবে আসার কথা প্রথমে। লেখাটার শুরুতে ভূমিকার ছলে এবং শেষে উপসংহার হিসেবে শিরোনামটিকে বিশ্লেষণ করেছেন ভালই।

ছোটকালে স্কুলে পরীক্ষার সময় একটা সমস্যা হতো, "ত" লিখতে গেলে শুরুতে বৃত্তের মধ্যে আটকে যেতাম!!! সেই চক্রাকার আবর্তন থেকে ছিটকে বাকি মোড়টুকু নেয়ার জন্য হাতের উপর জোর চালাতে হতো রীতিমত।

ইকোনো কলমটা কেন জানি আমার কাছে বুড়োদের কলম মনে হতো। ইকোনো ডিএক্স সেই তুলনায় সামান্য স্মার্ট ছিল একটু কিন্তু আমার ভাল লাগতো রাইটার। সেসময় মডেল নোবেল এর একটা এ্যাড খুবই হিট হলো, ওটা রাইটার না ইকোনো'র ছিল মনে আসছে না। মনে হয় রাইটার । কলম নিয়ে এরপর মনে হয়না এরপর আর কোন দেখার মত এ্যাড এসেছে।

ঝরনা কলমের প্রতি ওই সময় সবারই আগ্রহ ছিল । ওটা দিয়ে লেখা মানে একটা ভাব আসে। যদিও ভারী লাগতো লিখতে গেলে। তবে কলমটা সাথে থাকলেই শান্তি।

রেডলিফ কলমটার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। ওটাও অনেক ব্যবহার করেছি আসলেই। সেলোগ্রিপার ধরেছি একটু পরে আসলে।

স্কুলে থাকতে তখন কলমের মত পেন্সিল ছিল কতগুলো, ভেতরে ছোট ছোট লিড, শেষ হয়ে গেলে আবার কেনা যায়, রিফিল সিসটেম ।

আরেকটু পরে আবার সেই রকম কলম টাইপের ইরেজারও আসলো। ভেতরে ছোট ছোট ইরেজার, নানা রঙের।

পেন্সিল ভালো লাগে সব সময়। ইউনিভার্সিটিতে উঠে ড্রাফটিং ক্লাসের কারণে, টুবি-, এইচবি, ফোরবি, টুএইচ ---কত্ত রকমের পেন্সিল ।

টুএইচ পেন্সিলটা এখনো আছে আমার কাছে, কেন জানি মনে হয়, এটা শেষ হবে না কখনো ! এমনিতে খুব হালকা লেখা, একটু চাপ দিলেই গাঢ় এবং শার্প লেখা যায়।


নস্টালজিক হওয়ার অনেক টপিক আসলে। এক অক্ষর, কলম নিয়ে আপনার লেখা পড়েই কত কিছু হুড়মুড় করে মনে পড়ে গেল!

৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০২

আইরিন সুলতানা বলেছেন: বলপেন ক্যাম্পাসের এ্যাডটা মনে এলো এখন..

লেখে ভালো, চলে ভালো ...সাব্বাশ ! বলপেন ক্যাম্পাস !

তবে ওটা ব্যবহার করিনি মনে হয় ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৮

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: কমেন্ট১ এর উত্তর:
আমি লেখার ক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর সঙ্গে শিরোনাম নিয়েও বেশ ভাবি, যেজন্য মাঝে শিরোনামগুলো উদ্ভট হয়ে যায়।।।
ছোটবেলায় আমি ত লেখা আলাদ করে শিখিনি; ৩ লিখে তার উপরে মাত্রা টেনে দিতাম, তবে ঋ টা এখনো বেশ ভো[গায়, সেজন্র পারতপক্ষে এই বর্ণাশ্রয়ী শব্দগুলো এড়িয়ে চলি।।।
রাইটার কলম দিয়েও লিখেছি, তবে লেখার সময় খেয়াল ছিলনা; নোবেলের সঙ্গে ঐ এডটায় বোধহয় মডেল তানিয়াও ছিল, এত পিচ্চি ছিলাম সেসময় যে এখন আর সেটা ঠিকমত মনে নেই- তবে সেটা আজাদ প্রোডাক্টের এড চিল, রাইটার কলম যদি আজাদ প্রোডাক্ট হয় , তাহলে সেটা রাইটারেরই এড ছিল, নয়তো আজাদ বলপেনের ( পুরোটাই ধারণার উপরে বলছি)
গ্রাফ আঁকা বাদে আর কখনোই পেন্সিল আমার কোন কাজে আসেনি, তাই এই ব্যাপারে কিছু বলার নেই।।।
সবশেষে নস্টালজিয়া খারাপ না।।।

কমেন্ট২:
এডটা দেখলে বেশ হাসি পেত, এখন দেখলে কেমন লাগবে জানিনা।।।।

৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:২৬

অপ্‌সরা বলেছেন: বাপরে !!!! এটা তো হিমু কলমকাহন!!!!!!



তুমি আমার উপরে ভীষন ভীষন রাগ করেছো ভাইয়া।আমি কিন্তু পরী মনের কথা সব বুঝে ফেলি।:(:(

১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আফ্রোদিতি আপু, পরী অন্তত এক্ষেত্রে যে ভুল করেছে সেটা নিশ্চিত।।।। অনেক্ষণ চেষ্টা করেও রাগ করার মত কোন কারণ খুঁজে পেলামনা; তাই আপনাকে ১৯কাপ চা জরিমানা করা হল।।।

১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৮

অপ্‌সরা বলেছেন: :P


পরীদের ছোটভাইরা পরীদের মতই হয়। মানে নো রাগ, নো দুঃখ!!!!!!


আর তারা কোনো কিছুই খায়না। শুধুই চা ছাড়া। তোমার ঠিকানাটা দিও তো ১৯ দুগুণে ৩৬ গ্রীন টি ব্যাগ(পরীরাজ্যের) পাঠিয়ে দেবো।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৪২

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: ১৯দুগুণে ৩৬; বাকি ২ কাপ কি ভ্যাটের কবলে কাটা পড়লো????

১১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৮

ম্যাভেরিক বলেছেন: কত কথা মনে পড়ে যায় রে!
আমি প্রথমে লেখি স্লেট আর পেন্সিলে। পুরোনো আমলের বেশ অসাধারণ ছিল স্লেটটি, বহু দিন লিখেছি।

তারপর ঝর্ণা কলম। এস.এস.সি. এ কলম দিয়েই। :)
তারপর রেড লিফ।
এখন কী-বোর্ড। B:-)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৯

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আমিও এখন কী-বোর্ড!!! তবে স্লেটটাতে এখন খু্ব লিখতে ইচ্ছে করে।।।

১২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:২০

ম্যাভেরিক বলেছেন: আর বর্ণের যে কত রকম নাম:

দ হচ্ছে হাঁটু-ভাঙ্গা দ।
ধ হচ্ছে কাঁধ-ভারী দ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩১

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: ষ- পেটকাটা ষ।
ঙ- নাক উল্টানো ঙ
ঞ- বোঝাওয়ালা ঞ.........

১৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৫

ভাঙ্গন বলেছেন: আমার একটা কলমের কথা মনে পড়ে।
কলমটা এখনো মাঝে মাঝে দেখা যায়।
সেটার নাম ছিল "এক কলমে মেট্টিক পাশ"

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৯

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: এটা আবার কোন্ কলম।।।

১৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৭

পারভেজ বলেছেন: হাতের কাছে যা পেতাম তাই দিয়েই লিখতাম। কখনো ভালো করে তাকিয়ে দেখিনি কি দিয়ে লিখছি :|
সম্ভবত হাতের লেখা খারাপ ছিল বলেই কলম নিয়ে মাথা ঘামাই নি।
তবে ছেলেবেলায় ঝর্ণা কলম দিয়েই লেখা হতো বেশী। বলপয়েন্ট পেন তখন সবে আশা শুরু করেছে বিদেশ থেকে। বেশ মুগ্ধ করে রেখেছিল প্রথম প্রথম। স্কুলে কে যেন গিফ্‌ট ও করেছিলো একটা! আবছাভাবে মনে পড়ছে এখন! ছেলেটার নাম মনে হয় মহিউদ্দিন; ওর ভাই কোত্থেকে যেন এনে দিয়েছিল।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪১

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আপনারও হাতের লেখা খারাপ জেনে ভাল লাগল, তবে আমার চেয়ে খারাপ যে হবেনা সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারি।।।

১৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪২

ভাঙ্গন বলেছেন: লম্বা বেতের মতন সাইজ ছিল।
দোকানে পাওয়া যেত।
একবার আমি রেডলিফ না কিনে চুপে চুপে সেই কলমটা কিনেছিলাম।
পরে আমার টিচার সেই বেতকলমটা দিয়েই আমাকে পিটুনি দিতেন বলে আমি সেটা ভেঙ্গে ফেলি।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৪

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: হ্যা, মনে পড়েছে, ওটার কথা পোস্টেও লিখেছি : "সেসময় বিশেষ একধরনের কলম পাওয়া যেত; সেগুলোর দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় দুইফুট। সম্ভবত তখন বিটিভিতে প্রচারিত ড্রামা সিরিয়াল দ্য সোর্ড অফ টিপু সুলতানে ব্যবহৃত কলমগুলোর দেখাদেখিই এত দীর্ঘ কলম বাজারে এসেছিল। দুইভাইয়ে মিলে বেশ আগ্রহসহকারে দুটো কলম কিনেছিলাম, তবে সেই কলম দুটো লেখার পরিবর্তে দুই ভাইয়ের মারামারির অস্ত্র হিসেবেই বেশি ব্যবহৃত হত।"

১৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০৬

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
একটা কমেন্ট লিখেছিলাম আর একবার এসে......
বাগে নাকি বাঘে খেলো হিমু?:)
........কলম নিয়ে কত কত স্মৃতি যে আছে।
তোমার লেখা খুব ভালো লাগলো........
রাইয়ান এখনো মাঝে মাঝে ২ আর ৩ উল্টা করে লেখে ।
আরো কত কিযে মজা করে......রাইয়ানকে নিয়ে একটা লেখা লিখছি।

অনেক শুভকামনা তোমাকে।আশাকরি ভালো আছো।
আশীষ সবসময়কার।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৬

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: তাই নাকি??? সেই কমেন্টটাতে নিশ্চয়ই অনেক কিছূ ছিল; মিস করলাম।।।

রাইয়ান আসলেই খুব ভাল একটা বাবু।।। ওকে নিয়ে লেখাটা খুব দ্রুত পড়তে চাই।।।

শ্রদ্ধা সবসময়কার।।।

১৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২৫

কালপুরুষ বলেছেন: ভাল লাগলো লেখাটা। নিজের জীবনের শুরুরদিকে লেখা নিয়ে অনেক কথা মনে পড়ে গেল। শ্লেট ও শ্লেটে লেখার একধরণের পাথুরে পেন্সিল দিয়ে হাতের লেখার কসরৎ শুরু। এরপর কালির দোয়াতে কলম চুবিয়ে লেখা, ঈগল ও ময়ুরের পালক কালিতে চুবিয়ে লেখা সাথে ব্লটিং পেপারের ব্যবহার। আরো অনেক কথাই মন পড়লো।

শুভ কামনা রইলো।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৭

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আপনাদের সময়কার কলম নিয়ে লিখতে পারেনম অনেক তথ্য জানা যাবে।।।

১৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৪

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। একেই বলে আইডিয়া ! +++++++++++++

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৮

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: হুমম, আইডিয়া আইডিয়া!!!

১৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৫

তাজা কলম বলেছেন: সুন্দর কলমকাহন। তাজা কলমও উপভোগ করল পোষ্টটি।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১৩

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: nick er songei jar 'kolom' jorano se to upovog korbei.........

২০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: রেডলিফ ছিল সম্ভবত এক্সিকিউটিভ ক্লাসের কলম। লেখা ভাল লাগলো।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:০০

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.