![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার জানামতে উন্নত বিশ্বে প্রেগন্যান্ট মা কে সবসময় আলাদা এবং সুপার স্পেশালভাবে দেখা হয়, বলতে গেলে সর্বদা অগ্রাধিকার দেয়া হয়। পরিবারে ডাক্তার দেখানোর ক্ষেত্রে, খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে তো বটেই সাথে স্পেশাল যত্নআত্তি তো আছেই। কারনটাও স্বাভাবিক, একই সাথে দুটো মানুষের যত্ন সাথে আবার নতুন মানুষেএ আগমন মানেই নতুন স্বপ্ন বুনন।
ও তো গেলো উন্নত বিশ্বের কথা, এবার একটু এদিকে আসি, মানে আমাদের উপমহাদেশের দিকে। এখানে পড়ুয়া থাকা অবস্থায় প্রেগন্যান্ট হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কথা শোনানোর লোকের অভাব হয় না। ব্যাপারটা এমন যে, যিনি বলেন তিনাকে বোধহয় "কেউ টুপ করে উপর থেকে ফেলছিলেন, আর উনার বাবা মা ধুপ করে ধরে ফেলছিলেন কিংবা উনার বংশে কেউ কখনো প্রেগন্যান্ট হন নাই। আর যতটা না প্রেগন্যান্সির চিন্তা, তার চেয়ে বেশি চিন্তা "ছেলে হবে নাকি মেয়ে", ছেলের আশায় আশায় বছর বছর ২ টা, ৩ টা, ৪ টা করে মেয়ে হয়েই যাচ্ছে, সেদিকে বিন্দু মাত্র খেয়াল নেই। হয় ছেলে হবে, অথবা আরেকটা হবে, অথবা আরেকটা বিয়ে করে আনবো। আমার দেখামতে একজন যথেষ্ট শিক্ষিত কাকু আছেন যিনার দুই বউ এর ৭ টা মেয়ে। তার হিসেবে বংশের প্রদীপ জ্বলে নাই। কিন্তু আমার হিসেবে তার বংশের প্রদীপ অন্য বংশেও আলো ছড়াচ্ছে। চেঞ্জ টা আগে মানসিকতায় দরকার....
বোটানিতে মাস্টার্স পড়ুয়া এবং একই সাথে একটা কলেজে পার্টটাইম লেকচারার হিসেবে কর্মরত আমার পরিচিত একজন আপু অনার্সের 1st year ফাইনাল পরীক্ষা দেবার সময় প্রেগন্যান্ট ছিলেন বলে তার ডিপার্টমেন্ট হেড তাকে যেসব কথা শুনাইছিলেন তা এখানে লেখা সম্ভব নয়। নিচের লেখাটা আর ছবিটা দেখার পর আজকে তাকে মনে করে আবার ফোনে কথা বললাম, ভাগ্নেও এখন স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি। লেখাটা এবং ছবিটা হুবহু নিচে তুলে দিলাম....
"আমাদের মানসিকতায় যদি শুধুমাত্র এটুকু চেঞ্জ আসে, তাহলেই না জানি কত পরিবর্তন হয়।
"সাংগঠনিক আচরনের উপর মাস্টার্সের ক্লাস নিচ্ছিলেন Professor Sydney Engelberg তখন ক্লাসের এক ছাত্রী মায়ের শিশু সন্তান কান্না করতে শুরু করে। বিব্রত মা সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে যেতে চাইলে প্রোফেসর Sydney Engelberg শিশু সন্তানটিকে নিজের কোলে নিয়ে শান্ত করেন এবং ক্লাস চালিয়ে নেন।"
এই প্রফেসরের ক্লাসে যে কোন ছাত্রী তার সন্তান নিয়ে ক্লাস করতে পারে। এমন কি ক্লাস করার সময় ব্রেস্টফিডিংও করতে পারে। কারন তিনি মনে করেন, পৃথিবীর কোন মা কে সন্তান এবং লেখাপড়ার মাঝে কোন একটিকে বেছে নেয়ার প্রয়োজন নেই।
পৃথিবীতে এমন পুরুষ আছে বলেই মাঝে মাঝে নিজেকে পুরুষ বলতে লজ্জা লাগে না, গর্ব হয়.... ফেবুর পোষ্ট
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৭
নিঃসঙ্গ সারথী বলেছেন: এতোদিন পর এই পোষ্টের মন্তব্য দেখে অবাক হয়েছি। সবার আগে মানুষ হওয়াটা অবশ্যই জরুরি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬
মানবী বলেছেন: আমাদের দেশে ছাত্রী অবস্থায় প্রেগন্যান্ট হলে এমন হেনস্থা হতে হয় জানা ছিলোনা, নিঃসন্দেহে অত্যন্ত নিন্দনীয়। এমন শিক্ষক কি শিক্ষা দিবে তা বড় প্রশ্ন!
আসলে একজন প্রেগন্যান্ট মানুষকে সন্মান দিতে হলে সবচেয়ে আগে একজন মানুষকে, একজন নারীকে সন্মান দিতে জানতে হবে!
আমাদের কালচারে শ্রেনী বৈষম্য এতো প্রকট যে অপরকে সন্মান কিভাবে দিতে হয় তাই আমরা জানিনা। আর সেই অজ্ঞতার হাত ধরেই প্রেগন্যান্ট মায়েদের এই অপমান!
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ নিঃসঙ্গ সারথী।