![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রোগী মারার জন্য কি দিন রাত না ঘুমিয়ে না খেয়ে খেটে, পর্বতসম মানসিক চাপ আর ভয় নিয়ে আইটেম, কার্ড, টার্ম, ব্লক ফাইনাল, আসেসমেন্ট দেয়ার দরকার আছে?
.
বড় বড় শ্রদ্ধেয় প্রফেসর স্যারদের সামনে ভাইভা দেয়ার দরকার আছে?
.
মাথার চুল, চোখের পাওয়ার খোয়ানোর দরকার আছে? ওয়ার্ডে রোগীর সামনে স্যারের প্রশ্নের উত্তর বলতে না পেরে অপমানিত হবার দরকার আছে?
.
বাবা হয়ে যাওয়ার পরেও বাচ্চাকে কোলে নিয়ে সামনে Harrison, Davidson, Bailey & Loves খুলে রাখার দরকার আছে?
.
মা হয়ে যাবার পরেও বাচ্চাকে ব্রেষ্ট ফিডিং করাতে করাতে সামনে Dutta or Jeffcoat খুলে বেবী কিভাবে নিতে হয়, তাঁদের কেয়ার কিভাবে করতে হয়, সেটা শেখার দরকার আছে?
.
না, এসবের কোনটারই দরকার নেই...
পটাপট রোগী আসবে, ফটাফট ওষুধ দিয়ে দিবেন... কিচ্ছু টেষ্ট/ Investigation করা লাগবে না, সাথে High Dose Antibiotic, রোগীও খুশি, আপনারও পকেট ভরা, সেই সাথে সুনাম।
.
কসাই তো শালা হাসপাতালের ডাক্তাররা, যারা এতো কষ্ট করে কসাই হবার জন্য।
.
তাই আমার প্রস্থাব, হাসপাতালে রোগি এলে সোজা রেফার করে দেয়া হোক কবিরাজ, ফকিরবাবা বা ফার্মেসীর বড় বড় ডাক্তারেরকাছে... সোজা কথা, সোজা চিকিতসা।
.
রেফার করুন, "মানবতা" নামক বা* এর কথা ভুলে যান, বাংলা অভিধানে এ শব্দটা আগে ছিলো, এখন নেই।
.
সেধে "মাra" খাইতে না চাইলে রেফার করা শিখুন (ফকিরবাবা/কবিরাজ) এর কাছে, সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন।
।
আপনি বাচলে বাপের নাম, জানেন নিশ্চয়
১৫ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১৬
মেডিকো মাকড়সা বলেছেন: এবং আমার মনে হয় সেটা করতে আমাদের মত তরুন ডাক্তারদের করা উচিৎ.
২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা!!
আবেগ চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে!!!
রেফার বানিজ্যের কথা মনে হয় জানেনই না!! প্লুটো থেকে সদ্য এলেন নাকি!
সামান্য রোগে হাজার হাজার টাকার টেষ্ট করার কথা শুনেও বুঝি আকাশ থেকে পড়লেন!!! বলিহারি!
তাও আবার সরকারী বা অন্য টেষ্টে নিয়ে গেলে কুকুর বেড়ালের মতো রোগীর সাথে আচরন.. রিপোর্ট ছু[ড়ে ফেলে দেয়া.. নিদির্ষ্ট ডায়াগনস্টিকের রিপোর্ট ছাড়া আস্থা!ই নেই!!!! সব বেমালুম চেপে গেলেন!!! বেশ বেশ!
এত বড় বড় বাড়ী ভাড়া নিয়ে যে কথিত হাসপাতাল ক্লিনিক তারা বুজী বাপের জমি বেচে এনে মাসিক খরচ চালায়?? তায় আবার শৈনে শেনে উন্নতির রহস্রটা কি একটু বুঝায়া বলবেন????
বললে ন্যয় সংগতটাই বলুন। সব ডাক্তার যেমন কসাই না! তেমনি কসাইকে বাঁচাতে নাটুকে ডায়ালগই যথেষ্ট নয়।
১৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১০
মেডিকো মাকড়সা বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ন একমত।তবে, সামান্য রোগ বলতে আপনি কোনটাকে বোঝাচ্ছেন? জ্বর? আচ্ছা আপনি জানেন, জ্বর আসলে কত প্রকার, আর ঠিক কি কি কারণে জ্বর হয়? মনে তো হয় জানেন না। আচ্ছা, বলুন তো জ্বর কোথায় হয়? রক্তে, চামড়ায়, মাথায়? নাকি মনে? জানেন? না, জানেন না। নেট খুজলে পেয়ে যাবেন ভাবছেন? পাবেন। কিন্তু ঘোড়ার ডিমও বুঝবেন না। এমন অনেক জ্বর আছে যেগুলোর কারন ডাক্তাররা নিজেরাও জানেন না। সেগুলোকে পিইউও বলে। আপনি ধারনাও করতে পারবেন না, শুধুমাত্র জ্বরের জন্য মিনিমাম ৭৮ টা টেষ্ট না করিয়ে ওষুধ দেয়া নিষেধ, জানেন এটা? কিন্তু আমাদের ডাক্তার স্যারেদের ক্লিনিক্যাল জ্ঞান এতোই বেশি যে খুব সিরিয়াস না হলে ২/৩ টা টেষ্ট করিয়েই ধরে ফেলেন আসল কারন কি?
আপনি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কথা বলেছেন, আচ্ছা আপনি কয়টা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সাথে পরিচিত, আমি এখন পর্যন্ত ১৮৩ টাতে ডিউটি করেছি, যার মধ্যে মাত্র একটা মালিক ছিলেন ডাক্তার। আর বেশিরভাগই এইচএসসি পাশ, বা পড়ালেখায় জানে না। তারা রোগীর পকেট চুষে খায়, আর দোষ হয় ডাক্তারের, বুঝলেন?
রিপোর্ট ছুড়ে ফেলার কথা বলেছেন, মেনে নিলাম। আমি নিজেও ফেলেছি। কেন, জানেন? সিলেট শহরে আমি যতগুলো ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের রিপোর্ট দেখেছি, তার মধ্যে ৪/৫ টা ঠিক রিপোর্ট দেয় সমসময়, বাকিরা হযবরল করে। উল্টাপাল্টা রিপোর্ট একবার দুবার তিনবার দেখা যায়, এর বেশি না। আমি টেষ্ট দিলে তাদেরকেই সাজেষ্ট করি, সাথে ডিসকাউন্ট লিখে দেই, কিন্তু ওদের সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত লেন দেন নেই।
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
দখিনা বাতাস বলেছেন: বাহ, বাহ, কি সুন্দর। ভাবটা এমন, উনারাই একমাত্র কস্ট করে পড়াশোনা করেন, বাকি দুনিার সব পেশার মানুষ মাঠে খেলতে খেলতে সব শিখে।
াআবার কি সুন্দর করে বলে, মানবতা। হা হা হা ............. বাংলাদেশের ডাক্তারদের আবার মানবতা?????? টাকা নেয়, সার্ভিস দেয়- এর মাঝে আবার ঐসব মানবতা কিসের? মার্চ মাসে আম্মাকে স্কয়ার হাসপাতালে রাখলাম। ৫ দিনে বিল আসলো ১লাখ ৬৩হাজার টাকা। বারডেমে রাখলে বিল আসতো হয়তো ৪০হাজার। টাকা বেসি দিয়ে স্কয়ারে নিসি- একটাই কারন- ভাল চিকৎসা যেনো পাই। এই খানে মানবতা আবার কিসের?
১৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮
মেডিকো মাকড়সা বলেছেন: ওহ রিয়েলি? আচ্ছা, আপনার কাছে বিলের কাগজ টা কি আছে এখনো? একটু খুললে সুবিধা হত। ওখানে দেখতেন ডাক্তারের বিলটা কত? আর স্কয়ার হাসপাতালে দেশের কয়জন যায়? সরকারী হাসপাতালে একদিন গিয়ে দেখবেন, সেখানে কি হয়। আপনার এককাপ চা পাশের টঙ দোকাকে খাবেন, দাম ৫ টাকা, সেই এক কাপ চা ই শেরাটনে গিয়ে খেয়ে ৫ টাকা দিলে আপনার শ্রীঘর কেউ ঠাকাতে পারবে? পারবে না।
আরেকটা কথা, আপনার ক্লাসের সবাই কিন্তু পড়াশোনা একটা সময় শেষ করে। সেটা জানেন তো? কিন্তু কে কোথায় পড়ছে কিভাবে পড়ছে একটু খোঁজ নিবেন, ডাক্তারী পড়া কষ্ট না, অমানসিক কষ্ট। আপনার পরিবারের কেউ এ লাইনে থাকলে তার সামনে গিয়ে একটু বলে আসবেন। নিশ্চিত, তার সাথে আপনার সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে।
৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
নগরবালক বলেছেন: পড়াশুনা খালি আপনারাই করেন। আর আমাদের কি চেহারা দেখে সার্টিফিকেট দেয়???? আপনার পোস্টে র ভাষা আপনার কশাই মনোভাবের পরিচয়ই দিচ্ছে।
১৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯
মেডিকো মাকড়সা বলেছেন: না না, আপনিও পড়াশোনা করেন, নাহলে কি আর এখানে লিখতে পারতেন বলুন?
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
তাবিজ সঠিভাবে মার্কেটিং করলে মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ হয়ে যাবে।