নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি 'হিটাকাঙ্ক্ষী' নই 'হিতাকাঙ্খী'

হিতাকাঙ্খী

আমার অনুর্ভর মস্তিষ্কে তেমন কোন লেখাই আসেনা যাহা আদৌতে প্রকাশ যোগ্য তাই বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে সবার জন্য উপকারী লেখাগুলো তথ্যসূত্র সহ \'কপি-পেষ্ট\' করি। পোষ্ট \'হিট\'- হলো কি-না হলো এতেও আমার কিছু যায়-আসে না, এককথায় আমি, \'হিটাকাঙ্ক্ষী\' নই, তবে নিঃসন্দেহে সবার \'হিতাকাঙ্খী\'। (তথ্য অথবা তথ্যসুত্রগুলো যদি কারো কাছে নির্ভরযোগ্য মনে না হয়, তবে এড়িয়ে যাবার বিনীত অনুরোধ রইল। পোষ্টগুলোতে আপনার বিরক্তি সাদরেই গৃহীত হবে)

হিতাকাঙ্খী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্যারাসিটামল সম্পর্কে কিছু জরুরী তথ্য !

০২ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭





ব্যথা নিরাময়ের প্যারাসিটামলের মতো নিরাপদ বেদনানাশক খুব বেশি নেই বলে ওষুধটি আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত। কিন্তু সতর্কতাও জরুরি। প্যারাসিটামল সম্পর্কে আমাদের জানার পরিধি আরও কিছুটা বাড়ালে সবার উপকার হবে। আসুন জেনে নিই প্যারাসিটামল সম্পর্কে কিছু জরুরী তথ্য।



১. ব্যবহারিক বিচারে বেদনানশক ওষুধ সাধারণভাবে দুই ভাগে বিভক্ত। নারকোটিক বেদনানাশক ওষুধ, যেমন-মরফিন, প্যাথিড্রিন ইত্যাদি। এগুলো মাদকজাতীয় ও আসক্তি তৈরি করে। এ-জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষেধ। আরেকটি ভাগ হচ্ছে, অ-মাদক বেদনানাশক, যেমন-প্যারাসিটামল, অ্যাসপিরিন ইত্যাদি। এদের মধ্যে প্রদাহবিরোধী, যেমন-আইবুপ্রোফেন ইত্যাদিও ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।



২. দৈহিক বা সোমাটিক ব্যথায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে অ-মাদক বেদনানাশক, বিশেষ করে প্যারাসিটামলই ব্যবহৃত হয়। মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পেশির ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, ঋতুকষ্ট ইত্যাদিতে প্যারাসিটামল খুবই কার্যকর।



৩. জ্বর উপশমেও প্যারাসিটামল একটি ফলপ্রসূ ওষুধ। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই এটি বিক্রি হয় এবং যে-কেউ কিনতে পারে এবং ওভার কাউন্টার বা ওটিসি হিসেবে পরিচিত।



৪. প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট একটি, কখনো প্রয়োজনে দুটি। ২৪ ঘণ্টায় তিন-চারবার খাওয়াই নির্দিষ্ট ডোজ। কিন্তু ২৪ ঘণ্টায় চার গ্রাম বা ৪০০০ মিলিগ্রামের বেশি খাওয়া যাবে না।



৫. শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল সিরাপ দিতে হবে। চার গ্রাম হচ্ছে সর্বোচ্চ মাত্রা।



৬. ব্যথা বা জ্বরের জন্য তিন দিন পর্যন্ত প্যারাসিটামল খেতে পারেন। এতে উপকার না পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।



৭. প্যারাসিটামলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত গুরুতর নয়। দু-একটা ক্ষেত্রে রক্তের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর অভাব সৃষ্টি বা চামড়ায় ফুস্কুড়ি দেখা গেছে।



৮. উল্লিখিত পরিমাণের চেয়ে বেশি প্যারাসিটামল গ্রহণ করা উচিত নয়। বেশি গ্রহণ করলে কিডনি ও লিভারের ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।



৯. অনেকেই ২৪ ঘণ্টায় ১০-১২টি ৫০০ মিলিগ্রামের প্যারাসিটামল খেয়ে থাকে। এটি মোটেও ঠিক নয়। মোট চার গ্রাম হচ্ছে ৫০০ মিলিগ্রামের আটটি ট্যাবলেট, এটি হচ্ছে সর্বোচ্চ নির্ধারিত মাত্রা।



১০. লিভারের সমস্যা থাকলে আরও কম মাত্রা গ্রহণ করতে হবে।



(সংগৃহীত)

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

জহির উদদীন বলেছেন: উপকারী পোষ্ট .......ধন্যবাদ

২| ০২ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

শ।মসীর বলেছেন: kajer post.

৩| ০২ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

চাঁদ ~ মামা বলেছেন: আরো কিছু বিস্তারিত লিখলে ভাল হতো

সুন্দর পোষ্ট

৪| ০২ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০০

যোগী বলেছেন:
ধরেনিলাম আপনারদেয়া তথ্য সঠিক,
যে রেফারেন্স দিছেন সেটা ফেসবুকের। যা ওর্য়াল্ড মোস্ট ফেইক তথ্যের উৎস।
ফার্মাসির উপর আপনার কি নিজেস্ব কোন জ্ঞান আছে?

যদি না থাকে তাহলে এই রকম গুরুত্বপূর্ন ব্যাপারে আপনার ধার করা জ্ঞান না ফলানো এবং যেটা অলরেডি ফলিয়ে ফেলেছেন তার জন্য লজ্জিত হওয়া উচিৎ হবে আপনার।

০২ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

হিতাকাঙ্খী বলেছেন: আপনার সচেতন মূ্ল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ !

৫| ০২ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

বিডি আইডল বলেছেন: বিভিন্ন কারনে বা অনেক সময় অকারনেও আমরা প্যারাসিটামল গ্রহন করে থাকি। আমাদের অনেকের মধ্যেই এ ভুল ধারনা রয়েছে যে প্যারাসিটামল দেহে ক্ষতি করেনা।


একসাথে অনেক গুলো প্যারাসিটামল খেলে তা জীবনের জন্য হুমকি হবে তা বলার অপেক্ষা রেখেনা, তবে গবেষকরা সম্সপ্রতি এ মর্মে সতর্ক করেছেন যে দীর্ঘ দিন ধরে সামান্য বেশি পরিমান প্যারাসিটামল খেয়ে গেলেও তা জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।


যারা ব্যাথার কারনে দির্ঘ দিন ধরে প্যারাসিটামল খেয়ে যাচ্ছেন, তারা অনেক সময়ই বুঝতে পারেন না যে তারা মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল সেবন করছেন। তারা অনেক সময় এটার কারনে সৃষ্ট লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হবার লক্ষন গুলোও ধরতে পারেন না।


ব্রিটিশ জার্নাল অব ফার্মাকলজি'তে গবেষকরা প্রকাশকরেছেন যে প্যারাসিটামল এর কারনে সৃষ্ট পার্শপ্রতিক্রিয়া ও লিভা ক্ষতিগ্রস্থ হবার লক্ষন গুলো অধিকাংশ সময়ই এমনকি ডাক্তারের নজর ও এড়িয়ে যায়। কারন একসাথে অনেক প্যারাসিটামল সেবন করলে রক্ত পরিক্ষায় যে ধরনের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়, দীর্ঘদিন ধরে সামান্য বেশি সেবন কারিদের রক্তে তা পরিলক্ষিত হয় না। কিন্তু ক্ষতির পরিমান এ ক্ষেত্রে বেশি বই কম নয়।


স্কটিশ ইউনিভার্সিটি হসপিটালের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের একটি গবেষনায় ড. কেনিথ সিম্পসন দেখিয়েছেন যে দীর্ঘদিন ধরে প্যারাসিটামল সেবনকারী দের লিভার ও ব্রেইন এর ড্যামেজ হবার হার অত্যাধিক বেশি এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন হলে এদের ডায়ালাইসিস ও ক্ষেত্রবিশেষে ক্রির্তৃম শ্বাস প্রশ্বাস দিতে হয়।


ড. সিম্পস বলেন, আত্মহত্যার জন্য অনেকেই একসাথে অত্যাধিক প্যারাসিটামল সেবন করেথাকেন, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে প্যারাসিটামল সেবন কারিদের ক্ষেত্রেও জীবন নাশের আশংকা কম নয়, বরং বেশি।


রয়্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটির প্রফেসর রজার ন্যাগ বলেন, ''ব্যাথা না কমলে প্যারাসিটামল এর ডোজ না বাড়িয়ে উচিৎ হবে আপনার ফার্মাসিস্ট এর সাথে কথা বলা অথবা এ সংক্রান্ত প্রফেশনালদের সাথে দেখা করা''।

০২ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

হিতাকাঙ্খী বলেছেন: আপনার মূ্ল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.