![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার অনুর্ভর মস্তিষ্কে তেমন কোন লেখাই আসেনা যাহা আদৌতে প্রকাশ যোগ্য তাই বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে সবার জন্য উপকারী লেখাগুলো তথ্যসূত্র সহ \'কপি-পেষ্ট\' করি। পোষ্ট \'হিট\'- হলো কি-না হলো এতেও আমার কিছু যায়-আসে না, এককথায় আমি, \'হিটাকাঙ্ক্ষী\' নই, তবে নিঃসন্দেহে সবার \'হিতাকাঙ্খী\'। (তথ্য অথবা তথ্যসুত্রগুলো যদি কারো কাছে নির্ভরযোগ্য মনে না হয়, তবে এড়িয়ে যাবার বিনীত অনুরোধ রইল। পোষ্টগুলোতে আপনার বিরক্তি সাদরেই গৃহীত হবে)
এ কে আজাদ : পৃথিবীতে এমন কোনো জীব নেই যা আহার ছাড়া বাঁচতে পারে। বেঁচে থাকার তাগিদে প্রত্যেকটি জীবকেই খেতে হয়। মানুষও খায়। কিন্তু সেই খাবারে যদি থাকে বিষ, তাহলে তো তা নিশ্চিয়ই দুশ্চিন্তার ব্যাপার। কারণ, এই খাবার খেয়েই মানুষ দীর্ঘ মেয়াদে জটিল রোগে ভুগছে।
বর্তমানে বাজারে এমন কোনো খাবার পাওয়া মুশকিল যাতে রাসায়নিক বিষক্রিয়া পাওয়া যাবে না। ফলমূল, মাছ-মাংস, শাকসবজিসহ প্রায় সব ধরনের খাবার মেশানো হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত রাসায়নিক। এসব রাসায়নিকের মধ্যে রয়েছে- ফরমালিন, ক্যালসিয়াম কারবাইড, সোডিয়াম সাইক্লেমেড, কালারিং এজেন্টস, হেপ্টাক্লোর, মেলামিন, ইঞ্চিনের পোড়া তেল, হরমোন ও সালফারিক এসিড। আর এসবের প্রভাবে কিডনি, ফুসফুস, যকৃত নষ্ট, ও স্মরণ শক্তি হ্রাস, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, বন্ধাত্ব, কিডনিতে পাথর ও ক্যান্সারসহ নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
দৈনন্দিন আমরা যেসব খাবার খাচ্ছি সেগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো হয়। যা ধীরে ধীরে মানব শরীরকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। শরীরে বাঁধে দুরারোগ্য ব্যাধি। মানুষকে ঠেলে দেয় মৃত্যুর মুখে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ফুড রিসার্চ ইন্সটিটিউট ও ইউএস এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত একটি গবেষণা বাজারের প্রায় প্রতিটি খাবারে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ল্যাবরেটিতে ৫০ ধরনের বিভিন্ন খাবারের ১০ হাজারের বেশি আইটেম নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। এতে ৬০ শতাংশ খাবারেই বিষাক্ত রাসায়নিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
তথ্যানুযায়ী কোন খাবারে ক্ষতিকর কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এর প্রভাবে কি ধরনের ক্ষতি হচ্ছে তা তুলে ধরা হলো।
কলা: কলায় মেশানো হয় বিষাক্ত রাসায়নিক ‘আলড্রিন’। এর প্রভাবে খিঁচুনি হতে পারে এবং ধীরে ধীরে মানুষের চেতনা শক্তি হ্রাস পেতে পারে।
আপেল: আপেলকে সংরক্ষণ করার জন্য তাতে মেশানো হয় মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক ‘আলফা ক্লোরড্যান’। যার প্রভাবে লিউকেমিয়া এবং লিম্ফোমা’র মতো মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সার হয়।
আনারস: আনারস সংরক্ষণে এতে ব্যবহার করা হয় বিষাক্ত রাসায়নিক ‘ইথিওন’। এর প্রভাবে শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের সমস্যা হয়। এছাড়া এর ফলে শ্বসনযন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সিম: সিম সংরক্ষণে তাতে মেশানো হয় রাসায়নিক পদার্থ ‘বেটা বিএইচসি’। যা মানবদেহের শ্বাসযন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করে।
বাধাকপি: বাধাকপি সতেজ রাখতে ব্যবহার করা হয় মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক বিষক্রিয়া ‘গাম্মা বিএইচসি’। এর ফলে মরণব্যাধি ক্যান্সার ছাড়াও মানুষের শ্বসনযন্ত্রকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারে।
টমোটো: টমেটো সংরক্ষণে এতে ব্যবহার করা হয় বিষাক্ত রাসায়নিক ‘ইথিওন’। এর প্রভাবে শ্বাসকষ্ট ছাড়াও শ্বসনযন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুধ: দুধে মেশানো হয় মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক ‘আলড্রিন’ এবং ‘ফরমালিন’। এর প্রভাবে খিঁচুনি ও ক্যান্সারের ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়।
শুটকি মাছ: শুটকি মাছ সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয় ‘ডিডিটি’ নামের মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর মারাত্মক রাসায়নিক। এর প্রভাবে ক্যান্সার হতে পারে এবং গভবর্তী নারী জন্ম দিতে পারে বিকলাঙ্গ শিশু অথবা জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে শিশু।
পাউরুটি/কেক জাতীয় খাবার: পাউরুটি এবং কেক জাতীয় শুকনো খাবারে মেশানো হয় বিষাক্ত রাসায়নিক ‘সাব-স্ট্যান্ডার্ড ইয়েস্ট’। যার প্রভাবে ডায়েরিয়া, বমি এবং এলার্জি হতে পারে।
চাল: চালে পাওয়া গেছে ‘আর্সেনিক’ ও ‘ক্রোমিয়াম’ নামে বিষাক্ত রাসায়নিক। যার প্রভাবে ত্বক, ফুসফুস, মুত্রথলি ও মুত্রাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও এর ফলে শ্বাসযন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
গুড়া হুলদু: গুড়া হলুদে অস্তিত্ব মিলেছে ‘লিড (সীসা)’ ও ‘ক্রোমিয়াম’ নামে মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক বিষক্রিয়ার। যার প্রভাবে স্নায়ুতন্ত্র বিনষ্টসহ শ্বাসযন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
মাছ: মাছে মেশানো হয় মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিষাক্ত রাসায়নিক ‘ফরমালিন’। এর প্রভাবে ব্রনকাইটিস ও ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি হয়।
গাজর: শুটকি মাছ সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয় ‘ডিডিটি’ নামের মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর মারাত্মক রাসায়নিক। এর প্রভাবে ক্যান্সার হতে পারে এবং গভবর্তী নারী জন্ম দিতে পারে বিকলাঙ্গ শিশু অথবা জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে শিশু।
ক্যাপ্সিকাম: ক্যাপ্সিকামে পাওয়া গেছে মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক ‘গাম্মা’ ও ‘ক্লোরডেন’। এর প্রভাবে যকৃতের মারাত্মক ক্ষতি ছাড়াও হজম শক্তি নষ্ট ও স্নায়ুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করে।
ডিম: ডিমে মেশানো হয় এন্ডিবায়োটিক জাতীয় রাসায়নিক ‘সিপ্রোফ্ল·াসিন’। এর ফলে ডায়েরিয়া ও বমি হতে পারে।
মুরগির মাংস: মুরসগির মাংস সংরক্ষণে এতে ব্যবহার করা হয় এন্টিবায়োটিক জাতীয় রাসায়নিক ‘সিপ্রোফ্ল·াসিন’ ও ‘সালফোনামাইড’। যার প্রভাবে ডায়েরিয়া, ত্বক খসখসে হওয়া ছাড়াও বমি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তবে ওই গবেষণায় তিলের তেল, গোলমরিচ ও মেথিতে কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
(সংগৃহীত)
©somewhere in net ltd.