![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার অনুর্ভর মস্তিষ্কে তেমন কোন লেখাই আসেনা যাহা আদৌতে প্রকাশ যোগ্য তাই বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে সবার জন্য উপকারী লেখাগুলো তথ্যসূত্র সহ \'কপি-পেষ্ট\' করি। পোষ্ট \'হিট\'- হলো কি-না হলো এতেও আমার কিছু যায়-আসে না, এককথায় আমি, \'হিটাকাঙ্ক্ষী\' নই, তবে নিঃসন্দেহে সবার \'হিতাকাঙ্খী\'। (তথ্য অথবা তথ্যসুত্রগুলো যদি কারো কাছে নির্ভরযোগ্য মনে না হয়, তবে এড়িয়ে যাবার বিনীত অনুরোধ রইল। পোষ্টগুলোতে আপনার বিরক্তি সাদরেই গৃহীত হবে)
প্রাণীদের মধ্যে কেবলমাত্র মানব শিশুই অন্যের ওপর নির্ভর করে বড় হয়। তার লালন পালনের দায়িত্বে কারও না কারও থাকতেই হয়। নিজের বিপদের সম্ভাবনা সে অনুভব করতে পারে না। শিশু নতুন কিছু দেখছে তার আকর্ষণে সে দ্রুত ছুটছে। শিশু নতুন কিছু করে দেখাতে চাইছে। যেমন, কারও সাহায্য ছাড়া গড়িয়ে যাওয়া, হামাগুড়ি দেওয়া, হাঁটা, আরোহণ করা, দুই আঙুলে খুঁটে জিনিস কুড়িয়ে মুখে পুরে দেওয়া। জ্বলন্ত আগুনকেও তার ছুঁয়ে দেখার কৌতূহল, যে কোনো অখাদ্য মুখে দিয়ে স্বাদ গ্রহণ করার আগ্রহ তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। কোনো ধরনের পূর্বাভাস ছাড়াই একটি শিশু দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। অনধিক পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রটি বিশাল।
বিশেষ সতর্কতাঃ
* শিশুরা ঘরের ছিটকিনি, হ্যাচবল যাতে নাগাল না পায় বা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করতে না পারে সেদিকেও দৃষ্টি রাখা উচিত।
* খেয়াল রাখতে হবে শিশুরা যেন ঘরের ভিতরে, গাড়িতে, লিফটে বা অন্য কোথাও লক না হয়ে যায়।
* শিশুর ঘরের আসবাবগুলো যেন খুব বেশি উঁচু না হয়। হাঁটতে শেখা শিশু যেন সহজেই বিছানায় ওঠানামা করতে পারে, এমনটি হওয়া উচিত।
* ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করার সময় খেয়াল করুন বাচ্চা দরজা-জানালার চিপায়/ফাঁকে হাত/পা ডুকিয়ে রেখেছে কিনা।
* টেবিল ফ্যান বা প্যাডেস্টাল ফ্যান ব্যবহার করলে ফ্যানের blade guard এর উপর নেট লাগান যাতে বাচ্চারা কাঠি জাতীয় কিছু প্রবেশ করাতে না পারে। ফ্যানটি শক্তভাবে বেঁধে রাখুন। তা না হলে ঝাঁকুনি দিলে তা বাচ্চার শরীরের উপর পড়তে পারে।
* শিশুর বিছানায় কখনোই অতিরিক্ত বালিশ, লেপ ও কম্বল জড়ো করে রাখবেন না। খেলার ছলে কিংবা ঘুমের মধ্যেও শিশু এসবের নিচে চাপা পড়তে পারে।
* মুখে ঢুকে যেতে পারে এমন খেলনা বাচ্চাদের নাগাল থেকে দূরে রাখুন। মার্বেল, কয়েন এমন কোনো শক্ত পদার্থ শিশু যেন হাতের কাছে না পায়।
* যে কোনো ধরনের ওষুধ, কাঁচি, ব্লেড, সুচ, আলপিন জাতীয় ধারালো জিনিস শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
* ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, ব্যবহারিক আসবাব শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। ঘরে বৈদ্যুতিক তার যত্রতত্র যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
* ড্রেসিং টেবিলের ওপর খোলা জায়গায় বডি স্প্রে, লোশন, হেয়ার স্প্রের মতো কসমেটিক আইটেম সাজিয়ে রাখবেন না। শিশু না বুঝে স্প্রে করে চোখেমুখে দিয়ে ফেলতে পারে।
* কাচের শোপিস, ধারালো তৈজসপত্র শিশু থেকে দূরে রাখুন।
* সম্ভব হলে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো একজনকে সার্বক্ষণিক রাখতে চেষ্টা করুন।
* নবজাতক যখন ঘুমায়, তাকে পিঠের ওপর শুইয়ে থাকার ব্যবস্থা নেওয়া। কিছুটা শক্ত বিছানা। দুই দিকে ছোট্ট বালিশ দেওয়া, যেন উল্টে না যায়।
* ছোট্ট শিশুকে ভালোভাবে ধরবেন যাতে সে মাটিতে না পড়ে যায়।
* এক বছরের কম বয়সী শিশু ও ছোট্ট বাচ্চাদের সঙ্গে বেশি বিপজ্জনক খেলা খেলবেন না। জোরে জোরে তার হাত ধরে টান দেবেন না বা হাত ধরে বাঁকানো উচিত না।
* ছোট বস্তু যেমন পিন, বোতাম, ক্লিপ, পয়সা, মটরদানা ইত্যাদি ছোট্ট শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন। ফুটো হয়ে যাওয়া বেলুন সে গিলে ফেলতে পারে এবং তাতে শ্বাসরোধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
* শিশু যখন এক থেকে তিন বছরের তখন তারা ছোটখাটো নির্দেশ মানতে পারে। তাদের বারবার শিক্ষা দিন, যাতে তারা কোনো কিছু কানে বা নাকে ঢুকিয়ে না দেয়।
* যত ধরনের তার আছে তা শিশুর নাগাল থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন, যেমন ফোনের তার, কাপড়চোপড়ের ফিতে, ইলেকট্রিক তার।
* ইলেকট্রিক প্লাগের পয়েন্টগুলো ট্যাপ দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে দিন, অথবা শিশু যাতে নাগাল না পায় সে রকম উচ্চতায় স্থাপন করুন।
* পলিথিন ব্যাগ শিশুর নাগালে রাখা নিষিদ্ধ। ওর ভেতরে শিশুর মুখ ঢেকে গেলে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। গিলে ফেললে একই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
* শিশু যা কিছু স্পর্শ করতে বা খেতে চায়, আগেভাগেই তার তাপমাত্রা দেখে নিন।
* শিশুকে কাছে নেওয়ার সময় আপনার হাতে থাকা গরম চা, খাবার বা পানীয় সতর্কতার সঙ্গে দূরে রাখুন।
* ওষুধ বা বিষদ্রব্য যেন শিশুর নাগাল থেকে দূরে থাকে। শিশুর নাগালে না আসার মতো উঁচু স্থানে তা রাখা চাই।
* শিশু যেন সরাসরি সিঁড়িপথ বেয়ে উঠে যেতে না পারে। কীভাবে নিরাপদে ওঠানামা করতে হবে তা তাকে শিখিয়ে দিন।
* শিশুকে গাছে আরোহণ বা সাঁতার শেখানো কার্যক্রম বড়দের তত্ত্বাবধানে করা উচিত।
* শিশু যাতে পানিতে না ডোবে সে জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
কীটপতঙ্গের সংক্রমণে সতর্কতাঃ
* বাজারে আমরা সাধারণত কীটপতঙ্গ মারার যেসব স্প্রে কিনে থাকি, সেসব স্প্রের কৌটার গায়ে লেখা থাকে ‘বাচ্চাদের হাতের নাগালের বাইরে রাখুন’। নিয়মটা বড়দের অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
* বাচ্চারা ঘরে থাকা অবস্থায় কখনোই কীটনাশক স্প্রে করা উচিত নয়। তাদের ঘর থেকে বাইরে সরিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘরের চার কোনায় ওপরের দিকে স্প্রে করতে হবে। স্প্রে করার ৫-১০ মিনিট পর দরজা-জানালা খুলে দিয়ে বাচ্চাদের ঘরে প্রবেশ করাতে হবে।
* মশা মারার বৈদ্যুতিক ব্যাট ব্যবহার করলেও দরজা-জানালা বন্ধ করে বাচ্চাদের সরিয়ে তারপর করতে হবে। তারপর দরজা-জানালা খুলে দিতে হবে।
* মশা মারার ব্যাট দিয়ে অনেক সময় বাচ্চারা দুষ্টুমি করে। তা থেকে বিপদ ঘটতে পারে। তাই অবশ্যই ব্যাটটি এমন স্থানে রাখতে হবে, যেন বাচ্চারা এটা দিয়ে খেলা না করতে পারে।
* মেঝেতে আমরা অনেক সময় ইঁদুর কিংবা তেলাপোকা মারার জন্য কীটনাশক বা গুটি দিয়ে থাকি; বাচ্চারা হামাগুড়ি দিয়ে এসব জায়গায় গিয়ে ওষুধ হাতে নিয়ে মুখে দিয়ে ফেলতে পারে। তাই অত্যন্ত সতর্কভাবে রাতে এসব কীটনাশক মেঝেতে দিয়ে সকালে বাচ্চারা ঘুম থেকে ওঠার আগেই তাড়াতাড়ি সরিয়ে ফেলতে হবে এবং মেঝেটা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। কীটনাশক যদি শক্ত কাগজে করে দেওয়া হয়, তবে সেই কাগজও ফেলে দিন।
* অনেক সময় আমরা মেঝেতে চক ব্যবহার করে থাকি তেলাপোকা কিংবা ইঁদুর মারার জন্য। যে স্থানে চক দেওয়া হবে, ভোরে মেঝের সেসব স্থান ভালো করে ক্লিনার দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
* অনেক সময় তরল কীটনাশক বাজার থেকে কিনে এনে বিভিন্ন ধরনের বোতলে, ঢেলে রাখা হয়। বাচ্চারা সেসব না বুঝে মুখে দিতে পারে। তাই বোতলগুলো শিশুর হাতের নাগালের বাইরে রাখতে হবে এবং অবশ্যই বোতলের ওপর ‘বিষ’ লেখা লেবেল দিতে হবে।
* ঘরের কোনায় মৃত কীটপতঙ্গের যে অঙ্গগুলো পড়ে থাকে, সেগুলো থেকে বাচ্চাদের পেটের পীড়া হতে পারে। তাই এসব পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
* খাবার সব সময় ঢেকে রাখতে হবে, যেন কীটপতঙ্গ খাবারের ওপর হাঁটতে না পারে।
* অনেক সময় পিঁপড়া দমনের জন্য যেসব গুঁড়া ব্যবহার করা হয়, তাতে ডিডিটি থাকে। বাচ্চারা না বুঝে যদি এসব গুঁড়া ওষুধ মুখে দিয়ে ফেলে, তাহলে ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে, ছোট বাচ্চাদের জন্য এটা অত্যন্ত মারাত্মক।
* মশা মারার জন্য পাউডার বা স্প্রে কোনোটাই ব্যবহার না করে নেট ব্যবহার করা ভালো। ঘরের যেসব জায়গা দিয়ে মশা ঢুকতে পারে, সেসব জায়গায় নেট ব্যবহার করা যেতে পারে।
* ঘরদোর সব সময় পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে, যেন পোকামাকড়ের জন্ম না হয়।
* বহুতল ভবনের সিঁড়ি বা বারান্দার কোনো জায়গায় অব্যবহূত জিনিস, উচ্ছিষ্ট ময়লা কিংবা পানি যেন জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
* মশা মারার জন্য ঘরে কয়েল ব্যবহার না করাই ভালো। যদিও করেন, তবে বাচ্চাদের জন্য আলাদা মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তা না হলে যেসব বাচ্চার হাঁপানির সমস্যা আছে, তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে।
* যেকোনো ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করলে তা ব্যবহারের পর পর পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। বিশেষ করে মেঝে পরিষ্কারের সময় মাঝেমধ্যে পানিতে তরল জীবাণুনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
রান্নাঘরের সতর্কতাঃ
* রান্নাঘরের আগুন বা গ্যাসের চুলা, স্টোভ, ইস্ত্রি, মোমবাতি এসব থেকে শিশুকে সর্বদা নিরাপদ দূরত্বে রাখুন।
* শিশুকে শিক্ষা দিন, যেন সে দেশলাইয়ের বাক্স নিয়ে না খেলে।
* ছুরি, কাঁচি, বঁটি ইত্যাদি ধারালো কোনো দ্রব্য শিশুর নাগালে যেন না থাকে।
* বঁটিতে কাজ করতে করতে যদি উঠে যান, তবে বঁটি শুইয়ে রেখে যাবেন।
* যেকোনো বিষাক্ত জিনিস শিশুর নজরের বাইরে যেন থাকে। প্রয়োজনে কোন ক্যাবিনেটে সেফটি লক লাগান। আর সেখানেই রাখুন।
* রান্নাঘরের গ্যাস ঠিকমতো বন্ধ রাখুন। প্রয়োজনে রান্নাঘরে ফায়ার এঙ্টিংগুইশার রাখুন।
বাথরুমের সতর্কতাঃ
* বাথরুমের মেঝে গোসলের পরই পরিষ্কার করে রাখুন। বাথরুম পরিষ্কারের ক্লিনিং সামগ্রী ব্যবহারের পর ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। কাপড় দিয়ে মুছে রাখুন। নয়তো বাথরুমে পিছলে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
* বাথরুমের ম্যাট বা পাপোশ যেন নন স্লিপ হয়।
* বাথরুমের সাবান, শ্যাম্পু ও তেল শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। এগুলো মুখে দেওয়ার প্রবণতা যেমন থাকে তেমনি ফেলে দিয়ে পা পিছলে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
* ছোট বাচ্চাদের কখনোই বাথরুমে একলা রেখে আসবেন না।
* বাচ্চাকে গিজারের পানিতে গোসল করানোর আগে সব সময় নিজে হাত দিয়ে পানি পরীক্ষা করে নেবেন।
* বাথরুমে মেডিসিন ক্যাবিনেট থাকলে তা তালা দিয়ে রাখুন।
* গোসলখানা, রান্নাঘরের দরজা কাজ শেষে সব সময় বন্ধ রাখুন।
(সংগৃহীত)
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৮
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: বরাবরের মতো হিতাকাঙ্ক্ষী পোস্ট ।
ভালো থাকবেন
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৬
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ৷
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো পোস্ট ।