![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার অনুর্ভর মস্তিষ্কে তেমন কোন লেখাই আসেনা যাহা আদৌতে প্রকাশ যোগ্য তাই বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে সবার জন্য উপকারী লেখাগুলো তথ্যসূত্র সহ \'কপি-পেষ্ট\' করি। পোষ্ট \'হিট\'- হলো কি-না হলো এতেও আমার কিছু যায়-আসে না, এককথায় আমি, \'হিটাকাঙ্ক্ষী\' নই, তবে নিঃসন্দেহে সবার \'হিতাকাঙ্খী\'। (তথ্য অথবা তথ্যসুত্রগুলো যদি কারো কাছে নির্ভরযোগ্য মনে না হয়, তবে এড়িয়ে যাবার বিনীত অনুরোধ রইল। পোষ্টগুলোতে আপনার বিরক্তি সাদরেই গৃহীত হবে)
উচ্চ রক্তচাপের জন্য আপনাদের পরিবারে ৩০+ অনেকেই বিভিন্ন ডাক্তার দেখিয়ে বিভিন্ন ঔষধ খাচ্ছেন অথচ বছরের পর বছর উক্ত ঔষধ খাওয়ার পরেও তাদের প্রেশার সবসময় ১২০/৮০ কিংবা ১৩০/৯০ এর ওপরে থাকছে। এর কারণ - ১) অনুমানের ভিত্তিতে ভুল ঔষধ নির্বাচন ২) ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট হাইপারটেনশন ৩) সবার সব ঔষধ সহ্য হয়না ৪) উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি শরীরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, প্রস্টেট গ্ল্যান্ড সমস্যা, অ্যাজমা ইত্যাদি অসুখের সহাবস্থান। এসব ভুল ঔষধ খেয়ে শুধু যে আপনাদের অর্থের অপচয় হচ্ছে তা নয় বরং অন্যান্য অসুখ শরীরে বাসা বাঁধছে এবং এসব ঔষধের মাধ্যমে পায়ে পানি আসা, খুশখুশে কাশি, ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্স, হার্টবিট কমে যাওয়া, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট, প্রস্রাব কম/অতিরিক্ত হওয়া, প্রেশার স্বাভাবিকের চেয়ে নেমে যাওয়া, মাটিতে পড়ে যাওয়া, মূর্ছা যাওয়া, তীব্র শারিরিক দুর্বলতা সহ বিভিন্ন সাইড এফেক্টের শিকার হচ্ছেন।
উচ্চরক্তচাপ কী ?
একজন ব্যক্তির ব্লাড প্রেশার রিডিং যখন লাগাতারভাবে ১৪০/৯০ mm Hg বা এর চেয়েও বেশি হয় তখন একে বলা হয় উচ্চ রক্তচাপ। একে সাইলেন্ট কিলারও বলা হয়ে থাকে। কেননা যদি সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করা না হয় তাহলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এমনকি কিডনি ফেইলিওর-ও হতে পারে কিন্তু লক্ষণীয় কোন সিম্পটম্প দেখা যাবে না। বর্তমানে এমন কোন একটি বাসা পাওয়া যাবে না যেখানে কোন একজন উচ্চ রক্তচাপের রোগী নেই। প্রেশার হুটহাট বেড়ে যেতে পারে। সবার সিম্পটম এক না তবুও কমন কিছু সিম্পটম হল প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করা, ঘাড় ব্যথা করা,বমি বমি ভাব হওয়া এমনকি বমিও হয়ে যাওয়া। আর খুব এক্সট্রিম হলে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
উচ্চরক্তচাপ কাদের বেশি হয়?
উত্তর. বয়স বাড়ার সাথে সাথে উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মধ্যবয়সের শুরুতে পুরুষদের মধ্যে উচ্চরক্তচাপের ঘটনা খুবই সাধারণ। বেশিরভাগ মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক বন্ধ হওয়ার পর উচ্চরক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া অন্যান্য যাদের উচ্চরক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে-
১) পরিবারে উচ্চরক্তচাপের ইতিহাস থাকলে ২) অতিরিক্ত ওজন হলে ৩) শারীরিক কাজকর্ম বেশি না করলে ৪) তামাক সেবন করলে ৫) খাবারে অতিমাত্রায় লবণ ব্যবহার করলে ৬) কমমাত্রায় পটাসিয়াম গ্রহণ করলে ৭) খাবারে ভিটামিন ডির পরিমাণ কম হলে ৮) মানসিক চাপ/স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে ৯) উচ্চমাত্রায় কোলেস্টোরল, ডায়াবেটিস, কিডনীর সমস্যা থাকলে ১০) ঘুমের মধ্যে যাদের শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় ১১) গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের উচ্চরক্তচাপের সমস্যা হতে দেখা যায় ১২) অ্যালকোহল ১৩) ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় - চা/কফি/কোল্ড ড্রিংকস/এনার্জি ড্রিংকস ইত্যাদি রেগুলার গ্রহণ।
উচ্চরক্তচাপ কেন হয়?
উত্তর. স্বাভাবিক বয়সবৃদ্ধিজনিত কারণে, হৃদপিণ্ড বা ধমনীর কোনো সমস্যা হলে, স্হূলতা বা মোটার কারণে, শারীরিক কাজকর্ম কম করলে, অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া করলে, এছাড়াও কিডনী ও বৃক্কের সমস্যা থাকলে বা এতে টিউমার হলে, গর্ভবতী হলে, জন্মবিরতিকরণ বড়ি খেলে এবং অন্যান্য নানা কারণে উচ্চরক্তচাপ হতে পারে।
উচ্চরক্তচাপ থেকে কি ধরনের জটিলতা দেখা দেয়?
উত্তর. ১) হার্ট এ্যাটাক ২) স্ট্রোক ৩) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ ৪) কিডনীর সমস্যা ৫) চোখের সমস্যা ৬) রক্তে চর্বি বাড়া ৭) ডায়াবেটিস ৮) রক্তশূন্যতা ইত্যাদি।
কীভাবে উচ্চরক্তচাপ প্রতিরোধ করবেন ?
১) স্বাস্থ্যসম্মত খাবার যেমন- ফলমূল, শাকসব্জি, শস্যদানা এবং কমচর্বিযুক্ত খাবার খেতে হবে ২) খাবারে লবণের পরিমাণ কমাতে হবে ৩) শরীরের ওজন ঠিক রাখতে হবে ৪) শারীরিক কাজকর্ম (এক্সারসাইজ) বা পরিশ্রম বাড়াতে হবে ৫) ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে ৬) দুশ্চিন্তা করবেন না এবং অতিরিক্ত চাপ নেবেন না ৭) নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে ৮) প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে।
চলুন জানা যাক প্রেশার কমাতে কোন কোন খাদ্য সহায়ক -
১) কলা ২) রসুন ৩) কাঁচা বাদাম ৪) ডাবের পানি ৫) হলুদ ৬) ডার্ক চকোলেট ৭) কালোজিরা ৮) লেবুর রস ৯) পেঁয়াজের রস ১০) তেতুলের রস ১১) তরমুজের বিচি ১২) পোস্তদানা ১৩) কারি পাতা ১৪) ধনে গুড়ো ১৫) আদার রস ১৬) দারুচিনি ১৭) বিট
(সংগৃহীত)
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯
হামিদ আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা দরকারি পোস্টটির জন্য