![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার অনুর্ভর মস্তিষ্কে তেমন কোন লেখাই আসেনা যাহা আদৌতে প্রকাশ যোগ্য তাই বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে সবার জন্য উপকারী লেখাগুলো তথ্যসূত্র সহ \'কপি-পেষ্ট\' করি। পোষ্ট \'হিট\'- হলো কি-না হলো এতেও আমার কিছু যায়-আসে না, এককথায় আমি, \'হিটাকাঙ্ক্ষী\' নই, তবে নিঃসন্দেহে সবার \'হিতাকাঙ্খী\'। (তথ্য অথবা তথ্যসুত্রগুলো যদি কারো কাছে নির্ভরযোগ্য মনে না হয়, তবে এড়িয়ে যাবার বিনীত অনুরোধ রইল। পোষ্টগুলোতে আপনার বিরক্তি সাদরেই গৃহীত হবে)
রাগ এমন একটি বিষয়, যা সব বয়সী মানুষের মধ্যে কমবেশি আছে। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে রাগের মাত্রা হয় ভিন্ন...
অহনার একমাত্র ছেলের নাম অনীক। তার বয়স ৮ বছর। অনীক এমনিতে খুব ভালোভাবে মা-বাবার সঙ্গে কথাবার্তা বলে; কিন্তু যদি সে কোনো কারণে রেগে যায়, তাহলে তার রাগটা যেন কোনোভাবেই থামাতে পারে না অন্যকিছু দিয়ে। সে হঠাৎ খেলতে খেলতে অথবা বাবা-মায়ের সঙ্গে গল্প করার সময় ছোটখাটো কোনো কথায় রেগে যায়। আর যখন সে রেগে যায় তখন তার মুখের দিকে তাকানো যায় না। মনে হয় যেন বাবা-মা তার সঙ্গে অনেক বড় অন্যায় করে ফেলেছেন। এতে করে অহনা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন তার এই শিশুকে নিয়ে। কারণ আগে অনীকের এতটা রাগ ছিল না। দিন যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে তার যেন রাগের মাত্রা ততই বাড়ছে। কথায় কথায় সে রেগে যাচ্ছে। ফলে অহনা আরও বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ছেন, কী করবেন বুঝতেও পারছেন না। যদি এই ছোটবেলা থেকেই ছেলের রাগ কমানো না যায় তাহলে পরে তাদের আরও বেশি সমস্যায় পড়তে হবে।
শিশুদের রাগের কারণ সম্পর্কে কথা হয় ফিডব্যাক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, শিশুদের মধ্যে রাগ সৃষ্টি হয় পরিবারের অন্য সদস্যদের দেখে অথবা ছোটবেলায় তার ইচ্ছা অনুযায়ী কোনো শখ যদি মেটাতে না পারা যায়। সেসব ক্ষোভ ছোট থেকে শিশুদের মধ্যে একটা চাপ সৃষ্টি করে থাকে।
ফলে শিশুরা সেসব চাপ ভেতরে রেখে কষ্ট পায়, যার ফলে ছোটখাটো কথায় তারা রেগে যায় এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করে থাকে ছোট থেকেই। বাবা-মায়ের সঙ্গে তর্ক করে, ঘরের জিনিস ভাঙে, এমনকি বাজে ভাষাও ব্যবহার করে রাগের কারণে। এ নিয়ে তাকে যদি কিছু বলা হয় তাহলে হিতেবিপরীত হতে পারে। তাই শিশুকে বেশি কিছু বলতেও পারেন না অহনা।
রাগ কমাতে করণীয়:
প্রথমে শিশুর রাগের কারণটা বোঝার চেষ্টা করবেন।
জানার চেষ্টা করবেন তার ভেতরে কোনো জিনিস না পাওয়ার জন্য যে অভিমান করেছিল, তা আছে কি-না। যদি থাকে তবে চেষ্টা করবেন তার জিনিসটা দেওয়ার।
শিশুর সঙ্গে সব সময় বন্ধুসুলভ আচরণ করবেন।
চেষ্টা করবেন শিশুর সব চাওয়া পূরণ করতে।
পরিবারের কোনো সমস্যা শিশুর সামনে প্রকাশ করবেন না।
নিজেদের মধ্যে ঝগড়া হলে তার জের শিশুর সামনে প্রকাশ করবেন না।
শিশু রেগে গেলে তখনই তাকে গায়ে হাত তুলবেন না। অযথা বাজে কথা বলবেন না।
শিশুকে অন্য কোনো শিশুর সঙ্গে তুলনা করবেন না।
শিশুকে গল্পের মাধ্যমে কিছু জিনিস বোঝাতে চেষ্টা করুন।
চেষ্টা করবেন শিশুকে নিয়ে সব সময় হাসিখুশি থাকতে।
মাঝে মধ্যে তাকে গল্পের মাধ্যমে রাগের পরিণতি কী হতে পারে তা বোঝাতে চেষ্টা করুন।
সব সময় বাড়িতে বসে থেকে শিশুদের মধ্যে একঘেয়েমি সৃষ্টি হয়, ফলে শিশুর মধ্যে রাগের সৃষ্টি হয়। তাই চেষ্টা করুন, ছুটির দিনে কোথা থেকে ঘুরে আসতে।
মাঝে মধ্যে শিশুর জন্য কিছু গিফট কিনুন, যেটা সে প্রত্যাশাও করেনি; কিন্তু তা পেয়ে খুব খুশি হবে কারণ এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকলে তার রাগের কথাও ভুলে থাকতে পারবে।
সে যদি রাগ করে তাহলে তার সামনে অযথা কথা বলবেন না, এমনিতেই কিছুক্ষণ পর তার ভুল সে বুঝতে পারলে রাগ কমে যাবে।
ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করুন, শিশুকে একটা আনন্দময় পরিবেশের মধ্যে রাখতে।
(সংগৃহীত)
©somewhere in net ltd.