![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার অনুর্ভর মস্তিষ্কে তেমন কোন লেখাই আসেনা যাহা আদৌতে প্রকাশ যোগ্য তাই বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে সবার জন্য উপকারী লেখাগুলো তথ্যসূত্র সহ \'কপি-পেষ্ট\' করি। পোষ্ট \'হিট\'- হলো কি-না হলো এতেও আমার কিছু যায়-আসে না, এককথায় আমি, \'হিটাকাঙ্ক্ষী\' নই, তবে নিঃসন্দেহে সবার \'হিতাকাঙ্খী\'। (তথ্য অথবা তথ্যসুত্রগুলো যদি কারো কাছে নির্ভরযোগ্য মনে না হয়, তবে এড়িয়ে যাবার বিনীত অনুরোধ রইল। পোষ্টগুলোতে আপনার বিরক্তি সাদরেই গৃহীত হবে)
অনেকেই আছে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। ওষুধ খেলে কমে। কিন্তু ওষুধ বন্ধ করলে আবার দেখা দেয়। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও নিচের যোগাসনগুলো নিয়মিত করলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। কিভাবে করবেন জানালেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক নাহার আল বোখারি
হস্তপদাসন
কিভাবে করবেন
মেরুদণ্ড সোজা রেখে দুই পায়ের মধ্যে ৪ থেকে ৫ আঙুল পরিমাণ ফাঁক করে দাঁড়ান। হাত দুটি মাথার ওপর সোজা করে তুলুন। দুই কানের সঙ্গে দুই হাত লাগিয়ে রাখুন। হাতের তালু সামনের দিকে থাকবে। (ছবির ১-এর মতো) ধীরে ধীরে শরীরের ওপরের অংশ সামনের দিকে নামাতে থাকুন। মাথা নুইয়ে মুখ হাঁটুর কাছে নিয়ে এসে কপাল হাঁটুর সঙ্গে লাগিয়ে রাখুন। এবার দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের গোড়ালির একটু ওপরে ধরুন।
খেয়াল রাখুন, যাতে হাঁটু ভেঙে না যায়। হাঁটু সোজা করে রাখতে হবে এবং পেট ও বুক ঊরুর সঙ্গে লেগে থাকবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড এভাবে থাকুন। তারপর ধীরে ধীরে শরীরকে আগের অবস্থায় নিয়ে আসুন। এভাবে ৩ থেকে ৫ বার করতে পারেন। প্রথম দিকে শরীর সঠিক ভঙ্গিমায় না-ও আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে জোর করে শরীরকে সঠিক ভঙ্গিমায় আনতে যাবেন না। তাই ধীরে ধীরে সঠিক ভঙ্গিমায় আসুন। ক্লান্তি বোধ করলে প্রতিটি ব্যায়ামের পরই সহজ শিথিলায়নে বিশ্রাম নিতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়
উপকারিতা
* যাঁরা লম্বা হতে চান এবং যাঁদের বয়স ২৫ বছরের কম, তাঁরা এ আসন করে উচ্চতা বাড়াতে পারেন।
* হস্তপদাসনে মেরুদণ্ড সহজ ও নমনীয় থাকে। দেহের অসমতা দূর হয়।
* নিয়মিত অভ্যাসে পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অজীর্ণ রোগ হয় না।
* পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমায়।
* নিয়মিত হস্তপদাসন অভ্যাসে পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো যেমন- পাকস্থলী, যকৃৎ, প্লীহা ও হজমের নাড়িতে চাপ পড়ায় তাদের ক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।
* যাঁরা নিম্ন রক্তচাপে ভুগছেন তাঁরা এ আসন করলে উপকার পাবেন।
বি. দ্র. : যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, প্লীহা ও যকৃৎ স্বাভাবিকের চেয়েও বড়, যাঁদের হৃদরোগ, সারভাইকেল স্পন্ডিলাইটিস, চোখের কঠিন অসুখ রয়েছে তাঁরা এ আসনটি করবেন না।
মৎস্যাসন
কিভাবে করবেন
প্রথমে চিৎ হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। দুই পা জোড়া লেগে থাকবে। হাত দুটি শরীরের দুই পাশে থাকবে। হাতের তালু মাটিতে লেগে থাকবে। এবার নিতম্ব পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাত দুই পাশে রাখুন। বুক উঁচু করে মাথার তালু মাটিতে ঠেকান ।
শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। এ ভঙ্গিমায় ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড অবস্থান করুন। এভাবে তিনবার করুন। অভ্যস্ত হলে একবারে ১ থেকে ২ মিনিট অবস্থান করতে পারেন।
এবার প্রথমে সোজা হয়ে পদ্মাসনে বসুন।
পা দুটি পদ্মাসনে রেখে দুই হাতের কনুই মাটিতে ভর করে শুয়ে পড়তে চেষ্টা করুন। এবার বুক ও পেট মাটি থেকে ওপরের দিকে তুলুন। মাথার তালু মাটির সঙ্গে ঠেকে থাকবে। এখন দুই পায়ের বুড়ো আঙুল দুই হাত দিয়ে ধরুন। শ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। এ ভঙ্গিমায় ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড থাকুন। প্রয়োজনে বিশ্রাম নিয়ে তিনবার করুন। অভ্যস্ত হয়ে গেলে একবার ১ থেকে ২ মিনিটও করতে পারেন।
উপকারিতা
* এ আসনে থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড, টনসিল, থাইমাস, পিটুইটারি প্রভৃতি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতে প্রচুর রক্ত চলাচল হওয়ায় এদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
* হাঁপানি, সর্দি, কাশি, ব্রঙ্কাইটিস ও টনসিলের সমস্যা থাকলে নিয়মিত আসনটি করলে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।
* ঘাড়, কাঁধ, মেরুদণ্ডের দুই পাশের পেশি, স্নায়ুর খুব ভালো ব্যায়াম হয়।
* বুকের গঠন সুঠাম ও সুন্দর হয়।
(সংগৃহীত)
©somewhere in net ltd.