নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেউ আমায় ফিরিয়ে দিয়েছে বলে গোটা পৃথিবীটাকে আমার আপন মনে হয়। অভিমান আমার ওষ্ঠে এনে দেয় স্মিথ হাস্য ।আমি এমন ভাবে পা ফেলি যেন মাটির বুকেও আঘাত না লাগে ।আমার তো কারুকে দুক্ষ দেবার কথা নয় ।

হিতোংকর সাহেব

কেও আমায় ফিরিয়ে দিয়েছে বলে গোটা দুনিয়াটাকে খুব আপন মনে হয়। অভিমান আমার উষ্ঠে এনে দেয় স্মিত হাস্য । আমি এমন ভাবে পা ফেলি যেন মাটির বুকেও আঘাত না লাগে ।আমার তো কারুকে দুঃখ দেবার কথা নয়।

হিতোংকর সাহেব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইভটিজিং

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

যতটুকু মনে পড়ে ক্লাশ এইটে পড়ি তখন, সামাজিক বিজ্ঞান বইতে জনসংখ্যা বাড়ার কারন পড়তে গিয়ে হঠাত এক জায়গায় চোখ আটকে যায়।কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে দরিদ্রতাও অন্যতম একটি কারন। অবচেতন মনে বারবার খুব করে ভেবেছি অনেক দিন, যে জনসংখা বাড়ার জন্য দারিদ্রতা দায়ী হয় কিভাবে ?

ঐ বয়সেই এমনিতেও জনসংখা বাড়ার কারন জানার প্রতি সব ছেলে পুলেরই খুব আগ্রহ থাকে, এটাই স্বাভাবিক। আমরাও তার ব্যাতিক্রম ছিলাম না। দারিদ্রতা ও জনসংখা বাড়ার অন্যতম কারন কেন সেটা বের করার জন্য কয়েক বন্ধু গোপনে খুব গবেশনা শুরু করে দিলাম।

এর মধ্যে আলাউদ্দিন ভাইয়ের দোকানে কম্পিউটার শিখার সময় বন্ধু #এমরানের সহজোগীতায় জনসংখা বাড়ার মূল কারন স্বচোক্ষে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো। আমাদের সময় তো ইন্টারনেট ছিলোনা, ছিডি ক্যাসেটই ছিলো তখনকার নয়া প্রযুক্তি। রিচার্ছের সুবিধার খাতিরে তার এহেন সহজোগিতার জন্য এখনো এমরানের প্রতি কৃতজ্ঞ আছি, আরো কিছু দিন থাকবো হয়তো।

জনসংখ্যা বাড়ার মূল কারন যেহেতু কিছুটা জানা হয়েছে। তাই লজ্জায় কাওকে জিজ্ঞেস করতে পারছিলাম না দারিদ্রতায় কেন বাড়ে জনসংখা ?? অনেক গবেশনার পর ও যখন কোন কূল কিনারা হচ্ছিলো না। এমন সময় দূঃসময়ের কান্ডারী হিসেবে আসলো আরেক বন্ধু, (তিনি এখন ঐ স্কুলেই মাষ্টারি পেশায় থাকায় তার নাম নেওয়া গেলোনা) তার সহজোগিতায় জানতে পারলাম। যে দরিদ্র ব্যাক্তিদের জীবনে যথেষ্ট চিত্ব বিনোদনের অভাব থাকায় তারা বিনোদন মানে ঐটাকেই বুঝে, তার মানে যত বেশি বিনুদুন, ততবেশি জনসংখা।

এইবার মূল প্রসঙ্গে আসি,
গতকাল থেকেই ফেসবুকের নিউজফীড খুব গরম, হলি উতসবে কিছু মেয়েদের কে রঙ দেবার নাম করে যে ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা নিয়ে। একাধিক কিছু পক্ষ তৈরি হয়েছে তাতে এক পক্ষ অন্য পক্ষের জাত তুলে ফেলছে দেখছি। যদিও এই সকল ধরনের বিষয়ে কবি বরাবরি নিরব থাকে। এবারো তাই ছিলাম। এই ধরনের অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না। যেহেতু হিন্দু ধর্মের এই উৎসবকে কেন্দ্র করেই এইটা হয়েছে আমার সকল হিন্দু ভাইদের প্রতি আহবান রইলো। কেও আপনাদের ধর্মিও উতসবের দিকে আঙ্গুল তুলতে না পারে তার জন্য ভিডিও ফুটেজ দেখে এদের চিহ্নিত করতে প্রশাসনকে সহজোগিতা করেন। কারন আমরা দ্বায় সারার জন্য অন্যের প্রতি আঙ্গুল তুলতে খুব বেশি পছন্দ করি। সেই সুজুগ যাতে কাওকে দিবেন না।
কিন্তু একটা কথা না বলে পারছিনা। সেই
ওলন্দাজ,
পর্তুগিজ,
ব্রিটিস,
ও পাক ভারতীয়
স্বাশনামল থেকে আমরা যে দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত ছিলাম বিনোদন মানেই যৌনতা এই বিশ্বাসটা সেখান থেকে আসে নাই তো আবার ? তা নাহলে বৈশাখ থেকে শুরু করে সব গুলো উৎসবে আমার আপনার বোনেরাই কেন টার্গেটে থাকে। তাদের কে যৌন হয়ারনী করে বিনোদন পাওয়ার মানে কি??

আর বিনোদন মানেই যদি যৌনতা হয়ে থাকে মূল কারন, তাহলে সে বিশ্বাস এর এই বিকৃত রুপ ইভটিজিং থেকে এই জাতী কি আগামী শত বছরেও বের হতে পারবে ??

যে বিশ্বাসে আমরা বিশ্বাসি হয়ে বসে আছি সেটা তো হাজার বছরের পুরানো।
খুব ভয় হয়, আমাদের পরবর্তি প্রজন্মের কথা ভাবলে ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

কাশফুল মন (আহমদ) বলেছেন: ভালো বলেছেন

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০১

ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.