![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নীল মোরে টানে, মুই সমুদ্দুর যাইবার চাই...
১। আজকের প্রথম আলোর একটি খবরঃ
"এবার দিল্লীতে প্রতারনার শিকার ৫ বাংলাদেশি নৌ ক্যাডেট"
লিঙ্কঃhttp://www.prothom-alo.com/international/article/603460/এবার-দিল্লিতে-প্রতারণার-শিকার-বাংলাদেশি-৫-নৌ
২। মাস দুয়েক আগের জনকন্ঠ পত্রিকার খবরঃ
"ভুয়া কাগজপত্রে ভারত গিয়ে ১৯ বাংলাদেশি ক্যাডেট আটক" (যদিও ১৯ জনই ক্যাডেট ছিলেন না, এর মধ্যে কিছু অফিসারও ছিলেন)
লিঙ্কঃ view this link
৩। এবার ১ বছর আগের একটি খবরঃ
"ইন্দোনেশিয়ার জাহাজ চালাবে বাংলাদেশি মেরিন ক্যাডেট"
লিঙ্কঃ view this link
এখানে ৩নং খবরটিতে বলা হয়েছে প্রাইভেট একাডেমি শাহ মেরিন এন্ড বিজনেস ইন্সটিটিউট থেকে পাশকৃত ক্যাডেটরা ইন্দোনেশিয়ার জাহাজ চালাবে; কিন্তু মজার ব্যাপার হল ১নং খবরে ভারতের দালালের কাছে ৩ লক্ষ টাকা করে দিয়ে প্রতারিত ৫ ক্যাডেটের সবাই প্রাইভেট একাডেমি শাহ মেরিনের ক্যাডেট। অর্থাৎ ১ বছর আগে ক্যাডেট ভর্তির সময় তারা চাকুরির মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্যাডেট ভর্তি করেছে, কিন্তু পাশ করার পর ক্যাডেটদের অতিরিক্ত ৩ লক্ষ টাকা গুনতে হয়েছে জাহাজে উঠার জন্য, বলা বাহুল্য- ঐ জাহাজ মোটেও ইন্দোনেশিয়ার ছিল না, উপরন্তু ঐ ক্যাডেটরা প্রতারিত হয়েছে দালালের কাছে।
শুধু অনলাইন পত্রিকা নয়, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকেও তাদের তৎপরতা চোখে পড়ে। আসন্ন ক্যাডেট ভর্তি মৌসুমেই আপনারা এমন বহু ভাওতাবাজি বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে উপরের ২ টি পত্রিকায় যেসব ক্যাডেটদের কথা বলা হয়েছে তাদের সবাই ২ টি ভিন্ন প্রাইভেট মেরিন একাডেমির ক্যাডেট। প্রাইভেট একাডেমি অনুমোদন শর্ত হিসেবে যে জিনিসগুলো বেধে দেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ঐ একাডেমিকেই ক্যাডেটদের জাহাজে প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করে দিতে হবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একটি প্রাইভেট একাডেমিও তাদের শর্ত শতভাগ পূরন করতে পারছে না। শুধুমাত্র ১ জন ক্যাডেটকে ২ বছরের প্রশিক্ষন দিয়েই তারা হাতিয়ে নেয় ১২-১৮ লক্ষ টাকা; এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে চলে টাকা আদায়। জাহাজে উঠানোর কথা বলেও আদায় করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা; আর প্রতারনার ঘটনা এখন হরহামেশাই ঘটছে।
২দিন আগেই সরকারি একাডেমি "বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি" র ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সরকারি একাডেমি হিসেবে তাদের ক্যাডেটদের জাহাজে উঠানোর ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু দেশিয় ও আন্তর্জাতিক জাহাজে শুধুমাত্র একাডেমির সুনামের বদৌলতে ক্যাডেটরা চাকুরি পেয়ে আসছিল। সেই সুনামকে কাজে লাগিয়ে প্রাইভেট একাডেমিগুলো মুরগির খামারে ক্যাডেট তৈরির ব্যাবসায় নেমেছে। শুধুমাত্র টাকার জোড়ে ক্যাডেট বানিয়ে তাদেরকে বাজারে ছাড়া হচ্ছে, যাদের অধিকাংশেরই যথাযথ প্রশিক্ষনের অভাব রয়েছে। ফলে গত ২ বছরে দেশে বেকার ক্যাডেটের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১০০০ এ, আগামি বছর যা হবে ১৫০০; অর্থাৎ চোখের সামনে মেরিন সেক্টরকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসা হয়েছে।
নিচের লিঙ্কে এই বিষয়ক পোস্টগুলো সংকলিত হয়েছেঃ
HSC শেষ; মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হবেন? আসেন কথা আছে
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:১৩
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অযোগ্য ছেলেপেলে টাকা খরচ করে এইসব আজেবাজে প্রতিষ্ঠানে পড়লে এমন হবেই। ঘুষ দিয়েও চাকরী পাবেনা। সার্টিফিকেটটা সরকারের নৌ মন্ত্রনালয় কিংবা এমন কিছুর অনুমোদিত হবার কথা। ওরা কি মান দেখে অনুমোদন দেয়?
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৫
সিন্দবাদ বলেছেন: আপনি একদম সঠিক কথাটাই বলেছেন। নৌ মন্ত্রনালয় সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরকে দায়িত্ব দিয়েই খালাস; আর সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর ১৮টি(!) প্রাইভেট একাডেমি অনুমোদন দিয়েই খালাস। সরকারি একাডেমির নাম বেচে অগা-মগা পোলাপান বিদেশি জাহাজে পাঠিয়ে, এই সেক্টরের ১৪ বাজানো হয়েছে । সবই চলছে আল্লাহর ওয়াস্তে; এমন এমন কিছু ছেলেপেলে মেরিনে পড়তে আসে, যাদের দেখলে নিজেরই মেরিনার হিসেবে পরিচয় দিতেও লজ্জা লাগে
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
সিন্দবাদ বলেছেন: Follow us on Ex-Cadets of Bangladesh Marine Academy