নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমার চোখের তারায় আমার হাজার মৃত্যু!

অতন্দ্র সাখাওয়াত

তন্দ্রাকুমারী একটি কাল্পনিক চরিত্র যার সন্ধানে আছি নিশিদিন!!

অতন্দ্র সাখাওয়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়ের বাঁধ

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

মাঝে মাঝে নিজেকে খুব বস্তাপচা সস্তা মনে হয়। জানা নাই কিছুই অথচ ভাব ধরতে হচ্ছে সবজান্তা সমশের! লোকের একটানা ছি! ছি! ছি! শুনতে প্রস্তুত নই বলেই এমন হয়- অতীতে বাস করতে চাই, অতীতেই থেকে যাই। মাঝে মাঝে আকাশ দেখতে খুব ইচ্ছে হয়, কিন্তু ঐ যে, “সময়তো নাই, নাই, নাই” বুক বাজে বুকের ভিতর।

২৪ ঘণ্টা সময়ের ৮ ঘণ্টা ঘুম (মৃত), ৮ ঘণ্টা কাজ ( ভবিষ্যতের / ভবিষ্যতকে সামনে রেখে) করা আর একাকী থাকার সময়টুকুতে বর্তমান থেকে পালিয়ে অতীতে আশ্রয় নেয়া। বর্তমানে বাস করা আর হয় কোথায়? অভিনয় করারও একটা মাত্রা আছে; ভুলে গেলেতো চলবে না।অথচ, আমাদের শিল্পবোধ ঐ দেখ টক দৈ রং চাঁদ হয়ে ফুটে গেছে। অথচ, এই যে আমরা, ”অমুককে ছাড়া আমার চলে না, চলবে না” ইত্যাদি বলে বা দুঃখবিলাসে মত্ত হয়ে, যাই প্রমাণ করতে চাই না কেন, শেষমেশ আমরা একটা সিদ্ধান্তে উপনিত হই যে, বিশ্বজগৎ আনন্দবোধ থেকেই সৃষ্ট আর আনন্দের পূর্ণতায় এর লয়/ বিলুপ্তি। অর্থাৎ যে জগতে আমরা আছি, বর্তমান ব্যতীত সব সেখানে খুবই ঠুনকো।

অবশ্যই একজন মানুষের মুখ আরেকজন মানুষের মধ্যে আছে। তবে, ভালোবাসা মানুষকে আটকে রাখে, এক বিন্দু নড়তে দেয় না- এটা মানতেই হবে। শত চেষ্টার পর মানুষকে বুঝে নিতে হয়: প্রেমই মানুষকে ভাসায়, ভালোবাসা না। ব্যবিলন থেকে পিরামিডে, দেহ থেকে মনে, ফুল থেকে ফুলে, মন থেকে মনে। এখানে প্রেমের ব্যাপারে যে যত বেশি বেহিসাবী সে তত বেশী মূহুর্ত প্রেমের মাঝে চলতে পারে।অন্যকেও চালাতে পারে।

পরিশেষে, আমার জীবনের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমি হুট করে একবার একটা রেস্টুরেন্টে হোটেল বয় হিশেবে কাজ নিলাম। মানুষের ক্ষুধার্ত লোভী চোখগুলো দেখতে ভালই লাগতো। সব থেকে আকর্ষনীয় ছিল প্রেমিক-প্রেমিকাদের দুষ্টুমি। সকাল আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত একটানা কাজ করতাম ( সাপ্তাহিক ছুটি: শূন্য দিন) আর ভাবতাম, কোন বড়লোক ক্রেতা এসে যদি অনেকগুলো খাবার প্যাকেট কিনে গাড়িতে তুলে দেবার জন্য আমাকে ডাকতো, তাহলেইতো কিছু বকশিস পেতে পারি। আমাদের দোকানের কোন খাবারের দিকেও আমরা তাকাই না, আমরা তাকাই বড়লোক ক্রেতার চোখের দিকে। শেষ কথার আগের কথা চোখে চোখে বলে চলে যাই। একদিন কী হয়েছে, আমার পকেটে কোন টাকা নাই। মাসের শেষ দিক, তাই কেউ আমাকে ধারও দিল না।তখন আমি এক মুরুব্বির কিছু ব্যাগ তুলে দিলাম আর তিনি আমাকে কিছু বকশিস দিলেন- চিকন করে গুটানো দুটি কুড়ি টাকার নোট । আমার কাছে মনে হলো, আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ! টাকার মধ্যে সেই মানুষটার উষ্ণতার স্পর্শ; অনুভূতিটা এত চমৎকার ছিল যে,ভাবতে গিয়ে আমার শিরদাঁড়াটা এখনো বাতাসে ভাসছে!

পুনশ্চঃ অতীত নিয়ে ভাবা উচিৎ, কিন্তু অতীতে পড়ে থাকা যাবে না।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কাহিনী নাকি?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০

অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: না ভাই, সেইরকম কিছু না।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫১

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: পড়লাম। ভালো লাগলো।

অতীত নিয়ে ভাবা উচিৎ, কিন্তু
অতীতে পড়ে থাকা যাবে না।

--- যথার্থ বলেছেন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪

অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৭

হাবিব বলেছেন: হোটেলে প্রেমিক প্রেমিকারা এখনো দুষ্টুমি করে......... বেশি করে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১

অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: ওরাও খুব বেশীক্ষণ বর্তমানে থাকতে পারে কী?? যদিও....।

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৪১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: অতীতকে স্মরণ করুন কোন দুঃখবোধ ছাড়াই আর বর্তমানকে গ্রহন করুন সাহসিকতার সঙ্গে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬

অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: কিন্তু, এই সহজ হিসাবটা অনেকেই বোঝে না।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: না ভাই, সেইরকম কিছু না।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.